সামোয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
স্থানাঙ্ক
Rakib Kishore (আলোচনা | অবদান)
এর আগে "সামোয়া" দেশটি সম্পর্কে তেমন কোন বিবরণ ছিলো না, আমি নতুন করে সাজিয়ে লিখেছি।
৬৩ নং লাইন:
}}
 
'''স্বাধীন সামোয়া রাষ্ট্র''' ([[সামোয়ান ভাষা|সামোয়ান]] [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]] Independent State of Samoa)
'''স্বাধীন সামোয়া রাষ্ট্র''' ([[সামোয়ান ভাষা|সামোয়ান]] Malo Tutoʼatasi o Samoa ''মালো তুতোʼআতাসি ও সামোয়া'', [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]] Independent State of Samoa ''ইন্ডেপেন্ডেন্ট্‌ স্টেট্‌ অভ্‌ সামোয়া'') দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। এটি নিউজিল্যান্ডের প্রায় ২৯০০ কিমি উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। প্রায় ৪৮০ কিমি দীর্ঘ সামোয়ান দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তর পশ্চিম ভাগ নিয়ে (১৭১ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমার পশ্চিমে) রাষ্ট্রটি গঠিত। বিভাজন রেখাটির পূর্বে অবস্থিত দ্বীপগুলি মার্কিন শাসনাধীন অঞ্চল মার্কিন সামোয়া গঠন করেছে। রাষ্ট্রটি বহুদিন যাবৎ পশ্চিম সামোয়া নামে পরিচিত ছিল। ১৯৯৭ সালে এটির নাম সরকারীভাবে বদলে সামোয়া রাখা হয়। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ থেকে ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত সামোয়া জাতিসঙ্ঘের একটি ট্রাস্ট এলাকা ছিল, যার দেখাশোনা করত নিউজিল্যান্ড। রাষ্ট্রটির রাজধানী, বৃহত্তম শহর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রের নাম আপিয়া।
 
'''সামোয়া'''
 
“মোয়ানা” – ছবিটার নাম শুনেছেন?
 
এই মোয়ানা ছিলো “সামোয়া”র মেয়ে, পলিনেশিয়ান আইল্যান্ডস-এর প্রিন্সেস...
 
দক্ষিণ এবং মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় ১,০০০ এরও বেশি দ্বীপ নিয়ে পলিনেশিয়া অঞ্চল গঠিত। “সামোয়া” এদের মধ্যে একটি।
 
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এই দেশটা ২০১১ সালে তাদের ক্যালেন্ডার থেকে ৩০শে ডিসেম্বর তারিখটা মুছে দেয়। এতে ধুপ করে তারা এক দিন এগিয়ে যায়। গ্রিনিচ মান অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে যারা ২৩ ঘন্টা পেছনে ছিলো, তারাই পরেরদিন ৩ ঘন্টা এগিয়ে যায়। তাদের আগের সময়টা আমেরিকানরা চেঞ্জ করেছিলো মূলত ক্যালিফোর্নিয়ার সাথে সময় ঠিক রাখার জন্য। বর্তমান ডেট চেঞ্জের ফলে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের সাথে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
 
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দেশ হিসেবে ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘সামোয়া’ তাদের ড্রাইভিং ওরিয়েন্টেশন পরিবর্তন করে। এখন তারা রাস্তার বাম পাশ দিয়ে গাড়ি চালায়।
 
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র ‘সামোয়া’র অবস্থান। ১৯৯৭ সালের আগ পর্যন্ত এর নাম ছিলো ‘পশ্চিম সামোয়া’। ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই দেশটির সরকার এর নাম পরিবর্তন করে “সামোয়া” রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। “সামোয়া”-কে আমেরিকা, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড সবাই শাসন করেছে। শেষমেশ ১৯৬১ সালের ২১শে নভেম্বর “নিউজিল্যান্ড ওয়েস্টার্ন সামোয়া অ্যাক্ট ১৯৬১” অনুযায়ী সামোয়াকে ১৯৬২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
 
