রিচার্ড স্টলম্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎গ্নু প্রকল্প: সম্প্রসারণ
৬৮ নং লাইন:
১৯৮৫ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয় [[গ্নু প্রকল্প|গ্নু প্রকল্পের]] ইশতেহার । এই ইশতেহারে গ্নু প্রকল্পের বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরার পাশপাশি জানানো হয় [[ইউনিক্স|ইউনিক্স-সদৃশ]] একটি মুক্ত [[অপারেটিং সিস্টেম]] তৈরির কথা। ইউনিক্সের মতো হলেও এই অপারেটিং সিস্টেমের [[সোর্স কোড]] বিতরণ ও পরিবর্তন করা যাবে। এছাড়াও [[মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন|মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনকে]] ছড়িয়ে দিতে সে বছরের ৪ অক্টোবর গঠন করেন [[ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন]] নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। মুক্ত সফটওয়্যারের বিতরণ এবং রূপান্তর যেন [[কপিরাইট|কপিরাইটের]] হুমকির মুখে না পড়ে সেজন্য স্টলম্যান এক নতুন ধারণার জন্ম দেন, যার নাম ‘[[কপিলেফট]]’। কপিলেফটের ফলে একটি সফটওয়্যার স্বাধীনভাবে ব্যবহার করা ছাড়াও ব্যবহারকারী এর পরিবর্তন করতে পারবেন, এমনকি এই সফটওয়্যারকে রূপান্তর করে একটি নতুন সফটওয়্যারও তৈরি করা যাবে। এজন্য কারো অনুমতি নিতে হবে না। স্টলম্যানের মতে কপিরাইটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়, আর অন্যদিকে কপিলেফট ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা বজায় রাখতে সদা সচেষ্ট। তবে এর মূল উন্নয়নকারীর অবদান যেন ক্ষুণ্ণ না হয় সেজন্য কিছু শর্তও থাকে। ১৯৮৯ সালে তার প্রথম প্রোগ্রাম থেকে স্বাধীন [[গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স]] মুক্তি পায়। তারপরই, গ্নু ব্যবস্থার অধিকাংশ অংশ সম্পন্ন হয়েছে।
নব্বই দশকের শুরু। গ্নু অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত হবার অপেক্ষায়। তবে এর একটি বড় অংশ তখনও বাকী, আর সেই অংশটি হলো অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল। সেই কাজটিকে সহজ করে দেন ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র [[লিনুস তোরভাল্‌দস]]। ইউনিক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম "মিনিক্স" নিয়ে শখের বশে কাজ করতে করতে ১৯৯১ সালের মার্চ মাসে লিনুস তৈরি করে ফেলেন একটি [[অপারেটিং সিস্টেম]] [[কার্নেল (কম্পিউটার বিজ্ঞান)|কার্নেল]]। ফলে গ্নু অপারেটিং সিস্টেমের কার্নেল হিসেবে একেই বেছে নেয়া হয়, জন্ম নেয় মুক্ত সফটওয়্যার যুদ্ধের সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র- "[[লিনাক্স]]"। লিনুসের নামানুসারেই এর নামকরণ করা হয়। ফলে অনেকেই ধারণা করে বসেন লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের পুরোটাই বোধহয় লিনুসের তৈরি করা। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে '''লিনাক্স''' হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেমের [[কার্নেল (অপারেটিং সিস্টেম)|কার্নেল]]। লিনাক্স আসার পরপরই মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন একটি নতুন মাত্রা পায়। উন্মুক্ত সোর্সকোড ভিত্তিক এই অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার ব্যবহারকারী এবং প্রোগ্রামারদের সামনে নতুন দ্বার উন্মোচন করে।
 
== সমাজকর্মী ==