রক্তদহ নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sakhawat Emon (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
পরিষ্কারকরণ
২৯ নং লাইন:
| cities =
}}
'''রক্তদহ বিল''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] উত্তরাঞ্চলের একটি অন্যতম বৃহৎ বিল। এটি [[বগুড়া জেলা|বগুড়া জেলার ]] [[আদমদিঘী উপজেলা ]] , এবং [[নওগাঁ জেলা|নওগাঁ জেলার ]] [[রাণীনগর উপজেলা ]] জুড়ে বিস্তৃত। তেরটি খাল ও অন্যান্য জলপথ রক্তদহবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।<ref name = "Railways"/> [[বিল]]টিতে [[পলিমাটি]] জমে, এর আকার সঙ্কুচিত হয়ে আসছে।<ref name=Banglapedia>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Alam |প্রথমাংশ১=Mohd Shamsul |শেষাংশ২=Hossain |প্রথমাংশ২=Md Sazzad |বছর=2012 |অধ্যায়=Chalan Beel |অধ্যায়ের-ইউআরএল=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Chalan_Beel |সম্পাদক১-শেষাংশ=Islam |সম্পাদক১-প্রথমাংশ=Sirajul |সম্পাদক১-সংযোগ=Sirajul Islam |সম্পাদক২-শেষাংশ=Jamal |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=Ahmed A. |শিরোনাম=Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh |সংস্করণ=Second |প্রকাশক=[[Asiatic Society of Bangladesh]]}}</ref>
 
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষ্যি রক্তদহ বিলঃ
পলাশীর যুদ্ধে মুসলমানরা বিপন্ন হয়ে পড়লে মীর জাফর, উমিচাঁদ, জগেশঠ, রায়দুর্লভের মতো কতিপয় দেশদ্রোহীর সহযোগিতায় ইংরেজরা এ দেশের রাজ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে বসে। দেশবাসী এতে করে সাময়িকভাবে হতভম্ব হয়ে পড়লেও তাদের আত্মসস্বিত ফিরে আসতে দেরি হলো না। ফলে কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হয়ে গেল স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম। প্রথম যুগের সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সব বীরযোদ্ধা সম্মুখ সারিতে ছিলেন তাদের মধ্যে ফকির মজনু শাহ অন্যতম। পলাশীর যুদ্ধের ৬ বছর পরে এই ফকির নেতা সর্বপ্রথম সংগ্রামে অবতীর্ণ হন এবং ঊনবিংশ শতকের প্রথম কয়েক বছর পর্যন্ত ফকিরদের সংগ্রাম অব্যাহত ভাবেই চলতে থাকে। মজনু শাহ গোয়ালিওর রাজ্যের (বর্তমান ভারত) মেওয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান ভারতের কানপুর থেকে চল্লিশ মাইল দূরে বাস করতেন।
এখান থেকেই তিনি সশস্ত্র অনুচরসহ প্রায় প্রতি বছর তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধিকারভুক্ত বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতেন। তার কার্যক্ষেত্র প্রধানত বিহারের পানিয়া অঞ্চল এবং বাংলার রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও ময়মনসিংহ জেলায়। প্রকৃতপক্ষে এদেশে ব্রিটিশ শাসনের প্রথম যুগে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজি বণিকের দল এবং তাদের সহায়ক জমিদার মহাজনের মধ্যে শাহের আন্দোলন সমসাময়িক কালের ইতিহাসে ‘ফকির বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। বগুড়ার মহাস্থানে ফকির নেতা মজনু শাহর আস্তানা বা প্রধান ঘাঁটি ছিল। ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে এখানে তিনি একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এখান থেকে বিভিন্ন স্থানে তিনি অভিযান পরিচালনা করেছেন। তার মধ্যে আদমদীঘি থানার অভিযান উল্লেখযোগ্য। ১৭৮৬ সালের আগস্ট মাসে বগুড়া থেকে ৩৫ মাইল দূরবর্তী এক স্থানে লেফটেন্যান্ট আইন শাইনের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে , এ স্থানটি আদমদীঘি থানার রক্তদহ বিল। এখানে ব্যাপক ইংরেজ সৈন্য হতাহত হয়েছিল এবং রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল বলে সে সময় এর নাম রাখা হয় রক্তদহ বিল। রক্তদহ বিলে ফকির বাহিনীর একজন শাহাদত প্রাপ্ত মুজাহিদ শায়িত আছেন। এই রক্তদহ মাজারটি স্থানীয় ভাবে ‘রক্তদহ দরগা’ নামে পরিচিত। এ দরগাতে প্রতি শুক্রবার কেউ না কেউ এসে মানত ও জিয়ারত করে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য বড় বড় বন্যার মধ্যে মাজারের চারদিক ডুবলেও এ মাজারে পানি ওঠেনি। ফকির মজনু শাহ মূলত এ এলাকায় আন্দোলন করেছিলেন ইংরেজ ও তাদের দোসর জমিদারদের অত্যাচার থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তি দেওয়ার জন্য। তিনি এক দিকে যেমন আত্যাচারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন তেমনি অনাহারী মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন অন্ন। এমনিভাবে ফকির মজনু শাহ বাংলার ইতিহাসে যেমন চির স্মরণীয় হয়ে আছেন তেমনি আদমদীঘির ইতিহাসেও।
 
'''রক্তদহ বিল''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] উত্তরাঞ্চলের একটি অন্যতম বৃহৎ বিল। এটি [[বগুড়া জেলা|বগুড়া জেলার ]] [[আদমদিঘী উপজেলা ]] , এবং [[নওগাঁ জেলা|নওগাঁ জেলার ]] [[রাণীনগর উপজেলা ]] জুড়ে বিস্তৃত। তেরটি খাল ও অন্যান্য জলপথ রক্তদহবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।<ref name = "Railways"/> [[বিল]]টিতে [[পলিমাটি]] জমে, এর আকার সঙ্কুচিত হয়ে আসছে।<ref name=Banglapedia>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=Alam |প্রথমাংশ১=Mohd Shamsul |শেষাংশ২=Hossain |প্রথমাংশ২=Md Sazzad |বছর=2012 |অধ্যায়=Chalan Beel |অধ্যায়ের-ইউআরএল=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Chalan_Beel |সম্পাদক১-শেষাংশ=Islam |সম্পাদক১-প্রথমাংশ=Sirajul |সম্পাদক১-সংযোগ=Sirajul Islam |সম্পাদক২-শেষাংশ=Jamal |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=Ahmed A. |শিরোনাম=Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh |সংস্করণ=Second |প্রকাশক=[[Asiatic Society of Bangladesh]]}}</ref>
ঐতিহাসিকদের মতে, ১৭ শতাব্দীর শেষের দিকে ফকির মজনু শাহ আদমদীঘিসহ আশে পাশের এলাকায় ইংরেজদের দোসর জমিদারদের হাত থেকে বাঁচাতে আবারও তৎপরতা শুরু করেন। সে সময় প্রজারা জমিদার ও ইংরেজদের দ্বারা প্রনিয়ত অর্থনৈতিক ও শারিরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হতো। তাদের উপর এমনভাবে কর ধার্য করা হতো, যা পরিশোধ করতে গিয়ে সর্বশ্ন্তা হতে হতো। ফলে প্রজাদের বাধ্য হয়ে জমিদারদের নায়েব গোমস্তা এমনকি ইংরেজদের সাধারণ সিপাহী ও কর্মচারীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত সুদে টাকা ধার নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। এই ধার দেওয়া টাকা সুদ আদায় করতে শক্তি প্রয়োগ করা হতো। এভাবে প্রজাশোষণ যখন চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছে ঠিক সেই সময় অর্থাৎ ১৭৮৬ সালে এই এলাকায় অস্ত্রধারী সন্নাসী ও ফকিরদের সাথে নিয়ে ফকির মজনু শাহ এর আগমন ঘটে। সে সময় আদমদীঘির অধিকাংশ এলাকা ছিল গহীন অরণ্যাবৃত এলাকা। তারা এ সব অরণ্য থেকে বের হয়ে এসে ইংরেজ শাসকদের ও তাদের এদেশীয় দোসর জমিদারদের উপর হামলা চালাতে শুরু করেন। যেখানেই প্রজা নিপীড়ন হতো সেখানেই মজনু বাহিনীর উপস্থিতি ঘটত। প্রজাদের সমর্থন নিয়ে ফকির মজনু বাহিনীর অভিযানে ইংরেজ ও জমিদারদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মজনু বাহিনী জমিদারদের কাছ থেকে নির্ধারিত চাঁদা আদায় করে গরীব প্রজাদের বিলিয়ে দিতেন। তৎকালীন জমিদারদের মধ্যে কয়েকজন জমিদারকে অপহরণ করে আদমদীঘির কড়ই গ্রামের গভীর অরণ্যে লুকিয়ে রেখে মুক্তিপণ আদায় করে আবার ছেড়ে দিতেন। এক সময় কড়ই জমিদার শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরী মজনু শাহ এর ভয়ে ভীত হয়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে ময়মনসিহে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তবে এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রামের জমিদারের কন্যা রানী ভবানী যখন