বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন (লক্ষ্য --> লক্ষ)
পুনঃসংগঠিত করা হয়েছে
৫ নং লাইন:
{{সূত্র উন্নতি|date=জানুয়ারি ২০১৮}}
}}
'''''বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন''''' (সংক্ষেপেঃ '''বিএইচবিএফসি''') বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের গৃহায়ন সমস্যার সমাধানে জনসাধারনকে গৃহ নির্মান তথা সামগ্রিক গৃহায়ন ব্যবস্থার উন্নয়নে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। দেশের গৃহায়ন সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে ১৯৫২ সালে হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন |ইউআরএল=http://www.bhbfc.gov.bd/site/page/41991621-ee4e-41bf-99f7-32edb585af58/- |ওয়েবসাইট=http://www.bhbfc.gov.bd/ |সংগ্রহের-তারিখ=৪ মে ২০১৯ |ভাষা=en}}</ref>
'''বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন''' (বিএইচবিএফসি’র<ref>http://www.bhbfc.gov.bd</ref> প্রতিষ্ঠা ও ক্রমবিকাশ
 
== ইতিহাস ==
পটভূমি:
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের গৃহনির্মাণ ও গৃহায়ন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে আসছিল। বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে জারীকৃত রাষ্ট্রপতির ৭নং আদেশ বলে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিইচবিএফসি) পুনর্গঠিত হয়।
আবাসন মানুষের একটি অন্যতম মৌলিক চাহিদা। বাংলাদেশের সংবিধানের আর্টিক্যাল ৫ (পার্ট ২) এ বলা আছে সরকার মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদা (খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য) পূরণ নিশ্চিত করবে। কাজেই জনগনের অন্যতম মৌলিক চাহিদা আশ্রয় বা বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। মানুষের খাদ্য ও বস্ত্রের চাহিদা পুরণ হওয়ার পরে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে বাসস্থান বা আবাসন। বাসস্থান মানুষকে একান্তে বসবাসের সুযোগ ও প্রাকৃতিক পরিবেশগত বৈরীতা থেকে নিরাপত্তা প্রদান করে। স্বাস্থ্য ও স্বাচ্ছন্দ প্রদানের মাধ্যমে কর্ম তথা উপার্জনের ভিত্তি তৈরী করে দেয়। তাই বাংলাদেশ সরকার গৃহায়নকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তথা সামগ্রিকভাবে উন্নয়নের একটি অপরিহার্য শর্ত হিসেবে গণ্য করে।
 
== উদ্দেশ্য ==
উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের আবাসন সমস্যা প্রকট। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে আবাসনের চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি এ চাহিদা পূরণে কৃষিজমির ওপর চাপ বাড়ছে। ফলে কৃষি জমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। শিল্পায়ন ও নগরায়নের কারণে শহরে ও গ্রামে দিনে দিনেই আবাসনের চাহিদা বাড়ছে। আবাসন চাহিদা বৃদ্ধির প্রধান কারণসমূহ নিম্নরূপ:
বাংলাদেশের প্রকট গৃহায়ন সমস্যার সমাধান তথা সামগ্রিক গৃহায়ন ব্যবস্থার উন্নয়নই বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনর মূল উদ্দেশ্য। দীর্ঘ কয়েক যুগ  দেশের গৃহায়ন খাতে অর্থ সংস্থানের ক্ষেত্রে বিএইচবিএফসি একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করে আসছে। যদিও কয়েকটি বানিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ খাতে ঋণ প্রদান করে থাকে, তবুও গৃহায়ন খাতে ঋণ প্রদানে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন অন্যতম প্রধান উৎস।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি;
দ্রুত নগরায়ন;
একন্নবর্তী পরিবার ভেঙ্গে যাওয়া;
জীবনমান উন্নয়ন।
বিশ্বের জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিগত ৪০ বছরের মধ্যে দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে বাংলাদেশ তারমধ্যেও অন্যতম। বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প ২০২১ এর অঙ্গীকার হচ্ছে “সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিতকরণ”।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি) ‘House Building Finance Act XVIII’ এর মাধ্যমে ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এ সংস্থাটি-কে ‘House Building Finance Corporation, Pakistan’ নামে অভিহিত করা হতো।
১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠানকালীন সময়ে কর্পোরেশনের সদর দফতর ছিল তদানীন্তন পাকিস্তানের করাচি (Karachi) শহরে।
১৯৬৩ সালে সদর দফতর ঢাকায় স্থানান্তরের উদ্যোগ গৃহীত হয়। সদর দফতর ঢাকায় স্থানান্তরের পরে ভাড়াকৃত একটি ভবনে এর প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৬৯ সালের ১৬ জানুয়ারী তারিখে কর্পোরেশনের সদর দফতর ও বাংলাদেশ অঞ্চলে (সাবেক পূর্ব পাকিস্থানে) কার্যরত একমাত্র জোনাল অফিস (জোনাল অফিস, ঢাকা)-টি বিদ্যমান নিজস্ব ১০-তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থাপন করা হয়। এ সময় ভবনটি ৬-তলা পর্যন্ত নির্মিত ছিল এবং পরবর্তীকালে অবশিষ্ট চারটি তলা নির্মাণ করা হয়।
সদর দফতর বিদ্যমান ভবনে স্থানান্তরের সময় উক্ত ভবনের হোল্ডিং নম্বর ছিল ২৪, পুরানা পল্টন। পরবর্তীকালে হোল্ডিং নম্বর পরিবর্তীত হয়ে ২২, পুরানা পল্টন হয়।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন’ রাখা হয়।
যুদ্ধ বিব্ধস্ত দেশে জনগণের আবাসন চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে ১৯৭৩ সালে ‘‘Bangladesh House Building Finance Corporation’’ বা ‘‘President’s Order No. - 7/1973’’ মাধ্যমে কর্পোরেশন-কে পুনর্গঠিত করা হয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে গৃহায়ন খাতে একমাত্র বিশেষায়িত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএইচবিএফসি নতুন উদ্দীপনায় কার্যক্রম শুরু করে।
 
