ভাগ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২ নং লাইন:
'''ভাগ্য''' ({{lang-en|Luck}}) এর সংজ্ঞা দার্শনিক, ধর্মীয়, রহস্যময়তা এবং আবেগের দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। যখন একজনের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই একটি বিষয় চিন্তা করা হয় যেখানে তার ইচ্ছা, অভিপ্রায় বা প্রত্যাশিত ফলাফলের বিষয়ে অন্ততপক্ষে দুটি ধারণা থাকে যা সাধারণত মানুষ মনে করে, যেমন তারা প্রজ্ঞাপূর্ণ অর্থে এবং বর্ণনামূলক অর্থে ব্যবহৃত হয়। প্রজ্ঞাপূর্ণ অর্থে ভাগ্য হল একটি অতিপ্রাকৃত এবং নির্ণায়ক ধারণা যেখানে কিছু শক্তি (যেমন দেবতা বা আত্মা) আছে যা পদার্থবিজ্ঞানের নির্দিষ্ট কিছু নিয়মানুযায়ী ঘটতে পারে। এটি হল বর্ণনামূলক অর্থ মানুষ যখন বলে যে তারা "ভাগ্য বিশ্বাস করে না"। বর্ণনামূলক অর্থে লোকেরা যখন ভাগ্য নিয়ে কথা বলে তখন এটি সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যজনক এমনকি অভাবনীয় হতে পারে।
অতএব, ভাগ্যের সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বাস বা কুসংস্কারের দিক থেকে এর ব্যাখ্যার ধরন ভিন্ন হতে পারে । উদাহরণস্বরূপ, রোমানরা ভাগ্য বলতে দেবী ফরটোনাকে বিশ্বাস করে, যদিও দার্শনিক ড্যানিয়েল ডেনেট বিশ্বাস করেন যে একজন ব্যক্তি বা জিনিসের পরিবর্তে "ভাগ্য হল কেবলমাত্র ভাগ্য"। কার্ল জং ভাগ্যকে সংকোচন হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন, শুধু তাই নয় তাকে তিনি "একটি অর্থবহ কাকতালীয় ঘটনা" হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
 
ভাগ্য বলতে কিছু নেই।
 
মানুষের নিজের কর্মই তার ভাগ্য। মানুষই তার নিজের ভাগ্যের নির্ধারক।কোন কিছুই আগে থেকে নির্ধারিত না।
ভাগ্য যদি থেকেই থাকে তাহলে আমাদের কাজ,কর্ম,সফলতা, ব্যর্থতা আগে থেকেই নির্ধারিত। অনেকে এখানে বলবেন নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায় কাজের মাধ্যমে,তাহলে আমি বলবো ভাগ্যই নেই। কারণ ভাগ্যর অর্থই হলো নির্ধারিত নির্দিষ্ট কোন কিছু। যে ভাগ্য পরিবর্তনযোগ্য সেটা কখনো ভাগ্যই না।মানুষ যখন কোন কিছুতে এক্সকিউজ দিতে পারে না তখন ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয়। আর তখন মানুষ বলে এটাই আমার ভাগ্যে ছিলো। এটা থেকে সে নিজের কাছে থেকে একটা সিম্প্যাথি নেয়।এটা সম্পুর্নই একটা ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়।নিজের দূর্বলতা, নিজের দোষ ঢাকার জন্য ভাগ্য নামক টার্মের ঘাড়ে দোষটা চাপিয়ে দেয়।অবশ্য এটার জন্য একটা সুবিধাও পায় আর সেটা হলো অপরাধবোধ কম কাজ করে। কারণ দোষকে অলরেডি ভাগ্যের ঘাড়ে চাপানো হয়ে গেছে। মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু অপরাধবোধ।যেটা একটা মানুষকে ভিতরে ভিতরে প্রতিনিয়ত খুন করে।যারা স্রষ্টায় অবিশ্বাসী যারা ভাগ্যে অবিশ্বাসী তাদের মধ্যে এই অপরাধবোধ টা বেশি কাজ করে।কারণ তারা তাদের ব্যর্থতা কোন মাধ্যমে সমর্পণ করতে পারে না।
 
এখন ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা যাক।
কোরআনে আছে, ভাগ্য প্রত্যেক মানুষের জন্য নির্ধারণ করা আছে আর সৃষ্টিকর্তা সবার ভাগ্য সম্পর্কে অবগত। তো যেখানে স্রষ্টা সবার ভাগ্য সম্পর্কে আগেই অবগত সেখানে একজন মানুষ কেন তার ভাল বা খারাপ কাজের জন্য দায়ী থাকবে?স্রষ্টা আগে থেকেই জানেন একটা মানুষ পৃথিবীতে ঠিক কি কি কাজ করবে, কোন্ কোন্ ভালো কাজ করবে এবং কোন্ কোন্ খারাপ কাজেগুলো করবে। স্রষ্টা সেটা আগে থেকেই প্রোগ্রামিং করে রেখেছেন। এখন মুসলিমরা বলবে ভাগ্য পরিবর্তনযোগ্য,কাজের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়। তাহলে আমি বলবো যেটা নির্দিষ্টই না,নির্ধারিতই না,যেটা পরিবর্তনযোগ্য তাকে আমরা ভাগ্য বলবো কেনো?
 
এক্ষেত্রে ধরেই নিলাম যে ভাগ্য পরিবর্তনযোগ্য,তাহলে স্রষ্টা সেই পরিবর্তিত ভাগ্য সম্পর্কেও অবগত। এভাবে একটা মানুষের জীবনে যতবারই ভাগ্য পরিবর্তন হোক,যত হাজার কোটি বারই ভাগ্য পরিবর্তন হোক স্রষ্টা সেটা সম্পর্কে আগেই অবগত। কারণ তিনি সব জানেন। তাহলে একটা মানুষের ভালো খারাপ কাজের জন্য ঐ মানুষ টা দায়ী নয়।যেহেতু সে স্রষ্টার প্রোগ্রামিং এর একটা অংশ মাত্র।
এখান থেকে আমরা বলতে পারি স্রষ্টা কাউকে শাস্তি(জাহান্নাম) বা কাউকে পুরস্কৃত (জান্নাত) করবেন না।তার মানে জান্নাত জাহান্নাম নেই। আর যদি কাউকে শাস্তি বা কাউকে পুরস্কৃত করেন তাহলে স্রষ্টা ন্যায় বিচার করেন না।যা স্রষ্টার বৈশিষ্ট্যের সাথে সাংঘর্ষিক।
 
তো এখান থেকে আমরা বলতে পারি ভাগ্য বলতে কিছু নেই।
 
=উৎপত্তি এবং সংজ্ঞা=