ব্যবহারকারী:Rezwan Khair/খেলাঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র যোগ
পরিবর্তন
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{ব্যবহারকারীর খেলাঘর}}
<!-- এই লাইনের নিচে সম্পাদনা করুন -->
{{Infobox civil conflict
| title = ২০১৮-র নিরাপদ সড়ক আন্দোলন
| subtitle =
| partof =
| image = ১৮ চত্বরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের অবস্থান।.jpg
| caption = উত্তরায় ছাত্রদের রাস্তা অবরোধ, ২ আগস্ট ২০১৮
| date = {{শুরুর তারিখ|df=yes|2018|07|29}} - {{শেষের তারিখ|df=yes|2018|08|08}}
| place = [[বাংলাদেশ]]
| coordinates =
| causes = চালকের বেপরোয়া বাসচালনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
| goals = নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা, সড়ক-নিরাপত্তায় কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ, এবং ট্রাফিক আইনভঙ্গকারী চালকদের শাস্তি
| methods =
* মানববন্ধন
* মিছিল
* রাস্তা অবরোধ
* গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা
* রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ
* অনলাইন কার্যক্রম
| status =
| result = নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন, ট্রাফিক সপ্তাহ ঘোষণা, চালকদের নিয়োগ ও বেতন স্কিম পরিবর্তন
| side1 = বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। গণমাধ্যমকর্মী ও সাংবাদিক
| side2 = [[বাংলাদেশ ছাত্রলীগ]], [[বাংলাদেশ পুলিশ]], পরিবহণশ্রমিক
| injuries = প্রায় ২০০
| arrests = ৯৭
| notes =
| sidebox =
}}
'''২০১৮-র নিরাপদ সড়ক আন্দোলন''' বাংলাদেশে কার্যকর [[সড়ক নিরাপত্তা|সড়ক নিরাপত্তার]] দাবিতে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ পর্যন্ত সংঘটিত একটি আন্দোলন বা গণবিক্ষোভ। ঢাকায় ২৯ জুলাই সংঘটিত এক সড়ক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত দুই কলেজ শিক্ষার্থীর সহপাঠিদের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ পরবর্তীতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং নৌমন্ত্রীর পদত্যাগসহ [[ব্যবহারকারী:Rezwan Khair/খেলাঘর#৯ দফা দাবী|৯ দফা দাবিতে]] শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে।
 
শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও অবরোধ করতে চাইলেও দুর্ঘটনার পরদিন থেকেই পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে; পুলিশের পাশাপাশি [[বাংলাদেশ ছাত্রলীগ|ছাত্রলীগ]] ও সরকার-সমর্থক বলে অভিযুক্ত যুবকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রছাত্রী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। সরকার প্রচুর সংখ্যক আন্দোলনকারীকে এবং আন্দোলন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ায় একজন আলোকচিত্রীকে গ্রেপ্তার করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং ছাত্রছাত্রীদের ওপর সরকারের দমনপীড়নমূলক ব্যবস্থা দেশে ও বহির্বিশ্বে তীব্রভাবে নিন্দিত হয়।
 
পরবর্তীতে ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী [[শেখ হাসিনা|শেখ হাসিনার]] তৃতীয় মন্ত্রীসভা একটি খসড়া ট্রাফিক আইন অনুমোদন করে, যে আইনে ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যায় মৃত্যদণ্ড এবং বেপরোয়াভাবে চালিয়ে কারো মৃত্যু ঘটালে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়; যদিও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া চালনায় মৃত্যুদন্ড দাবি করেছিল। ৮ আগস্টের মধ্যে শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন সূত্রে বলা হয় যে নয় দিনের আন্দোলন থেমে গিয়েছে।
 
== প্রেক্ষাপট ==
[[বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা#সড়ক পথ|বাংলাদেশে সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা]] বিশৃঙ্খল এবং দুর্ঘটনাপ্রবণ, রাজধানী ঢাকার বাস সার্ভিসগুলোতে যা প্রকটভাবে দৃশ্যমান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://en.prothomalo.com/bangladesh/news/170221/Dhaka’s-traffic-situation-turns-horrific |শিরোনাম=Dhaka’s traffic situation turns horrific |তারিখ=18 জানুয়ারি 2018 |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=en |সংগ্রহের-তারিখ=5 জানুয়ারি 2019}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/country/bangladeshs-roads-among-worst-asia-1541335 |শিরোনাম=Bangladesh’s roads among worst in Asia |তারিখ=28 ফেব্রুয়ারি 2018 |সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার]] |ভাষা=en |সংগ্রহের-তারিখ=5 জানুয়ারি 2019}}</ref><ref>{{সম্মেলন উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.researchgate.net/publication/320298662_Analyzing_Customer_Satisfaction_of_Bus_Service_In_Dhaka_City |শিরোনাম=Analyzing Customer Satisfaction of Bus Service In Dhaka City |লেখক =Md Asadul Islam, Tanay Datta Chowdhury, F. Rahman, Major M. T. Haque, M. R. Rahman |তারিখ=ডিসেম্বর 2015 |সম্মেলন=International Conference on Recent Innovation in Civil Engineering for Sustainable Development |সম্মেলনের-ইউআরএল=http://www.academic.net/show-20-1340-1.html |আইডি=Paper ID: EE-047 |সংগ্রহের-তারিখ=5 জানুয়ারি 2019 |ভাষা=en}}</ref> ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮-র জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ২৫ হাজার মানুষ এবং আহত প্রায় ৬২ হাজার।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1546891/সড়কে-২৫-হাজার-মানুষের-মৃত্যু |শিরোনাম=সড়কে ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু |তারিখ=4 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=২০ আগস্ট ২০১৮}}</ref> [[বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়|বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের]] করা গবেষণা অনুযায়ী, এসব সড়ক দুর্ঘটনার ৫৩% ঘটে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে; ৩৭% চালকের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে এবং বাকি ১০% গাড়ির ত্রুটি ও পরিবেশের কারণে।<ref name="buet" />
 
[[বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ|বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের]] হিসাবে ২০১৮ সালে দেশে চলমান বৈধ গাড়ির সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ ৪২ হাজার, কিন্তু বৈধ লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা ২৬ লাখ ৪০ হাজার। অর্থাৎ প্রায় ৯ লাখ গাড়ি লাইসেন্সবিহীন চালক দ্বারা চালিত হয়। উপরন্তু দেশে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের সংখ্যা ৪ লাখ ৯৯ হাজার।<ref name="buet">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1546101/%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95 |শিরোনাম=সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নয় লাখ ভুয়া চালক |তারিখ=3 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=২০ আগস্ট ২০১৮}}</ref> এসব কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়তে থাকে। আন্দোলনের পূর্ববর্তী কয়েক মাসে দুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীব,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1471211/মারা-গেছেন-রাজীব |শিরোনাম=দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো রাজীবকে আর ফেরানো গেল না |তারিখ=17 এপ্রিল 2018 |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=26 ডিসেম্বর 2018}}</ref> বাসের হেলপার কর্তৃক নদীতে ফেলে দেয়া পায়েল,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1540356/দুর্ঘটনার-দায়-এড়াতে-আহত-ছাত্রকে-নদীতে-ফেলে-দেন |শিরোনাম=দুর্ঘটনার দায় এড়াতে আহত ছাত্রকে নদীতে ফেলে দেন বাসকর্মীরা |তারিখ=26 জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=26 ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> বাসচাপায় আহত সৈয়দ মাসুদ রানা<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1523196/মিরপুরে-বাসচাপায়-বিশ্ববিদ্যালয়ের-শিক্ষার্থী-নিহত |শিরোনাম=মিরপুরে বাসচাপায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত |তারিখ=2 জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=26 ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> ও সর্বশেষ বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই কলেজশিক্ষার্থী প্রমুখের মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে সমালোচনা ও বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অধ্যাপক [[জামিলুর রেজা চৌধুরী]] শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সাম্প্রতিক এসব দুর্ঘটনার ফল বলে মনে করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1546061/নাগরিক-মনà§%20তবà§%20য |শিরোনাম=নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে নাগরিক মন্তব্য |তারিখ=৩ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref>
 
==আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ==
===সূত্রপাত===
২৯ জুলাই ঢাকার শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে [[বিমানবন্দর সড়ক, ঢাকা|বিমানবন্দর সড়কে]] বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল এবং একটি বাস থামলে সেটাতে ওঠার চেষ্টা করে। সেসময় জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাস বেশি-যাত্রী-পাওয়ার-জন্যে প্রতিযোগিতা করতে করতে অতিরিক্ত গতিতে এগিয়ে আসে, তার মধ্যে একটি বাস বেপরোয়াভাবে প্রথম বাসের পাশে ফুটপাথে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়, তাতে ২ শিক্ষার্থী নিহত এবং আরো ১২ জন গুরুতর আহত হয়। পুলিশ পরে বাস তিনটির চালক, সহকারী এবং ঘাতক-বাসের মালিককে গ্রেপ্তার করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.banglatribune.com/others/news/349365/তাদের-তিনজনেরই-বাস-চালানোর-লাইসেন্স-নেই |শিরোনাম=তাদের তিনজনেরই বাস চালানোর লাইসেন্স নেই |তারিখ=31 জুলাই ২০১৮ |ওয়েবসাইট=বাংলা ট্রিবিউন |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/city/bus-kills-one-airport-road-radisson-hotel-dhaka-mob-goes-rampage-1612879 |শিরোনাম=Reckless driving takes two young lives |তারিখ=30 জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2018/07/30/663759 |শিরোনাম=দুই বাসের পাল্লায় এবার পিষ্ট দুই শিক্ষার্থী |তারিখ=30 জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[কালের কণ্ঠ]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref>
 
কয়েক ঘন্টা পরে সাংবাদিকরা এই ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি [[শাজাহান খান|শাজাহান খানের]] প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি হাসিমুখে বলেন যে "ভারতের মহারাষ্ট্রে গাড়ি দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা গেছেন। এখন সেখানে কী আমরা যেভাবে এগুলোকে নিয়ে কথা বলি, এগুলো কি ওখানে বলে?"<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=সড়কে দুই শিক্ষার্থীর লাশ, হাসিমুখে মন্ত্রীর জবাব|ইউআরএল=https://www.priyo.com/articles/201807292106-ministers-reply|ওয়েবসাইট=প্রিয়.কম|সংগ্রহের-তারিখ=৪ আগস্ট ২০১৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180804165034/https://www.priyo.com/articles/201807292106-ministers-reply|আর্কাইভের-তারিখ=৪ আগস্ট ২০১৮|তারিখ=২৯ জুলাই ২০১৮}}</ref> তাঁর বক্তব্য দেশব্যাপী অত্যন্ত সমালোচিত হয় এবং আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা তার ক্ষমাপ্রার্থনা ও পদত্যাগের দাবি তোলে।<ref name=":1">{{Cite news |url=https://www.thedailystar.net/backpage/outrage-over-shajahans-smile-remarks-1613785 |title=Outrage over Shajahan's smile, remarks |date=31 July 2018 |work=The Daily Star|access-date=4 August 2018 |language=en}}</ref>
 
