আশআরি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩ নং লাইন:
 
==ইতিহাস==
ইমাম আবূ হানীফার প্রায় এক শতাব্দী পরে মূলধারার আলিমগণের মধ্যে চতুর্থ আরেকটি ধারা জন্মলাভ করে। তাঁরা ‘আহলুস সুন্নাহ’ বা [[সাহাবা|সাহাবী]]-তাবিয়ীগণ ও ইমামগণের মতের ধারক ছিলেন। পাশাপাশি মুতাযিলীদের দর্শনভিত্তিক মতবাদ খন্ডন করতে যেয়ে তাঁরাও দর্শন-প্রভাবিত হয়ে পড়েন। তাঁরা আল্লাহর কিছু বিশেষণ স্বীকার করেন এবং কিছু বিশেষণ ব্যাখ্যা করেন। বাহ্যত দর্শনের প্রভাব এবং সাধারণ মানুষের মন থেকে "আল্লাহর সাথে সৃষ্টজীবের তুলনা"র ধারণা অপসারণ করতেই তারা এরূপ ব্যাখ্যা করেন। ক্রমান্বয়ে দর্শন নির্ভরতা ও ব্যাখ্যা প্রবণতা বাড়তে থাকে।
 
এ ধারার প্রবর্তকদের অন্যতম বসরার সুপ্রসিদ্ধ ‘ইলমুল কালাম’ বিশেষজ্ঞ ইমাম ইবন কুল্লাব: আবূ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইবন সাঈদ আল-কাত্তান (২৪১ হি)। মুতাযিলীদের প্রতাপের যুগে মামুনের দরবারে তিনি [[সুন্নি (ইসলাম)|আহলুস সুন্নাতের]] পক্ষে বিতর্কে মুতাযিলীদেরকে পরাস্ত করেন। তিনি মহান আল্লাহর ‘যাতী’ বা ‘সত্তীয়’ বিশেষণগুলো স্বীকার করতেন। তবে তিনি মহান আল্লাহর ‘ফিলী’ বা কর্ম বিষয়ক বিশেষণগুলো ব্যাখ্যা করতেন (রূপক অর্থ গ্রহণ করতেন)। ইবন কুল্লাবের ছাত্র ইমাম আবুল হাসান আলী ইবন ইসমাঈল আল-আশআরী (৩২৪ হি) তাঁর মত সমর্থন করেন এবং ‘‘আশআরী’’ মতবাদের জন্ম হয়।