নাটোরের জমিদার ছিলেন তখন ফকির মজনু শাহ এর বাহিনী শুধু মাত্র রানী ভবানীকে অত্যন্ত সমীহ করতেন। বিভিন্ন গ্রন্থে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় ফকির মজনু নিজ হাতে রানী ভবানীর নিকট পত্র লিখে তার সফলতা কামনা করেছিলেন। যখন জমিদার ও ইংরেজ সরকার এদের দমন করার জন্য সেনা নায়ক লেফটেন্যান্ট আইনস্টাইনের নেতৃত্বে একটি বড় আকারের বাহিনী প্রেরণ করেন। এ সংবাদ পাওয়ার পর দুর্ধর্ষ ফকির বাহিনীর সদস্যরা ২৪ ঘন্টার নোটিশে কড়ই জঙ্গল এলাকায় সমবেত হন। এদিকে ইংরেজ সৈন্যরা আত্রাই নদী হয়ে নৌকাযোগে বিল ভোমরা দিয়ে গোপনে কড়ই জঙ্গল ঘেরা করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। এ সংবাদ পেয়ে মজনু বাহিনী এগিয়ে এসে বিল ভোমরায় তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষ প্রচন্ড যুদ্ধ বাধে। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের প্রচুর লোক হতাহত হওয়ায় বিল ভোমরার পানি রক্তের জোয়ারে লাল রং ধারণ করে সেই থেকে বিল ভোমরা ঐতিহাসিক রক্তদহ বিল নাম ধারণ করে আসছে। ঐ যুদ্ধে মজনু শাহ এর একজন শীর্ষ সহযোগী শহীদ হন। তার লাশ ঐ বিলের মধ্যেই একটু উঁচু স্থানে দাফন করা হয়। সেখানে একটি বটগাছ সর্বক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে। প্রবীন লোকদের মতে, যত বড় বন্যা হোকনা কেন ঐ কবরে কখনও পানি উঠে না অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল সংস্কারের অভাবে দিন দিন তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ফাল্গুণ চৈত্র মাসে সেখানে আর পানি দেখা যায় না।
বগুড়ার আদমদীঘির ঐতিহাসিক রক্তদল বিল এখন শুকিয়ে পানিশূন্য হয়েছে। ফাল্গুনের শুরুতেই রক্তদহ বিলের তলায় আগাছায় পরিপূর্ণ হলেও চারপাশে এখন ইরি-বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। বিলের বটগাছের চারপাশে ইরি ধান গাছ সবুজে সমারোহ হয়ে উঠেছে। বিল এলাকা পানিশূন্য হয়ে পড়ায় এলাকায় মাছের তীব্র আকাল দেখা দিয়েছে। বেকার হয়ে পড়েছে বিল এলাকার ২০/২৫ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মৎস্যজীবী মানুষ। কোন কাজ কর্ম ও ব্যবসা বাণিজ্য না থাকায় এই বিপুলসংখ্যক মৎসজীবী পরিবারে এখন চরম দুর্দিন যাচ্ছে।
 
==ইতিহাস ==
বিশেষ করে আদমদীঘির মাছের ভান্ডার নামে বহুল পরিচিত ঐতিহাসিক রক্তদহ বিল ও তৎসংলগ্ন ১৩টি খাল দীর্ঘ দিন যাবৎ সংস্কার না করায় প্রতি বছর শুকনো মৌসুমের শুরুতেই শুখিয়ে যায়। সংস্কার না করার কারণে এই খাল বিলগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে পানি ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
ফকির মজনু শাহ এখান থেকেই তিনি সশস্ত্র অনুচরসহ প্রায় প্রতি বছর তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধিকারভুক্ত বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতেন। তার কার্যক্ষেত্র প্রধানত বিহারের পানিয়া অঞ্চল এবং বাংলার রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও ময়মনসিংহ জেলায়।জেলা প্রকৃতপক্ষে এদেশে ব্রিটিশ শাসনের প্রথম যুগে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজি বণিকের দল এবং তাদের সহায়ক জমিদার মহাজনের মধ্যে শাহের আন্দোলন সমসাময়িক কালের ইতিহাসে ‘ফকির বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। বগুড়ার মহাস্থানে ফকির নেতা মজনু শাহর আস্তানা বা প্রধান ঘাঁটি ছিল। ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে এখানে তিনি একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এখান থেকে বিভিন্ন স্থানে তিনি অভিযান পরিচালনা করেছেন।