স্বেচ্ছাসেবী কাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Farah Firdous Islam (আলোচনা | অবদান)
অনুবাদ
Farah Firdous Islam (আলোচনা | অবদান)
অনুবাদ
৯৭ নং লাইন:
 
রাশিয়ার কিছু প্রধান উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান আয়োজক দেশের ১৫ সেচ্ছাসেবক কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রার্থী যারা রাশিয়াতে বসবাস করে তাদের নির্বাচিত করে: সিনারজি ইউনিভার্সিটি, মস্কো স্টেট  ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, প্লেখানভ রাশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ  ইকোনমিক্স, রাশিয়ান স্টেট সোশ্যাল ইউনিভার্সিটি, মস্কো অটোমোবাইল এন্ড রোড কনস্ট্রাকশন  ইউনিভার্সিটি, সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনমিক্স, সামারা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ভলগা রিজিওন স্টেট একাডেমি অফ ফিজিক্যাল কালচার, স্পোর্ট এন্ড ট্যুরিজম, ডন স্টেট টেকনিকাল ইউনিভার্সিটি, অগরেব মর্ডোভিয়া স্টেট  ইউনিভার্সিটি, ভোলগোগ্রাড স্টেট  ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিজহনী নবগোরড, সামারা স্টেট এরোস্পেস  ইউনিভার্সিটি, ইম্মানুয়েল কান্ট্ বাল্টিক ফেডারেল ইউনিভার্সিটি, আর ইউরাল ফেডারেল ইউনিভার্সিটি।
 
অন্যান্য দেশের অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচিত করা হয়েছে নিরপেক্ষভাবে।
 
অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই অন্তত ১৮ বছর বয়স হতে হবে, ইংরেজিতে ভালো, উচ্চ অথবা পেশাগত মাধ্যমিক শিক্ষা, আর দলগত কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।
 
স্বেচ্ছাসেবকদের কেন্দ্র আর বিশ্বকাপ স্থানগুলোতে, স্বেচ্ছাসেবকদের নিরপেক্ষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।
 
স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে:
 
১। স্বীকৃতিপত্র প্রদান;
 
২। টিকেট বিক্রি এবং পরীক্ষা করা;
 
৩। রেডিও যোগাযোগ মাধ্যমের পেশাজীবীদের সহযোগিতা করা;
 
৪। অনুষ্ঠানের অতিথিদের জন্য অবসর আর বিনোদনমূলক কাজের ব্যবস্থা করা;
 
৫।খাবার পরিবেশনদ্বারের আয়োজন;
 
৬।অনুবাদের কাজ করা;
 
৭। আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দানকারীদের সাথে কাজ করা;
 
৮। চিকিৎসা কাজে সহযোগিতা করা আর ডোপিং নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আয়োজন করা;
 
৯।গণমাধমের কাজে সহযোগিতা করা;
 
১০।অনুষ্ঠানের খেলোয়াড় আর অতিথিদের আগমন এবং প্রস্থান আয়োজন করা;
 
১১। গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের সাথে কাজ করা;
 
১২। খেলোয়াড় আর রেফারিদের সহযোগিতা করা;
 
১৩। খেলোয়াড় আর অতিথিদের বাসস্থানের জন্য সহযোগিতা করা;
 
১৪। অতিথিদের নৌযাত্রায় সহযোগিতা করা;
 
১৫। টেলিভশন আর রেডিও-তে প্রচারে সহযোগিতা করা;
 
১৬। পরিবহনের আয়োজন করা;
 
১৭। সেচ সেবকদের পরিচালনা করা;
 
১৮। স্টেডিয়ামের কার্য প্রণালীতে সহযোগিতা করা;
 
১৯। ফিফার সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পর্যবেক্ষণ;
 
২০। চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠানের শুরু আর সমাপ্তির আয়োজন করা।
 
