উত্তরা গণভবন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Kalpurushmoon (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Manna mehedi (আলোচনা | অবদান)
২৬ নং লাইন:
== প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ==
 
প্রাসাদের মূল অংশ এবং সংলগ্ন কিছু ভবন নির্মাণ করেছিলেন [[রাজা দয়ারাম রায়]]। রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা প্রমদানাথ রায়ের আমলে [[১৮৯৭]] সালের ১০ জুন [[নাটোর জেলা|নাটোরের]] ডোমপাড়া মাঠে তিনদিনব্যাপী বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের এক অধিবেশন আয়োজন করেন। [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ]] অনেক বরেণ্য ব্যক্তি এ অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন। অধিবেশনের শেষ দিন ১২ জুন প্রায় ১৮ মিনিটব্যাপী এক প্রলয়ংকরিপ্রলয়ংকরী ভূমিকম্পে রাজপ্রাসাদটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। পরে রাজা প্রমদা নাথপ্রমদানাথ রায় ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছর সময় ধরে বিদেশীবিদেশি বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী ও চিত্রকর্ম শিল্পী আর দেশীদেশি মিস্ত্রিদের সহায়তায় সাড়ে ৪১ একর জমির উপর এই রাজবাড়ীটি পুনঃরাজবাড়িটি নির্মাণপুনঃনির্মাণ করেন। <ref>http://www.snnbd.com/bangla/mnews-n.php?cid=0.14&id=19622</ref>
 
সাড়ে ৪১ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত প্রাসাদটি পরিখা ও উচুউঁচু প্রাচীর ঘেরা।প্রাচীরঘেরা। প্রাসাদের পূর্বপাশে পিরামিড আকৃতির চারতলা প্রবেশদ্বার রয়েছে যা উপরের দিকে সরু হয়ে গেছে এবং এর উপরে একটি ঘড়িও রয়েছে। মধ্যযুগীয় বাংলাদেশের অন্যান্য সামন্ত প্রাসাদের মতোই নাটোরের রাজবাড়ীতেরাজবাড়িতে রয়েছে দীর্ঘ প্রবেশ পথ যার দু ধারে বোতল পামের সুবিন্যাস লক্ষনীয়।লক্ষণীয়। নাটোরের ঐতিহাসিক দিঘাপতিয়ার রাজবাড়ি বর্তমানে''' উত্তরা গণভবন'''। প্রায় তিনশত বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী দিঘাপতিয়া রাজবাড়িটি নাটোরের '''উত্তরা গণভবন''' নামে পরিচিত। বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবন। দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দয়ারাম রায়। তিনি নাটোরের রাজা-মহারাজ রামজীবনের একান্ত অনুগত একজন দেওয়ান ছিলেন। নাটোর রাজ্যের উত্থানে দয়ারাম রায় অসামান্য ভূমিকা রাখায় ১৭০৬ সালের দিকে রাজা রামজীবন উপহার হিসেবে বাসস্থানের জন্য তাকে দিঘাপতিয়ায় কিছু জমি দান করেন। পরে জমিদার ও রাজা হওয়ার পর ১৭৩৪ সালে দয়ারাম রায় দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
নাটোরের ঐতিহাসিক দিঘাপতিয়ার রাজবাড়ী বর্তমানে''' উত্তরা গণভবন'''। প্রায় তিনশত বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী দিঘাপতিয়া রাজবাড়ীটি নাটোরের '''উত্তরা গণভবন''' নামে পরিচিত। বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবন। দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দয়ারাম রায়। তিনি নাটোরের রাজা-মহারাজ রামজীবনের একান্ত অনুগত একজন দেওয়ান ছিলেন। নাটোর রাজ্যের উত্থানে দয়ারাম রায় অসামান্য ভূমিকা রাখায় ১৭০৬ সালের দিকে রাজা রামজীবন উপহার হিসেবে বাসস্থানের জন্য তাকে দিঘাপতিয়ায় কিছু জমি দান করেন। পরবর্তীতে জমিদার ও রাজা হওয়ার পর ১৭৩৪ সালে দয়ারাম রায় দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
 
