বাঁশি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Masud.pce (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ, বিষয়বস্তু যোগ
চিত্র, সম্প্রসারণ
১ নং লাইন:
{{উৎসহীন|date=মে ২০১৬}}
[[চিত্র:Fluier.jpg|50px30px|right|thumb|বাঁশি]]
'''বাঁশি''' এক ধরনের [[সুষির]] অর্থাৎ ফুৎকার (ফুঁ) দিয়ে বাজানো যায় এমন বাদ্যযন্ত্র । বাঁশ (বংশ) দিয়ে তৈরি হত সেই কারণে এর নাম বাঁশি । বাংলায় বাঁশিকে মুরালি, মোহন বাঁশি, বংশী অথবা বাঁশরিও বলা হয় । বাঁশির পাশ্চাত্য সংস্করনের নাম ফ্লুট(flute)। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাঁশি তৈরিতে তরলা বাঁশ ব্যবহার করা হয় । কেউ কেউ শখের বশে ষ্টিলের, তামার, পিতলের, রূপার এমনকি সোনার পাইপ দিয়েও বাঁশি তৈরী করিয়ে থাকেন । এই প্রাচীন এবং মনহরানো বাদ্যযন্ত্রের গায়ে সাতটি ছিদ্র (মাঝে মাঝে আটটিও করতে দেখা যায়) থাকে । যে নল বা পাইপটি দিয়ে বাঁশি তৈরী করা হয় তার একপাশ সম্পূর্ণ আটকে বায়ুরোধী করে দেওয়া হয় । বাঁশের তৈরী বাঁশিতে গিট বা গিরা একপাশকে বায়ুরোধী করার কাজে ব্যবহার করা হয় । বন্ধ এবং খোলা প্রান্তের মাঝামাঝিতে ছিদ্রগুলো করা হয় । যে ছিদ্রটি বন্ধ প্রান্তের ঠিক কাছাকাছি থাকে সেটা দিয়ে কৌশলে ফু দিতে হয় এবং বাকি ছ'টি ছিদ্র ডান হাতের মধ্যবর্তী তিনটি এবং বাম হাতের মধ্যবর্তী তিনটি আঙ্গুল দিয়ে কখনো আটকে কখনো ছেড়ে দিয়ে সুর তুলতে হয় । বাঁশি বাজানোর কৌশল রপ্ত করতে হলে গুরুর স্মরণাপন্ন হবার বিকল্প হয়না ।
 
== বাঁশির প্রকারভেদ ==
[[চিত্র:Shinobue and other flutes.jpg|200px|right|thumb|বিভিন্ন প্রকারের বাঁশি]]
বাংলাদেশে প্রধানত তিন প্রকারের<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=সহজ পদ্ধতির বাঁশী শিক্ষা|শেষাংশ=মৃণাল দাশ গুপ্ত|প্রথমাংশ=|তারিখ=|কর্ম=|প্রকাশক=অশোক ধর, গণেশ এন্ড কোং; ৯৮, হাজারী লেইন, চট্টগ্রাম|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> বাঁশি দেখা যায় :
 
১১ ⟶ ১২ নং লাইন:
 
== বাঁশি তৈরির পদ্ধতি ==
[[চিত্র:Wooden flute player.jpg|| right|thumb|150px ||ঢাকা [[চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|চারুকলা]] ভবনের সামনে বাঁশি বাজাচ্ছেন একজন ছাত্র]]
বাঁশি তৈরিতে লাগে বিশেষ ধরনের মুলিবাঁশ।বাঁশটির পুরুত্ত পাতলা হলে সুন্দর মিষ্টি আর নিখুত সুর আসবে। বাঁশ রোদে শুকিয়ে বাঁশি অনুসারে মাপমতো কেটে টুকরো করা হয়। এরপর টুকরোগুলো মসৃণ করে নিতে হয়। পরে কয়লার আগুনে পোড়ানো লোহার শলাকা দিয়ে ছিদ্র করা হয়। আঁকা হয় নকশা। এরপর মাটির প্রলেপ লাগিয়ে আবার আগুনে সেঁকে জলেতে ধুয়ে বাঁশিগুলো পুনরায় রোদে শুকানো হয়। শুকানোর পর বার্নিশ করা হয়। এরপর বাঁশিতে ফুঁ—সুর উঠল কিনা। বাঁশি নানান রকম স্কেলের হয়। যেমন ছয়, সাড়ে ছয়,সাত, সাড়ে সাত, আট, সাড়ে আট, নয়, সাড়ে নয়, এগারো, সাড়ে এগারো ইত্যাদি। এই স্কেল গোল বাঁশির আকার ও স্বরের ওপর নির্ভর করে আলাদা করা হয়।