পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১০০ নং লাইন:
===গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যাবলি===
গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজগুলি ত্রিবিধ – বাধ্যতামূলক, ন্যস্ত ও ঐচ্ছিক।
*গ্রাম পঞ্চায়েতের বাধ্যতামূলক কাজগুলি মূলর গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত। এর মধ্যে রয়েছে – পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, পৌর এলাকার সুযোগসুবিধার জন্য বাৎসরিক ভিত্তিতে পরিকল্পনা প্রস্তুতিকরণ, আর্থিক উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির রূপায়ন, জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ, জলনিষ্কাশন ব্যবস্থাকরণ, মহামারি প্রতিরোধ, পানীয় জল সরবরাহ, লোকব্যবহার্য পুকুর খনন, রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণ, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠিতকরণ, কর ধার্য ও সংগ্রহ, গ্রাম পঞ্চায়েতের তহবিল পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
*অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর ন্যস্ত ও ঐচ্ছিক কাজগুলি সাধারণ উন্নয়ন ও গ্রাম পুনর্গঠন সংক্রান্ত। রাজ্য সরকারও কিছু কিছু দায়িত্ব গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির উপর ন্যস্ত করে থাকেন। সেক্ষেত্রে এই কাজগুলির সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরকারই গ্রাম পঞ্চায়েতকে দিয়ে থাকেন। এই কাজগুলি হল, প্রাথমিক, সামাজিক, বৃত্তিমূলক ও বয়স্ক শিক্ষা, মাতৃ ও শিশুকল্যান কেন্দ্র, খেয়াঘাট পরিচালনা, সেচ, কৃষি, জ্বালানি, পশু চিকিৎসা, ভূমি সংস্কার, সমবায়, গ্রামীণ গৃহ প্রকল্প ইত্যাদি। তবে এই সকল কাজের গতিপ্রকৃতি দেখে সন্তুষ্ট না হলে সরকার এই কাজগুলি প্রত্যাহার করে নিতে পারেন।
*গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বেচ্ছাধীন কাজগুলি হল – রাস্তার আলোর ব্যবস্থা, বৃক্ষরোপন ও রক্ষণাবেক্ষণ, কূপ খনন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমবায় প্রথার প্রবর্তন, হাট-বাজার স্থাপন, দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্প গ্রহণ, গ্রন্থাগার স্থাপন, সাংস্কৃতিক কাজকর্ম, সামাজিক ও শিক্ষাগত ক্ষেত্রে অনগ্রসর শ্রেণির কল্যানসাধন ইত্যাদি। স্থানীয় জনহিতকর যে-কোনও প্রকল্প গ্রাম পঞ্চায়েত স্বেচ্ছায় গ্রহণ করতে পারে।
*এছাড়াও গৃহনির্মান, স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতিকরণ, রাস্তা ও জলপথ রক্ষণাবেক্ষণ, দুষিত জলসরবরাহ নিয়ন্ত্রণ, সংক্রামক ব্যাধির প্রাদুর্ভাব হলে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাগ্রহণের ক্ষমতাও গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে ন্যস্ত রয়েছে।
 
===পঞ্চায়েত সমিতির কার্যাবলি===