কনস্টান্টিনোপল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Mamun Biswas786 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১০ নং লাইন:
সম্রাট কন্সটান্টাইনের সময়ের বহু আগে থেকেই এই শহর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারন এটি ছিল ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণসাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বসফরাস প্রনালির তীরে অবস্থিত। ধারনা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতকে মেগাররা এখানে চালসেডন(Chalcedon) নামে একটি শহর স্থাপন করে। এটি অবস্থিত ছিল বসফরাসের অপর পারে। পরবর্তীতে মেগারদের এক গোত্রপ্রধান বাইজাস এর নামে বাইজান্টিয়াম শহরটি স্থাপিত হয়। এই বিষয়ে হেরোডোটাস থেকে শুরু করে অনেক গ্রিক ও রোমান ইতিহাসবিদ অনেক তথ্য রেখে গেছেন।
 
দীর্ঘকাল ধরে এই শহরের মূল গুরুত্ব ছিল বাণিজ্যবন্দর হিসেবে। দ্বিতীয় শতকের শেষ দিকে সম্রাট সেপ্তিমিয়াস সেভারাস তার প্রতিদন্ধিপ্রতিদ্বন্দ্বী পেসিনিয়াস নিগারকে হারানোর পর এই শহরের অনেক ক্ষতি সাধন করেন। কন্সটান্টাইন যখন রোমান সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানীর জন্য জায়গা অনুসন্ধান করছিলেন তখন শুরুতে আরও অন্যান্য শহরের কথাও চিন্তা করেছিলেন। ৩২৪ খ্রিস্টাব্দেও এটি গ্রামের মত ছিল। অনেকটা হঠাৎ করেই তিনি এখানে রাজধানী স্থাপন করেন। খ্রিষ্টান ঐতিহাসিকগণ অলৌকিক প্রভাবের কথা বলেছেন।
 
রাজধানী হবার পরই এই শহরের অভুতপুরব উন্নতি ঘটে। চতুর্থ শতকের শুরুতে এখানে দুই লক্ষাধিক লোক বাস করত। পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য যতদিন গুরুত্বপূর্ণ ছিল ততদিন এই শহরও জৌলুশময় ছিল। কিন্তু ১২০৪ সালে চতুর্থ ক্রুসেডের সময় ক্রুসেডাররা এই শহরের ব্যাপক ক্ষতি করে। পরবর্তী ২০০ বছর এই শহর অধঃপতনের দিকেই ছিল। তবে খ্রিষ্টান ধর্মের একটি প্রধান শহর হিসেবে এর গুরুত্ব সবসময়ই ছিল। এই শহরের প্রতিরক্ষা পদ্ধতিও ছিল অত্যন্ত দৃঢ়। তাই আরব ও তুর্কিরা বহু শতাব্দী ধরে চেস্টা করেও এই শহর দখল করতে পারে নি। অবশেষে ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ এই শহরটি দখল করেন এবং ওসমানীয় সালতানাতের নতুন রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=History of the Byzantine Empire, 324-1453|last=Alexander|first=Vasiliev|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref>[https://muse.jhu.edu/book/31109]
 
==তথ্যসূত্র==