কদম রসুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫ নং লাইন:
 
== সত্যতা ==
প্রথাগত মুসলিমরা এটি স্বীকার করেন না। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সংরক্ষিত পদ চিহ্ন গুলি বিভিন্ন আকারের। যেখানে একজন মানুষের পায়ের ছাপ একই হওয়ার কথা।<ref name="বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি">আ.কা.ম. জাকারিয়া"[http://archnet.org/library/documents/one-document.tcl?document_id=3932 ISBN 984-09-0262-8] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060613001029/http://archnet.org/library/documents/one-document.tcl?document_id=3932 |তারিখ=১৩ জুন ২০০৬ }}." ''বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি''. Vol. ০২. বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ১৯৯৪, ১২৪-১২৬.</ref> কদম রসুল প্রচলিত অর্থে খন্ডের উপরে নবী করিম হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)এর পায়ের ছাপ, তবে এই কদম রসুল ধারণার উৎপত্তি মূলত [[ভারতীয় উপমহাদেশ]]। নাসিরুদ্দিন হোসেন শাহ গৌড়ে প্রথম কদম রসুল ও সংলগ্ন স্থাপত্য কাঠামো নির্মাণ করলেও এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখা যায় মুঘল আমলে। সমগ্র ভারতবর্ষে কদম রসুলের সংখ্যা ১৪ টি। বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে আর একটা মজমপুর গ্রামে, চট্টগ্রামে দুইটা কদম রসুল আছে। কদম রসুলকে হযরত মুহাম্মদের পায়ের ছাপ হিসাবে দাবী করা হলেও মূল ইসলাম ধর্মে এর কোন স্বীকৃতি কিন্তু নেই। এই কারণে ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরণের কোন নিদর্শন সংরক্ষিত হয়নি এবং ধর্মীয় ভাবেও চর্চিত হয়না। প্রশ্ন জাগে তাহলে কেন কিভাবে এবং কি প্রয়োজনে এই কদম রসুলের উৎপত্তি হলো, তাও শুধু ভারতবর্ষে, যেখানে ইসলাম ধর্ম প্রচার পেয়েছে নবী করিম এর পরলোক গমনের কয়েকশ বছর পরে? ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম ধর্মের আগমন শুরু হয় প্রথমে বনিকদের সাথে আসা সুফী সাধকদের মাধ্যমে, পরে আফগান, তুর্কী, পার্সীয় আর মুঘল শাসকদের নেতৃত্ব আর কর্তিত্বে।কৃত্বিতে। আমরা জানি ভারতের ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রাণ জুড়ে রয়েছে মূর্তি বা বস্তুগত পুজিত নিদর্শন। পাহাড়, নদী, গাছ, সাপ ইত্যাদির বস্তুগত ও মানব আকৃতিতে পুজার চর্চার রীতি প্রচলিত ছিল ভারতবর্ষে বহু আদিকাল থেকে। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মমত [[জৈন]] ও বৌদ্ধ ধর্মের উৎপত্তি ভারতে প্রায় সমসাময়িক সময়ে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রারম্ভিক যুগে এখানে মূর্তি ভিত্তিক কোন ধর্মীয় আচার ছিল না, কেবল বৌদ্ধ দর্শন চর্চা আর নির্বান লাভই দিল অনুসারীদের প্রধান ব্রত। তবে গৌতম বুদ্ধের মহাপ্রায়নের পরে বেশিদিন আর এই ভাবগত চর্চা প্রচলিত থাকেনি, সেই মূর্তিরূপের উপসানা শুরু হয়ে যায়। যারই একটা পর্যায়ে "বুদ্ধের পদচিন্থের" উপাসনা শুরু হয়। বৌদ্ধ উপকথা অনুযায়ী গৌতম বুদ্ধ তার জীবদ্দশায় শ্রীলংকায় ভ্রমনের সময়ে "শ্রী পদ" নামের একটা পাহাড়ে তাঁর পায়ের ছাপ রেখে গিয়েছিলেন। যদিও হিন্দু ধর্মাবলম্বী গন এই পায়ের ছাপকে শিবের আর মুসলিমরা এটা নবী [[আদম]] এর বলে বিশ্বাস করে। পবিত্র আরাধ্য হিসাবে পদ চিন্থের উপাসনা এই রীতি উপমহাদেশে প্রচলন ছিল বহু যুগ আগে থেকেই। পরবর্তিপরবর্তী কালে হিন্দু ধর্মেও তা সংক্রমিত হয়, যে কারণে লক্ষীর পা, বা বিষ্ণুপদের উপসনা, ও একে ঘিরে অনেক মন্দিরও গড়ে উঠতে দেখা যায়। পরবর্তীতে সনাতন ও বুদ্ধ অনুসারীরা ইসলামের প্রতি অনুরক্ত হন। যদিও ইসলামের প্রাত্যহিক করনীয় হলো নামাজ, সমগ্র ইসলাম ধর্মে মূর্তির কোন স্থান নেই, এটা শেরক। কিন্তু এ ধরনের ধর্মীয় চর্চা এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের মনছবিতে যে মূর্তি উপাসনার অভ্যস্ততা ছিল সেটা হয়তো পূরন করতে পারছিল না , সেই প্রেক্ষিতেই হয়তো এক সময়ে ভারতবর্ষের কদম রসুলের উদ্ভব হয়। মনোবাসনা পূরণ করতে মানুষজন এই কদম রসুলে বিভিন্ন মানত রাখতে শুরু করে।
 
== কদম রসুল দরগাহ ==