===বিক্ষোভ===
[[চিত্র:A boy in the protest.jpg|alt=“স্কুলড্রেসে রক্ত কেন?”|থাম্ব|“স্কুলড্রেসে রক্ত কেন?” লেখাযুক্ত প্ল্যাকার্ড হাতে একজন শিশু।]]
[[File:Students Blocked Road for safe Road 10.jpg|thumb|সড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ]]
বিমানবন্দর২৯ সড়কেরজুলাই দুর্ঘটনার পর শহীদ রমিজউদ্দিন ও নিকটবর্তী অন্যান্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দোষী বাসচালকের বিচারের দাবিতে বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে এবং ঘাতক বাসসহ সড়কের অন্যান্য বাস ভাঙচুর করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতিপরদিন |ইউআরএল=https://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/1523786?উত্তরার |শিরোনাম=বিমানবন্দরপাশাপাশি সড়কেমতিঝিল বাসচাপায়শাপলা দুইচত্বর, শিক্ষার্থীরসাইন্সল্যাবেও মৃত্যুসেখানকার |তারিখ=29কলেজগুলোর জুলাইশিক্ষার্থীরা ২০১৮সড়ক |সংবাদপত্র=বিডিনিউজঅবরোধ টোয়েন্টিফোরএবং ডটকমতারা |ভাষা=bnনৌমন্ত্রীর |সংগ্রহের-তারিখ=৬পদত্যাগ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতিদফা |ইউআরএল=https://www.jagonews24.com/m/national/news/442541দাবি |শিরোনাম=দুইবাস্থবায়নের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর |তারিখ=29 জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref> ৩০ ওতোলে। ৩১ জুলাই, তারাআন্দোলনের নৌমন্ত্রীরতৃতীয় পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতেদিন, বিমানবন্দর সড়ক,এলাকায় উত্তরা,শিক্ষার্থীরা মিরপুর,শান্তিপূর্ণ ধানমন্ডিমানববন্ধনমতিঝিলেসমাবেশ সড়ককরতে অবস্থানচাইলে নেয়পুলিশ এবংপ্রথমে রেলস্টেশনবাধা অবরোধপ্রদান করে; ফলে ঢাকা থেকে সড়করেলযোগাযোগপরে বন্ধজলকামান, হয়েসাঁজোয়া নগরযানসহ অনেকাংশেতাদের স্থবিরধাওয়া হয়েদেয় পড়ে।<refএবং name=":9">{{Citeলাঠিপেটা web|url=http://www.theguardian.com/world/2018/aug/03/teenagers-bring-parts-of-bangladesh-to-a-halt-with-bus-death-protests|title=Teenagersকরে। bringবিক্ষুব্ধ partsশিক্ষার্থীরা ofঢাকার Bangladeshবিভিন্ন toস্থানে aবাস haltভাঙচুর with bus death protests|last=France-Presse|first=Agence|date=3 August 2018|website=the Guardian|language=en|access-date=5 August 2018}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/bangla/শীর্ষ-খবর/বিমানবন্দর-সড়ক-থেকে-অবরোধ-তুলল-শিক্ষার্থীরা-96172 |শিরোনাম=বিমানবন্দর সড়ক থেকে অবরোধ তুলল শিক্ষার্থীরা |তারিখ=30 জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref> পুলিশ সাঁজোয়া যান ও জলকামান নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বাস ভাঙচুর করে।করে; তবে তারা অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলবাস, হজযাত্রী-বহনকারী গাড়ি ও প্রাইভেট কারকে ছেড়েযেতে দেয়।
 
এরপর ১ থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে অসংখ্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবিতে সড়কে অবস্থান, মানববন্ধন ও অবরোধের মাধ্যমে তাদের বিক্ষোভ জানান দিতে থাকে।<ref name=":3">{{Cite web |url=http://time.com/5357019/bangladesh-student-protests-road-safety/ |title=Protesting Teens Bring Bangladesh's Capital to a Standstill |website=Time |language=en|access-date=4 August 2018}}</ref> ২রা আগস্ট সরকার সব স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলেও সেদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটসহ দেশের ৪২টি জেলায় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। "উই ওয়ান্ট জাস্টিস", "আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে" প্রভৃতি স্লোগানে ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা সড়ক মুখরিত করে রাখে।
 
[[File:Bangladesh road-safety protests 2018.jpg|থাম্ব|ডান|ছাত্রদের নিয়েন্ত্রণে ঢাকার সড়ক]]
বিক্ষোভের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা শহরের ট্রাফিকও নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।  তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে গাড়ি আটকে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে; লাইসেন্সহীন চালক ও চলার অনুপযোগী গাড়িসমূহ ধরে ট্রাফিক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ও তাদের মামলা নিতে বাধ্য করে। শিক্ষার্থীরা লাইসেন্স না থাকায় ও ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে বাণিজ্যমন্ত্রী, পানিসম্পদমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিচারক, পুলিশের ডিআইজি প্রমুখ সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি আটকে দেয়। পথচারীদের ট্রাফিক নিয়ম মানানো এবং স্থানবিশেষে রাস্তা পরিষ্কার ও সংস্কারও করতে দেখা যায় তাদের। সড়কে গাড়িগুলোকে তারা লেন অনুসারে চালনা করে এবং তৈরি করে অ্যাম্বুলেন্স ও অগ্নিনির্বাপক গাড়ির জন্য ইমার্জেন্সি লেন যা ছিল বাংলাদেশে এই প্রথম। সাধারণ মানুষ তাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করে এবং ট্রাফিক নিয়েন্ত্রণে পুলিশ তাদের সহায়তা করে; অনেকস্থানে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফুল ও চকলেট বিনিময় হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547066/ফুল-দিল-শিক্ষার্থীরা-চকলেট-দিল-পুলিশ |শিরোনাম=ফুল দিল শিক্ষার্থীরা, চকলেট দিল পুলিশ |তারিখ=4 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref> এর মাঝে ১লা আগস্ট [[জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়]] ও [[শাবিপ্রবি|শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের]] শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের সমর্থনে মানববন্ধন করে। ক্রমে ক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং [[নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়|নর্থসাউথ]], ইস্টওয়েস্ট, [[ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ|ইন্ডিপেন্ডেড বিশ্ববিদ্যালয়]]সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়<ref group=note>যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের সমর্থনে অবরোধ, মানববন্ধন বা ক্লাস বর্জনের মাধ্যমে বিক্ষোভ করার সংবাদ পাওয়া যায়: ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; বুয়েট, কুয়েট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; শাহজালাল, নোয়াখালী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ; নর্থ সাউথ, ইস্টওয়েস্ট, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ব্র্যাক, নর্দার্ন, নর্থ ওয়েস্টার্ন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল, আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়; যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।</ref> ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও মানববন্ধন, ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভের মাধ্যমে আন্দোলনে অংশ নেয়। চলচ্চিত্রাভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠনসহ অন্যান্য নাগরিক সংগঠনগুলোও আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধন করে; শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা সম্মতির পাশাপাশি রাস্তায়ও নেমেও সমর্থন জানান।<ref>{{Cite news |url=http://www.theindependentbd.com/post/160741 |title=People stand in solidarity with students’ protests |last=Independent |first=The |work=People stand in solidarity with students’ protests {{!}} theindependentbd.com|access-date=4 August 2018}}</ref><ref name="nagorik">{{Cite news |url=https://www.thedailystar.net/city/guardians-join-protesting-students-demand-safe-road-in-dhaka-bangladesh-1614931 |title=Guardians express solidarity with protesting students |date=2 August 2018 |work=The Daily Star|access-date=4 August 2018 |language=en}}</ref>
 
সরকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি মেনে নিয়েছে জানিয়ে তাদের ফিরে যেতে বলে; কিন্তু তারা দাবিসমূহ বাস্তবায়ন শুরু না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547341/আশ্বাস-নয়-দাবির-বাস্তবায়ন-চায়-শিক্ষার্থীরা |শিরোনাম=আশ্বাস নয় দাবির বাস্তবায়ন চায় শিক্ষার্থীরা |তারিখ=4 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> এদিকে ২, ৪, ৫ ও ৬ তারিখ ছাত্রলীগসহ সরকার-সমর্থক বলে অভিযুক্ত যুবকেরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সংবাদ-সংগ্রহে-যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করে; সেসব সংঘর্ষে প্রায় দেড় শতাধিক জন আহত হন; পুলিশ অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রমণকারীদের প্রতি নির্বিকার থাকলেও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দমাতে লাঠিচার্জ, কাঁদানেগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। আন্দোলনকারীদের ওপর এরূপ হামলার প্রতিবাদে ও নৌমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ৫ আগস্ট ধানমন্ডিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মিছিল করে। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিমানবন্দর এলাকায় সড়কে অবস্থান নেয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সকালে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং রাতে মশাল মিছিল করে সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি<ref group=note>জাবি শিক্ষার্থীদের ৮ দফা: কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা, পরিবহন শ্রমিকদের কর্মঘন্টা ও বেতন নির্ধারণ, নৌমন্ত্রীর অপসারণ, 'জাবালে নূর'-এর রোড পারমিট বাতিল, বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মৃত্যুর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড, জাতির কাছে ভুল স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা, হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা</ref> তুলে ধরে।
 
৬ আগস্ট ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ডিএসও সংগঠনের কর্মীরা আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে। এছাড়া বহির্বিশ্বে বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরাও বিক্ষোভসমাবেশ করেন। সর্বশেষ ৮ আগস্ট ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গ্রেপ্তারকৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তি চেয়ে ক্লাস বর্জন করে। এরপর আর কোনো বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।
 
