বাংলা ভাষা আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সর্বশেষ সম্পাদিত পরিবর্তন প্রত্যাখ্যান ও Salim Khandoker-এর করা 3295152 নং সংশোধন পুনরুদ্ধার |
সংশোধন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৫ পর্যন্ত বর্তমান বাংলাদেশের নাম ছিল পূর্ব বাংলা; ১৯৫৫ সালের ১৪ই অক্টোবর এর পূর্ব পাকিস্তান নামকরণ করা হয়। |
||
১ নং লাইন:
[[চিত্র:1952 Bengali Language movement.jpg|thumb|250px|রাষ্ট্রভাষা হিসেবে [[বাংলা ভাষা|বাংলার]] অধিকার আদায়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে [[ঢাকা|ঢাকায়]] আয়োজিত মিছিল]]
{{বাংলাদেশের সংস্কৃতি}}
'''বাংলা ভাষা আন্দোলন''' ছিল তদানীন্তন [[পূর্ব
[[১৯৫২]] সালের [[ফেব্রুয়ারি ২১|২১ ফেব্রুয়ারি]] (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি [[ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ|ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের]] কাছাকাছি এলে পুলিশ [[১৪৪ ধারা]] অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে [[রফিক]]<ref name="rafiq-death" />, তেজোদীপ্ত তরুণ [[আব্দুস সালাম|সালাম]], এম. এ. ক্লাসের ছাত্র [[আবুল বরকত|বরকত]]- [[আবদুল জব্বার (ভাষা শহীদ)|আব্দুল জব্বার]] সহ<ref name="ref-banglapedia"/><ref name="azad-news" /> আরও অনেকে। এছাড়া ১৭ জন ছাত্র-যুবক আহত হয়। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনার অভিঘাতে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। [[ফেব্রুয়ারি ২১|২১ ফেব্রুয়ারির]] ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিদ্রোহের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি [[ছাত্র]], শ্রমিক, সাহিত্যিক, [[বুদ্ধিজীবী]], [[শিক্ষক]] ও সাধারণ জনতা পূর্ণ [[হরতাল]] পালন করে এবং সভা-শোভাযাত্রাসহকারে [[১৪৪ ধারা]] ভঙ্গ করে। ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে শহীদ হন [[শফিউর রহমান]] '''শফিক''' বলে পরিচিত, রিক্সাচালক আউয়াল এবং এক কিশোর। ২৩ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়িয়ায় ছাত্র-জনতার মিছিলেও পুলিশ অত্যাচার-নিপীড়ন চালায়। এ নির্লজ্জ, পাশবিক , পুলিশি হামলার প্রতিবাদে [[মুসলিম লীগ]] সংসদীয় দল থেকে সেদিনই পদত্যাগ করেন। ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গনে রাতারাতি ছাত্রদের দ্বারা গড়ে ওঠে [[শহীদ মিনার]] , যা ২৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করেন শহীদ [[শফিউর রহমান|শফিউর রহমানের]] পিতা। ২৬ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন '''দৈনিক আজাদ''' পত্রিকার সম্পাদক জনাব আবুল কালাম শামসুদ্দীন।
|