পৃথিবীর গঠন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta15)
৬৮ নং লাইন:
১৯৩৬ সালে [[ইঙ্গ লিম্যান]] অন্তঃস্থ মজ্জা আবিষ্কার করেছিলেন। সাধারণত ধারণা করা হয় যে, অন্তঃস্থ মজ্জা প্রাথমিকভাবে শুধু লোহা এবং নিকেল দ্বারা গঠিত। অন্তঃস্থ মজ্জা সর্বত্র কঠিনই হবে এমন কোন কথা নেই, তবে যেহেতু এটি ভূ-কম্পন তরঙ্গকে পথচ্যুত করে তাই এটাকে মোটামুটি কঠিনই বলা যায়। এক সময় পরীক্ষালব্ধ প্রমাণের মাধ্যমে ভূ-মজ্জার স্ফটিক মডেলটিকে সমালোচিত করা হয়েছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | প্রথমাংশ১=Lars | শেষাংশ১=Stixrude | প্রথমাংশ২=R.E. | শেষাংশ২=Cohen | শিরোনাম=Constraints on the crystalline structure of the inner core: Mechanical instability of BCC iron at high pressure | সাময়িকী=Geophysical Research Letters | তারিখ=January 15, 1995 | খণ্ড=22 | সংখ্যা নং=2 | পাতাসমূহ=125–128 | ডিওআই=10.1029/94GL02742 |বিবকোড = 1995GeoRL..22..125S }}</ref> তবে অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ চাপে ভূ-মজ্জা অন্য রকম আচরণ করে। [[স্থির হীরকের নেহাই পরীক্ষা]]<nowiki/>য় দেখা যায়, মজ্জা চাপের কারণে গলন তাপমাত্রা উৎপন্ন হতে পারে। স্থির শক লেজার পরীক্ষায় এই তাপমাত্রা ছিল প্রায় ২,০০০ কেলভিন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | প্রথমাংশ১=A. | শেষাংশ১=Benuzzi-Mounaix | প্রথমাংশ২=M. | শেষাংশ২=Koenig | প্রথমাংশ৩=A. | শেষাংশ৩=Ravasio | প্রথমাংশ৪=T. | শেষাংশ৪=Vinci | শিরোনাম=Laser-driven shock waves for the study of extreme matter states | সাময়িকী=Plasma Physics and Controlled Fusion | বছর=2006 | খণ্ড=48 | সংখ্যা নং=12B | ডিওআই=10.1088/0741-3335/48/12B/S32 |বিবকোড = 2006PPCF...48B.347B }}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | প্রথমাংশ১=Bruce A. | শেষাংশ১=Remington | প্রথমাংশ২=R. Paul | শেষাংশ২=Drake | প্রথমাংশ৩=Dmitri D. | শেষাংশ৩=Ryutov | শিরোনাম=Experimental astrophysics with high power lasers and Z pinches | সাময়িকী=Reviews of Modern Physics | বছর=2006 | খণ্ড=78 | ডিওআই=10.1103/RevModPhys.78.755 |বিবকোড = 2006RvMP...78..755R }}</ref> লেজার পরীক্ষায় প্লাজমা উৎপন্ন করে জানা গেছে,<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | প্রথমাংশ১=A. | শেষাংশ১=Benuzzi-Mounaix | প্রথমাংশ২=M. | শেষাংশ২=Koenig | প্রথমাংশ৩=G. | শেষাংশ৩=Husar | প্রথমাংশ৪=B. | শেষাংশ৪=Faral | শিরোনাম=Absolute equation of state measurements of iron using laser driven shocks | সাময়িকী=Physics of Plasmas | তারিখ=June 2002 | খণ্ড=9 | সংখ্যা নং=6 | ডিওআই=10.1063/1.1478557 |বিবকোড = 2002PhPl....9.2466B }}</ref> অন্তঃস্থ মজ্জা কঠিন নাকি কঠিনের ন্যায় প্লাজমা তার উপর অন্তঃস্থ মজ্জার চাপীয় অবস্থা নির্ভর করে। এ বিষয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
 
পৃথিবী গঠিত হবার শুরুর দিকের ধাপগুলো সংগঠিত হয়েছে সারে চার বিলিয়ন (৪.৫×১০<sup>৯)</sup> বছর আগে। গলন প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে অপেক্ষাকৃত ভারী বস্তুগুলো পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে ডুবে গিয়েছে এবং হালকা বস্তুগুলো ভূ-ত্বকে এসে জমা হয়েছে; এই ঘটনাটি [[পৃথিবীর পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া]] নামে পরিচিত। ধারণা করা হয় ভূ-মজ্জার সিংহভাগ উপাদান হলো লোহা (৮০%), সাথে কিছুটা নিকেল এবং আরও কিছু হালকা মৌল। হালকা মৌলগুলোকে একীভূত করার কাজে ঘণ উপাদানগুলোর, যেমন [[সীসা]] কিংবা ইউরেনিয়ামের খুবই সামান্যই অবদান ছিল। তাই তারা ভূ-ত্বকেই স্থায়ীভাবে থেকে গেছে। তবে অনেকে এটাও দাবী করে যে, অন্তঃস্থ মজ্জা একটি একক লৌহ [[স্ফটিক]] মাত্র।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শেষাংশ=Cohen | প্রথমাংশ=Ronald | লেখক২=Stixrude, Lars | ইউআরএল=http://www.psc.edu/science/Cohen_Stix/cohen_stix.html | শিরোনাম=Crystal at the Center of the Earth | সংগ্রহের-তারিখ=2007-02-05 | আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070205041442/http://www.psc.edu/science/Cohen_Stix/cohen_stix.html | আর্কাইভের-তারিখ=২০০৭-০২-০৫ | অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ডিওআই=10.1126/science.267.5206.1972|শিরোনাম=High-Pressure Elasticity of Iron and Anisotropy of Earth's Inner Core|বছর=1995|শেষাংশ১=Stixrude|প্রথমাংশ১=L.|শেষাংশ২=Cohen|প্রথমাংশ২=R. E.|সাময়িকী=Science|খণ্ড=267|সংখ্যা নং=5206|পাতাসমূহ=1972–5|pmid=17770110|বিবকোড = 1995Sci...267.1972S }}</ref>
 
গবেষণাগারে লোহা এবং নিকেলের একটি সংকর ধাতুর নমুনাকে ভূ-মজ্জার মতো চাপীয় অবস্থায় রেখে একটি হীরক ধারকের সাহায্যে আটকে ৪,০০০ কেলভিন তাপ দেওয়া হয়েছিল। নমুনাটিকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল এক্স রে-র সাহায্যে। এই পর্যবেক্ষণের ফলে বিজ্ঞানীদের ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে যে পৃথিবীর অন্তঃস্থ মজ্জা একটি অতিকায় স্ফটিক দিয়ে তৈরি, যেটি উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ধাবমান।<ref>[http://www.bbc.co.uk/news/uk-14678004 BBC News, "What is at the centre of the Earth?]. Bbc.co.uk (2011-08-31). Retrieved on 2012-01-27.</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ডিওআই=10.1126/science.1208265|শিরোনাম=Phase Transition of FeO and Stratification in Earth’s Outer Core|বছর=2011|শেষাংশ১=Ozawa|প্রথমাংশ১=H.|শেষাংশ২=al.|প্রথমাংশ২=et|সাময়িকী=Science|খণ্ড=334|সংখ্যা নং=6057|পাতাসমূহ=792–794|বিবকোড = 2011Sci...334..792O }}</ref>