উত্তরা গণভবনের প্রবেশ পথের বিশাল ফটকটি আসলে একটি বিরাটাকৃতির পাথরের ঘড়ি। ঘড়িটি রাজা দয়ারাম সেই সময় ইংল্যান্ড থেকে আনিয়েছিলেন। ঘড়িটির পাশে রয়েছে একটি বড়বড়ো ঘণ্টা। এক সময় এই ঘণ্টাধ্বনি বহুদূর থেকে শোনা যেতো।যেত। প্রাসাদের ভিতর বহু প্রাচীন ও দুর্লভ প্রজাতির গাছের সমাবেশ ও সমারোহ। ঢাকার জাতীয় স্মৃতিসৌধের শোভাবর্ধনকারী রোপণকৃত ফুল ব্রাউনিয়া ও ককেসিয়া এখানকারই। এছাড়া অন্যান্য বৃক্ষের মধ্যে এখানে আছে রাজ-অশোক, সৌরভী, পরিজাতপারিজাত, হাপাবমালি, কর্পূর, হরীতকী, যষ্টিমধু, মাধবী, তারাঝরা, মাইকাস, নীলমণিলতা, হৈমন্তীসহ বিভিন্ন দুর্লভ প্রজাতির ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষ। প্রাসাদের মধ্যে পরিখা বা লেকের পাড়ে এসব বৃক্ষাদিরবৃক্ষের মহাসমারোহ।
 
প্রাসাদের প্রবেশ পথের চারিদিকে প্রাসাদঘেরা পরিখা যা পুরো রাজপ্রাসাদকে ঘিরে রেখেছে। ভেতরে বিশাল মাঠ ও গোলাপ বাগান, একপাশে গণপূর্ত অফিস। দ্বিতল হলুদ ভবনটি কুমার প্যালেস নামে পরিচিত। নিচতলাটি টর্চারসেল হিসেবে ব্যবহৃত হতো।হত। একটি একতলা তহশিল অফিস আছে। সে সময়কার চারটি কামান পরিলক্ষিত হয়। কামানগুলোর স্থাপনকাল ছিল ১৭৯৯ সাল। বিশাল রাজদরবার সংলগ্নরাজদরবারসংলগ্ন বাগানে জমিদার দয়ারামের একটি ভাস্কর্য তারতাঁর স্মৃতিচারণস্মৃতির প্রতীক। প্রাসাদের মধ্যে একটি মিলনায়তন ভবনসহ রযেছে আরো দুইটি ভবন। গাড়ি পার্ক করার গ্যারেজ আলাদা। যাবতীয় স্থাপনা মাঝখানে। প্রাসাদের ভেতর রয়েছে বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিসপত্র। ভবনের মধ্যে জাদুঘর, বহু দর্শনীয় স্মৃতিস্তম্ভ, ভাস্কর্য ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য বিদ্যমান।
 
ইতালীয় গার্ডেন উত্তরা গণভবনের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অংশ। গার্ডেনটির আসবাবপত্র রাজা দয়ারাম ইটালি থেকে আনিয়েছিলেন। ছিপ হাতে কালো রঙের মার্বেল পাথরের মূর্তিটি উপভোগ্য। বেঞ্জগুলো কোলকাতা থেকে আনানো হয়েছিল। পাহাড়িকন্যা পাথরের মূর্তিটির এক হাত ভাঙা। হাতের কবজিটি স্বর্ণ দিয়ে বাঁধাই করা ছিল। এখানে রাণীররানির টি -হাউসটি অতুলনীয়।
 
উত্তরা গণভবন চত্বরে গোলপুকুর, পদ্মপুকুর, শ্যামসাগর, কাছারিপুকুর, কালীপুকুর, কেষ্টজির পুকুর নামে ছয়টি পুকুর রয়েছে। এছাড়া গণভবনের ভেতরের চারপাশে সুপ্রশস্ত পরিখা রয়েছে। প্রতিটি পুকুর পরিখায় সানবাঁধানো একাধিক ঘাট আছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গিয়েছে। ঘাট ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। প্রাচীন এই অবকাঠামোকে ঘিরে অজস্র আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, মেহগনি, পাম ও চন্দনাসহ দুর্লভ জাতের গাছ লাগানো ছিল। অযত্ন আর অবহেলায় ইতোমধ্যে অনেক গাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
 
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগেরদেশবিভাগের পর দিঘাপতিয়ার শেষ রাজা প্রতিভা নাথপ্রতিভানাথ রায় দেশ ত্যাগ কেরকরে চলে যান। এসময়এ সময় থেকে দিঘাপতিয়া রাজবাড়ীরাজবাড়ি পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকে। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার রাজবাড়ীটিরাজবাড়িটি অধিগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালের ২৪ জুলাই তৎকালীন গভর্নর হাউসে রূপান্তরিত হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এটিকে উত্তরা গণভবন হিসেবে ঘোষণা দেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এই ভবনের মূল প্রাসাদের ভিতর মন্ত্রিসভার বৈঠক আহবানআহ্বান করেন। সেই থেকে ভবনটি ‘উত্তরা গণভবনেরগণভবনে' প্রকৃত মর্যাদা লাভ করে।
 