অনুষ্ঠানের শুরু হবার পূর্বে তাদের কাজ শুরু হয়েছিল: ২০১৭ সালের ১০ই মে ২০১৭ ফিফা  কনফেডারেশন্স কাপ, আর ২০১৮ সালের ১০ই মে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ এর জন্য।
 
 
'''২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম ঐতিহ্য: গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রকল্পগুলোর জন্য রাশিয়ার জাতীয় প্রতিযোগিতা'''
 
২০ শে অক্টোবর ২০১৭ সালে,গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রকল্পগুলোর জন্য রাশিয়ার জাতীয় প্রতিযোগিতা "২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম ঐতিহ্য" ঘোষণা করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ১৫০০ লোক যুক্ত হয়: আবেদনপ্রার্থীরা হচ্ছে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম আর শহরের ভবিষৎ স্বেচ্ছাসেবক।
 
প্রতিযোগিতার চিন্তাটি ছিল যে, যে কেউ প্রকল্প জমা দিতে পারবে যা রাশিয়ার শহরের বাসিন্দাদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে রাশিয়ার ফিফা বিশ্বকাপ নিয়ে আর চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে একটি ঐতিহ্য হিসেবে কাজ করবে।
 
প্রত্যাশা করা হয় প্রকল্পগুলো থেকে বাস্তব (শিল্প সংক্রান্ত কর্ম, অতিথি আর বাসিন্দাদের জন্য শহরের আকর্ষণীয় জায়গা, উন্মুক্ত খেলার স্থান,দেত্তয়ালের ছবি, শহরের পার্কগুলোর উন্নত জায়গা, সিনেমা, ইত্যাদি) আর অধরা (অনুষ্ঠানসমূহ, অধিবেশনগুলো, উৎসবসমূহ, প্রদর্শনীর) ঐতিহ্যের সৃষ্টি হবে।
 
২৬টি প্রকল্প চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় এবং রাশিয়া ২০১৮ স্থানীয় আয়োজক কমিটির আর ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজক শহরের সমর্থন পায়। নির্বাচকদের মধ্যে ছিলেন রাশিয়া ২০১৮ স্থানীয় আয়োজক কমিটির জেনারেল ডিরেক্টর এলেক্সেই সরোকিন, রাশিয়ার ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ এর রাষ্ট্রদূত এলেক্সেই স্মার্টিন এবং ফেডারেল ট্যুরিজম এজেন্সীর প্রধান পরামর্শদাতা সভেৎলানা সের্গিবা।
 
কিছু প্রকল্প সংমিশ্রণ অথবা আরো উন্নত করা হয় স্থানীয় আয়োজক কমিটির দ্বারা।
 
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছিলো: মাদের জন্য ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, পুনরায় ব্যবহার যোগ্য প্লাষ্টিক দ্বারা ঢালু পথ তৈরী, তোমার চ্যাম্পিয়নশিপ স্টিকার প্যাক ইত্যাদি।[৩৫]
 
== '''স্বেচ্ছাসেবা দিবস, সপ্তাহ এবং বর্ষ ''' ==
নির্বাচিত দিন, সপ্তাহ এবং বর্ষ পালন করা হয় একটি দেশে অথবা এগুলো জাতিসংঘ দ্বারা নির্বাচিত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী কাজ/ নাগরিক সেবাকে উৎসাহিত করতে
 
* বিশ্বব্যাপী তরুণ সেবা দিবস
* আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবক দিবস
* সেচ্ছাসেবকদের আন্তর্জাতিক বর্ষ 
* হাত মিলিতকরণ দিবস
* ম্যান্ডেলা দিবস
* এমএলকে সেবা দিবস
* মিটজবাহ দিবস
* সহানুভূতি দিনের এলোমেলো কার্যক্রম
* সেবা দিবস
* পার্থক্য তৈরির একটি দিন
* বিশ্ব সহানুভূতি দিবস
 