== মালিকানা ==
তৎকালে কর্পোরেশনের Authorized Capital ছিল মাত্র ১০.০০ (দশ) কোটি টাকা।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন শতভাগ সরকারী মালিকানাধীন একটি বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং এর পরিশোধিত মূলধনের সবটাই বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিশোধিত । এর অনুমোদিত মূলধনের পরিমান ১১০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ১১০ কোটি টাকা। এছাড়াও, এটি ডিবেঞ্চার বিক্রি, সরকারী ঋণ ও আমানত গ্রহণের মাধ্যমে তহবিলের সংস্থান করে থাকে।
পরিশোধিত বা Subscribed মুলধনের পরিমাণ ছিল ৫.০০ (পাঁচ) কোটি টাকা।
১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্ব পর্যন্ত কর্পোরেশনের জোনাল অফিসারের মোট সংখ্যা ছিল দু’টি; যার একটি ঢাকায় এবং অন্যটি করাচি শহরে অবস্থিত ছিল।
বাংলাদেশে (সাবেক পূর্ব পাকিস্তান) মোট ৩ (তিন)-টি রিজিওনাল অফিস এবং ৮ (আট)-টি সাব-রিজিওনাল অফিস ছিল। তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) অঞ্চলে ৩ (তিন)-টি রিজিওনাল ও ৬ (ছয়)-টি সাব-রিজিওনাল অফিস ছিল।
জোনাল অফিসগুলো নিয়ন্ত্রণকারী ও তদারককারী অফিস হিসেবে কাজ করতো। রিজিওনাল ও সাব-রিজিওনাল অফিসগুলো নিজ নিজ পরিচালন (Operational) কর্ম-কান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিল।
 
== কার্যালয়সমূহ ==
স্বাধীনতা পরবর্তীতে সময়ে বিএইচবিএফবি’র কার্যক্রমঃ
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের সদর দফতর ঢাকার পুরানা পল্টনে অবস্থিত। এর মোট ১০ টি জোনাল অফিস রয়েছে যার ২ টি ঢাকায় এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর ও ফরিদপুর শহরে ১ টি করে। এছাড়া, জোনাল অফিসসমূহের আওতাধীন সারাদেশে ১৪টি রিজিওনাল ও ৬০টি শাখা অফিস রয়েছে।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে সময়ে কর্পোরেশনের কার্যক্রম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু সময় ও প্রয়োজনের সাথে সংগতি রেখে কর্পোরেশনের কার্যক্রম অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সেভাবে বিস্তৃত হতে পারে নাই।
দু’দশক আগে ১৯৯১-১৯৯২ সালে কর্পোরেশনের সদর দফতর ব্যতীত মোট অফিস এর সংখ্যা ছিল ১৯ (ঊনিশ)-টি।
জোনাল অফিস ছিল মাত্র ৫-টিঃ জোন-এ, ঢাকা; জোন-বি; ঢাকা; চট্টগ্রাম; খুলনা; ও রাজশাহী।
রিজিওনাল অফিসের সংখ্যা ছিল ১৪-টিঃ দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোহর, ফরিদপুর, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সিলেট, বরিশাল, কুমিলস্না ও নোয়াখালী। পাঁচটি জোনাল অফিসের মধ্যে জোন-এ ও জোন-বি ঢাকাস্থ কর্পোরেশন ভবনে অবস্থিত ছিল।
১৯৯৪ সালে সরকার অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম এর আওতায় জোন-এ এবং জোন-বি কে বিভাজন করে জোন-১, জোন-২, জোন-৩, ও জোন-৪ সৃষ্টি করা হয়। এ চারটি জোনও কর্পোরেশন ভবনে অবস্থিত ছিল।
সিলেট ও বরিশাল রিজিওনাল অফিসদ্বয়-কে জোনাল অফিসে আপ-গ্রেড করে জোনাল অফিসে রূপান্তর করা হয়। ১৯৯৫ সালে ও পরবর্তীকালে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরা, নরসিংদী, কক্সবাজার, ও নারায়নগঞ্জে চারটি ক্যাম্প অফিস স্থাপন করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নারায়নগঞ্জ ব্যতীত অন্যান্য ক্যাম্প-অফিসগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দে’য়া হয়। এ তথ্য থেকে দেখা যায় যে, ১৯৯৪ সালের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ঢাকাস্থ জোনাল অফিসদ্বয়ের বিভাজনক্রমে ও দু’টি রিজিওনাল অফিস আপ-গ্রেডেশনের মাধ্যমে জোনাল অফিসের সংখ্যা মোট ৯-টিতে উন্নীত হয়। জোন-১, জোন-২, জোন-৩, জোন-৪, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম।
 