===৯ দফা দাবী===
[[চিত্র:নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের অবস্থান.jpg|alt=নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের অবস্থান|থাম্ব|নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের অবস্থান।]]
এরপর ১ আগস্ট থেকে আন্দোলন ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।<ref>{{Cite news |url=https://www.thedailystar.net/country/safe-roads-demand-of-students-protest-spreads-outside-dhaka-bangladesh-1614331 |title=Protest spreads outside Dhaka |date=1 August 2018 |work=The Daily Star|access-date=2 August 2018 |language=en}}</ref> আন্দোলনকারী ছাত্ররা, যাদের অধিকাংশেরই বয়স ছিল ১৩ থেকে ১৯, শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে গাড়ি আটকে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে কিনা তা চেক করে।<ref name=":3" /><ref>{{Cite news |url=http://www.newindianexpress.com/world/2018/aug/01/dhaka-school-students-take-to-streets-to-protest-against-bus-killings-1851745.html |title=Dhaka school students take to streets to protest against bus killings |work=The New Indian Express|access-date=4 August 2018}}</ref><ref name=":9">{{Cite web|url=http://www.theguardian.com/world/2018/aug/03/teenagers-bring-parts-of-bangladesh-to-a-halt-with-bus-death-protests|title=Teenagers bring parts of Bangladesh to a halt with bus death protests|last=France-Presse|first=Agence|date=3 August 2018|website=the Guardian|language=en|access-date=5 August 2018}}</ref> নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলোও আন্দোলনের সাথে সংহতি জানান।<ref name="nagorik">{{Cite news |url=http://www.theindependentbd.com/post/160741 |title=People stand in solidarity with students’ protests |last=Independent |first=The |work=People stand in solidarity with students’ protests {{!}} theindependentbd.com|access-date=4 August 2018}}</ref><ref>{{Cite news |url=https://www.thedailystar.net/city/guardians-join-protesting-students-demand-safe-road-in-dhaka-bangladesh-1614931 |title=Guardians express solidarity with protesting students |date=2 August 2018 |work=The Daily Star|access-date=4 August 2018 |language=en}}</ref> ২ আগস্ট সরকার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও<ref name=":8">{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/schools-colleges-shut-tomorrow-education-ministry-nurul-islam-nahid-1614484|title=Schools, colleges shut tomorrow: Ministry|date=1 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref> ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, নোয়াখালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bdmorning.com/desh/417343/ |শিরোনাম=চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘাতক চালকের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ |তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=বিডিমর্নিং |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮}}</ref> বান্দরবান,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.currentnews.com.bd/bn/news/382293 |শিরোনাম=বান্দরবানে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা |তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=কারেন্ট নিউজ ডট কম |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮}}</ref>  মৌলভিবাজার, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ প্রভৃতি প্রধান প্রধান জেলাগুলোতে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আসে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1545541/‘উই-ওয়ান্ট-জাস্টিস’ |শিরোনাম=‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ |তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে অবস্থান নিয়ে লাইসেন্স চেকের পাশাপাশি রাস্তায় পথচারী-যাত্রীদের ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করে এবং গাড়িগুলো লেন অনুসারে পরিচালনা করে এবং অ্যাম্বুলেন্স/অগ্নিনির্বাপক-গাড়ির জন্য ইমার্জেন্সি লেন তৈরি করে। ঢাকায় মিরপুর ১৪-তে পুলিশ ও কিছু যুবক লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা করে এবং ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে বাধা দেয়।<ref group=note> ২রা আগস্ট বিকালে মিরপুর ১৪-তে আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে থাকা ইউনিফর্মবিহীন কিছু তরুণ সেখানকার পুলিশ লাইনে ঢিল ছোঁড়ে এবং গেটে ভাঙচুর করে; এরপর পুলিশ এবং তাদের সাথে লাঠিসোটা নিয়ে একদল যুবক ছাত্রদের ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে; এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা সেসবের ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে গেলে বাধা দেয়।</ref>
শিক্ষার্থীরা নৌমন্ত্রীর পদত্যাগের<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1544876/গাজীপুরে-শিক্ষার্থীদের-বিক্ষোভ-সড়ক-অবরোধ |শিরোনাম=গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ |তারিখ=১ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> পাশাপাশি সড়কে নিরাপত্তার জন্যে সরকারের কাছে ৯টি দাবি তুলে ধরে:<ref name="বিডিনি৩">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.banglanews24.com/national/news/bd/666859.details |শিরোনাম=৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম |তারিখ=৩০ জুলাই ২০১৮ |সংবাদপত্র=বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮}}</ref><ref name="দৈযু১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.jugantor.com/capital/76138/কী-আছে-শিক্ষার্থীদের-৯-দফা-দাবিতে |শিরোনাম=কী আছে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে? |তারিখ=১ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=দৈনিক যুগান্তর |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮}}</ref>
 
# গতিতে গাড়ি চালিয়ে দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য দায়ী চালককে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
# দুর্ঘটনার পর করা নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
# শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে।
# প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিডব্রেকার দিতে হবে।
# সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
# শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে।
# শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
# ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না।
# বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।
 
বিশেষজ্ঞরা বলেন যে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং এগুলো প্রকৃতপক্ষে নাগরিক অধিকার। তবে ৬ নং দফা অনুসারে যেকোনো স্থানে সিগন্যাল দিয়ে বাস থামালে আরো যানজট বাড়াতে পারে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে তাদের জন্য নির্দিষ্ট স্টপেজে বাস থামানোর কথাই বুঝিয়েছে বলে জানায়।
 
==শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও ধরপাকড়==
আন্দোলন চলাকালীন সরকারের সমর্থকগণ, যারা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন [[বাংলাদেশ ছাত্রলীগ]], [[যুবলীগ]] ও শ্রমিকলীগের কর্মী বলে অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করে এবং প্রায় ১১৫ জন শিক্ষার্থী ও ১৫ জন সাংবাদিক আহত হন।<ref name=":0">{{Cite web |url=https://www.washingtonpost.com/world/asia_pacific/mass-protests-over-traffic-deaths-paralyze-dhaka-for-5-days/2018/08/03/3661f818-9780-11e8-818b-e9b7348cd87d_story.html |title=Scores injured in traffic protests in Bangladesh capital |website=Washington Post |language=en|access-date=4 August 2018}}</ref><ref>{{Cite news|url=https://www.rappler.com/world/regions/south-central-asia/208845-bangladesh-teens-road-safety-protest|title=115 students injured in clashes as Bangladesh teen protests turn violent|work=Rappler|access-date=4 August 2018|language=en}}</ref><ref>{{Cite web|url=https://www.aljazeera.com/news/2018/08/dozens-students-injured-bangladesh-road-safety-protests-180804153224074.html|title=Dozens of students injured in Bangladesh road safety protests|website=www.aljazeera.com|access-date=5 August 2018}}</ref> প্রথমদিকে ছাত্রলীগ আন্দোলনে সমর্থন জানায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1546931/শাহবাগে-শিক্ষার্থীদের-সঙ্গে-ছাত্রলীগের-সংহতি |শিরোনাম=শাহবাগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংহতি |তারিখ=4 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=প্রথম আলো |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=4 জানুয়ারি 2019}}</ref> কোনো কোনো জেলায় ছাত্রলীগকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে রাস্তায় নেমে সংহতি প্রকাশ করে<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.channelionline.com/নিরাপদ-সড়কের-দাবিতে-ঢাবি/ |শিরোনাম=নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাবিতে ছাত্রলীগের মৌন মিছিল |তারিখ=2 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=channelionline.com |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.priyo.com/articles/201808051219-shabita-strikes-in-protest-against-attacks-on-students |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=Priyo.com |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref> ও আলোচনার চেষ্টা চালায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://samakal.com/todays-print-edition/tp-last-page/article/1808969/চকলেট-দিয়ে-ছাত্রলীগ-নেতারা-পেলেন-চিপস |শিরোনাম=চকলেট দিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা পেলেন চিপস |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[সমকাল]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৯}}</ref> ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বোঝানোর দায়িত্ব দেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.bd-pratidin.com/national/2018/08/01/349802 |শিরোনাম=আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের 'বোঝাতে' ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী |তারিখ=1 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=বাংলাদেশ প্রতিদিন |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=4 জানুয়ারি 2019}}</ref> পরে ২ আগস্ট থেকে ক্রমাগতভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হেলমেট পরে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া যায়; গণমাধ্যমে তাদেরকে 'হেলমেটবাহিনী' বলে আখ্যায়িত করা হতে থাকে। অন্যদিকে পুলিশের মুখপাত্রগণ শিক্ষার্থীদেরকে রাস্তা ছেড়ে যেতে আহ্বান করে। দুর্ঘটনার পরদিন থেকে জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে তারা সাঁজোয়া যান ও জলকামান নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে এবং তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি চালায়; প্রায় একশত আন্দোলনকারী গ্রেপ্তার হয়। তবে সরকারি দলের কর্মীরা পুলিশের সাথে থেকে আক্রমণ চালালেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত থাকে।<ref name=":47"></ref>
 
২রা আগস্ট পুলিশের বৈঠকে আন্দোলন সামলাতে সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1546836/আন্দোলন-নিয়ন্ত্রণে-ছাত্রনেতাদের-সঙ্গে-চায়-পুলিশ |শিরোনাম=আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে চায় পুলিশ |তারিখ=4 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> সেদিন মিরপুরের সংঘর্ষে<ref group=note>২রা আগস্ট বিকালে মিরপুর ১৪-তে আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে থাকা ইউনিফর্মবিহীন কিছু তরুণ সেখানকার পুলিশ লাইনে ঢিল ছোঁড়ে এবং গেটে ভাঙচুর করে; এরপর পুলিশ এবং তাদের সাথে লাঠিসোটা নিয়ে একদল যুবক ছাত্রদের ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে; এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা সেসবের ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে গেলে বাধা দেয়।</ref> পুলিশের পাশাপাশি হেলমেটপরা ও লাঠিসোটাসজ্জিত যুবকেরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে এবং ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে বাধা দেয়। ৩ আগস্ট ধানমন্ডিতে আন্দোলনের ভিডিও ধারণ করায় কিছু দুর্বৃত্ত অনলাইন সংবাদমাধ্যম প্রিয় ডটকমের সাংবাদিক প্রদীপ দাসকে মারধোর করে এবং পরে প্রিয় ডটকমের অফিসে ভাঙচুর করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://www.jugantor.com/national/76831/শিক্ষার্থীদের-ওপর-হামলার-ভিডিও-করায়-প্রিয়.কমের-অফিসে-হামলা |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ভিডিও করায় প্রিয়.কমের অফিসে হামলা |তারিখ=3 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=যুগান্তর |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.dailynayadiganta.com/more-news/338533/শিক্ষার্থীদের-ওপর-হামলার-ভিডিও-করায়-প্রিয়-ডট-কমের-অফিসে-হামলা |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ভিডিও করায় প্রিয় ডট কমের অফিসে হামলা |তারিখ=4 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=নয়াদিগন্ত |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref>
 
