বাংলাদেশের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Habibshohag123 (আলোচনা | অবদান)
Habibshohag123 (আলোচনা | অবদান)
৩৫৮ নং লাইন:
কার্যনির্বাহী সভার দুই মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার সরকারকে [[২০০৯-এর বিডিআর বিদ্রোহ|বিডিঅার বিদ্রোহের]] মোকাবেলা করতে হয়, যা সেনা বিভাগের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহীদের হিংস্রতা ও ক্রুদ্ধ ব্যক্তিদের মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার ব্যাপক সফলতার পরিচয় দেন।<ref>{{cite book |last=Van Schendel |first=Willem |date=2009 | title=A History of Bangladesh | url=https://www.bookdepository.com/History-Bangladesh-Willem-Van-Schendel/9780521861748 | publisher=Cambridge University Press | page=356| isbn=9780521861748}}</ref>১৯৭১ সালে গণহত্যার অন্যতম কারিগর পাকিস্তানপন্থী নেতাদের বিচারের জন্য তিনি [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল]] গঠন করেন। ট্রাইব্যুনাল তার সুুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতার ব্যাপারে সমালোচনার সম্মুখীন হয়। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ নেতা, বাংলাদেশ দলের স্বাধীনতার বিরোধিতা ও গণহত্যার সময় পাকিস্তানকে সহায়তার অভিযোগে অভিযুক্ত।
 
২০১০ সালে সংবিধানের মৌলিক নীতি হিসেবে বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট ধর্মনিরপেক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। অান্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে জনমত পরিচালিত করে, যা প্রকাশিত হয় মার্চ [[২০১৩-র শাহবাগ আন্দোলন|২০১৩ শাহবাগ প্রতিবাদের]] মাধ্যমে। মে ২০১৩ সালে [[হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ|হেফাজত-ই-ইসলামের]] নেতৃত্বে একটি ইসলামপন্থী সংগঠনও পাল্টা বিরাট সমাবেশ পরিচালনা করে। ২০১৩ সালে এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর এবং পাশ্চাত্যবাসী, [[ব্লগ|ব্লগার]], [[প্রকাশনা|প্রকাশক]][[নাস্তিক্যবাদ|নাস্তিকদের]] ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। [[ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট]] অনেক গুলো হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে, যদিও হাসিনা সরকার স্থানীয়দের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে দায়ী করেন।<ref>{{cite book |last=Van Schendel |first=Willem |date=2009 | title=A History of Bangladesh | url=https://www.bookdepository.com/History-Bangladesh-Willem-Van-Schendel/9780521861748 | publisher=Cambridge University Press | page=358 | isbn=9780521861748}}</ref>
 
অাওয়ামী লীগ ও বিনপির মধ্যে সংঘাতকে প্রায়ই বেগমদের যুদ্ধ নামে অভিহিত করা হয়। হাসিনা সরকার বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অাইন বিলুপ্ত করেন। বিএনপির পক্ষ থেকে একে নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে অাওয়ামী লীগের পক্ষে দুর্নীতিযুক্ত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয়। লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাধারণ জীবনে সহিংসতা বেড়ে যায়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে হিংস্রতম নির্বাচন।<ref>{{cite book |last=Van Schendel |first=Willem |date=2009 | title=A History of Bangladesh | url=https://www.bookdepository.com/History-Bangladesh-Willem-Van-Schendel/9780521861748 | publisher=Cambridge University Press | page=359 | isbn=9780521861748}}</ref>২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে বিএনপি বয়কট করে ; যেখানে জামায়াতকে নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক মিডিয়ায় নির্বাচনের সমালোচনা করা হয়। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে শপথ নেন।