ছিল তার মধ্যেঅভিয়ানের আদমদীঘি থানার অভিযানঅঞ্চল। উল্লেখযোগ্য। ১৭৮৬ সালের আগস্ট মাসে বগুড়া থেকে ৩৫ মাইল দূরবর্তী এক স্থানে লেফটেন্যান্ট আইন শাইনের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে , এ স্থানটি আদমদীঘি থানার রক্তদহ বিল। এখানে ব্যাপক ইংরেজ সৈন্য হতাহত হয়েছিল এবং রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল বলে সে সময় এর নাম রাখা হয় রক্তদহ বিল। রক্তদহ বিলে ফকির বাহিনীর একজন শাহাদত প্রাপ্ত মুজাহিদ শায়িত আছেন। এই রক্তদহ মাজারটি স্থানীয় ভাবে ‘রক্তদহ দরগা’ নামে পরিচিত। এ দরগাতে প্রতি শুক্রবার কেউ না কেউ এসে মানত ও জিয়ারত করে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য বড় বড় বন্যার মধ্যে মাজারের চারদিক ডুবলেও এ মাজারে পানি ওঠেনি। ফকির মজনু শাহ মূলত এ এলাকায় আন্দোলন করেছিলেন ইংরেজ ও তাদের দোসর জমিদারদের অত্যাচার থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তি দেওয়ার জন্য। তিনি এক দিকে যেমন আত্যাচারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন তেমনি অনাহারী মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন অন্ন। এমনিভাবে ফকির মজনু শাহ বাংলার ইতিহাসে যেমন চির স্মরণীয় হয়ে আছেন তেমনি আদমদীঘির ইতিহাসেও।পরিচিত
 
আরেকটি যুদ্ধে মজনু শাহ ও ইংরেজ সৈন্যদের মাঝে যুদ্ধে প্রচুর লোক হতাহত হওয়ায় বিল ভোমরার পানি রক্তের জোয়ারে লাল রং ধারণ করে সেই থেকে বিল ভোমরা ঐতিহাসিক রক্তদহ বিল নাম ধারণ করে আসছে। ঐ যুদ্ধে মজনু শাহ এর একজন শীর্ষ সহযোগী শহীদ হন। তার লাশ ঐ বিলের মধ্যেই একটু উঁচু স্থানে দাফন করা হয়। সেখানে একটি বটগাছ সর্বক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে। প্র
প্রায় ৯শত একর এলাকাজুড়ে বিশ্রিত ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলে একসময় পানি পরিপূর্ণ হয়ে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। এ বিল থেকে এলাকায় মাছের চাহিদা পূরণ করে বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলার দক্ষিণ পূর্ব এলাকার মাছের চাহিদা পূরণ করতো এই রক্তদহ বিল। এ বিলে বোয়াল, চিতল, আইড়, গজার, পবদাসহ মাছের সুক্ষাতি আজও ছড়িয়ে রয়েছে। রক্তদহ বিলপারে ২০/২৫ গ্রামের মৎস্যজীবী বিল থেকে মাছ শিকার করে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার চালাত। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে মৎস্যজীবীদের সেই সুখ স্বাচ্ছন্দ্য। এখন বিলে আর পানি সংরক্ষণ হয় না তাই মাছও পাওয়া যায় না।
 
==বিবরণ==
বর্তমানে রক্তদহ বিলের চারি পার্শ্বে পানিশূন্য হওয়ার কারণে তলায় আগাছায় পরিপূর্ণ ও চারপাশে ইরি-বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এনজিও সংস্থা ব্র্যাক এই বিলের সংস্কার ও মাছ চাষের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে বিলটি শুখিয়ে যাওয়ায় মাছ চাষ করা সম্ভব হয়নি।
বগুড়ার আদমদীঘির ঐতিহাসিক রক্তদল বিল ফাল্গুনের শুরুতে চারপাশে ইরি-বোরো ধানের আবাদ হয়। প্রায় ৯শত একর এলাকাজুড়ে বিশ্রিতবিস্তৃতি ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলে একসময় পানি পরিপূর্ণ হয়ে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। এ বিল থেকে এলাকায় মাছের চাহিদা পূরণ করে বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলার দক্ষিণ পূর্ব এলাকার মাছের চাহিদা পূরণ করতোহতো। এই রক্তদহ বিল। এ বিলে বোয়াল, চিতল, আইড়, গজার, পবদাসহ মাছের সুক্ষাতি আজও ছড়িয়ে রয়েছে। রক্তদহ২০০৩ বিলপারে ২০/২৫ গ্রামের মৎস্যজীবী বিলসাল থেকে মাছ২০০৭ শিকারসাল করেপর্যন্ত বেশএনজিও স্বাচ্ছন্দ্যেসংস্থা সংসারব্র্যাক চালাত।এই কালেরবিলের বিবর্তনেসংস্কার হারিয়ে গেছেমাছ মৎস্যজীবীদেরচাষের সেই সুখ স্বাচ্ছন্দ্য। এখন বিলে আর পানি সংরক্ষণ হয় না তাই মাছও পাওয়াদায়িত্ব যায়গ্রহণ না।করে।
 
==তথ্যসূত্র==
বিল পারের কয়েকটি গ্রামের মৎস্যজীবীরা জানান, সরকারিভাবে রক্তদহ বিলটির সংস্কার করা হলে এলাকার মৎসজীবীরা যেমন পৈতৃক পেশা ফিরে পাবে তেমনি এলাকার মাছের চাহিদা পূরণ করেও দেশের অন্যান্য এলাকায় মাছ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
{{সুত্র তালিকা}}