৪ আগস্ট জিগাতলায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী এবং পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে প্রায় শখানেক ছাত্রছাত্রী আহত হয়।<ref group=note>৪ আগস্ট সকাল থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা জিগাতলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। দুপুরে খবর ছড়ায় যে সেখানে তারা ছাত্রছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করেছে এবং কয়েকজনকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও খুন করেছে; এ খবরে অন্যান্য স্থান থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা গিয়ে সেখানে জড়ো হলে ছাত্রলীগ কর্মীরা, যাদের বড় অংশ ছিল হেলমেট-পরিহিত ও লাঠি, রামদা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত, ছাত্রদের ধাওয়া দেয়, এক যুবককে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়, এবং ছাত্রদের থেকে পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। পরে পুলিশ ছাত্রদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। সন্ধ্যায় ছাত্রদের একটি দল পুলিশসহ আওয়ামী দীগ কার্যালয় ঘুরে দেখে জানায় ধর্ষণ-খুন বা চোখ তুলে ফেলার খবর অসত্য। সারাদিনে সংঘর্ষে আহত ছাত্রদের মধ্যে ৪০-৪৫ জন নিকটস্থ একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। আওয়ামী লীগ তাদের ১৭ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে জানায়।</ref> এছাড়া নারায়ণগঞ্জ, ফেনী ও ঢাকার মিরপুরেও তারা আন্দোলনরত কয়েকশো শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে।<ref name="jigatola"></ref> জিগাতলায় ছাত্রলীগ কর্মীরা [[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]] সংবাদপত্রের ৩ জন সাংবাদিককে পেটায় এবং একজন নারী সাংবাদিকের শ্লীলতাহানি করে।<ref name=":4">{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/frontpage/2-the-daily-star-journalists-assaulted-1616086|title=4 Daily Star journalists assaulted|date=5 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref> স্থানীয় অন্যান্য সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন যে তাদের ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে,<ref name=":5">{{Cite news|url=https://www.bbc.co.uk/news/world-asia-45069935|title=Bangladesh teens attacked during protest|date=4 August 2018|work=BBC News|access-date=4 August 2018|language=en-GB}}</ref> মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে<ref name=":4" /> এবং চলমান সহিংসতার ভিডিও ফোন থেকে মুছে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে।<ref name="jigatola">{{Cite news|url=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547396/ঝিগাতলা-মিরপুরসহ-সারা-দেশে-গতকাল-যা-ঘটেছিল|title=জিগাতলা, মিরপুরসহ সারা দেশে যা ঘটেছিল|work=প্রথম আলো|access-date=5 August 2018|language=bn}}</ref>
 
পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও ব্যাটন ব্যবহার করে এবং অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়।<ref name="auto">{{Citation|last=(www.dw.com)|first=Deutsche Welle|title=Bangladesh students injured as police clash with road safety protesters {{!}} DW {{!}} 4 August 2018|url=https://www.dw.com/en/bangladesh-students-injured-as-police-clash-with-road-safety-protesters/a-44953829|language=en|access-date=4 August 2018}}</ref><ref name=":6">{{Cite news|url=https://www.ctvnews.ca/world/many-injured-as-police-protesters-clash-in-bangladesh-1.4040839|title=Many injured as police, protesters clash in Bangladesh|last=Alam|first=Julhas|date=4 August 2018|work=CTVNews|access-date=5 August 2018|language=en-CA}}</ref> তবে পুলিশ এবং সড়কমন্ত্রী [[ওবায়দুল কাদের]] আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।<ref name="auto" /> আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষনেতা বলেন যে কিছু সন্ত্রাসী স্কুল ইউনিফর্ম পরে সহিংস কাজ করছে; তবে তিনি প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন।<ref name=":6" /> সেদিন রাতে মোটরসাইকেল-আরোহী একদল সশস্ত্র লোক বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা করে; তবে কেউ হতাহত হননি।।<ref name=":10">{{Cite news|url=https://www.nytimes.com/aponline/2018/08/05/world/asia/ap-as-bangladesh-transportation-chaos.html|title=Student Protests Surge in Bangladesh Capital|access-date=6 August 2018|language=en}}</ref> এরপর তারা নাগরিক সংগঠন 'সুজন'-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতেও আক্রমণ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547376/সুজন-সম্পাদক-বদিউল-আলম-মজুমদারের-বাড়িতে-রাতে-হামলা |শিরোনাম=সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতে রাতে হামলা |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref>
 
৫ আগস্ট ধানমন্ডিতে পুলিশ ও তাদের সাথে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে।<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/bangla/শীর্ষ-খবর/জিগাতলায়-শিক্ষার্থীদের-ওপর-কাঁদানে-গ্যাস-96385|title=জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস|date=5 August 2018|work=দ্যা ডেইলি স্টার বাংলা|access-date=5 August 2018|language=bn}}</ref> ছাত্রলীগকর্মীদের হাতে বৃদ্ধ ও নারী পথচারীসহ প্রায় 30 জন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন, যার মধ্য [[অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস]], দৈনিক বণিক বার্তা ও [[যুগান্তর|যুগান্তরের]] ফটোজার্নালিস্টসহ একজন ফ্রিল্যান্স ফটোজার্নালিস্টও ছিলেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547791/সাংবাদিকদের-বেধড়ক-মার |শিরোনাম=সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref name=":15">{{Cite news|url=https://www.dhakatribune.com/bangladesh/crime/2018/08/13/igp-db-working-to-identify-attackers-of-journalists|title=IGP: DB working to identify the attackers of journalists|date=2018-08-13|work=Dhaka Tribune|access-date=2018-08-13|language=en-US}}</ref><ref name=":10" /> আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের ঠেকানোর কোনো চেষ্টা না করে শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।<ref name=":15" /><ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/5-photojournalists-hurt-in-bcl-men-attack-science-lab-dhaka-student-protest-for-safe-roads-1616251|title=5 photojournalists hurt in ‘BCL attack’|date=5 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref> হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং হুমকি দেয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/students-take-streets-science-lab-intersection-dhaka-safe-roads-demand-contal-traffic-for-8th-day-1616215|title=Several hurt as AL men attack protesters|date=5 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547816/ধানমন্ডিতে-দু-ঘণ্টার-‘ঝড়ে’-আহত-অর্ধশত |শিরোনাম=ধানমন্ডিতে দুই ঘণ্টার ‘ঝড়ে’ আহত অর্ধশত |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1548116/হাম |শিরোনাম=হামলায় ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতা–কর্মী অংশ নেন |তারিখ=6 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref name="police">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1567238/নয়াপল্টনে-পুলিশ-সফল-ধানমন্ডিতে-নীরব?fbclid=IwAR1hY9BnGW_C0bWjiR17fqD5heAgcJJkFWt2rBxkVv1ouUyn6SDhXLoT_qk |শিরোনাম=নয়াপল্টনে পুলিশ সফল ধানমন্ডিতে নীরব |তারিখ= 28 নভেম্বর ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref>
 
[[File:Shahidul Alam May 2009 Malaysia.jpg|thumb|259x259px|আল জাজিরাতে আন্দোলন নিয়ে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর আলোকচিত্রী [[শহিদুল আলম|শহিদুল আলমকে]] গ্রেপ্তার করা হয়।]]
৫ আগস্ট আলোকচিত্রী [[শহিদুল আলম]] চলমান আন্দোলন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা [[আল জাজিরা|আল জাজিরাতে]] সাক্ষাৎকার দেয়ার পর সেদিন রাতে সাদাপোশাকের পুলিশ তাকে আটক করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়;<ref>{{Cite news|url=https://www.reuters.com/article/us-bangladesh-protests/bangladesh-considers-capital-punishment-for-traffic-accident-deaths-idUSKBN1KR0HJ|title=Bangladesh protests spur cabinet to toughen punishment for traffic...|last=Paul|first=Ruma|work=U.S.|access-date=8 August 2018|language=en-US}}</ref><ref>{{Cite web|url=http://www.theguardian.com/world/2018/aug/06/famed-bangladeshi-photographer-held-over-road-protest-comments|title=Photographer charged as police crackdown in Bangladesh intensifies|last=Safi|first=Michael|date=6 August 2018|website=the Guardian|language=en|access-date=8 August 2018}}</ref><ref>{{Cite web|url=https://www.theartnewspaper.com/news/arts-and-human-rights-organisations-denounce-police-treatment-of-bangladesh-photographer-shahidul-alam|title=Arts and human rights organisations denounce arrest of Bangladeshi photographer Shahidul Alam|website=www.theartnewspaper.com|access-date=8 August 2018}}</ref> পরদিন তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় "গণমাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচারের" অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং তাকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। শহিদুল আদালতে বলেন যে তাকে রিমান্ডে মারধোর করা হয়েছে।<ref>{{Cite web|url=https://www.dw.com/en/bangladesh-arrests-top-photographer-amid-student-protests/a-44972531|title=Bangladesh arrests top photographer amid student protests|date=6 August 2018|website=Deutsche Welle|language=en|access-date=7 August 2018}}</ref><ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/whereabouts-shahidul-alam-still-unknown-family-1616650|title='Tortured in custody'|date=7 August 2018|work=The Daily Star|access-date=7 August 2018|language=en}}</ref> আদালত তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন।<ref>{{Cite news|url=https://www.dhakatribune.com/bangladesh/court/2018/08/07/high-court-halts-shahidul-alam-s-remand/|title=High Court halts Shahidul Alam’s remand|date=7 August 2018|work=Dhaka Tribune|access-date=7 August 2018|language=en-US}}</ref><ref>https://www.thedailystar.net/news/city/jail-authorities-asked-to-admit-photographer-shahidul-alam-bsmmu-for-treatment-1617196</ref> ৮ আগস্ট শহিদুলকে হাসপাতালে চেকআপ করিয়ে এনে<ref>{{cite web|url=https://bdnews24.com/bangladesh/2018/08/08/photographer-and-activist-shahidul-alam-taken-to-hospital|title=Photographer and activist Shahidul Alam taken to hospital|publisher=}}</ref> আবার পুলিশ হেফাজতে কারাগারে নেয়া হয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/news/city/bangladeshi-photographer-shahidul-alam-taken-to-bsmmu-dhaka-1617601|title=Shahidul Alam taken back to police custody|date=2018-08-09|work=The Daily Star|access-date=2018-08-10|language=en}}</ref> প্রায় সাড়ে তিনমাস কারাভোগের পর ২০ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1566051/শহিদুল-আলম-মুক্ত |শিরোনাম=শহিদুল আলম মুক্ত |তারিখ=20 নভেম্বর 2018 |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=27 ডিসেম্বর 2018}}</ref>
 
