আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 2টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
১৬ নং লাইন:
 
== জন্ম ও শৈশব ==
মরহুম মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ১৯০০ সালের ২৭শে নভেম্বর [[সিরাজগঞ্জ]] জেলার [[উল্লাপাড়া উপজেলা|উল্লাপাড়া]] উপজেলাধীন তারুটিয়া গ্রামে এক পীর বংশে জন্মগ্রহণ করেন ৷<ref name="newshoursbd">[http://www.newshoursbd.com/2011/08/19/%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%B8/ নিউজ আওয়ারস বিডি -এর প্রতিবেদন]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> তাঁর পূর্ব পুরুষ বড়পীর হযরত [[আব্দুল কাদের জিলানী|আবদুল কাদির জিলানী (রঃ)]] এর বংশধর শাহ সৈয়দ দরবেশ মাহমুদ ১৩০৩ খৃষ্টাব্দে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে [[বাগদাদ]] থেকে বাংলাদেশে আসেন। শৈশব থেকেই তাঁর মধ্যে দেশপ্রেমের উন্মেষ ঘটে ৷ মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি জমিদার মহাজনদের বিরুদ্ধে অসহায় দুধ বিক্রেতাদের সংগঠিত করে দুধের ন্যায্যমূল্য প্রদানে মহাজনদের বাধ্য করেন ৷
 
== বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন ==
১৯১৯ সালে তিনি [[খিলাফত আন্দোলন]] ও অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন ৷ ১৯২২ সালে ২২ বছর বয়সে তিনি বৃটিশ বিরোধী ঐতিহাসিক '[[সলংগা আন্দোলন]]'-এ নেতৃত্ব দান করেন, যার জন্য তাঁকে কারাভোগ করতে হয় ৷ এই '[[সলংগা আন্দোলন]]' ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে "রক্তসিঁড়ি" হিসেবে পরিচিত ৷<ref name="deshbangla24">[http://deshbangla24.com/details.php?cid=2&id=15314 দেশবাংলা২৪ -এর প্রতিবেদন]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ডিসেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ায় তাঁর পক্ষে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি ৷ পরবর্তীকালে শিক্ষা গ্রহণের জন্য তিনি যুক্ত প্রদেশের বেরেলি ইশতুল উলুম মাদ্রাসা, সাহারানপুর মাদ্রাসা, দেওবন্দ মাদ্রাসা ও লাহোরের এশাতুল ইসলাম কলেজে অধ্যয়ন করেন ও তর্কশাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করে তর্কবাগীশ উপাধিতে ভূষিত হন ৷মরহুম মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ১৯৩৩ সালে রাজশাহীর চাঁটকৈড়ে নিখিলবঙ্গ রায়ত খাতক সম্মেলন আহবান করে ঋণ সালিশী বোর্ড আইন প্রণয়নের প্রস্তাব রাখেন ৷ তিনি ১৯৩৭ সালে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে নাটোরে কৃষক সম্মেলন আহবান করেন ৷ তিনি গণতস্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর একজন ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন ৷ ১৯৩৮ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে তিনি বাংলা, আসাম ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে সাঙ্গঠনিক কাজে আত্মনিয়োগ করেন৷ ১৯৪৬ সালে তিনি বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন ৷ তিনি অবিভক্ত বাংলার এম.এল.এ হিসেবে তত্কালীন ব্যবস্থাপক পরিষদে পতিতাবৃত্তি নিরোধ, বাধ্যতামূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা ও বিনা ক্ষতি পূরেনে জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের প্রস্তাব উত্থাপন করেন ৷
 
== পাকিস্তান আমল ==
২৭ নং লাইন:
== অবদান ==
 
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমি নির্মাণে যে সব মনীষী কালজয়ী অবদান রেখেছেন মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম৷ তিনি একজন সুসাহিত্যিকও ছিলেন ৷ তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো হচ্ছে : শেষ প্রেরিত নবী, সত্যার্থে ভ্রমণে, ইসলামের স্বর্ণযুগের ছিন্ন পৃষ্ঠা, সমকালীন জীবনবোধ, স্মৃতির সৈকতে আমি, ইসমাইল হোসেন সিরাজী ইত্যাদি ৷ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ মরহুম মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশকে "স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ২০০০" (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়৷<ref name="bdcabinet">[{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ |ইউআরএল=http://www.cabinet.gov.bd/view_award.php?lang=en&award_person_id=134 বাংলাদেশ|সংগ্রহের-তারিখ=৩ মন্ত্রিপরিষদডিসেম্বর বিভাগ]২০১৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120311125037/http://www.cabinet.gov.bd/view_award.php?lang=en&award_person_id=134 |আর্কাইভের-তারিখ=১১ মার্চ ২০১২ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
== মৃত্যু ==