== ব্যবস্থাপনা ==
দীর্ঘ পনের বছর পর ২০০৯ সালে সরকার কর্পোরেশনের নতুন অর্গানোগ্রাম অনুমোদন করে। এ অর্গানোগ্রামের আওতায় ঢাকা শহরস্থ চারটি জোনাল অফিস (জোন-১, ২, ৩, ও ৪)-কে বিভাজন ও আওতাধীন এলাকার পুর্নবিন্যাস করে ৬-টি জোনাল অফিসে বিভক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন পরিচালনার জন্য রয়েছে একটি ৬(ছয়) সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ যার একজন চেয়ারম্যান থাকবে যিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত হবেন।সরকারী নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত। এছাড়া কর্পোরেশন সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রধান দায়িত্ব থাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হাতে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এছাড়াও, ০১(এক)জন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ০৬(ছয়)জন মহাব্যবস্থাপক ব্যবস্থাপনা পরিচালক-কে সহায়তা করেন।
নারায়নগঞ্জ ক্যাম্প অফিস-কে জোনাল অফিসে এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ রিজিওনাল অফিসদ্বয়-কে আপ-গ্রেড করে ১৪টি জোনাল অফিসে উন্নীত করা হয়।
কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ঐকান্তিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় সরকার ২০১২ সালে গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল জেলায় ৩টি নতুন রিজিওনাল অফিস খোলার জন্য অনুমোদন প্রদান করে।
 
== ঋণ ও আর্থিক সেবা ==
স্বাধীনতা উত্তরকালে কর্পোরেশনের সদর দফতরের কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন ও সম্প্রসারণ হয়েছে। বিগত শতাব্দীর আশি’র দশক পর্যন্ত সদর দফতরে কোন বিভাগ (Department) ছিল না। এ সময় একজন মহাব্যবস্থাপক কর্তৃক সহযোগী অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কর্পোরেশনের ঋণ, আদায়, ও অন্যান্য কার্যাদি পরিচালনা সম্পাদন করা হতো।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন দেশের গৃহায়ন সমস্যার সমাধান তথা সামগ্রিক গৃহায়ন ব্যবস্থার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে জনসাধারনকে গৃহ নির্মান তথা সামগ্রিক গৃহায়ন ব্যবস্থার উন্নয়নে নিন্মক্ত ঋণ ও আর্থিক সহযোগিতাসমূহ দিয়ে থাকেঃ
আশি’র দশকের প্রথমার্ধে সদর দফতরে ‘প্রশাসন’ বিভাগ ও হিসাব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৯৪ সালের অর্গানোগ্রাম মোতাবেক ফাংশনাল বিভাগের সংখ্যা ২-টি থেকে ৫-টিতে উন্নীত করা হয়। এ সময় তিনটি নতুন বিভাগ খোলা হয়। এগুলো হচ্ছেঃ আদায় ও আইন বিভাগ, ঋণ বিভাগ, এবং অর্থ ও পরিকল্পনা বিভাগ। পরবর্তীতে অর্থ ও পরিকল্পনা বিভাগের এবং হিসাব বিভাগের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে ‘অডিট বিভাগ’ এবং ‘হিসাব ও অর্থ বিভাগ’ রাখা হয়।
বিগত ২০০৯ সালে অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী বিভাগের সংখ্যা ৫-টি থেকে ৯-টিতে উন্নীত করা হয়। আদায় ও আইন বিভাগ-কে বিভাজনপূর্বক ‘আদায় বিভাগ’ ও ‘আইন বিভাগ’ করা হয়। এছাড়া, ‘কম্পিউটার ও তথ্য বিভাগ’, ‘পরিকল্পনা প্রশিক্ষণ ও জনসংযোগ বিভাগ’ এবং ‘সংস্থাপন ও সাধারণ সেবা বিভাগ’ নামে তিনটি নতুন বিভাগ স্থাপন করা হয়।
বিগত ২০১২ সালের সংশোধিত অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী সদর দফতরের ‘প্রশিক্ষণ সেন্টার’ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘প্রিন্সিপাল’ এর পদটি-কে আপ-গ্রেড করে উপ-মহাব্যবস্থাপক করা হয়। তৎপূর্বে এ দায়িত্ব একজন সহকারী মহাব্যবস্থাপক পদবী’র কর্মকর্তা নির্বাহ করতেন।
 