৬ আগস্ট [[নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়|নর্থ সাউথ]], [[ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ|ইন্ডিপেন্ডেন্ট]], ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে; অন্যূন ৪০ ছাত্র আহত ও শতাধিক জনকে আটক করা হয়, তন্মধ্যে ২২ জনকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।<ref group=note>৬ আগস্ট নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং ও হেলমেট-পরা যুবকেরা হামলা করে; পুলিশ জলকামান ও সাঁজোয়া যানসহ ধাওয়া করে, কয়েকশো কাঁদানে গ্যাস শেল ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে এবং লাঠিপেটা করে। নিকটস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে নর্থ সাউথের ৪০ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নেয়; কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।</ref><ref>{{Cite news|url=http://unb.com.bd/bangladesh-news/EW-NSU-students-clash-with-cops-attackers/77143|title=Aftabnagar, Bashundhara turn volatile amid attacks on students|last=News|first=United|work=unb.com.bd|access-date=6 August 2018|language=en-US}}</ref><ref>{{Cite news|url=https://www.kansascity.com/news/nation-world/article216150300.html|title=Violence continues in Bangladesh capital as students protest|work=kansascity|access-date=6 August 2018|language=en}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1548176/ইস্ট-ওয়েস্টের-শিক্ষার্থীদের-সঙ্গে-পুলিশের |শিরোনাম=ইস্ট ওয়েস্টের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া |তারিখ=6 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ১১ জনকে আটক করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://www.jugantor.com/campus/77740/আহছানউল্লাহ-ইউনিভার্সিটিতে-বিক্ষোভ-১১-শিক্ষার্থী-আটক |শিরোনাম=আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ, ১১ শিক্ষার্থী আটক |তারিখ=6 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=[[দৈনিক যুগান্তর]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref>
 
৬ আগস্ট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী দাবি করেন যে "ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ কাউকে নখের আঁচড়ও মারেনি।"<ref>{{Cite news|url=https://samakal.com/politics/article/1808308/কাউকে-নখের-আঁচড়ও-মারেনি’?fbclid=IwAR24u5WsxZ0d2cysnL6UKBOvL7kOdwIoPDerGTMzhrFBn3w71keZXiCnoRw |title=ছাত্রলীগ কাউকে নখের আঁচড়ও মারেনি |date=6 August 2018 |work=সমকাল |access-date=29 December 2018 |language=en}}</ref> তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্ট অস্ত্রসজ্জিত স্কুলড্রেস-পরিহিতরাই ছাত্রলীগের ওপর আক্রমণ করে; ছাত্রদের ব্যাগে পাথর ও রিভলবার ছিল; এবং সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী আহত হয়েছেন।<ref>{{Cite news|url=https://www.dailyinqilab.com/article/146318/ছাত্রলীগ-কাউকে-নখের-আঁচড়ও-মারেনি-গোলাম-রাব্বানী |title=ছাত্রলীগ কাউকে নখের আঁচড়ও মারেনি : গোলাম রাব্বানী |date=8 August 2018 |work=ইনকিলাব |access-date=29 December 2018 |language=en}}</ref><ref>{{Cite news|url=https://www.jugantor.com/politics/79977/ছাত্রলীগ-মিডিয়া-সন্ত্রাসের-শিকার-সাধারণ-সম্পাদক-[ভিডিও] |title=ছাত্রলীগ মিডিয়া সন্ত্রাসের শিকার: সাধারণ সম্পাদক [ভিডিও] |date=12 August 2018 |work=যুগান্তর |access-date=29 December 2018 |language=en}}</ref>
 
১০ আগস্ট পুলিশপ্রধান [[মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী|জাবেদ পাটোয়ারী]] "ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ সহনশীল ছিল" এবং আন্দোলনে উসকানিদাতা ও অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানান।<ref>{{Cite news|url=http://archive1.ittefaq.com.bd/print-edition/last-page/2018/08/11/294620.html |title=ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে :আইজিপি |date=11 August 2018 |work=ইত্তেফাক |access-date=29 December 2018 |language=en}}</ref> পুলিশ আন্দোলনকারী এবং আন্দোলনে সহায়তা, সহিংসতা, উসকানি, খাবার সরবরাহ, গাড়ি ভাঙচুর, অপপ্রচার প্রভৃতি অভিযোগে ৫১টি মামলায় শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীসহ ৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।<ref>{{Cite news|url=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1553805/ছাত্র-আন্দোলনে-উসকানি-৫১-মামলায়-গ্রেপ্তার-৯৭ |title=ছাত্র আন্দোলনে উসকানি, ৫১ মামলায় গ্রেপ্তার ৯৭ |date=15 August 2018|work=প্রথম আলো|access-date=30 December 2018|language=bn}}</ref> মামলাগুলোতে প্রায় ৫০০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।<ref>{{Cite news|url=http://www.newagebd.net/article/48495/100-students-arrested-5000-unnamed-prosecuted-in-52-cases-in-dhaka?fbclid=IwAR1nFoGyBBbO0Kiegi3LSx1xh5-85V66hk551UZ9dYxxsrj93ZORw59Vkgo |title=100 students arrested, 5,000 unnamed prosecuted in 52 cases in Dhaka |date=15 August 2018 |work=Newagebd.net |access-date=30 December 2018}}</ref> এছাড়া শাহবাগ ও তেজগাঁওয়ে ৮৮ জন শিক্ষার্থীকে আটকের পর আন্দোলনকারীরা থানা ঘেরাও করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/78179/থানা-ঘেরাও-চাপে-মুক্ত-৮৮-শিক্ষার্থী?fbclid=IwAR0BSxG7TehheTPMeg7nOmB2XH9mW38QWpcFX906r5Mp3RUYLp_3yckWaPc |title=থানা ঘেরাও, চাপে মুক্ত ৮৮ শিক্ষার্থী |date=8 August 2018|work=যুগান্তর |access-date=30 December 2018|language=bn}}</ref> তবে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।<ref name=":47">{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/news/city/22-private-university-students-remanded-for-vandalism-attacks-on-police-1617301|title=Students sued, not attackers|date=8 August 2018|work=The Daily Star|access-date=9 August 2018|language=en}}</ref><ref name="police"></ref> ২৩শে আগস্ট পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫১ জন জামিনে মুক্ত হন।<ref>{{Cite news|url=https://www.bbc.com/bengali/news-45288499 |title=বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক আন্দোলন: শিক্ষার্থীরা মুক্তি পেলেও মামলা থাকায় শঙ্কা |date=23 August 2018|work=বিবিসি বাংলা|access-date=30 December 2018|language=bn}}</ref>
 
==প্রতিক্রিয়া==
===সরকার ও কর্তৃপক্ষ===
২রা আগস্ট প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় আন্দোলন বন্ধ করে স্কুলে ফিরে যেতে অনুরোধ করেছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী [[আসাদুজ্জামান খান কামাল]]।<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/politics/pm-sheikh-hasina-calls-safe-roads-demanding-students-return-their-classes-home-minister-1615027|title=PM calls upon students to return to their classes: Kamal |date=2 August 2018|work=The Daily Star|access-date=4 August 2018 |language=en}}</ref> ৫ আগস্ট গণভবনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেন এবং অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547511/যাচাই-না-করে-বিশ্বাস-করবেন-না-প্রধানমন্ত্রী |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের নিয়ে শঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী |তারিখ=5 আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{Cite news|url=https://www.bbc.com/bengali/news-45076780 |title=বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা |work=bbc.com |access-date=5 August 2018 |language=bn}}</ref> পরে ৬ আগস্ট মন্ত্রিসভায় তিনি "শিক্ষার্থীরা কোনো আন্দোলনই করতে পারেনি" বলে মন্তব্য করেন। "আন্দোলন মানে রোদে পুড়বে, বৃষ্টিতে ভিজবে। (এই আন্দোলনে) এমন কিছু ঘটেনি" বলে মন্ত্রীদেরকে তিনি বিচলিত না হতে আহ্বান করেন।<ref>{{Cite news|url=http://www.dailynayadiganta.com/politics/339261/ফেসবুক-একটা-সমস্যাই-প্রধানমন্ত্রী |title=ফেসবুক একটা সমস্যাই: প্রধানমন্ত্রী|work=নয়াদিগন্ত|access-date=6 August 2018|language=bn}}</ref>
 
২ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।<ref name=":3" /><ref name=":7">{{Cite news |url=https://bdnews24.com/bangladesh/2018/08/02/students-continue-street-protests-for-fifth-day |title=Students continue street protests for fifth day|access-date=2 August 2018}}</ref> শিক্ষামন্ত্রী [[নুরুল ইসলাম নাহিদ]] বলেন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাজনিত কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।<ref name=":8">{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/schools-colleges-shut-tomorrow-education-ministry-nurul-islam-nahid-1614484|title=Schools, colleges shut tomorrow: Ministry|date=1 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref> [[ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ|ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের]] সাইবার ক্রাইম ইউনিট ২৯ ব্যক্তি ও নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে আন্দোলন সম্পর্কিত খবর ও মিডিয়া প্রচারের অভিযোগে মামলা করে।<ref>{{Cite news|url=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547311/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%93-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9C|title=আন্দোলনে উসকানির অভিযোগে পুলিশের মামলা|work=প্রথম আলো|access-date=10 August 2018|language=bn}}</ref> বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল [[একাত্তর টিভি]] ও নিউজ২৪ ছাত্র আন্দোলনের খবর ও ভিডিও সম্প্রচারের পর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।<ref>{{Cite news|url=https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1526219.bdnews |title=টেলিভিশনগুলোকে সরকারের সতর্কতা |work=Bdnews24.com |date=4 August 2018 |access-date=7 January 2019}}</ref>
 
৩ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকে বাসদুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা করে অনুদান এবং শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজকে ৫টি স্কুলবাস দেয়া হয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/city/families-road-crash-victims-meet-pm-receive-financial-assistance-1614913|title=Dia's father urges students to go home|date=3 August 2018|work=The Daily Star|access-date=5 August 2018|language=en}}</ref>
 
৪ আগস্ট সরকার ২৪ ঘন্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেট অ্যাকসেস বন্ধ রাখে।<ref name=":5" /> ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদেরকে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে ১.২৮ কিলোবাইট/সেকেন্ড করার আদেশ দেয়া হয় যাতে ইন্টারনেটে কোনো ছবি বা ভিডিও আপলোড না করা যায়।<ref>{{Cite news|url=https://bdnews24.com/bangladesh/2018/08/04/authorities-slow-mobile-internet-to-quell-student-protests|title=Authorities slow mobile internet to quell student protests|access-date=10 August 2018}}</ref>  তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী [[মোস্তাফা জব্বার]] বলেন ফেসবুক রাষ্ট্রকে বিপন্ন করলে রাষ্ট্রকে বাঁচাতে এরূপ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা "সীমা অতিক্রম করলে" পুলিশ "কঠোর ব্যবস্থা" নেবে।<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/country/action-to-student-movement-in-bangladesh-if-limit-crossed-home-minister-asaduzzaman-kamal-1616281|title=Action if limit crossed: Home minister|date=5 August 2018|work=The Daily Star|access-date=6 August 2018|language=en}}</ref>
 
