কামচাতকা উপদ্বীপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
শুরু |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
১৮:৪৯, ১৭ আগস্ট ২০০৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তে সাইবেরিয়া অঞ্চলের পর্বতময় তুষারাচ্ছন্ন উপদ্বীপ। দ্বীপটি বেরিং সাগর ও ওখট্স্ক সাগরকে পৃথক করে দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত হয়েছে। রাজধানী পেত্রোপাভলভ্স্ক এলাকার একমাত্র বড় শহর। দক্ষিণে কিছু কৃষিকাজ হয়, তবে মাছ ধরা ও শিকার এখানকার প্রধান উপজীবিকা। কামচাটকাতে অনেকগুলি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে। এদের মধ্যে ক্লিউচেভ্স্ক পর্বতের উচ্চতা ১৬৫১২ ফুট। এলাকাটি খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ হলেও খননশিল্প এখনও তেমন বিকাশ লাভ করে নি।
১২৫০ কিমি দীর্ঘ এবং ৪,৭২,৩০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কামচাতকা উপদ্বীপের মধ্য দিয়ে উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বরাবর দুইটি সক্রিয় আগ্নেয় পর্বতশ্রেণী বিস্তৃত। এগুলির মধ্যে প্রশস্ত সমতল এলাকা অবস্থিত। সর্বোচ্চ শৃঙ্গটির নাম ক্লিউচেভস্কায়া সোপকা নামের একটি আগ্নেয়গিরি (৪,৭৫০ মিটার) পূর্বের পর্বতমালাটিতে অবস্থিত। উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে সমুদ্র সমতল থেকে গড়ে ৬৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত একটি তুন্দ্রা অঞ্চল অবস্থিত। পূর্ব উপকূলে খাড়া পর্বতঢালবিশিষ্ট। পূর্ব উপকূলের ধার ঘেঁষে প্রশান্ত মহাসাগরে ১০,৫০০ মিটার গভীর কুরিল-কামচাটকা সমুদ্রখাত অবস্থিত।
উপদ্বীপের মূল নদীর নাম কামচাতকা নদী। এটি উস্ত-কামচাতস্ক শহরের কাছে বেরিং সাগরে পতিত হয়েছে। এখানে মাছ ধরা মানুষের প্রধান উপজীবিকা। পশু শিকার করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। কামচাতকা উপদ্বীপে প্রচুর মেরু ভল্লুক, হরিণ, সীলমাছ, সেবল, ভোঁদড়, এবং পাহাড়ি ভেড়া আছে। প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে আছে খনিজ তেল, সোনা, লোহা, তামা, কয়লা এবং সালফার। এখানে আলু, সবজি ও খাদ্যশস্য জন্মানো হয়। কামচাতকা উপদ্বীপে কোরিয়াক, কামচাদাল, চীনা, কোরীয়, রুশ এবং তুঙ্গুস জাতির লোকেরা বাস করে। মোট জনসংখ্যা ৪ লক্ষের কিছু বেশি।
কামচাটকার আগ্নেয়গিরিগুলি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।