রেবন্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১৪ নং লাইন:
| mount = ঘোড়া
}}
'''রেবন্ত''' বা '''রাইভত''' (সংস্কৃত: रेवन्त, আক্ষরিক অর্থ "উজ্জ্বল") হলেন একজন [[হিন্দুধর্ম|হিন্দু]] দেবতা। [[ঋগ্বেদ]] অনুযায়ী, রেবন্ত হলেন প্রধান সৌর দেবতা [[সূর্য (দেবতা)|সূর্য]] এবং তার স্ত্রী [[সরণ্যু]]র কনিষ্ঠ সন্তান। রেবন্ত হলেন [[যোক্ষা]]দের মতো – অর্ধ-ঐশ্বরিক এবং দানবীয় শ্রেণীর সত্ত্বা, [[গুহকা]]দের (गुह्यक) শাসক এবং এটি মনে করা হয় গুহকাগণ [[হিমালয় পর্বতমালা|হিমালয়ে]] বনবাসী হিসেবে বসবাস করেন।<ref>[http://www.sanskrit-lexicon.uni-koeln.de/cgi-bin/serveimg.pl?file=/scans/MWScan/MWScanjpg/mw0888-revatottara.jpg
==উৎস==
রেবন্ত হলেন [[অশ্বিনীকুমার]]দের ভ্রাতা, যারা হলেন আরোগ্য, দৃষ্টি এবং [[সূর্যদয়]] ও [[সূর্যাস্ত]]ের যমজ দেবতা।
==কিংবদন্তি==
রেবন্ত দেবের জন্মের উপাখ্যান [[বিষ্ণুপুরাণ|বিষ্ণু পুরাণ]] এবং [[মার্কণ্ডেয় পুরাণ]]ের মতো ধর্মগ্রন্থে বর্ণনা করা হয়েছে। একদা, ভগবান সূর্যের আবেগ প্রাপ্ত না করতে পেরে, স্বর্গীয় স্থপতি [[বিশ্বকর্মা]]র কন্যা এবং সূর্য দেবতার স্ত্রী, সঞ্জা বনে গমন করে অশ্বার রূপ ধারণ করে তপস্যায় ধ্যানমগ্ন হন। সঞ্জা তার পরিবর্তে তার প্রতিচ্ছায়া [[ছায়া]]কে উপস্থিত রাখেন, যিনি সঞ্জার ছব্দবেশে সূর্যদেবের স্ত্রী হিসেবে কিছু সময়ের জন্য বসবাস করেন। যখন সূর্যদেব বুঝতে পারেন যে ছায়া তার স্ত্রী সঞ্জা নয়, তখন তিনি সঞ্জার খোঁজে বের হয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত উত্তর কুরু-তে তাকে খুঁজে পান। সেখানে সূর্যদেব সঞ্জার কাছে অশ্বের শব্দবেশ ধরে অগ্রসর হন। তাদের মিলনের ফলে যমজ [[অশ্বিনীকুমার]] এবং রেবন্তের জন্ম হয়।<ref>{{harvnb|Singh|1997|pp=2605–6}}</ref> [[কূর্মপুরাণ]] এবং [[মৎস্যপুরাণ]]ে, রেবন্তের মাতার নাম হলো [[রাত্রি (হিন্দুধর্ম)|রাত্রি]], যিনি হলেন সূর্যদেবের আরেক স্ত্রী। মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্য একটি অধ্যায়ে, তিনি হলেন ছায়ার পুত্র এবং তার ভ্রাতারা হলেন [[শনি (দেবতা)|শনিদেব]], [[তপতী]] এবং [[ভদ্র]]।<ref>{{Citation |title=The Myths and Gods of India: The Classic Work on Hindu Polytheism |first=
মার্কণ্ডেয় পুরাণে আরও লেখা আছে যে সূর্যদেব দ্বারা তাকে গুহকাদের শাসকে এবং "শত্রু ও লুঠেরাদের থেকে, প্রকান্ড অগ্নিকাণ্ড থেকে বন-জঙ্গল এবং অন্যান্য নির্জন ভূমির আতঙ্ক অভান্তরকে" রক্ষার
২৬ নং লাইন:
==মূর্তিতত্ত্ব==
মার্কণ্ডেয় পুরাণে রেবন্ত দেবকে "একটি তলোয়ার ও ধনুকের সাথে, একটি কবচে সজ্জিত, গোড়ার পিঠে চড়ে এবং তীর ও একটি তূণীর বহন করা" অবস্থায় বর্ণনা করা হয়। কালিকা পুরাণে একটি সাদা ঘোড়ার ওপর চড়ে তাকে তার ডান হাতে একটি তলোয়ার এবং তার বাম হাতে একটি চাবুক বহন করা অবস্থায় তাকে ব্যাখ্যা করা হয়। এই কারণে, তিনি ''হয়া-বাহণ'' নামেও অভিহিত (তিনি যিনি একটি ঘোড়ার ওপর চড়েন)। [[বরাহমিহির]] তাকে শিকারের জন্য সেবকদের সাথে গমন করেন বলে বর্ণনা করা হয়।
ভাস্কর্যগুলিতে, রেবন্ত দেবকে প্রায়ই গুহকাদের সাথে শিকার করার দৃশ্যে চিত্রিত করা হয়, যেখানের শাসক হলেন তিনি। গ্রন্থে বিবৃত তীর-ধনুকের মতো অস্ত্র ছাড়াও, তিনি মাঝে মাঝে তার হাতে একটি মদ্যের পাত্রও বহন করেন। সূর্যদেব (তাকে খালি পায়ে বর্ণনা করা হয়) ছাড়া অন্যান্য দেবতাদের থেকে ভিন্ন, রেবন্ত দেবকে প্রায়শ পায়ের গোছ পর্যন্ত পৌঁছানো [[বুটজুতা]]র পরিধনকৃত অবস্থায় তুলে ধরা হয়। রেবন্ত দেবকে একটি ঘোড়ার ওপর চড়া এবং একটি শিকারি কুকুর দ্বারা দলবদ্ধ অবস্থায় বিবৃত করা হয়। রেবন্ত দেবের সেবকদের বল্লম ও তলোয়ারের মতো বিভিন্ন শিকার অস্ত্রের সাথে ব্যাখ্যা করা হয়। তাদের মধ্যে কিছুদের [[শঙ্খ (ক্ষুদ্রাকার ঝিঁনুক)|ক্ষুদ্রাকার শঙ্খ]] বা চকচক করা [[ড্রাম|ঢোল]] বা তাদের প্রভুর মাথার উপর একটি ছাতা ধরা অবস্থায় প্রদর্শন করা হয়, যেখানে ছাতাটি হলো রাজপদের একটি চিহ্ন। এছাড়াও, তাদের মধ্যে কিছুদের উল্লেখ করা হয় উড়ন্ত এবং মদ্য বা জলের ঘড়া হাতে ধরা মুহূর্তে। কখনও কখনও, একজন সেবক একটি মৃত বরাহ বহন করবে বা কুকুরটি একটি বরাহকে ধাওয়া করবে।
==পূজা==
==পাদটীকা==
|