বৃহত্তর বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rabbir hossain Bhuyain (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৬ নং লাইন:
 
==পটভূমি==
[[File:BengalPartition1905 Map.png|thumb|300 px|বঙ্গভঙ্গের মানচিত্র|[[বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)|১৯০৫ সালে [[বঙ্গভঙ্গ]] হয়ে গঠিত বাংলা এবং পূর্ব বাংলা ও আসাম নামক দুইটি প্রদেশ]]]]
 
বাংলার ভূরাজনৈতিক অঞ্চল সর্বপ্রথম স্বাধীন রাজা [[শশাঙ্ক|শশাঙ্কের]] অধীনে একীভূত হয় যিনি বর্তমান বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, দক্ষিণ আসামের অংশবিশেষ এবং মধ্য ও পূর্ব বিহার দখল করে বাংলার ভূ-রাজনৈতিক এলাকাসমূহকে একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে একত্রিত করেছিলেন। পরবর্তীতে বাঙালি বৌদ্ধ [[পাল সাম্রাজ্য|পাল শাসকগণ]] এই অঞ্চলগুলোকে একত্রিত করে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন যাদের ক্ষমতা এই অঞ্চল জুড়েই কেন্দ্রীভূত ছিল, তবে পালদের সাম্রাজ্য কাশ্মীরি পাহাড় থেকে বর্তমান [[অন্ধ্র প্রদেশ]] পর্যন্তও বিস্তৃতি লাভ করেছিল। এর পরে বাংলায় হিন্দু [[সেন রাজবংশ|সেন রাজবংশের]] সময়ে [[ত্রিপুরা]], [[আসাম]], [[মেঘালয়|মেঘালয়]] এবং [[অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা|বাংলা]] যেখানে [[বিহার]] ও [[ঝাড়খণ্ড|ঝাড়খণ্ডও]] যুক্ত ছিল (যদিও এখন অ-বাংলা রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়) - এই সকল অঞ্চলের [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষাভাষী]] জনগোষ্ঠীকে একত্রিত করে অবিভক্ত বাংলার ধারণা প্রথম উন্মোচিত হয়।<ref>Mikey Leung and Belinda Meggitt, ''Bangladesh'', page 7-8, Bradt Travel Guides, 2009, {{ISBN|1-84162-293-1}}</ref> সেন রাজবংশের পতনের পর এই অঞ্চলটি ইসলামী সংস্কৃতির কেন্দ্র হয়ে ওঠে এবং ইসলামের পূর্বাঞ্চলীয় বিস্তারের একটি অভিক্ষিপ্ত অঞ্চল হয়ে ওঠে। অঞ্চলটি অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে পরিণত হয়। [[রাজমহলের যুদ্ধ|রাজমহলের যুদ্ধের]] পর [[বাংলা সালতানাত]] [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল সাম্রাজ্যের]] অধীনে চলে যায় এবং মুঘল সাম্রাজ্যের যুবরাজগণ (ক্রাউন প্রিন্স) এই অঞ্চলের রাজপ্রতিনিধি নিযুক্ত হতেন।
৫৭ নং লাইন:
| || মোট ||৬২৯,৯৩২ ||৩০.৪৬ || ৫৮%
|}
 
==ভাষাতাত্ত্বিক ও জাতিগত যৌক্তিকতা==
 
[[File:Major Indo-Aryan languages.png|thumb|300 px|প্রধান [[ইন্দো-আর্য ভাষা]]সমূহ।]]
বাংলা, বিহারী, ওড়িয়া ও আসামীয় ভাষাকে ইন্দো-আর্য ভাষার পূর্বাঞ্চলীয় শাখার মাঝে গণ্য করা হয়, যা [[মাগধী প্রাকৃত]] (বা মতান্তরে [[গৌড়ী প্রাকৃত]]) থেকে উদ্ভূত। মাগধী প্রাকৃতকে [[মধ্য ইন্দো-আর্য ভাষা]]র অন্তর্ভূক্ত ধরা হয়, এবং সংস্কৃত থেকে প্রাকৃত ভাষায় বিবর্তনের এই পর্ব অন্ততঃ ৬০০ খ্রী.পূ. থেকে শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। অপরপক্ষে বর্তমান [[হিন্দুস্তানি ভাষা|হিন্দি/উর্দুর]] আবির্ভাব হয় [[শৌরসেনী প্রাকৃত]] হতে ও [[মারাঠি]] ভাষার উৎপত্তি [[মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত]] থেকে। বর্তমানে উত্তর ভারতের ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহের শাখাগুলো অন্ততঃ ২৫০০ বছর ধরে আংশিক স্বাধীনভাবে বিকশিত হওয়ায়, একই ভাষা পরিবারের অংশ হওয়া সত্ত্বেও উত্তর ও পূর্ব ভারতীয় ভাষাগুলোর মাঝে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান।
 
[[File:World Map of Y-DNA Haplogroups.png|thumb|300 px|পৃথিবীর [[Y-DNA Haplogroups|পিতৃবংশ]]সমূহের মানচিত্র।]]
অপরপক্ষে ভারতীয় উপমহাদেশের পিতৃবংশসমূহ ({{lang-en|Y-DNA Haplogroups}}) বিশ্লেষণে দেখা যায় উত্তর ও মধ্য ভারতে প্রধানতঃ [[ইন্দো-ইরানী পিতৃবংশ]] এবং দক্ষিণ ভারতে [[দ্রাবিড়ীয় পিতৃবংশ]] অত্যন্ত প্রভাবশালী, কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চল বা বৃহত্তর বাংলা অঞ্চলে [[অস্ট্রো-এশীয় পিতৃবংশ]] এবং [[তিব্বতি-বর্মী পিতৃবংশ|তিব্বতি-বর্মী পিতৃবংশের]] শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে, যার কারনে অনেকে বৃহত্তর বঙ্গ অঞ্চলে বসবাসকারীদের উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে বসবাসকারী থেকে ভিন্ন জাতি হিসেবে গণ্য করেন। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাপ্ত পিতৃবংশসমূহের মধ্যে ইন্দো-ইরানী পিতৃবংশের অভিপ্রয়াণ সবচেয়ে নতুন হওয়ায়, এবং অস্ট্রো-এশীয় পিতৃবংশ সবচেয়ে পুরনো হওয়ার কারণে, বৃহত্তর বাংলা অঞ্চলে উত্তর ভারতীয় ও মধ্য ভারতীয় জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতির বিস্তারকে অনেকে বহির্সংস্কৃতির আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করেন। দক্ষিণ ভারতে [[দ্রাবিড় জাতীয়তাবাদ]]ও অনুরূপ চিন্তাধারার উপর নির্ভরশীল, যেখানে উত্তর ভারতের ইন্দো-ইরানী ভাষা বা পিতৃবংশের বিস্তারকে বহিরাগত সংস্কৃতির আগ্রাসন হিসেবে ধরা হয়।
 
 
== ষড়যন্ত্র তত্ত্বসমূহ ==