আলহামরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪২ নং লাইন:
}}
[[চিত্র:116 Tafel 6 Grenada Alhambra - Plano del Palacio Arabe.jpg|thumb|Plan of the Palacio Arabe|left]]
'''আলহাম্বরা''' ({{IPAc-en|icon|æ|l|ˈ|h|æ|m|b|r|ə|}}; {{IPA-es|aˈlambɾa|lang}}; {{lang-ar|الْحَمْرَاء}} আরবি অনুবাদ: {{lang|ar|''al-Ḥamrā''}}; আক্ষরিক "লাল এক"), যার পূর্ণ নাম ছিল '''কালাত আলহাম্বরা''' ({{lang-ar|الْقَلْعَةُ ٱلْحَمْرَاءُ}}; আরবি অনুবাদ: ''al-Qal‘at al-Ḥamrā’'', "লাল কেল্লা"), একটি প্রাসাদ এবং দুর্গ সম্বলিত বড় আকারের কমপ্লেক্স যা [[স্পেন|স্পেনের]] [[আন্দালুসিয়া|আন্দালুসিয়ার]], [[গ্রানাডা|গ্রানাডাতে]] অবস্থিত। গ্রানাডার শহরের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের আসসাবিকা পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এই পুরাতন দূর্গ ৯ম শতাব্ধীর শেষভাগে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রোমান দূর্গের ভিত্তিতে নির্মিত হয় তবে প্রাসাদ এবং সংলগ্ন অন্যান্ন স্থাপনাঅংশ ১৩শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে [[আন্দালুস|আন্দালুসের]] [[গ্রানাডা আমিরাত|গ্রানাডা আমিরাতের]] [[মুয়ারস|মরিশ]] শাসকদের হাতে সৃদৃশ্য স্থাপনা হিসেবে সম্পূর্নতা পায়। আলহাম্বরা (বা আলহামরা প্রাসাদ)টি [[নাসরি রাজবংশ|নাসরি রাজবংশের]] শাসনকালে তৈরি করা হয়েছিল, যা তার বাসস্থান এবং রাজসভা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সমসাময়িকসম্রাট মুসলিম স্থাপত্য কর্মের মধ্যে এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মীফার্ডিন্যান্দ এবং বাস্তবরানী আকর্ষণ,ইসাবেলা যামুসলিম শুধুমাত্রস্পেন তারজয় অভ্যন্তরকরার আন্দালুসিয়ারপরে চিত্রশিল্পেরএটিকে মধ্যেইতাদের খুঁজেপ্রাসাদ পাওয়াহিসেবে যায় না, স্থানীয়করণ এবং অভিযোজন মধ্যেও একটি নতুন দৃশ্য তৈরি করে যা সম্পূর্ণরূপে তারব্যবহার প্রকৃতিতেকরেন। বিদ্যমান।
 
সমসাময়িক মুসলিম স্থাপত্য কর্মের মধ্যে এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী এবং বাস্তব আকর্ষণ, যা স্থানীয়করণ এবং অভিযোজন মধ্যে একটি নতুন দৃশ্য তৈরি করে যা সম্পূর্ণরূপে তার প্রকৃতিতে বিদ্যমান।স্পেনের মুর কবি ও শিল্পীরা একে সবুজের বুকে এক বিন্দু মুক্তা বলে অভিহিত করতেন। সবুজ উপত্যাকায় রঙিন ভবনের অস্তিত্ব আসলেই দর্শকের দৃস্টিতে ধাধা তৈরী করতো। <ref>Chisholm, Hugh, ed. (1911). "Alhambra, The" . Encyclopædia Britannica. 1 (11th ed.). Cambridge University Press. pp. 656–658.</ref> পাহাড়ি ভূমি প্রকৃতির সাথে সমন্বয় করে প্রাসাদের ভবনগুলো নকশা করা হয়েছিলো এবং তৎকালীন সময়ের উন্নত প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটানো হয়েছিলো।
[[১২৩৮]] সালে, [[মুহাম্মদ ইবনে নাসর]] (নাজার নামেও পরিচিত), গ্রানাডা দখলের জন্য এলভিয়ার দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে এবং তিনি এর নাম দেন "আল-হামার" (লাল)। তিনিই হলেন নাসরি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইবন নাছর বিজয়ী হয়ে গ্রানাডাতে প্রবেশ করে, তখন সেখানকার লোকেরা তাকে স্বাগতম জানায়: "স্রস্টার করুণায় বিজয়ীকে স্বাগতম" (মারহাবান লি-ল-নাসির) বলে, জবাবে তিনি উত্তর দেন: "অন্য কেউ বিজয়ী না, আল্লাহ ছাড়া " (ওয়া লা গালিব ইল্লা আল্লাহ)। এটি ছিল নাসরি রাজবংশের নীতিবাক্য এবং একে তিনি সম্পূর্ণ আলহাম্বরাতে লিখেন।<ref name="it.wikipedia.org">[http://it.wikipedia.org/wiki/Alhambra ইতালীয় উইকিপিডিয়া]</ref> আলহাম্বরা অনেক লেখক গান এবং গল্প লিখতে অণুপ্রাণিত করেছে।
[[১২৩৮]] সালে, [[মুহাম্মদ ইবনে নাসর]] (নাজার নামেও পরিচিত), গ্রানাডা দখলের জন্য এলভিয়ার দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে এবং তিনি এর নাম দেন "আল-হামার" (লাল)। তিনিই হলেন নাসরি রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইবন নাছর বিজয়ী হয়ে গ্রানাডাতে প্রবেশ করে, তখন সেখানকার লোকেরা তাকে স্বাগতম জানায়: "স্রস্টার করুণায় বিজয়ীকে স্বাগতম" (মারহাবান লি-ল-নাসির) বলে, জবাবে তিনি উত্তর দেন: "আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ বিজয়ী না, আল্লাহ ছাড়ানয় " (ওয়া লা গালিব ইল্লা আল্লাহ)। এটি ছিল নাসরি রাজবংশের নীতিবাক্য এবং একে তিনি সম্পূর্ণ আলহাম্বরাতে লিখেন।<ref name="it.wikipedia.org">[http://it.wikipedia.org/wiki/Alhambra ইতালীয় উইকিপিডিয়া]</ref> আলহাম্বরা অনেক লেখক গান এবং গল্প লিখতে অণুপ্রাণিত করেছে।
 
২রা নভেম্বর, ১৯৮৪ সালে [[জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা|ইউনেস্কোর]] [[বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান]] আলহাম্বরাকে এবং গ্রানাডার [[জেনেরালাইফ|জেনেরালাইফকে]] মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেন।<ref name=UNESCO>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Alhambra, Generalife and Albayzín, Granada|ইউআরএল=http://whc.unesco.org/en/list/314 |কর্ম=World Heritage List |প্রকাশক=UNESCO |সংগ্রহের-তারিখ=13 January 2013}}</ref> ২০১১ সালের, [[আগস্ট]] মাস পর্যন্ত ৪০ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক এটিকে পরিদর্শন করেছে।<ref>[http://www.20minutos.es/noticia/1235950/0/ La Alhambra, uno de los monumentos españoles preferidos por los europeos, según la comunidad 'Qype'], EUROPA PRESS. 29.11.2011</ref>
 
 
== নামের উৎপত্তি ==