এম. জি. রামচন্দ্রন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Fayaz Rahman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Fayaz Rahman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪ নং লাইন:
| office = তামিলনাড়ুর ৪র্থ মুখ্যমন্ত্রী
| native_name =
| image = MGRচিত্র:এম andজি VNJanakiরামচন্দ্রন.jpg
| caption =
| caption = ১৯৪৮ সালের তামিল চলচ্চিত্র 'মোহিনী'তে রামচন্দ্রন এবং ভি এন জনকী
| constituency =
| predecessor = রাষ্ট্রপতির শাসন
৩২ নং লাইন:
| relatives = এম জি চক্রপানি (ভাই)
}}
'''মারুদুর গোপালান রামচন্দ্রন''' (১৭ জানুয়ারী ১৯১৭ - ২৪ ডিসেম্বর ১৯৮৭), জনপ্রিয়ভাবে '''এমজিআর''' হিসেবে পরিচিত, ছিলেন একজন ভারতীয় তামিল চলচ্চিত্র অভিনেতা, চলচ্চিত্রনির্মাতা এবং রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এমজিআর ছিলেন ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের একজন সাংস্কৃতিক মূর্তি, এবং তাকে তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেতা ধরা হয়।<ref>{{cite web|url=http://www.hindustantimes.com/interactives/70-politicians-independence-day/|title=India at 70 70 most influential Politicians of post-independence India}}</ref> তিনি জনপ্রিয়ভাবে 'মাক্কাল তিলাগাম' হিসেবে পরিচিত ছিলেন যার বাংলা অর্থ হচ্ছে জনগণের রাজা কারণ তিনি জনগণের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন।<ref>{{cite web|url=http://sangam.org/mgr-remembered-part-26/|title=MGR Remembered – Part 26|date=8 April 2015|author=[[Sachi Sri Kantha]]|publisher=[[Federation of Tamil Sangams of North America#Organization|Sangam.org]]|accessdate=19 May 2017}}</ref>
 
যুবক থাকা অবস্থায় এমজিআর এবং তার ভাই এম জি চক্রপানি মঞ্চ নাটকে যোগদান করেন তাদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য। গান্ধীয় মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এমজিআর [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে]] যোগদান করেন। কয়েক বছর মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের পর তিনি তামিল চলচ্চিত্র ''সাথী লীলাবতী''তে সহ-চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান, চলচ্চিত্রটি ১৯৩৬ সালে মুক্তি পায়। ১৯৪০ এর দশকের শেষের দিকে তিনি তামিল সিনেমা জগতের মুখ্য নায়কের মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হন এবং পরবর্তী তিন দশক ধরে তিনি এক্ষেত্রে রাজত্ব ধরে রাখেন। তিনি সি এন আন্নাদুরাই (রাজনীতিবিদ) এর রাজনৈতিক দল ''দ্রাভিড়া মুন্নেট্রা কাড়াগাম'' (ডিএমকে) এর সদস্যপদ লাভ করেন এবং খুব দ্রুত ছোট পদ থেকে বড় পদে উঠে যান, এক্ষেত্রে তার চলচ্চিত্র-অভিনেতার মর্যাদা এবং জনপ্রিয়তা কাজে লেগেছিলো। ১৯৭২ সালে, আন্নাদুরাইএর মৃত্যুর তিন বছর পর, তিনি ডিএমকে ছেড়ে দেন, তখন দলটি করুণানিধি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, এই করুণানিধি এমজিআরের বন্ধু ছিলেন যদিও, কিন্তু তারপরেও এমজিআর তার বিরোধী দল হিসেবে ''[[সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গম]]'' (অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাভিড়া মুন্নেট্রা কাড়াগাম, এআইএডিএমকে) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। পাঁচ বছর পর তিনি তার এই এআইডিএমকে দলটিকে তামিলনাড়ুর প্রাদেশিক নির্বাচনে জিতিয়ে দেন ডিএমকে কে পেছনে ফেলে। তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র-অভিনেতা যিনি আবার একটি প্রদেশের সরকারপ্রধানও হয়েছেন। ১৯৮০ সালে ছয়মাসের জন্য তাকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে, ১৯৮৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তার মৃত্যুদিবস পর্যন্ত তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং তার জীবদ্দশায় তার এআইএডিএমকে দু'দুবার ক্ষমতায় আসে, ১৯৮০ ও '৮৪তে।
৪২ নং লাইন:
এমজিআর একসময় খুবই ধার্মিক ছিলেন এবং [[কার্তিক (দেবতা)]]কে পছন্দ করতেন যাকে তামিল ভাষায় শ্রী মুরুগান বলা হয়, এছাড়াও এমজিআরের মা [[বিষ্ণু]]র মালয়ালাম অবতার শ্রী গুরুভায়ুরাপ্পানকেও পছন্দ করতেন যাকে এমজিআরও পুজা করতেন।<ref>Linda Woodhead ''Religions in Modern World''. Fletcher, Kawanam. p. 39</ref> রাজনৈতিক দল ডিএমকে'তে যোগদান করার পর এমজিআর নাস্তিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে যান।<ref>[[M.S.S. Pandian]] (1992) ''The image trap''. SAGE Publications. {{ISBN|0803994036}}. p. 131</ref>
 
