সামশুল হক চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫২ নং লাইন:
== প্রাথমিক জীবন ==
== রাজনৈতিক জীবন ==
সদা হাস্যোজ্জ্বল সামশুল হক চৌধুরী ১৯৫৭ সালের ২০ জুলাইয়ের এদিনে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রশিদাবাদ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্ম গ্রহন করেন।
 
পিতা আলহাজ্ব নুরুল করিম চৌধুরী ও মাতা ছপুরা করিম চৌধুরীর জ্যোষ্ঠ সন্তান আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের টিকেটে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে পর পর দুবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসন-২৮৯, চট্টগ্রাম-১১/১২ সংসদীয় আসন থেকে বিপুল ভোটে ‍নির্বাচিত হন।
 
বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারি সামশুল হক চৌধুরী ছাত্রজীবনেই রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে জড়িত হয়ে পড়েন। চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রসংসদের নির্বাচিত এজিএস ও কলেজ শাখার ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে তাঁর সুনাম ও সুখ্যাতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে আছে।
 
তিনি ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আলকরণ ওয়ার্ড থেকে কমিশনার নির্বাচিত হন।
 
১৯৯৬ সালে তিনি দেশের আধুনিক ক্রীড়ার জনক হিসেবে পরিচিত শেখ কামাল প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড এর মহাসচিব নির্বাচিত হন এছাড়া কেন্দ্রিয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রেরও তিনি অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ১৯৮৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন আইন-শৃংখলা উন্নয়ন পরিষদের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, মা ও শিশু হাপাতালসহ বহু শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ও দাতা সদস্য।
 
আশির দশকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে যে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেছিলেন আজ সে সংগঠন থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্টের একজন গর্বিত মেম্বার এবং একই সাথে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় সংক্রাম্ত সংসদীয় কমিটির প্রভাবশালী সদস্য তিনি ।
 
২০০৯ সাল থেকে বিগত প্রায় ১০ বছর আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী পটিয়ার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। উপজেলায় এমন কোন শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে তার অনুদান ও সহযোগিতায় উন্নয়ন হয়নি।
 
একজন দানশীল ও উদার মনের মানুষ হিসেবে তিনি নিজ দলের কাছে যেমন জনপ্রিয় তেমনি তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও তাঁর চিন্তা-চেতনা ও কর্মের প্রশংসা না করে পারেনা।
 
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার আগে তিনি যেমন পটিয়ার মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে প্রতিটি অলি-গলি, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে জনগনের দু:খ-দুর্দশার খবর নিতেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পরও সে ধারা অব্যহত রেখেছেন । পটিয়ার মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ক্রীড়া, বিদ্যুতায়ন, আশ্রয়ন ও কর্মসংস্থানসহ সার্বিক উন্নয়নের যে মডেল স্থাপন করেছেন তা দেশের অন্যান্য এলাকার জন্য অনুকরনীয় হয়ে থাকবে ।
 
সংসদ অধিবেশনের দিনগুলো ছাড়া বাকি সময় তিনি পটিয়ার মানুষের সাথেই কাটান। তিনি বলেন, “ মাছ যেমন পানি ছাড়া থাকতে পারেনা, তেমনি আমিও পটিয়ার মানুষ ছাড়া, পটিয়া ছাড়া থাকতে পারিনা”।
 
== আরও দেখুন ==