বিজিআর-৩৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Winged Blades of Godric (আলোচনা | অবদান)
Add
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
Winged Blades of Godric (আলোচনা | অবদান)
Add
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
২ নং লাইন:
বিজিআর-৩৪ (ব্লাড গ্লুকোজ রেগুলেটর-৩৪) একটি আয়ুর্বেদিক ড্রাগ যা টাইপ 2 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভারতবর্ষে ওভার-দ্য-কাউন্টার পিল হিসাবে বিক্রি হয়। ২০১৫ সালে দুই সরকারি ল্যাবরেটরি দ্বারা ঔষধটি তৈরি করা হয় এবং ২০১৬ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মার্কেটিং করা হয়েছিল।
 
এখনোবধি, বিজিআর-৩৪ শুধুমাত্র একটি ক্ষুদ্রাকারেরক্ষুদ্রাকৃতির হিউমান-ট্রায়াল এ পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রচুর ক্ষেত্রে, ওষুধটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে এবং অধিক সংখ্যার উন্নত গুণমানের ক্লিনিকাল ট্রায়াল ছাড়া, কার্যকারিতা নির্ধারণ করা অসম্ভব। নির্মাতারা ওষুধটির অযোগ্যতা এবং অন্যান্য উদ্বেগ অস্বীকার করেছে।
 
ভারতীয় বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষনা পর্ষদের পৃষ্ঠপোষকতায়, দুই সরকারি ল্যাবরেটরি:- জাতীয় উদ্ভিদ গবেষণাগার (এন বি আর আই) ''এবং'' সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিসিনাল অ্যান্ড অরোম্যাটিক প্ল্যান্টস (সিআইএমএপি) এই ঔষধটি সমবেত প্রচেষ্টায় তৈরী করে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, এনবিআরএমএপি-ডিবি নামে প্রারম্ভিক ভাবে এই ঔষধটি সূত্রবদ্ধ করা হয় এবং জুন 2016 নাগাদ, এআইএমআইল ফার্মাসিউটিক্যালস ড্রাগটির বাণিজ্যিক স্বত্ব ক্রয় করে। প্রতি ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের দাম রাখা হয় ₹5 (0.07 মার্কিন ডলার); যা দিনে দু-বার খাওয়া উচিত। সিএসআইআর-এর দাবি যে বিজিআর-৩৪ প্রথম ভারতীয় আয়ুর্বেদীয় অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ড্রাগ এবং ২০১২ সালে ল্যাবরেটরিগুলি জীবন-বিজ্ঞান বিভাগে সিএসআইআর প্রযুক্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল।
১১ নং লাইন:
 
সিএসআইআর এর একটি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে, একটিতে প্ল্যাসেবো-নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ৬৪ জন ব্যক্তিকে নথিভুক্ত করা হয়, যার মধ্যে 56 টি ট্রায়াল সম্পন্ন করে। ক্লিনিকাল ট্রায়াল রেজিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া (সিটিআরআই)-এ ট্রিয়ালটির বিতাড়িত খুঁটিনাটি আপলোড করা হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে সেটি ইউরোপীয় জার্নাল অফ ফার্মাসিউটিকাল অ্যান্ড মেডিক্যাল রিসার্চ নামে একটি প্রিডেটরি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। সংক্ষিপ্ত বিবরণের মধ্যে কোনো রকম পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ দেখা যায়নি কিন্তু ন্যূনতমভাবে বলা হয়েছিল যে ট্রিয়ালটি "আশাপ্রদ ফলাফল প্রদর্শন করেছে" এবং ড্রাগটিকে মোনোথেরাপি/সংযোজন থেরাপি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে কারণ "অনেক অংশগ্রহীরাই নিজেদের সুস্থতার এক উল্লেখযোগ্য উন্নতি অনুভব করেছেন"। সেই একই ট্রায়াল এর ফলাফলগুলি, আইএমআইএল থেকে পাঁচজন গবেষক এবং আয়ুর্বেদ হাসপাতালের তিনজন ডাক্তার মিলে প্রকাশ করেন "কনফারেন্স সিরিজ" নামক ব্যানারের অধীনে, ওমিক্স পাবলিশিং গোষ্ঠী দ্বারা অনুষ্ঠিত নভেম্বর ২017-এর এক সম্মেলনে। ওমিক্স একটি প্রিডেটরি প্রকাশনা সংস্থা যাদের মান-নিয়ন্ত্রন পরিকাঠামো প্রায় অ-বিদ্যমান এবং তাদের আয়োজিত সম্মেলনগুলিও সমতুল্য সমালোচনার সাপেক্ষ। অতঃপর, সেই একই গবেষকবর্গ সেই একই ট্রিয়ালটিকে অপর একটি জার্নালে প্রকাশ করেন, যেখানে তারা বিজিআর-৩৪ কে ফাস্টিং দ্রাক্ষা-শর্করা, পোস্টপ্রেন্ডিয়াল দ্রাক্ষা-শর্করা এবং গ্লাইকোসিলেটেড হিমোগ্লোবিন কমানোর ক্ষেত্রে সফল হিসাবে conclude করেন।
 
"আয়ুষ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত", বৈজ্ঞানিকভাবে উৎপাদিত ঔষধ হিসাবে বাজারে চালু করা হলে, একাধিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান বিজিআর-৩৪কে "ব্রেকথ্রু-ড্রাগ" বলে অভিহিত করে, বিশেষ করে কম মূল্যের আলোকে। সিএসআইআর প্ল্যাটিনাম-জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই আবিষ্কার কে সিএসআইআর-এর একটি মহান কৃতিত্ব হিসাবে উল্লেখ করেন।