৫ আগস্ট কতৃপক্ষ আবার মোবাইলের [[৩জি]] ও [[৪জি]] নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখে, ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাময়িক ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.voanews.com/a/bangladesh-cuts-mobile-internet-to-quell-road-safety-protests/4514296.html|title=Bangladesh Cuts Mobile Internet in Road Safety Protests|last=AFP|work=VOA|access-date=6 August 2018|language=en}}</ref> বিক্ষোভ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, ধৈর্যের সীমা ছাড়ালে কাকে ছাড় দেয়া হবে না।<ref>{{Cite news|url=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547631/ধৈর্যের-সীমা-ছাড়ালে-কাউকে-ছাড়-নয় |title=ধৈর্যের সীমা ছাড়ালে কাউকে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী |work=প্রথম আলো |access-date=5 August 2018|language=bn}}</ref>
 
৬ আগস্ট, মন্ত্রীসভায় নতুন ট্রাফিক আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়, যেটাতে মোটরযান দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষ হত্যা করলে মৃত্যুদণ্ড এবং বেপরোয়াভাবে চালিয়ে হত্যা করলে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.independent.co.uk/news/world/asia/bangladesh-dhaka-protests-road-killings-death-penalty-a8478966.html|title=Bangladesh may introduce death penalty for accidental road killings|work=The Independent|access-date=6 August 2018|language=en-GB}}</ref><ref>{{Cite news|url=http://www.arabnews.com/node/1352131/world|title=Bangladesh approves new road safety law to placate protesters|date=6 August 2018|work=Arab News|access-date=8 August 2018|language=en}}</ref> ১৯ সেপ্টেম্বর আইনটি সংসদে পাশ হয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.jugantor.com/national/92357/৫-বছর-কারাদণ্ড-বহাল-রেখে-সড়ক-পরিবহন-বিল-পাস |title=৫ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে সড়ক পরিবহন বিল পাস |date=19 September 2018|work=যুগান্তর|access-date=30 December 2018|language=bn}}</ref>
 
৮ আগস্ট বাসমালিকেরা চালকদের মাসিক চুক্তিতে কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা দেন এবং ১ সেপ্টেম্বর থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানান।<ref>{{Cite news|url=https://www.dhakatribune.com/bangladesh/dhaka/2018/08/08/bus-owners-to-put-contract-drivers-on-monthly-payroll-instead|title=Bus owners to put contract drivers on monthly payroll instead|date=8 August 2018|work=Dhaka Tribune|access-date=10 August 2018|language=en-US}}</ref> তবে তারা প্রাথমিক উদ্যোগ নিলেও পরে আর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেননি।<ref>{{Cite news|url=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1562364/বাস-চলছে-চুক্তিতে-রেষারেষি-থামেনি |title=বাস চলছে চুক্তিতে রেষারেষি থামেনি |date=23 October 2018 |work=প্রথম আলো |access-date=30 December 2018 |language=bn}}</ref>
 
===অন্যান্য ক্ষেত্র===
১ আগস্ট বাস-ট্রাকচালক ও হেলপার তথা পরিবহণ-শ্রমিকরা শিক্ষার্থীদের দ্বারা গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে; টঙ্গীতে এক ছাত্র তাদের মারপিটের শিকার হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1544656/শ্রমিকদের-ঢাকা-চট্টগ্রাম-মহাসড়ক-অবরোধ |শিরোনাম=শ্রমিকদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, শিক্ষার্থীদের মারধর |তারিখ=১ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> শ্রমিকরা ২-৫ আগস্ট অঘোষিত ধর্মঘট করে দেশের সকল দূরপাল্লার বাস এবং অনেকাংশে অন্তঃনগর বাস পরিষেবাও বন্ধ রাখে। পরিবহণমালিক সমিতি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সাথে সমর্থন জ্ঞাপন করলেও শ্রমিকদের নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত বাস চলবে না বলে জানায়; পরে ৬ আগস্ট থেকে আবার বাস চলাচল শুরু হয়। সেদিন মন্ত্রীসভায় নতুন সড়ক পরিবহণ আইন অনুমোদন হলে ক্ষুব্ধ পরিবহণশ্রমিকরা ৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর করে।
 
[[চিত্র:A boy in the protest.jpg|alt=“স্কুলড্রেসে রক্ত কেন?”|থাম্ব|“স্কুলড্রেসে রক্ত কেন?” লেখাযুক্ত প্ল্যাকার্ড হাতে একটি শিশু]]
নাগরিক সমাজ এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ সাধারণভাবে আন্দোলন সমর্থন করেন এবং ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের সাথে রাস্তায় নামেন।<ref name="nagorik"></ref> অনেক অভিভাবক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের জন্য শুকনো খাবার ও পানি নিয়ে আসেন। ৩ আগস্ট সড়কমন্ত্রী এবং পরদিন ডিএমপি কমিশনার জানান যারা খাবার সরবরাহ করেছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
 
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন [[১৪ দলীয় জোট|১৪ দলীয় জোটের]] নেতারা আন্দোলন সমর্থন ও সহানুভূতি জানিয়ে ছাত্রদের ঘরে ফেরার আহ্বান করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/76886/শাজাহান-খান-আন্দোলনকে-উসকে-দিয়েছেন |শিরোনাম=শাজাহান খান আন্দোলন উসকে দিয়েছেন |তারিখ=4 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=যুগান্তর |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref> বিরোধীদল [[জাতীয় পার্টি (এরশাদ)|জাতীয় পার্টির]] প্রধান [[হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ|হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ]] ছাত্রলীগের হামলাকে "দুঃখজনক" বলে অভিহিত করেন এবং খুনি চালকের মৃত্যুদণ্ড চান। [[বিএনপি|বিএনপির]] মহাসচিব [[মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর|মির্জা ফখরুল ইসলাম]] সড়কে নৈরাজ্য বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় নৌমন্ত্রীর এবং পরে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। ৪ আগস্ট বিএনপির নেতা আমীর খসরু এক বিএনপি কর্মীকে আন্দোলনে যোগ দিতে নির্দেশ দেয়ার অডিও ফোনালাপ প্রাকাশিত হয় যেটাকে সরকার "ষড়যন্ত্র" বলে অভিহিত করে এবং তিন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা ও সেই কর্মী ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 
[[বাম গণতান্ত্রিক জোট]] ([[বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি|সিপিবি]], [[গণসংহতি আন্দোলন]], [[বাসদ]] ও অন্যান্য দল) নৌমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমর্থনে ৪ আগস্ট সংহতি সমাবেশ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://samakal.com/politics/article/1808159/দাবি-মেনে-সড়কে-নৈরাজ্য-দূর-করুন-বাম-জোট |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে সড়কে নৈরাজ্য দূর করুন: বাম জোট |তারিখ=3 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=সমকাল |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.jagonews24.com/politics/news/446410|শিরোনাম=আটক শিক্ষার্থীদের ঈদের আগেই মুক্তির দাবি |তারিখ=18 আগস্ট 2018 |ওয়েবসাইট=জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref> এছাড়া [[বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন]],<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.rtvonline.com/others/education/48124/সড়ক-দুর্ঘটনায়-নিহতদের-স্মরণে-ছাত্র-ইউনিয়নের-প্রদীপ-প্রজ্জ্বলন-শুক্রবার |শিরোনাম=সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ছাত্র ইউনিয়নের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শুক্রবার |তারিখ=2 আগস্ট 2018 |ওয়েবসাইট=আরটিভি অনলাইন |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref> কোটা সংস্কার আন্দোলন কমিটি, বিভিন্ন ইসলামী দলগুলোসহ অধিকাংশ প্রধান রাজনৈতিক দল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানায়, তাদের ওপর হামলার প্রতিবাদ করে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানায়। মানবাধিকার কমিশন, [[গণফোরাম]], সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ অন্যান্য নাগরিক সংগঠনগুলোও অনুরূপ সংহতি প্রকাশ করে।
 
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনেক অভিনেতা, নাট্যকার ও সংগীতশিল্পীরা আন্দোলনে সমর্থন জানান এবং কোনো কোনো স্থানে তারাও ছাত্রদের সাথে সড়কে অবস্থান নেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1544971/রাস্তায়-তারকারাও |শিরোনাম=রাস্তায় তারকারাও |তারিখ=১ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1545556/শিক্ষার্থীদের-সঙ্গে-একাত্ম-হয়ে-শুটিং-ফেলে-রাস্তায় |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে শুটিং ফেলে রাস্তায় |তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> কোনাল, [[ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান|সায়ান]]সহ আরো গায়কেরা পথে নেমে ছাত্রদের '[[চল চল চল]]' গেয়ে শোনান।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1545736/আমরা-পারিনি-তোমরা-করে-দেখিয়েছ |শিরোনাম=আমরা পারিনি, তোমরা করে দেখিয়েছ |তারিখ=২ আগস্ট ২০১৮ |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> আন্দোলনের সমর্থনে অনেক নতুন গানও লেখা হয়।
 
===আন্তর্জাতিক===
জাতিসংঘ বাংলাদেশে নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলনে শিশু ও তরুণদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।<ref name=":13">{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/backpage/un-worried-about-safety-children-1616560|title=UN concerned for students’ safety as safe-road protests simmer in Bangladesh|last=|first=|date=|work=|access-date=6 August 2018}}</ref> ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এক বিবৃতিতে আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার নিন্দা জানায়।.<ref>{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/politics/us-embassy-condemns-attacks-on-safe-road-demand-student-protesters-1616263|title=Safe roads: US embassy condemns attacks on student protesters|date=5 August 2018|work=The Daily Star|access-date=6 August 2018|language=en}}</ref> তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জাতিসংঘের বিবৃতিকে "অনভিপ্রেত" এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনীতিতে "নাক গলানোর চেষ্টা" করছে বলে মন্তব্য করেন।
 
