ভূমেন্দ্র গুহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎মৃত্যু: সাল ভুল ছিলো, সংশোধন
চিকিৎসা বিজ্ঞানের অবদানের বিষয় শিক্ষা অংশ থেকে স্থানান্তর করা হলো
৩০ নং লাইন:
১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে আগস্ট মাসের ২ তারিখ ভারতের মধ্য প্রদেশে বিলাসপুর-এ তাঁর জন্ম হয়েছিল। জীবনানন্দেরই মতো পৈত্রিক সূত্রে তিনি বরিশালেরই মানুষ। পিতামহ সতীশচন্দ্র গুহরায়ের আদিনিবাস ছিল অবিভক্ত ভারতের বরিশাল জেলার [[স্বরূপকাঠি|স্বরূপকাঠি উপজেলার]] মৈষাণী গ্রামে। তিনি ছিলেন মুনিনাগ গ্রামের জমিদার পুত্র, কিন্তু ভাগ্যের ফেরে স্বপরিবারচ্যূত হয়ে জেলেসমাজের একজন হয়ে গিয়েছিলেন।
 
ভূমেন্দ্র গুহ’র বাবা নগেন্দ্রনাথ গুহরায় রেল কোম্পানিতে চাকুরি করতেন। বদলির চাকুরি, ফলে নানা স্কুলে পড়তে হয়েছে ভূমেন্দ্র গুহকে, তবে ম্যাট্রিক পাশ করেছেন কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশনের ছাত্র হিসেবে। [[বঙ্গবাসী কলেজ]] থেকে আইএসসি করার পর ডাক্তারি পড়েছিলেন [[ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজে]]। ১৯৫৭’য় ডাক্তারী পাশের পর তিনি শল্যচিকিৎসায় মাস্টার্স করেছেন; পরে বিশেষভাবে বক্ষদেশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, হৃৎপিন্ড ও ভাসকুলার সার্জারিতে এম.সি-এইচ।
 
ষাটের দশকে ভারতের প্রথম ওপেনহার্ট সার্জারি হয়েছিল ১৯৬২ তে; সেদিন অপারেশন থিয়েটারে শিক্ষক প্রফেসর ডাঃ অজিত কুমার বসুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তরুণ শল্যবিদ বি. এন. গুহরায়।<ref>[http://www.prothom-alo.com/international/article/717769/%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9 চলে গেলেন কবি ভূমেন্দ্র গুহ]</ref> এরপর এ বিষয়ে তিনি অনেক গবেষণা করেছেন; তাঁর দেড়শরও বেশী গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নালে। যুক্তভাবে একটি ডাক্তারী বই-ও প্রকাশ করেছিলেন, বেশ কিছু বহুলেখক গ্রন্থের জন্য লিখেছেন। শেষ জীবনে কলকাতা মেডিকেল কলেজ-এর থোরাসিক সার্জারি বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন চৌদ্দ বছর। লিভার সিরোসিস রোগটি অপরেশন ক’রে সারানোর পদ্ধতিটিও তাঁরই আবিস্কার: এটি বিশ্বব্যাপী চিকিৎসাশাস্ত্রে [[গুহরায়-বাসু শান্ট অপারেশন]] নামে খ্যাত। চাকুরী জীবনে যথেষ্ট ব্যস্ত ছিলেন ড. বি. এন. গুহরায়।
 
==ব্যক্তিজীবন ও ব্যক্তিত্ব==
 
==শৈল্যচিকিৎসা বিদ্যায় অবদান==
ষাটের দশকে ভারতের প্রথম ওপেনহার্ট সার্জারি হয়েছিল ১৯৬২ তে; সেদিন অপারেশন থিয়েটারে শিক্ষক প্রফেসর ডাঃ অজিত কুমার বসুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তরুণ শল্যবিদ বি. এন. গুহরায়।<ref>[http://www.prothom-alo.com/international/article/717769/%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9 চলে গেলেন কবি ভূমেন্দ্র গুহ]</ref> এরপর এ বিষয়ে তিনি অনেক গবেষণা করেছেন; তাঁর দেড়শরও বেশী গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নালে। যুক্তভাবে একটি ডাক্তারী বই-ও প্রকাশ করেছিলেন, বেশ কিছু বহুলেখক গ্রন্থের জন্য লিখেছেন। শেষ জীবনে কলকাতা মেডিকেল কলেজ-এর থোরাসিক সার্জারি বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন চৌদ্দ বছর। লিভার সিরোসিস রোগটি অপরেশন ক’রে সারানোর পদ্ধতিটিও তাঁরই আবিস্কার: এটি বিশ্বব্যাপী চিকিৎসাশাস্ত্রে [[গুহরায়-বাসু শান্ট অপারেশন]] নামে খ্যাত। চাকুরী জীবনে যথেষ্ট ব্যস্ত ছিলেন ড. বি. এন. গুহরায়।
 
==জীবনানন্দ দাশের পাণ্ডুলিপি সংশ্রব==
১৯৫৪য়, অক্টোবরের এক শীতার্ত মধ্যরাত-উত্তীর্ণ সময়ে ট্রামের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে আহত জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু হয়েছিল। মৃত্যু কালে তাঁর প্রকাশনা বলতে ৫টি কাব্যগ্রন্থ এবং শ্রেষ্ঠ কবিতায় অন্তর্ভুক্ত ১৬২টি কবিতা এবং বিবিন্ন সাময়িক পত্রে ছগিয়ে ছিটিয়ে থাকা আরো শত খানেক কবিতাও কয়েকটি প্রবন্ধ-নিবন্ধ। জীবদ্দশায় কোন প্রবন্ধ গ্রন্থ তিনি প্রকাশ করে যান নি জীবনানন্দ দাশ। ২১টি উপন্যাস একং শতাধিক ছোট গল্প রচনা করলেও একটিও ছাপতে দেন নি কোথাও। ট্রাংখে তারা-চাবি এঁটে সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিলেন হাজার হাজার কবিতা, গল্প-উপন্যাসের খাতা ও ডায়েরী। প্রায় তিরিশ হাজার পাতার অপ্রকাশিত লেখা রেখে গিয়েছিলেন জীবনানন্দ শত-শত রুলটানা এক্সারসাইজ খাতা। এই সব শত-শত রুলটানা এক্সারসাইজ খাতা খুঁজেখুঁজে পড়ে পড়ে, ভারী পাওয়ারের চশমায় না কুলোলে আতশ কাঁচের সাহায্য নিয়ে, জীবনানন্দের জড়ানো অনতিস্পষ্ট হস্তাক্ষরের প্রতিরোধ উপেক্ষা ক’রে অগণিত অপ্রকাশিত কবিতা, গল্প, উপন্যাস পাঠোদ্ধার ক’রে যিনি প্রকাশ করবার ব্যবস্থা করে যাচ্ছিলেন কবি ভূমেন্দ্র গুহ ছাড়া। <ref>[http://www.deshebideshe.com/home/printnews/58769 সাক্ষাৎকারে ভূমেন্দ্র গুহ ]</ref>