ফাদল ইবনে আব্বাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: {{কাজ চলছে}} ফাদল ইবন আব্বাস (রাঃ) নাম ফাদল, ডাক নাম আবু মুহাম্মা...
 
সাহাবা - ফাদল ইবনে আব্বাস প্রকাশ
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১ নং লাইন:
'''''ফাদল ইবন আব্বাস(রাঃ)'''''<sup>(মৃত্যু-৬৩৪ খ্রিস্টাব্দ)</sup> মুহাম্মদ(সঃ) এর একজন একনিষ্ঠ সাহাবা । তিনি রাসুল(সঃ) ছোট চাচা [[আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব]] এর বড় ছেলে ছিলেন । তিনি হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবা ছিলেন ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=(বইঃ আসহাবে রাসূলের জীবনকথা – দ্বিতীয় খন্ড)|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref>
{{কাজ চলছে}}
 
==নাম ও বংশ পরিচয়==
ফাদল ইবন আব্বাস (রাঃ)
নাম ফাদল, ডাক নাম আবু মুহাম্মাদ। পিতা প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) এবং মাতা লুবাবা বিনতুল হারেস আল হিলালিয়্যাহ। রাসূলুল্লাহর (সাঃ) চাচাতো ভাই। পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান। এ কারণে পিতা আব্বাসকে ডাকা হতো আবুল ফাদলের পিতা বলে এবং ‍মাতা লুবাবাকে বলা হতো উম্মুল ফাদল বা ফাদলের মা।
 
ফাদল ইবনে আব্বাস(রাঃ) এর ডাক নাম ''আবু মুহাম্মাদ'' ।তাঁর পিতা ছিলেন প্রখ্যাত সাহাবী হযরত [[আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব|আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব]](রাঃ) এবং ছিলেন মাতা [[লুবাবা বিনতুল হারেস আল হিলালিয়্যাহ]] ।ফাদল ইবনে আব্বাস রাসূল(সঃ) এর চাচাতো ভাই ছিলেন । ফাদল পিতার বড় সন্তান ছিলেন ।
বদর যুদ্ধের পূর্বেই পরিবারের অন্যদের সাথে ইসলাম গ্রহণ করেন; কিন্তু মক্কার কাফিরদের ভয়ে প্রকাশ করেননি। মক্কা বিজয়ের অল্প কিছুদিন পূর্বে পিতা হযরত আব্বাস ও ছোট ভাই আবদুল্লাহর (রাঃ) সাথে মদীনায় হিজরত করেন। হিজরতের সময় তার বয়স ছিল তের বছর এবং আবদুল্লাহর বয়স আট বছর। [হায়াতুস সাহাবা-১/৩৭৩]। তিনি মদীনায় হিজরতের পর সর্ব প্রথম মক্কা অভিযানে অংশ গ্রহণ করেন। অতঃপর হুনাইন অভিযানেও যোগদান করেন। আক্রমণের প্রথম পর্যায়ে মুসলিম বাহিনী যখন পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়ে পালাতে শুরু করে তখনও তিনি হযরত রাসূলে কারীমের (সাঃ) সাথে ময়দানে অটল থাকেন।
 
 
(বইঃ আসহাবে রাসূলের জীবনকথা – দ্বিতীয় খন্ড)
==ইসলাম গ্রহন ও হিজরত==
 
[[বদরের যুদ্ধ|বদর যুদ্ধের]] পূর্বেই পরিবারের সবাই সাথে ইসলাম গ্রহণ করেন । কিন্তু মক্কার কুরাইশদের ভয়ে প্রকাশ করতে পারেননি । মক্কা বিজয়ের অল্প কিছুদিন পূর্বে পিতা [[আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব]] ও ছোট ভাই আবদুল্লাহর (রাঃ) সাথে মদীনায় হিজরত করেন। হিজরতের সময় তার বয়স ছিল ১৩ বছর এবং ছোট ভাই আবদুল্লাহর বয়স ছিল ৮ বছর ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=[হায়াতুস সাহাবা-১/৩৭৩]|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref>
 
