মেদিনীপুরী বাংলা উপভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পশ্চিমবাংলা (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
পশ্চিমবাংলা (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৭ নং লাইন:
 
==আঞ্চলিক সীমানা==
মেদিনীপুরের কথ্য ভাষা বাংলা ভাষার অন্যতম পুরোনো রূপ৷ বাংলার সাংস্কৃতিক জীবনে মেদিনীপুরের স্থান খুব উঁচুতে। মেদিনীপুরের পশ্চিম দিকটা অর্থাৎ ঝাড়গ্রাম মহকুমার কথ্য ভাষা মধ্য রাঢ়ীয় উপভাষা৷ মেদিনীপুর লাগোয়া ময়ূরভঞ্জ ও সিংভূমেও ওই একই উপভাষার প্রচলন রয়েছে মেদিনীপুরেরই দক্ষিণাংশে রসুলপুর নদীর মোহনা থেকে সুবর্ণরেখা নদীর মোহনা পর্যন্ত যে তীরভূমি সেই অংশের কথ্য ভাষার নাম কাঁথি বাংলা৷ কাঁথি বাংলা সুন্দরবনের মোহনা অর্থাৎ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার [[কাকদ্বীপ মহকুমা]]র চারটি ব্লকব্লকে (নামখানা, সাগরদ্বীপ, পাথর প্রতিমা ও কাকদ্বীপ ব্লকে) প্রচলিত। এই উপভাষায় ব্যঞ্জনের পূর্ণ উচ্চারণ খুব বেশী মাত্রায় রয়েছে৷ তথ্য প্রমাণে এই ধরণের সিদ্ধান্তে পৌঁছানো খুবই স্বাভাবিক যে কবি কালিদাস এই অঞ্চলেরই মানুষ ছিলেন৷<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://notunprithivi.com/bn/parasanaga-maedainaipaura|শিরোনাম=প্রসঙ্গ মেদিনীপুর {{!}} নোতুন পৃথিবী|ওয়েবসাইট=notunprithivi.com|সংগ্রহের-তারিখ=2019-01-18}}</ref>
 
==জনগোষ্ঠী অনুযায়ী ভাষাগোষ্ঠী বিভাজন==
মেদনীপুরী বাংলা ভাষাগোষ্ঠীকে সংস্কৃতি ও জনগোষ্ঠী অনুযায়ী মোটামুটি কয়েকটি উপবিভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১) উৎকল জাত জনগোষ্ঠী, এঁরা মেদিনীপুরের দক্ষিণ অংশে ও [[দক্ষিণ ২৪ পরগনা]] জেলার [[কাকদ্বীপ মহকুমা]]তে বসবাস করেন। ২) মেদিনীপুরের উত্তরাংশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী [[হাওড়া]], [[হুগলি]] ও [[বাঁকুড়া]] জেলার সাথে সম্পর্কিত। ৩) পশ্চিম মেদিনীপুরে তপশিল ও মাহাতো সম্প্রদায়ের বসবাস। ৪) অধিকাংশ মাহিস্য সম্প্রদায় পূর্ব মেদিনীপুরের বসবাস করেন। ৫) উত্তর ও মধ্য মেদিনীপুরে সদগোপ সম্প্রদায়ের বসবাস। তথাকথিত উচ্চবর্ণের মানুষেরা আদিকাল থেকেই মেদিনীপুরে বসবাস করছেন। আবার হুগলি জেলার যে অংশ পরে মেদিনীপুরের উত্তর অংশের সাথে যুক্ত হয়েছে সেখানে উচ্চবর্ণের বসবাস আরও আগে থেকে।