পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১১১ নং লাইন:
 
===জেলা পরিষদের কার্যাবলি===
পঞ্চায়েত সমিতির মতো জেলা পরিষদের হাতেও আর্থিক উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কিছু কিছু দায়িত্ব ও ক্ষমতা অর্পন করা হয়েছে।
*জেলা পরিষদের প্রাথমিক কাজ হল সামগ্রিকভাবে সমষ্টির উন্নয়ন ও সমাজের প্রতিটি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে জেলার জন্য একটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং একটি বাৎসরিক পরিকল্পনা রচনা করা। এছাড়া পঞ্চায়েত সমিতিগুলির বাজেট অনুমোদন, একই জেলার পঞ্চায়েত সমিতিগুলি রচিত পরিকল্পনাগুলির মধ্যে সমন্বয়সাধন, এলাকার ও তাদের কাজকর্ম তদারক করাও জেলা পরিষদের অন্যতম কাজ বলে বিবেচিত হয়।
*জেলা পরিষদের অন্যান্য কাজগুলির মধ্যে প্রধান হল – জল সরবরাহ, সেচ, জনস্বাস্থ্য, হাসপাতাল, সমাজকল্যান, শিক্ষা, কৃষি, পশুপালন, শিল্প, সমবায় আন্দোলন, গ্রামীণ ঋণব্যবস্থা প্রভৃতি খাতে পরিকল্পনা ও অর্থসংস্থান এবং গ্রামীণ হাট-বাজারের রক্ষণাবেক্ষণ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতকে অনুদান প্রদান, প্রকৌশলগত শিক্ষাপ্রসারে বৃত্তিপ্রদান, ত্রাণ, জল সরবরাহ ও মহামারি প্রতিরোধে অর্থবরাদ্দ করা। এগুলি ছাড়া সরকার প্রদত্ত কাজ ও পরিকল্পনার দায়িত্বও জেলা পরিষদগুলিকে পালন করতে হয়।
*এই সব কাজকর্ম ছাড়াও কিছু সমন্বয় ও পর্যবেক্ষণমূলক কাজও জেলা পরিষদকে করতে হয়। এর মধ্যে আছে পঞ্চায়েত সমিতিগুলি কর্তৃক গৃহীত বা পরিকল্পিত প্রকল্পগুলির সমন্বয়সাধন, পঞ্চায়েত সমিতিগুলির বাজেট পরীক্ষা ও অনুমোদন। এছাড়াও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কার্যাবলি সম্পর্কে জেলা পরিষদ রাজ্য সরকারকে যথাযথ ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শদানের অধিকারী।
 
==পঞ্চায়েত প্রশাসন==