== '''রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি''' ==
আধুনিক সমাজের একটি পরিচিত গুণ হলো মানুষের একে অপরকে সাহায্য করা; স্বেচ্ছাসেবা কাজের দ্বারা শুধু অন্যদের সহযোগিতা করা হয় না, বরং তা স্বেচ্ছাসেবা দেয়া ব্যক্তিটির ব্যক্তিগত পর্যায়ে সুবিধা দেয়।[৩৬] একই ধরণের উদ্দেশ্য থাকা সত্ত্বেও, স্বেচ্ছাসেবক এবং রাষ্ট্র প্রদত্ত সেবার মধ্যে চাপা উত্তেজনা দেখা দিতে পারে। এই ধরণের চাপা উত্তেজনা কমানোর জন্য, বেশিরভাগ রাষ্ট্রই নীতি তৈরী করেছে আর আইন পাস করেছে যা সরকারের অংশীদার এবং তাদের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিনিধিদের ভূমিকা আর সম্পর্কগুলো স্পষ্ট করে; এই নিয়ম প্রত্যেক পক্ষের স্থান নির্ধারণ করে এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় বৈধ, সামাজিক, প্রশাসনিক আর আর্থিক সহযোগিতা নির্ধারণ করে।
 
এটা ঠিক তখন গুরুত্বপূর্ণ যখন কিছু স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম রাষ্ট্রের প্রধানদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয় (যেমন, ২৯ শে জানুয়ারী ২০০১, প্রেসিডেন্ট বুশ সতর্ক করেছেন যে সেচ্ছাসেবক দল সম্পূরক— দখল করবে না— সরকারের প্রতিনিধিদের কাজ)। [৩৭]
 
স্বেচ্ছাসেবী কাজ যা রাষ্ট্রকে উপকৃত করে কিন্তু শ্রম ইউনিয়নগুলোকে রাগান্বিত করে কারণ তাদের বেতনভুক্ত প্রতিনিধিদের এতে চ্যালেঞ্জ করা হয় যারা তাদের স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য বেতন পায়; এটি মূলত স্বেচ্ছাসেবক দমকল বিভাগের মতো সম্মিলিত বিভাগগুলোতে দেখা যায়।
 
=== '''বিদেশী অনুদানের অসুবিধাসমূহ''' ===
স্বেচ্ছাসেবী কাজের আদর্শ, বিদেশী অনুদানের অসুবিধাগুলো দেখা যায় যখন এটি জাতীয় সীমানার বাইরে প্রয়োগ করা হয়। স্বেচ্ছাসেবক যাদের একটি দেশ থেকে অন্য দেশে পাঠানো হয় তাদের উপস্থিতি সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন আর অনুদান গ্রহণকারী জাতীয় সরকারের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব হিসেবে দেখা হয়।
 
তাই কারণগুলো গুরুত্বপূর্ণ যখন রাষ্ট্রগুলো অনুদান পাঠানোর প্রস্তাব দেয় আর যখন এই প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করা হয়, বিশেষত যদি অনুদান দানকারীরা সাহায্য স্থগিত বা সব বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব রাখে। তিন ধরণের শর্ত গড়ে উঠতে দেখা গেছে:
 
১। '''আর্থিক দায়িত্ব''': স্বেচ্ছাসেবকরা লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করেছে কিনা তা নিশ্চিত করতে অর্থ পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকতে হবে
 
২। '''নীতি সংশোধন''': সরকার অনুরোধ করে যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কিছু নির্দিষ্ট সামাজিক, আর্থিক, বা পরিবেশগত নীতিগুলো অবলম্বন করতে হবে; প্রায়ই, ঐতিহ্যগতভাবে সবচেয়ে বিতর্কমূলক হচ্ছে সেবাগুলোর বেসরকারিকরণ করা
 
৩। '''উন্নয়নের উদ্দেশ্যসমূহ''': উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক লক্ষ্যগুলো প্রাপ্তির জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নিতে বলা  
 