== নামকরণ ==
 
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগেরদেশবিভাগের পর দিঘাপতিয়া রাজা দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান। ১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর দিঘাপতিয়ার রাজ প্রাসাদটির রক্ষণা-বেক্ষণেরক্ষণবেক্ষণে বেশ সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা সমাধানে দিঘাপতিয়ার মহারাজাদের এই বাসস্থানকে ১৯৬৭ সালের ২৪শে জুলাই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর আব্দুল মোনায়েম খাঁনখান দিঘাপতিয়ার গভর্ণরের বাসভবন (The East Pakistan Governor's house of Dighapatia) হিসেবে উদ্বোধন করেন। পরবর্তীকালেপরে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারীফেব্রুয়ারি [[শেখ মুজিবর রহমান|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান]] এক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এর নাম পরিবর্তন করে উত্তরা গনভবনগণভবন ঘোষণা করেন।
 
প্রাসাদের পিছন দিকে রয়েছে ফোয়ারা সহফোয়ারাসহ একটি সুদৃশ্য বাগান। বাগানের এক কোণে রয়েছে প্রমাণ আকৃতির মার্বেল পাথরের তৈরি একটি নারী মূর্তি।নারীমূর্তি। [[১৯৪৭]] সালের পর অবশ্য এ ভবনে আর কেউ বসবাস করেন নি।করেনি।
 
বর্তমানে এটি দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের অণুমতি সাপেক্ষেঅনুমতিসাপেক্ষে উন্মুক্ত রয়েছে।
===উত্তরা গণভবন সংগ্রহশালা ===
[[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[নাটোর জেলা]]র [[উত্তরা গণভবন|উত্তরা গণভবনের]] মধ্যে উত্তরা গণভবন সংগ্রহশালা অবস্থিত ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://uttaraganabhaban.gov.bd/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE|শিরোনাম=উত্তরা গণভবন সংগ্রহশালা নাটোর।|শেষাংশ=সংগ্রহশালা|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=https://uttaraganabhaban.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.breakingnews.com.bd/mobile/details.php?breakingNews=58128|শিরোনাম=উত্তরা গণভবনে সংগ্রহশালা ও চিড়িয়াখানা উদ্বোধন {{!}} ব্রেকিংনিউজ.কম.বিডি|কর্ম=Breaking News|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-22|ভাষা=bn}}</ref>
[[চিত্র:উত্তরা গণভবন সংগ্রহশালা (ফলোক).jpg|থাম্ব|সংগ্রহশালা সামনের ফলোক ]]
 
যা ২০১৮সালের২০১ ৯মার্চ৮সালের ৯ মার্চ স্থাপিত হয়। <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.breakingnews.com.bd/mobile/details.php?breakingNews=58128|শিরোনাম=উত্তরা গণভবনে সংগ্রহশালা ও চিড়িয়াখানা উদ্বোধন|কর্ম=ব্রেকিংনিউজ.কম.বিডি|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-22|ভাষা=bn}}</ref> <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://uttaraganabhaban.gov.bd/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE|শিরোনাম=সংগ্রহশালা – Uttara Ganabhaban|ওয়েবসাইট=uttaraganabhaban.gov.bd|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-22}}</ref>
 
উত্তরা গণভবনের পুরাতন ট্রেজারি ভবনেট্রেজারিভবনে স্থাপিত সংগ্রহশালায় বিভিন্ন রাজার আমলের অন্তত শতাধিক জিনিসপত্র স্থান পেয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://silkcitynews.com/175537|শিরোনাম=উত্তরা গণভবন দর্শণার্থীদের জন্য ৮০ভাগ এলাকা উন্মুক্ত: সংগ্রহশালার যাত্রা শুরু |ওয়েবসাইট=silkcitynews.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-22}}</ref> মন্ত্রী পরিষদমন্ত্রিপরিষদ [[সচিব]] মোহাম্মদ শফিউল আলম সংগ্রহশালাটি উদ্বোধন করেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://silkcitynews.com/175537|শিরোনাম=উত্তরা গণভবন দর্শণার্থীদের জন্য ৮০ভাগ এলাকা উন্মুক্ত: সংগ্রহশালার যাত্রা শুরু|ওয়েবসাইট=silkcitynews.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-22}}</ref>
== বর্ননায়বর্ণনায় সংগ্রহশালা ==
 