লন্ডনভিত্তিক [[সেভ দি চিলড্রেন|সেভ দ্য চিলড্রেন]] সংস্থা সরকারকে আন্দোলনকারী ছাত্রদের দাবি মেনে নিতে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান করে।<ref>{{Cite news|url=https://bdnews24.com/bangladesh/2018/08/03/save-the-children-asks-bangladesh-govt-to-meet-student-protesters-demands|title=Save the Children asks Bangladesh govt to meet student protesters' demands|access-date=6 August 2018}}</ref> বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং শিক্ষার্থীদের সমাবেশ করার অধিকার ও বাকস্বাধীনতা খর্বকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানায়।<ref>{{Cite web|url=https://www.facebook.com/CanadaInBangladesh/posts/2144662199086199|title=High Commission of Canada to Bangladesh|website=www.facebook.com|language=en|access-date=2018-08-06}}</ref> এছাড়া [[অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল]] এক বিবৃতিতে সমাজকর্মী ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তি, আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর দমনপীড়ন বন্ধ এবং তাদের ওপর হামলার তদন্ত দাবি করে।<ref>{{Cite web|url=https://www.amnesty.org/en/latest/news/2018/08/bangladesh-release-photographer-end-violent-crackdown/?utm_source=twitter&utm_medium=quote&utm_term=U2hhaGlkdW&utm_campaign=social|title=Bangladesh: Release photographer and end violent crackdown on student protests|website=www.amnesty.org|language=en|access-date=2018-08-06}}</ref> লেখক ও সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন পেন ইন্টারন্যাশনাল শহিদুলের তাৎক্ষণিক মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দেয়।<ref>{{Cite news|url=https://pen-international.org/news/bangladesh-authorities-must-immediately-and-unconditionally-release-writer-and-photographer-shahidul-alam|title=PEN International — Bangladesh: authorities must immediately and unconditionally release…|date=2018-08-06|work=PEN International|access-date=2018-08-06|others=PEN International|language=en-US}}</ref> ভারতীয় লেখক [[অরুন্ধতী রায়]], কানাডীয় লেখক নাওমি ক্লেইন, মার্কিন লেখক-দার্শনিক [[নোয়াম চমস্কি]] এবং ভারতীয় বুদ্ধিজীবী বিজয় প্রসাদ প্রমুখ অবিলম্বে শহিদুল আলমকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দেন।<ref>{{Cite web|url=http://www.newagebd.net/article/48084/arundhati-chomsky-among-demand-release-of-shahidul-alam|title=Arundhati, Chomsky among others demand release of Shahidul Alam|website=New Age {{!}} The Outspoken Daily|language=en|access-date=2018-08-10}}</ref> রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডার্স সরকারকে আহ্বান জানায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সাথে সম্পৃক্ত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।<ref>{{Cite web|url=https://rsf.org/fr/actualites/bangladesh-plusieurs-reporters-attaques-le-photojournaliste-shahidul-alam-detenu-par-la-police|title=Bangladesh : plusieurs reporters attaqués, le photojournaliste Shahidul Alam détenu par la police {{!}} Reporters sans frontières|website=RSF|language=fr-FR|access-date=2018-08-07}}</ref> সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গট ওয়ালসট্রোম ঢাকায় সহিংস পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানান এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকারকে সম্মান জানানোর আহ্বান করেন। ৭ আগস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করে এবং সেসবের তদন্ত ও বিচার দাবি করে।<ref name=":14">{{Cite news|url=https://www.thedailystar.net/news/country/eu-voices-concern-over-violent-protests-1617133|title=Stop unlawful action against protestors: EU|date=2018-08-07|work=The Daily Star|access-date=2018-08-07|language=en}}</ref> নিউইয়র্ক-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন [[হিউম্যান রাইটস ওয়াচ]] আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর "বেআইনীভাবে আক্রমণ" এবং "শান্তিপূর্ণ সমালোচনার" কারণে লোকজনকে গ্রেপ্তার করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিন্দা জানায়।<ref>{{Cite web|url=https://www.aljazeera.com/news/2018/08/bangladesh-criticised-student-media-crackdown-180807051312414.html|title=Bangladesh criticised for student and media crackdown|website=www.aljazeera.com|access-date=8 August 2018}}</ref>
 
অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, লন্ডন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, এস্তোনিয়া ও তাইওয়ানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আন্দোলনের সমর্থনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।
 
==আন্দোলন-পরবর্তী ঘটনাক্রম==
আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষ ৫-১৪ আগস্ট দশদিনব্যাপী সড়ক-নিরাপত্তামূলক "ট্রাফিক সপ্তাহ" ঘোষণা করে এবং এসময়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার অপরাধে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মামলা এবং ৭ কোটি ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।<ref>{{Cite news|url=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1553913/মামলার-৪৯-শতাংশই-রাজধানীতে |title=মামলার ৪৯ শতাংশই রাজধানীতে |work=প্রথম আলো |access-date=16 August 2018|language=bn}}</ref> ডিএমপি সেপ্টেম্বর মাসকে ট্রাফিক সচেতনতা মাস ঘোষণা করে সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তাতে সাফল্য আসেনি বলে জানায়। বাসমালিক ও চালকেরা এরজন্য পুলিশ ও পরিবহণ নেতাদের ঘুষ ও চাঁদাবাজিকে দায়ী করেন।<ref>{{Cite news|url=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1560500/অভিযান-বিফলে-চাঁদাবাজি-আছেই |title=অভিযান বিফলে, চাঁদাবাজি আছেই |work=প্রথম আলো |access-date=7 October 2018|language=bn}}</ref>
 
৯ আগস্ট নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির না দেয়া পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।<ref>{{Cite news|url=https://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/article1527809.bdnews|title=নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে|access-date=10 August 2018}}</ref> ছাত্রলীগের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের এক ছাত্রকে ফেসবুক পোস্টে অপপ্রচারের অভিযোগে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।<ref>{{Cite news|url=https://www.dhakatribune.com/bangladesh/dhaka/2018/08/09/du-hands-student-to-police-for-facebook-posts|title=DU hands student to police for Facebook posts|date=2018-08-09|work=Dhaka Tribune|access-date=2018-08-10|language=en-US}}</ref>
 
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৫০০ প্রোফাইল পর্যবেক্ষণ করে আন্দোলনকালীন নৈরাজ্যসৃষ্টিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫০টি প্রোফাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।<ref>{{Cite news|url=https://www.dhakatribune.com/bangladesh/dhaka/2018/08/14/dmp-taking-steps-against-150-social-media-ids|title=DMP taking steps against 150 social media IDs|date=2018-08-13|work=Dhaka Tribune|access-date=2018-08-13|language=en-US}}</ref> এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্দোলনে উসকানিদাতা ৬৬৪ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।<ref>{{Cite news| url=https://www.jagonews24.com/m/national/news/464428 |title=নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ৬৬৪ উসকানিদাতা শনাক্ত| date=2018-11-20| work=Jagonews24.com| access-date=2018-12-26| language=bn}}</ref>
 
৭-৯ আগস্ট ও ২৮-৩০ আগস্ট পরিবহণশ্রমিকরা দেশের ১৭টি জেলায় নতুন আইনের শাস্তি কমানো ও অন্যান্য সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে ধর্মঘট করে।<ref>{{Cite news| url=https://www.banglanews24.com/national/news/bd/679156.details |title=পণ্য পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার |date=2018-10-9| work=banglanews24.com |access-date=2018-12-27 |language=bn}}</ref><ref>{{Cite news| url=https://www.jagonews24.com/m/country/news/459777 |title=শ্রমিকদের একতায় কোণঠাসা গোটা দেশ| date=2018-10-28| work=Jagonews24.com| access-date=2018-12-27| language=bn}}</ref> তারা গণপরিবহণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ সবধরনের যানবাহন আটকে দেয়, অনেক গাড়ির চালক ও যাত্রীদেরকে হেনস্থা ও মারধোর করে এবং মুখে ও পোশাকে পোড়া মবিল মাখিয়ে দেয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1560673/ধর্মঘটের-মধ্যে-গাড়ি-চালানোয়-চালককে-মারধর |শিরোনাম=ধর্মঘটের মধ্যে গাড়ি চালানোয় চালককে মারধর |তারিখ=9 অক্টোবর 2018 |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=26 ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bd-pratidin.com/first-page/2018/10/29/371722 |শিরোনাম=পরিবহন ধর্মঘটে অচল দেশ |তারিখ=28 অক্টোবর 2018 |সংবাদপত্র=[[বাংলাদেশ প্রতিদিন]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=26 ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref> তারা হাসপাতালগামী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় মৌলভিবাজার ও সুনামগঞ্জে দুটি নবজাতক শিশু মারা যায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1563042/ধর্মঘটে-অ্যাম্বুলেন্সকে-বাধা-শিশুর-মুত্যু |শিরোনাম=ধর্মঘটে অ্যাম্বুলেন্সকে বাধা, শিশুর মুত্যু |তারিখ=28 অক্টোবর 2018 |সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=26 ডিসেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{Cite news| url=https://www.jagonews24.com/m/law-courts/news/460485 |title=শিশুর মৃত্যু, ছাত্রীর গায়ে মবিল : জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ |date=2018-10-31| work=Jagonews24.com |access-date=2018-12-27 |language=bn}}</ref> সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেসময় আইন সংশোধন করা সম্ভব না বলে জানান।<ref>{{Cite news| url=https://www.jagonews24.com/m/national/news/459776 |title=দাবি মানা সম্ভব নয়, ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন| date=2018-10-28| work=Jagonews24.com| access-date=2018-12-26| language=bn}}</ref>
 
[[File:Bangladesh road-safety protests 2018.jpg|থাম্ব|ডান|ছাত্ররা রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে।]]
বিমানবন্দর সড়কের দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৬ জনের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা মুক্তি পান, বাসমালিককে জামিন দেওয়া হয় এবং বাকিদের বিরুদ্ধে ২৫ অক্টোবর চার্জ শুনানির আদেশ দেয়া হয়।<ref>{{Cite news |url=https://sarabangla.net/জাবালে-নূরের-মালিক-চালকে/ |title=জাবালে নূরের মালিক-চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র শুনানির দিন ধার্য |date=22 অক্টোবর 2018 |work=Sarabangla |access-date=26 ডিসেম্বর 2018 |language=bn}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2018/11/15/704122 |শিরোনাম=জাবালে নূর বাস মালিকের হাইকোর্টে জামিন |তারিখ=15 নভেম্বর 2018 |সংবাদপত্র=কালের কণ্ঠ |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=26 ডিসেম্বর 2018}}</ref>
৩ আগস্ট বাংলাদেশি চলচ্চিত্রাভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠনের প্রধান ইলিয়াস কাঞ্চন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।<ref>{{Cite news |url=https://www.thedailystar.net/city/immediately-implement-students-logical-demands-1615681 |title=Immediately implement students' logical demands |date=4 August 2018 |work=The Daily Star|access-date=4 August 2018 |language=en}}</ref> সেদিন ৩৯তম [[বিসিএস]]-এর পরীক্ষা থাকায় শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ না করে কেবল মানববন্ধন করে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সাহায্য করে। দুপুরে ঢাকায় বাসচাপায় এক মোটরবাইক-আরোহী নিহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা আবার ফুঁসে ওঠে বাস ভাঙচুর করে।
 