==যুদ্ধে অংশগ্রহন==
 
তিনি মদীনায় হিজরতের পর সর্ব প্রথম মক্কা অভিযানে অংশ গ্রহণ করেন। অতঃপর [[হুনাইনের যুদ্ধ|হুনাইনের যুদ্ধেও]] যোগদান করেন ।হুনাইনের যুদ্ধে আক্রমণের প্রথম পর্যায়ে মুসলিম বাহিনী যখন পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়ে পালাতে শুরু করে তখনও তিনি বীরত্বের সাথে রাসূল(সাঃ) সাথে ময়দানে অটল থাকেন।
 
বিদায় হজ্জে তিনি রাসূলুল্লাহর (সাঃ) সাথে একই বাহনে বসা ছিলেন। এ কারণে সেই দিন থেকে তিনি '''রাদিফুর রাসূল''' উপাধিতে ভূষিত হন ।তাঁর বিয়ের দেনমোহর রাসূল(সাঃ) নিজে পরিশোধ করেন ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=আল ইসাবা-৩/২০৮ [এবং বুখারী শরীফে বাবু হজ্জিল মারয়াতে অধ্যায়ে বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে]|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref>
 
 
==রাসুলের অন্তিম জীবনে==
 
রাসুলের অন্তিম জীবনে খেদমতের সুযোগ হয় ফাদল ইবনে আব্বাসের । রাসুল(সঃ) অন্তিম রোগশয্যায় রাসূলুল্লাহ(সাঃ) সর্বশেষ ভাষণ দিবেন,এই ঘোষনা দেন ফাদল । অতঃপর ফাদল ও অন্য একটা সাহাবার সাহায্য নিয়ে রুম থেকে বাইরে বের জনগণের সামনে শেষ ভাষণ দেন । এরপরে রাসুল(সঃ) ইন্তিকালের পর ফাদল ও কয়েকজন সাহাবা মিলে রাসুল(সঃ) এর গোসলের কাজ সম্পন্ন করেন,[[আউস ইবন খাওলী]] নামক এক আনসার সাহাবা তাকে পানি এগিয়ে দেন গোসল করানোর জন্য ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=[আল-ইসতীয়াব, হায়াতুস সাহাবা-২/৩৪১]|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref>
 
 
==হাদিস বর্ণনা==
 
ফাদল ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে ২৪টি হাদীস বর্ণিত হয়েছে । অনেক সাহাবা ও তাবেয়ী তাঁর থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন ।
 
'''''সাহাবাদের মধ্যে'''''
 
ইবন আব্বাস ও [[আবু হুরাইরাহ|আবু হুরাইরার]] উল্লেখযোগ্য ।
 
'''''তাবেয়ীদের মধ্যে'''''
 
কুরাইব
 
ফাদল[[কুসাম ইবন আব্বাস (রাঃ)]]
 
[[আব্বাস ইবন উবাইদিল্লাহ]]
 
[[রাবীয়া ইবন হারেস|রাবীয়া ইবন হারেস]],
 
[[সুলাইমান ইবন ইয়াসার|সুলাইমান ইবন ইয়াসার]],
 
[[আতা ইবন আবী রিবাহ]]
 
আবু সাঈদ
 
শাবী
 
উমাইর বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=[আল ইসাবা-৩/২০৯]|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref>
 
 
==মৃত্যু==
 
ফাদল ইবনে আব্বাসের মৃত্যুসন সম্পর্কে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে । ওয়াকিদী বলেনঃ হযরত ফাদল [[উমর ইবনুল খাত্তাব|খলিফা উমারের]] খিলাফতকালে আমওয়াসের প্লেগের মহামারিতে মারা যান। আবার অনেকে বলেছেন, হযরত আবু বকরের খিলাফতকালে [[আজনাদায়নের যুদ্ধ|আজনাদায়ন]] অথবা [[ইয়ামামার যুদ্ধ|ইয়ামামার যুদ্ধে]] তিনি শাহাদাত বরণ করেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, হিজরী ১৫ সনে ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। তবে [[ইমাম বুখারী]] আজনাদাইনের মতটি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছেন ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=[আল ইসাবা-৩/২০৯]|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref>
 
{{সাহাবা}}
 
==তথ্যসূত্র==
 
 
 
 
[[বিষয়শ্রেণী:পুরুষ সাহাবা]]
[[বিষয়শ্রেণী:সাহাবা]]