* নগরবন্ধু (বাড়ি নির্মাণ ঋণ)
কর্পোরেশনের জনবলঃ
* পল্লিমা (পল্লী আবাসন ঋণ)
 
* প্রবাসবন্ধু (প্রবাসী আবাসন ঋণ)
১৯৯৪ সালের অর্গানোগ্রাম মোতাবেক অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা ছিল ৭২৫ জন। পরবর্তীকালে অবসরজনিত কারণে জনবল ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে এবং ২০০৯ সালের ৩০ জুন তারিখে জনবলের সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৪৪০ জনে। জনবলের ক্রম অবনতিশীল অবস্থার প্রেক্ষাপটে কর্পোরেশনে স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়ে।
* আবাসন উন্নয়ন ঋণ
জনবল সংকটের এ পটভূমিতে ২০০৯ সালে সরকার কর্পোরেশনের নতুন অর্গানোগ্রাম অনুমোদন করে। এ অর্গানোগ্রামে জনবলের মোট সংখ্যা ৮২৫ জনে উন্নীত করা হয়। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে জনবল নিয়োগে গতি সঞ্চার হয় এবং ৩০ জুন/২০১২ তারিখ পর্যন্ত কর্পোরেশনের মোট জনবল বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৮৫ জনে।
* আবাসন মেরামত ঋণ
২০১২ সালে সরকার অনুমোদিত কর্পোরেশনের সংশোধিত অর্গানোগ্রাম মোতাবেক অনুমোদিত জনবলের মোট সংখ্যা ৭৯৫ জন। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে নতুন জনবল নিয়োগের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের অনিস্পন্ন পদোন্নতি প্রদানের কার্যক্রমও দ্রত সম্পন্ন করা হয়। এর ফলে কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রমের গতিশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রদানের পাশাপাশি নতুন ও পুরাতন সকল শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রমও জোরদার করা হয়। এরফলে জনবলের দক্ষতাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়।
 
২০১২ সালে অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা ছিল ৭৯৫ জন। পাঁচ বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা কমে সেপ্টেম্বর’১৭ পর্যন্ত কর্মরত জনবলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪৮৩ জনে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তরকালে ১৯টি জেলা ভেঙ্গে ৬৪টি জেলাতে উন্নীত করলেও কর্পোরেশনের অফিস সংখ্যা তেমনভাবে বৃদ্ধি পায়নি। সারাদেশে ব্যাপক আবাসনের চাহিদা সত্বেও স্বাধীনতা উত্তর ৪৬ বৎসর কেটে গেলেও সকল জেলাতে কর্পোরেশনের অফিস স্থাপন করা হয়নি। ২০১৭ সালে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদানের পর হতে কর্পোরেশনে কর্মকান্ডে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়।
 
প্রথমে ঋণের প্রোডাক্টগুলো জনগনের চাহিদা অনুযায়ী ৬টি বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে বিভক্ত করে সময়োপযোগী করা হয়। অফিসের সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন করে সাংগঠনিক কাঠামো-২০১৭ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন করা হয়। নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী আরো ৩টি মহাবিভাগ ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ এবং আরো ৪টি নতুন বিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও ১০টি জোনাল, ১৪টি রিজিওনাল অফিস এবং ১০০টি শাখা অফিস করা হয়েছে। শাখাগুলোকে A, B, C তিনটি ক্যাটাগরীতে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়াও সাংগঠনিক কাঠামো-২০১৭ তে জনবল ৭৯৫ হতে বৃদ্ধি করে ১২৯৭ জন করা হয়েছে।
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.bhbfc.gov.bd/ বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা ওকর্পোরেশন] কার্যক্রম
* [https://fid.gov.bd/ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫২-এ প্রতিষ্ঠিত]]