নাটোরের উত্তরা গণভবনের সংগ্রহশালা রাজার আমলের শতাধিক দুষ্প্রাপ্য সামগ্রীর সমাহারে সাজানো হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://uttaraganabhaban.gov.bd/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE|শিরোনাম=সংগ্রহশালা – Uttara Ganabhaban|ওয়েবসাইট=uttaraganabhaban.gov.bd|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-22}}</ref> অতীতের সাথে বর্তমানের মেলবন্ধন তৈরীতৈরি করেছে   এই সংগ্রহশালা।
 
সংগ্রহশালার করিডরে রাজা প্রমদানাথ রায় ও সস্ত্রীক রাজা দয়ারাম রায়ের ছবি আর রাজবাড়ীররাজবাড়ির সংক্ষিপ্ত বিবরণ। মার্বেল পাথরের রাজকীয় বাথটাব। ডান পাশেরডানপাশের কক্ষে রাজার পালংকপালঙ্ক, ঘূর্ণায়মান চেয়ার, টেবিল, আরাম চেয়ারআরামচেয়ার আর ড্রেসিং টেবিলড্রেসিংটেবিল স্থাপন করে যেন তৈরীতৈরি করা হয়েছে রাজার শয়ন কক্ষ।শয়নকক্ষ।
 
বাম পাশেরবামপাশের দ্বিতীয় কক্ষে শোভা বাড়াচ্ছে রাজ সিংহাসনরাজসিংহাসন, রাজার মুকুট আর রাজার গাউন। আরও আছে মার্বেল পাথরের থালা, বাটি, কাঁচেরকাচের জার, পিতলের গোলাপ জলদানীজলদানি, চিনামাটির ডিনার সেট। এই কক্ষে লেখক গবেষকরা অনায়াসে লেখার উপাদান পেয়ে যাবেন রাজ পরিবারেররাজপরিবারের লাইব্রেরির বই আর শেষশেষরাজা রাজা প্রতিভা নাথপ্রতিভানাথ রায়ের ইন্সুরেন্স বিষয়কইন্সুরেন্সবিষয়ক কাগজপত্রের মধ্যে।
 
একটি কক্ষ রাজকুমারী ইন্দুপ্রভা চৌধুরাণীর। সুলেখক ইন্দ্রপ্রভাকে রাখা হয়েছে তারই পিতলের ছবির ফ্রেমে। আছে তারতাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরি, আত্মজীবনী, পান্ডুলিপিপাণ্ডুলিপিতারতাঁর কাছে লেখা স্বামী মহেন্দ্র নাথমহেন্দ্রনাথ চৌধুরীর রাশি রাশি চিঠি। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://silkcitynews.com/175537|শিরোনাম=উত্তরা গণভবন দর্শণার্থীদের জন্য ৮০ভাগ এলাকা উন্মুক্ত: সংগ্রহশালার যাত্রা শুরু {{!}} Silkcity News|ওয়েবসাইট=silkcitynews.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2018-10-22}}</ref>
 
দর্শনার্থীদের জন্যে ইন্দুপ্রভার লেখা বঙ্গোপসাগর কবিতাটি ফ্রেমে বাধাইবাঁধাই করে দেয়ালে টানানো হয়েছে। ৬৭ লাইনের এই কবিতায় মুগ্ধ কবি বর্ণনা করেছেন বঙ্গোপসাগরের অপরুপ সৌন্দর্য।
 
করিডোর ছাড়াও সংগ্রহশালার দশটি কক্ষের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে দৃষ্টি নন্দনদৃষ্টিনন্দন সব আসবাবপত্র। বিশেষ করে রকমারি সব টেবিল। এরমধ্যে ডিম্বাকৃতির টেবিল, গোলাকার টেবিল, দোতলা টেবিল, প্রসাধনী টেবিলপ্রসাধনীটেবিল, অস্টভূজঅষ্টভুজ টেবিল, চর্তুভূজ টেবিল, কর্ণারকর্নার টেবিল, গার্ডেন ফ্যান কাম টি -টেবিল ইত্যাদি।
 
প্রায় ৩০০ বছর আগে ১৭৩৪ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে দয়ারাম রায় উত্তরা গণভবন খ্যাত দিঘাপতিয়া রাজবাড়ীররাজবাড়ির গোড়াপত্তন করেন। ১৮৯৭ সালের প্রলয়ংকারী ভূমিকম্পে রাজবাড়িটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়ার পর থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছর ধরে বিদেশীবিদেশি বিশেষজ্ঞ, প্রকোশলী, চিত্রশিল্পি এবং কারিগরদের সহায়তায়  এই নয়নাভিরাম রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করেন। দিঘাপতিয়া রাজপরিবারকে নিয়েই এই সংগ্রহশালার পূর্ণতা দেয়া হয়েছে।
 
== চিত্রসমূহ ==