জর্জ মেলিয়েস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
'প্রারম্ভিক জীবন' পরিচ্ছেদ যোগ
'কর্মজীবন' পরিচ্ছেদ যোগ
২২ নং লাইন:
==প্রারম্ভিক জীবন==
মারি-জর্জ-জঁ মেলিয়েস ১৮৬১ সালের ৮ই ডিসেম্বর প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জঁ-লুই-স্ত্রানিস্লা মেলিয়েস এবং মাতা ইয়োহানা-কাত্রিন শুয়েরিং।{{sfn|রোজেন|১৯৮৭|p=৭৪৭}} তার পিতা ১৮৪৩ সালে প্যারিসে যান এবং বুট ফ্যাক্টরিতে কাজ শুরু করেন, সেখানে মেলিয়েসের মায়ের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। ইয়োহানা-কাত্রিনের পিতা ওলন্দাজ রাজসভার বুট নির্মাতা ছিলেন। কাত্রিন লুই-স্ত্রানিস্লাকে পড়াশোনা শেখান এবং ততোদিনে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারা দুজনে বুলেভার সাঁ মার্তাঁয় উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন বুট ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা করেন। জর্জ তাদের তৃতীয় সন্তান, তার বড় দুই ভাই অঁরি ও গাস্তঁ।{{sfn|রোজেন|১৯৮৭|p=৭৪৭}}
 
==কর্মজীবন==
[[চিত্র:Le Voyage dans la lune.jpg|ডান|200px|চাঁদের চোখে বিদ্ধ হওয়া মহাশূন্য যানের দৃশ্য, যা চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম আইকনিক দৃশ্য।]]
 
১৯০২ সালে মেলিয়েস ''আ ট্রিপ টু দ্য মুন'' চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এটি আংশিক [[জুল ভার্ন]]ের ''ফ্রম দ্য আর্থ টু দ্য মুন'' এবং [[এইচ. জি. ওয়েল্‌স]]ের ''দ্য ফার্স্ট মেন ইন দ্য মুন'' অবলম্বনে নির্মিত। ছবিতে মেলিয়েস অধ্যাপক বার্বেনফুইলি চরিত্রে অভিনয় করেন, যা ১৮৯৮ সালে তার নিজের অভিনীত ''দ্য অ্যাস্ট্রোনমার্স ড্রিম'' ছবির জ্যোতির্বিদ চরিত্রের মত। অধ্যাপক বারবেনফুইলি জ্যোতির্বিদদের ক্লাবের সভাপতি এবং চাঁদে ভ্রমণের প্রস্তাব দেন। তিনি তার গবেষণাগারে যুদ্ধাস্ত্র সজ্জিত বিশালাকার মহাশূন্য যান নির্মাণ করেন এবং তিনি নিজে সহ ছয়জনকে চাঁদে যাত্রা করেন। যানটি বিশাল কামান থেকে ছোড়া হয় এবং তা চাঁদের চোখে বিদ্ধ হয়। তারা ঘুমিয়ে যাওয়ার পূর্বে চাঁদে ঘুরা-ফিরা করেন। তারা স্বপ্ন দেখেন যে তারা চাঁদের দেবী [[ফিবি]] তুষারপাত ঘটান। পরবর্তীকালে চাঁদের অ্যালিয়েনদের একটি দল তাদের আক্রমণ করে ও বন্দি করে। অ্যালিয়েন রাজার সামনে নিয়ে যাওয়ার পর তারা পালিয়ে তাদের মহাশূন্য যানের কাছে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। পরে যানটির সাথে লাগানো একটি দড়ির সাহায্যে তারা অ্যালিয়েনসহ চাঁদ থেকে পৃথিবীতে পড়েন, যা ঐন্দ্রজালিক গভীর সাগরের মাছের ট্যাঙ্কে পতিত হয়। ইতোমধ্যে যানটি সৈকতে ফিরে আসে এবং তারা শহরের লোকদের সাথে এই ভ্রমণের সফলতা উদ্‌যাপন করেন।{{sfn|রোজেন|১৯৮৭|p=৭৫৫}} ১৪ মিনিটের ছবিটি সেসময়ে মেলিয়েসের দীর্ঘতম চলচ্চিত্র ছিল এবং নির্মাণ করতে ১০,০০০ ফ্রাঁ লেগেছিল।
 
==তথ্যসূত্র==