কিছু আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবক সংস্থা তাদের প্রাথমিক লক্ষ্যকে সংজ্ঞায়িত করে পরার্থবাদী হিসেবে: উন্নয়নশীল পৃথিবীর দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করা আর মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন করা, (অর্থাৎ ভলান্টারী সার্ভিসেস ওভারসিস এর আছে প্রায় ২০০০ দক্ষ পেশাজীবী সেচ্ছাসেবক যারা তাদের অভিজ্ঞতাকে স্থানীয় লোকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় যেন তারা ফেরত চলে আসলেও স্বেচ্ছাসেবী দক্ষতাগুলো সেখানে বজায় থাকে)। যখনই ধরণের সংস্থাগুলো সরকারের অংশীদার হিসেবে কাজ করে, ফলাফল হয় অসাধারণ।যদিও, যখন অন্যান্য সংস্থা বা পৃথক প্রথম বিশ্বের সরকারগুলো সেচ্ছাসেবক দলগুলোর সমর্থন করে তখন প্রশ্ন দেখা দেয় সংস্থাগুলো বা সরকারগুলো আসল উদ্দেশ্য দারিদ্রতা দূরীকরণ কিনা।  পরিবর্তে অনেকসময়, সম্পদ তৈরী করা কিছু দরিদ্রের জন্য অথবা এমন নীতি তৈরী করা যা দাতা রাষ্ট্রের জন্য উপকারী এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে।[৩৮] অনেক অল্প আয়ের দেশগুলোর অর্থনীতি শিল্পায়নের ফলে প্রাচুর্য আর বিনিয়োগের ফলে বিকাশ না হবার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর একটি কারণ হলো উন্নয়নের সহযোগিতার পথ হিসেবে অনেক তৃতীয় বিশ্বের সরকারগুলোকে সেই উন্নয়নের নীতিগুলো অনুসরণ করতে বলা যেগুলো অপচয়ী, বিপথে চালিত করে, অথবা অনুৎপাদনশীল; কিছু নীতিগুলো এতই ধ্বংসাত্মক হয় যে অর্থনীতি টেকসই হতে পারেনা বাইরের সাহায্য ছাড়া।[৩৯] 
 
অবশ্য,স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবার কাজকে এক ধরণের অবদান হিসেবে বিবেচনা করে অনুদান দেবার কিছু প্রস্তাব স্বেচ্ছাসেবী কাজের সাধারণ মনোভাবকে বিকৃত করেছে, অর্থাৎ, বিদ্যমান শর্তাদির জন্য প্রয়োজন স্থানীয় মানুষের আচরণের পরিবর্তন যেন তারা দাতাদের অনুদান পেতে পারে। এটাকে প্রাপকদের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা সম্পন্ন আর অবমাননাকর হিসেবে দেখা যেতে পারে কারণ প্রাপকদের প্রয়োজনের তুলনায় অনুদানটি দাতাদের নীতির লক্ষ্যটিকে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করে।
<br />
 
== '''নৈতিক সম্পদ, রাজনৈতিক মূলধন এবং নাগরিক সমাজ''' ==
চীনের একটি গবেষণার উপর ভিত্তি করে বলা যায়, এক্সিও এবং নাগই (২০১১) পেয়েছেন যে স্বেচ্ছাসেবা গড়ে তুলতে গেলে এটি বিভিন্ন সংস্থার জন্য স্থানের ন্যায় কাজ করে এবং দেখা যায় উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক সমাজের উন্নয়নে কাজ করে। গবেষকরা "নৈতিক সম্পদ আর রাজনৈতিক মূলধন" একটি পদ্ধতি গড়ে তুলেন নাগরিক সমাজের প্রতি স্বেচ্ছাসেবার অবদানগুলো পরীক্ষা করতে। নৈতিক সম্পদ বলতে বোঝায় যেসকল সম্পদ রয়েছে সেগুলো থেকে এনজিওগুলো পছন্দ করবে। রাজনৈতিক মূলধন বলতে বোঝায় মূলধন যেগুলো এনজিওগুলোর মর্যাদা, অধিকার বা বিদ্যমান রাজনীতিতে প্রবেশে সহায়তা করবে।[৪০]