৪ আগস্ট জিগাতলায় [[আওয়ামী লীগ]] কার্যালয়ের সামনে [[বাংলাদেশ ছাত্রলীগ|ছাত্রলীগ]] ও [[যুবলীগ|যুবলীগের]] কর্মী এবং পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে প্রায় শখানেক ছাত্রছাত্রী আহত হয়।<ref group=note>৪ আগস্ট সকাল থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা জিগাতলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। দুপুরে খবর ছড়ায় যে সেখানে তারা ছাত্রছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করেছে এবং কয়েকজনকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও খুন করেছে; এ খবরে অন্যান্য স্থান বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা গিয়ে সেখানে জড়ো হলে ছাত্রলীগ কর্মীরা, যাদের বড় অংশ ছিল হেলমেট-পরিহিত ও লাঠি, রামদা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত, ছাত্রদের ধাওয়া দেয়, এক যুবককে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়, এবং ছাত্রদের থেকে পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। পরে পুলিশ ছাত্রদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। সন্ধ্যায় ছাত্রদের একটি দল পুলিশসহ আওয়ামী দীগ কার্যালয় ঘুরে দেখে জানায় ধর্ষণ-খুন বা চোখ তুলে ফেলার খবর অসত্য। সারাদিনে সংঘর্ষে আহত ছাত্রদের মধ্যে ৪০-৪৫ জন নিকটস্থ একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। আওয়ামী লীগ তাদের ১৭ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে জানায়।</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1547396/%E0%A6%9D%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2|শিরোনাম=জিগাতলা, মিরপুরসহ সারা দেশে যা ঘটেছিল|কর্ম=প্রথম আলো|সংগ্রহের-তারিখ=2018-08-05|ভাষা=bn}}</ref> এছাড়া নোয়াখালি ও ফেনীতেও আন্দোলনরত কয়েকশো শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে।
== চিত্রশালা ==
<gallery>
Students Blocked Road for Safe Road.jpg|উত্তরায় আন্দোলনকারীদের অবস্থান
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের অবস্থান.jpg|আন্দোলনরত শিক্ষার্থী
Students Blocked Road for safe Road 12.jpg|আন্দোলনের পোস্টার নিয়ে একটি পরিবার
উত্তরায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাধারণ মানুষের অবস্থান.jpg|উত্তরায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাধারণ মানুষের অবস্থান
উত্তরায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে অবরোধকৃত ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে.jpg|নিরাপদ সড়কের দাবিতে অবরোধকৃত ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে
</gallery>
<gallery>
Road accident (29 July 2018) diagram.svg|বিমানবন্দর সড়কের দুর্ঘটনার রেখাচিত্র
Road Safety Protest District Map.svg|দেশের যেসব জেলায় বিক্ষোভ হয়
</gallery>
 
৫ আগস্ট ধানমন্ডিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও প্রধানত [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] শিক্ষার্থীরা নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে মিছিল করার সময় পুলিশ ও সরকার-সমর্থক যুবকদের হামলায় প্রায় অর্ধশত ছাত্র ও সাংবাদিক আহত হন।<ref>{{Cite news |url=https://www.dhakatribune.com/bangladesh/dhaka/2018/08/05/journalists-beaten-up-by-chhatra-league|title=Journalists, including AP photographer, beaten up|date=5 August 2018 |work=Dhaka Tribune|access-date=5 August 2018 |language=en}}</ref><ref>{{Cite news |url=https://www.thedailystar.net/city/safe-road-demand-dhaka-university-students-block-shahbagh-demanding-minister-shahjahan-khan-resignation-1616212|title=Safe Road: DU students block Shahbagh demanding Shahjahan’s resignation|date=5 August 2018 |work=The Daily Star|access-date=5 August 2018 |language=en}}</ref> [[ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়|ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের]] শিক্ষার্থীরা বিমানবন্দর এলাকায় সড়কে অবস্থান নেয়। [[জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়|জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের]] সহস্রাধিক শিক্ষার্থী
== আরো দেখুন ==
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Bangladesh Road Safety Protests 2018}}
* [[২০১৮-র কোটা সংস্কার আন্দোলন]]
* [[২০১৫ বাংলাদেশের ছাত্র বিক্ষোভ|২০১৫-র বাংলাদেশের ছাত্র বিক্ষোভ]]
* [[২০১৩-র শাহবাগ আন্দোলন]]
* [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|১৯৫২-র বাংলা ভাষা আন্দোলন]]
 
সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেন<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.jugantor.com/campus/77479/শিক্ষার্থীদের-ওপর-ছাত্রলীগের-হামলার-প্রতিবাদে-জাবিতে-মশাল-মিছিল-(ভিডিও)/print |শিরোনাম=শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল (ভিডিও) |তারিখ=5 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=[[দৈনিক যুগান্তর]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=21 আগস্ট 2018}}</ref> এবং রাতে মশাল মিছিল করে সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন - কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা, পরণবহন শ্রমিকদের করণ্টা্টা ও বেতন নির্ধারণ, নৌমন্ত্রীর অপসারণ, 'জাবালে নূর'-এর রোড পারমিট বাতিল, বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মৃত্যুর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড, জাতির কাছে ভুল স্বীকার কনৌমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনাথনা, হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.dailyinqilab.com/article/146074/জাবিতে-মশাল-মিছিল-থেকে-মার্চ-টু-ঢাকা-কর্মসূচী-ঘোষণা |শিরোনাম=জাবিতে মশাল মিছিল থেকে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচী ঘোষণা |তারিখ=5 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=[[দৈনিক ইনকিলাব]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=21 আগস্ট 2018}}</ref>
==টীকা==
{{reflist|group=note}}
 
৬ আগস্ট [[নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়|নর্থ সাউথ]], [[ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ|ইন্ডিপেন্ডেন্ট]], ইস্ট ওয়েস্ট, [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চট্টগ্রাম]] ও [[খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়|খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ]] বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করে। ঢাকায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে; অন্যূন ৪০ ছাত্র আহত ও শতাধিক জনকে আটক করা হয়, তন্মধ্যে ২২ জনকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।<ref group=note> নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং ও হেলমেট-পরা যুবকেরা হামলা করে; পুলিশ জলকামান ও সাঁজোয়া যানসহ ধাওয়া করে, কয়েকশো কাঁদানে গ্যাস শেল ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে এবং লাঠিপেটা করে। নিকটস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে নর্থ সাউথের ৪০ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নেয়; কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।</ref><ref>{{Cite news|url=http://unb.com.bd/bangladesh-news/EW-NSU-students-clash-with-cops-attackers/77143|title=Aftabnagar, Bashundhara turn volatile amid attacks on students|last=News|first=United|work=unb.com.bd|access-date=6 August 2018|language=en-US}}</ref><ref>{{Cite news|url=https://www.kansascity.com/news/nation-world/article216150300.html|title=Violence continues in Bangladesh capital as students protest|work=kansascity|access-date=6 August 2018|language=en}}</ref> ভারতের [[যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়|যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের]] শিক্ষার্থী এবং ডিএসও সংগঠনের কর্মীরা আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে। আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে নিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ১১ জনকে আটক করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://www.jugantor.com/campus/77740/আহছানউল্লাহ-ইউনিভার্সিটিতে-বিক্ষোভ-১১-শিক্ষার্থী-আটক |শিরোনাম=আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ, ১১ শিক্ষার্থী আটক |তারিখ=6 আগস্ট 2018 |সংবাদপত্র=[[দৈনিক যুগান্তর]] |ভাষা=bn |সংগ্রহের-তারিখ=23 আগস্ট 2018}}</ref>
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|30em}}
 
৭ আগস্ট শতশত সাংবাদিক আন্দোলনরত ছাত্র ও সংবাদ-সংগ্রহকারী সাংবাদিকের ওপর ছাত্রলীগের হামলার শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করে।<ref>{{cite web|url=https://www.thedailystar.net/news/country/journalists-72-hour-ultimatum-to-bangladesh-government-for-arresting-attackers-1617154|title=Arrest culprits in 72 hours|date=8 August 2018|publisher=}}</ref> ৮ আগস্ট [[ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়|ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ছাত্ররা গ্রেপ্তারকৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তি চেয়ে ক্লাস বর্জন করে। এছাড়া এরপর আর কোনো বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://chintaa.com/index.php/chinta/showAerticle/449/চিন্তা-প্রতিবেদন/নিরাপদ-সড়ক-আন্দোলন:-ঘটনাক্রম/bangla নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বিশদ ঘটনাক্রম]
* [http://www.earki.com/photo/view/2145/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9  আন্দোলন নিয়ে আঁকা কার্টুন/ব্যঙ্গচিত্রের সংকলন]
* [http://www.earki.com/photo/view/2130/আন্দোলন-স্টুডেন্ট আন্দোলনে ব্যবহৃত পোস্টারসমূহ]
* [http://www.earki.com/photo/view/2137/যদি-তুমি-ঘুরে-দাঁড়াও-তবে-তুমিই-বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের স্লোগান নিয়ে কার্টুন]
* [https://www.facebook.com/rezwankhair.fahim/posts/528130821002705 আন্দোলন নিয়ে রচিত গানসমূহ]
'''আন্দোলনের ভিডিও'''
* {{ইউটিউব|id=JIIvC-Go28c|title=Students take to streets for 7th day, controlling traffic: Safe Road Demand in Bangladesh}} (শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দৃশ্য)
* {{ইউটিউব|id=QQ29Rb53nD0|title='BCL man' attack students at Jigatola, Dhanmondi}} (আক্রমণরত 'ছাত্রলীগ' কর্মীরা)
* {{ইউটিউব|id=0pTMGtmZAOs|title=Students Check Licences, Discipline Traffic}} (শিক্ষার্থীদের লাইসেন্স চেকিং)
* [https://www.voanews.com/a/4516719.html আন্দোলনে হামলা]
* [https://www.facebook.com/voiceofamerica/videos/10156007210373074/ ৪ই আগস্ট বিক্ষোভ]
* [https://www.facebook.com/voiceofamerica/videos/10156012248668074/ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা]
* [https://www.facebook.com/voabangla/videos/2350754014942234/ শিক্ষার্থীদেরকে পুলিশের ধাওয়া]
* [https://www.facebook.com/voabangla/videos/2355397511144551/ কোলকাতায় বিক্ষোভ]
* {{ইউটিউব|id=AS4U29n_IDQ&t=86s|title=সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় হাসলেন নৌ-মন্ত্রী শাহজাহান খান!}}
* {{ইউটিউব|id=J9j3EgLm62Q|title=Analysis: What incited protests in Bangladesh?}} (আল জাজিরাতে শহীদুল আলমের বক্তব্য)
* [https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=1116405758511575&id=574719552680201&p=10&av=100014173756307&eav=AfY1YeSFsVkMr1BD064qLK5yredVvO8CuadCXMejgnfF2tZjK5SVTVoFk2EdwHVnaic&refid=52&_ft_=mf_story_key.1116405758511575%3Atop_level_post_id.1116405758511575%3Atl_objid.1116405758511575%3Acontent_owner_id_new. আন্দোলন নিয়ে নাস ডেইলির ভিডিও]
[[বিষয়শ্রেণী:২০১৮-এর বিক্ষোভ]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০১৮-এ বাংলাদেশ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশে ছাত্র বিক্ষোভ]]