|[[File:MGR captionand VNJanaki.jpg|upright= 0.8|thumb|left|১৯৪৮ সালের তামিল চলচ্চিত্র ''মোহিনী''তে রামচন্দ্রনএমজিআর এবং ভি এন জনকী]]
এমজিআর প্রথমে সিতারীকুলম বার্গভি (তাঙ্গামণি) নামের একজনকে বিয়ে করলেও মেয়েটি অসুস্থ হয়ে তাড়াতাড়িই মারা যায়। এরপর এমজিআর সত্যনন্দবতী নামের তার দ্বিতীয় স্ত্রীকেও হারান, ইনারও গুরুতর অসুস্থতা ছিলো।<ref>[http://cinema.maalaimalar.com/2014/01/19000346/Marriage-qualifying-high.html திருமணமும் தகுதி உயர்வும் || Marriage qualifying high]. Cinema.maalaimalar.com (19 February 2014). Retrieved 21 May 2014.</ref> ১৯৬৫ সালে এমজিআর তামিল চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ভি এন জনকীকে বিয়ে করেন।<ref>[http://cinema.maalaimalar.com/2014/01/21000505/Mgr-Cinema-History.html பொன்மனச் செம்மலின் வெற்றி வரலாறு (பகுதி 5): வி.என். ஜானகியை வாழ்க்கைத் துணைவியாக ஏற்றார்! || Mgr Cinema History]. Cinema.maalaimalar.com (19 February 2014). Retrieved 21 May 2014.</ref> জনকী তার স্বামী গণপতিকে তালাক দিয়েছিলেন।
==অভিনয় জীবন==
রামচন্দ্রন অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিলো ১৯৩৬ সালের তামিল চলচ্চিত্র ''সাথী লীলাবতী'' ,<ref>[https://web.archive.org/web/20090303042321/http://www.bookrags.com/M._G._Ramachandran M. G. Ramachandran]. bookrags.com</ref> যেটি এলিস ডাঙ্গান নামের একজন মার্কিন ব্যক্তি পরিচালনা করেছিলেন।<ref>{{cHENNAIite news |url=http://www.hindu.com/thehindu/mp/2004/09/06/stories/2004090600190300.htm |location=Chennai, India |work=The Hindu |title=Americans in Tamil cinema |date=6 September 2004}}</ref> রোম্যান্টিক অথবা এ্যাকশোন ঘরানার চলচ্চিত্রে সাধারণত অভিনয় করা এমজিআর ১৯৫০ সালের চলচ্চিত্র ''মন্তিরি কুমারী'' দ্বারা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন, এই চলচ্চিত্রটির কাহিনী লিখেছিলেন [[করুণানিধি মুথুবেল|এম করুণানিধি]]। ১৯৫৪ সালের চলচ্চিত্র ''মালাইক্কিলান'' এমজিআরকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে যায়। তিনি তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের প্রথম অর্ধরঙ্গিন চলচ্চিত্র ''আলিবাবাভুম ৪০ তিরুদারগালুম'' (১৯৫৫)তে অভিনয় করে সুনাম কুড়ান। তামিল চলচ্চিত্র দর্শকদের মনে তিনি স্থায়ীভাবে জায়গা করতে সক্ষম হন ''তিরুদাদে'', ''এঙ্গা ভেট্টু পিল্লাই'', ''আয়িরাতিল ওরুভান'', ''আনবে ভা'', ''মহাদেবী'', ''পানাম পাড়াইতাভান'', ''উলাগাম সুট্রুম ভালিভান'' এর মাধ্যমে। ১৯৭২ সালের চলচ্চিত্র ''রিকশাকরণ'' এ অভিনয় করে তিনি সেরা অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি এমন কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন যেগুলো ভারতের ধনী সম্প্রদায় এবং এমনকি গরীবদেরও মন-মানসিকতার উপর আঘাত এনেছিলো। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ''উলাগাম সুট্রুম ভালিভান'' তার পেছনে অভিনয় করা চলচ্চিত্রগুলোর চেয়ে বেশী আয় করেছিলো। ঐ সময় সাধারণত তামিল ভাষার চলচ্চিত্র বিদেশে খুব কমই শুটিং করা হত; এই চলচ্চিত্রটির শুটিং সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং এবং জাপানে হয়েছিলো। রাজনৈতিক দল ডিএমকে চলচ্চিত্রটির অবৈধ প্রদর্শনে বাঁধা সৃষ্টির অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলো। এমজিআর অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র ছিলো ১৯৮৭ সালের ''উল্লাগাম সুদি পারু'', এই চলচ্চিত্রে এমজিআর তার কিডনিতে সমস্যা থাকার পরেও অভিনয় করেছিলেন।<ref>{{cite web|title=MGR-Sivaji-Gemini: TRINITY Album Launched|url=http://www.indiaglitz.com/channels/tamil/events/25324.html|work=IndiaGlitz|accessdate=6 March 2012|date=22 January 2011}}</ref>
===আদর্শ===
এমজিআরের আদর্শ ছিলেন তামিল মঞ্চনাটক অভিনেতা নারায়ণ পদয়াচ্চী রত্ন (১৮৯৭-১৯৫০) এবং কে পি কেশভ।<ref>{{Cite news|url=http://sangam.org/mgr-remembered-2/|title=MGR Remembered – Part 4|date=2013-02-02|newspaper=Ilankai Tamil Sangam|access-date=2016-11-17}}</ref>