রাষ্ট্রটির রাজধানী, বৃহত্তম শহর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রের নাম ‘আপিয়া’। এই দেশের প্রচলিত মুদ্রার নাম “তালা”।
 
এটি ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ থেকে ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত সামোয়া জাতিসঙ্ঘের একটি ট্রাস্ট এলাকা ছিল, যার দেখাশোনা করত নিউজিল্যান্ড।
 
নিউজিল্যান্ডের প্রায় ২৯০০ কিমি উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সামোয়া মূলত দক্ষিণ [[প্রশান্ত মহাসাগর|প্রশান্ত মহাসাগরের]] বুকে দুটো বড়ো দ্বীপ উপলু ও সেভাই এবং আটটি ছোট ছোট দ্বীপ দ্বারা গঠিত, যা [[হাওয়াই]] দ্বীপপুঞ্জ আর [[নিউজিল্যান্ড|নিউজিল্যান্ডের]] মাঝামাঝি অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরের পলিনেশীয় দ্বীপসমূহের প্রায় কেন্দ্রবিন্দুতে এর অবস্থান। আনুমানিক ৩৫০০ বছর পূর্বে এই দ্বীপটি আবিস্কার হয়। তখন থেকেই এখানে লোকবসতি রয়েছে।
 
সামোয়ার মোট আয়তন ২৮৪২ বর্গকিলোমিটার, এবং এর লোকসংখ্যা প্রায় ১,৯৪,৮৪৩ জন। ১৯৭৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর সামোয়া জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। এই দেশের প্রধান ভাষা ‘সামোয়ান’ এবং ইংরেজি, শিক্ষার হার ৯৯%। ২০১৭ সালের জুন মাসে সামোয়া তাদের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে খ্রিষ্টান ধর্ম পার্লামেন্টে পাশ করা হয়।
 
সামোয়ার প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ হচ্ছে বনভূমি ও বনজ শক্ত কাঠ। এছাড়াও আছে মাছ ও [[পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র|পানিবিদ্যুৎ]]। সামোয়ার [[আবহাওয়া]] গ্রীষ্মমন্ডলীয় এখানে [[নভেম্বর]] থেকে [[এপ্রিল]] পর্যন্ত [[বর্ষাকাল]]।
 
আগ্নেয়গিরি থাকার কারণে সামোয়ার নামুয়া দ্বীপ ও উপলুর পূর্ব প্রান্তের দিকে লোকবসতিহীন আলেইপাতা দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত।
 
সামোয়ার তিনটি আগ্নেয়গিরির মধ্যে মাউন্ট মাতাভানু এখনো সক্রিয়, ১৯১১ সালে শেষবারের মতোন এখান থেকে অগ্নুৎপাত হয়। এই দেশের সর্বোচ্চ পাহাড়ের নাম মাউন্ট সিলিসিলি, যা ১৮৫৮ মিটার বা ৬০৯৬ ফুট উঁচু।
 
সামোয়ানরা দুই ধরণের ট্যাটু করতে পছন্দ করে। ছেলেরা হাটুর উপর থেকে মাথা পর্যন্ত যে ট্যাটু করে তাকে বলা হয় “পি’আ”, যে এই ট্যাটু করে তাকে বলা হয় “সোগা’ইমিতি”। আর মেয়েরা থাই থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত ট্যাটু করতে পছন্দ করে – যাকে বলা হয় “মালু”।
 
সামোয়ান তরুণদের মধ্যে হিপহপ কালচার সবচাইতে জনপ্রিয়। সামোয়ার জাতীয় এবং সবচাইতে জনপ্রিয় খেলা রাগবি।
 
এদের সঙ্গীতের নাম “হাকা” – যুদ্ধ থেকে বিয়ে সব অনুষ্ঠানে সামোয়ান রা এই গান গায়...
 
বাংলাদেশিদের জন্য “সামোয়া”-তে ৬০ দিনের অন এরাইভ্যাল ভিসার ব্যবস্থা রয়েছে।
 
== ইতিহাস ==