সামাজিক প্রত্যাখ্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: {{কাজ চলছে/২০১৯}} সামাজিক প্রত্যাখ্যান তখনই ঘটে, যখন কোনো ব্যক্...
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৬:৫৬, ৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সামাজিক প্রত্যাখ্যান তখনই ঘটে, যখন কোনো ব্যক্তিকে কোনো সামাজিক সম্পর্ক থেকে অথবা কোনো সামাজিক আদানপ্রদান থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বহিষ্কার করা হয়। সামাজিক প্রত্যাখ্যানের মধ্যে পারস্পরিক প্রত্যাখ্যান (অথবা সঙ্গী বিচ্ছেদ), প্রেমঘটিত প্রত্যাখ্যান এবং পারিবারিক বিচ্ছেদ গণ্য হয়ে থাকে। একজন ব্যক্তি কিছু ব্যক্তির দ্বারা অথবা একটা সম্পূর্ণ গোষ্ঠীর দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হতে পারে। এছাড়াও, প্রত্যাখ্যান সক্রিয়ভাবে হতে পারে; যেমন, উৎপীড়নের মাধ্যমে, উত্ত্যক্তকরণের মাধ্যমে অথবা পরিহাসের মাধ্যমে; অথবা এটা নিষ্ক্রিয়ভাবেও হতে পারে; যেমন কাউকে উপেক্ষা করে অথবা নীরব আচরণের মাধ্যমে। প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অভিজ্ঞতা গ্রহীতার ব্যক্তিগত, এমনকী প্রত্যাখ্যান আদৌ না ঘটলেও এটি অনুভূত হতে পারে। এক্ষেত্রে অস্ট্রাসিজম বা সামাজিক বহিষ্করণ শব্দটি বহুল ব্যবহৃত (প্রাচীন গ্রিসে ভোটের মাধ্যমে সাময়িক নির্বাসনে পাঠানোকে বলা হত অস্ট্রাসিজম)।

যদিও মানুষ সামাজিক জীব, তবু জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে কিছু পরিমাণ প্রত্যাখ্যান একেবারেই অনিবার্য। তৎসত্ত্বেও, প্রত্যাখ্যান যদি দীর্ঘায়িত অথবা ধারাবাহিক হয়, কিম্বা যখন সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ, অথবা ব্যক্তিটি যখন প্রত্যাখ্যান সম্বন্ধে অত্যন্ত সংবেদনশীল হন, তখন প্রত্যাখ্যান একটি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। একটা সম্পূর্ণ গোষ্ঠীর দ্বারা যদি প্রত্যাখ্যান হয়, তবে প্রত্যাখ্যাত ব্যক্তিটির ওপর তা বিশেষভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যা তার ক্ষেত্রে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার জন্ম দেবে।

বিচ্ছিন্নতার অভিজ্ঞতা ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ক্ষতিকর মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে; যেমন, একাকীত্ববোধ, কম আত্মমর্যাদাবোধ, আক্রমণাত্মক মনোভাব, এবং বিষণ্ণতা। এছাড়া এটা সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার বোধ এবং ভবিষ্যত প্রত্যাখ্যানের প্রবল আশঙ্কারও জন্ম দেয়।