রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৪৫ নং লাইন:
কাব্যনাট্যের পর রবীন্দ্রনাথ প্রহসন রচনায় মনোনিবেশ করেন।<ref name = sarbajaner26-27/> এই পর্বে প্রকাশিত হয় ''গোড়ায় গলদ'' (১৮৯২), ''বৈকুণ্ঠের খাতা'' (১৮৯৭), ''হাস্যকৌতুক'' (১৯০৭) ও ''ব্যঙ্গকৌতুক'' (১৯০৭)।<ref name = sarbajaner26-27/> ''বৈকুণ্ঠের খাতা'' নাটকে রবীন্দ্রনাথ কেদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।<ref name = sarbajaner26-27/> ১৯২৬ সালে তিনি ''প্রজাপতির নির্বন্ধ'' উপন্যাসটিকেও ''চিরকুমার সভা'' নামে একটি প্রহসনমূলক নাটকের রূপ দেন।<ref name = sarbajaner26-27/><ref>''বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস'', পৃ. ২০৮-০৯</ref>
 
[[চিত্র:Taserতাসের Deshদেশ নাটকের উপস্থাপনার দৃশ্য.jpg|thumb|left|300px|''তাসের দেশ'' নাটকের একটি আধুনিক উপস্থাপনা]]
 
১৯০৮ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ রূপক-সাংকেতিক তত্ত্বধর্মী নাট্যরচনা শুরু করেন।<ref name = sarbajaner26-27/> ইতিপূর্বে ''প্রকৃতির প্রতিশোধ'' (১৮৮৪) নাটকে তিনি কিছুটা রূপক-সাংকেতিক আঙ্গিক ব্যবহার করেছিলেন।<ref name = sarbajaner26-27/> কিন্তু ১৯০৮ সালের পর থেকে একের পর এক নাটক তিনি এই আঙ্গিকে লিখতে শুরু করেন।<ref name = sarbajaner26-27/> এই নাটকগুলি হল: ''শারদোৎসব'' (১৯০৮), ''রাজা'' (১৯১০), ''ডাকঘর'' (১৯১২), ''অচলায়তন'' (১৯১২), ''ফাল্গুনী'' (১৯১৬), ''মুক্তধারা'' (১৯২২), ''রক্তকরবী'' (১৯২৬), ''তাসের দেশ'' (১৯৩৩), ''কালের যাত্রা'' (১৯৩২) ইত্যাদি।<ref name = sarbajaner26-27/> এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রধানত শান্তিনিকেতনে মঞ্চ তৈরি করে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অভিনয়ের দল গড়ে মঞ্চস্থ করতেন।<ref name = sarbajaner26-27/> কখনও কখনও কলকাতায় গিয়েও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করতেন তিনি।<ref name = sarbajaner26-27/> এই সব নাটকেও একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেন রবীন্দ্রনাথ।<ref name = sarbajaner26-27/> তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ১৯১১ সালে ''শারদোৎসব'' নাটকে সন্ন্যাসী এবং ''রাজা'' নাটকে রাজা ও ঠাকুরদাদার যুগ্ম ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৪ সালে ''অচলায়তন'' নাটকে অদীনপুণ্যের ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৫ সালে ''ফাল্গুনী'' নাটকে অন্ধ বাউলের ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৭ সালে ''ডাকঘর'' নাটকে ঠাকুরদা, প্রহরী ও বাউলের ভূমিকায় অভিনয়।<ref name = sarbajaner26-27/> নাট্যরচনার পাশাপাশি এই পর্বে ছাত্রছাত্রীদের অভিনয়ের প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথ পুরোন নাটকগুলি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ করে নতুন নামে প্রকাশ করেন।<ref name = sarbajaner26-27/> ''শারদোৎসব'' নাটকটি হয় ''ঋণশোধ'' (১৯২১), ''রাজা'' হয় ''অরূপরতন'' (১৯২০), ''অচলায়তন'' হয় ''গুরু'' (১৯১৮), ''গোড়ায় গলদ'' হয় ''শেষরক্ষা'' (১৯২৮), ''রাজা ও রাণী'' হয় ''তপতী'' (১৯২৯) এবং ''প্রায়শ্চিত্ত'' হয় ''পরিত্রাণ'' (১৯২৯)।<ref name = sarbajaner26-27/>