মধ্যযুগের বাংলা কাব্যধারার একবিশিষ্ট শাখা হল [[মঙ্গলকাব্য]]।মঙ্গল। মঙ্গল শব্দের আভিধানিক অর্থ হল কল্যাণ। মধ্যযুগে বিভিন্ন দেব-দেবীর মহিমা ও মাহাত্ম্যকীর্তন এবং পৃথিবীতে তাদের পূজা প্রতিষ্ঠার কাহিনী নিয়ে যেসব কাব্য রচিত হয়েছে সেগুলোই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মঙ্গল কাব্য নামে পরিচিত।মঙ্গলকাব্যের তিনটি প্রধান ঐতিহ্যের মধ্যে [[মনসামঙ্গল]], [[চণ্ডীমঙ্গল]] ও [[ধর্মমঙ্গল]] ছিল অন্যতম । এই কাব্য তিনটির প্রধান চরিত্র হল যথাক্রমে [[মনসা]], [[চণ্ডী]] ও [[ধর্মঠাকুর]] যারা বাংলার সকল স্থানীয় দেবতাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়। এছাড়াও কিছু ছোট মঙ্গলকাব্য রয়েছে, যেমন- শিবমঙ্গল, কালিকা মঙ্গল, রায় মঙ্গল, শশী মঙ্গল, শীতলা মঙ্গল ও কমলা মঙ্গল প্রভৃতি নামে পরিচিত। মঙ্গলকাব্যের প্রচলিত প্রধান কবিরা হলেন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, বিজয় গুপ্ত, রূপরাম চক্রবর্তী প্রমুখ।