দুর্নীতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
Hasan Mahmud gggg (আলোচনা | অবদান)
বিষয়বস্তু সংযোগ করে।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪ নং লাইন:
 
দুর্নীতি শব্দটি যখন বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন সাংস্কৃতিক অর্থে “সমুলে বিনষ্ট হওয়াকে” নির্দেশ করে <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://dictionary.reference.com/browse/corrupt |title=Corrupt &#124; Define Corrupt at Dictionary.com |publisher=Dictionary.reference.com |date= |accessdate=2010-12-06}}</ref> দুর্নীতি শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন [[Aristotle|আরিস্ততল]] তার পরে [[সিসারো]] যিনি ঘুষ এবং সৎ অভ্যাস ত্যাগ প্রত্যয়ের যোগ করেছিলেন।<ref>Llaca, E.G. (2005), La Corrupcion: Patologia Colectiva [Corruption: Collective Pathology], INAP/CNDH/FCPSUAM, Ciudad de México</ref> রাজনীতি বিজ্ঞানের অধ্যাপক মরিস লিখেছেন,<ref>Morris, S.D. (1991), Corruption and Politics in Contemporary Mexico. University of Alabama Press, Tuscaloosa</ref> দূর্নীতি হল ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ব্যবহার। অর্থনীতিবিদ আই. সিনিয়র <ref>Senior, I. (2006), Corruption - The World’s Big C., Institute of Economic Affairs, London</ref> একে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলেছেন, দূর্নীতি এমন একটি কার্য যেখানে (১)গোপনে প্রদানের কারণে, (২)তৃতীয় কোনো পক্ষ সুবিধা পায়, (৩)যার ফলে তারা বিশেষ ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার নিশ্চিত করে, যা (৪)দূর্নীতির সাথে যুক্ত পক্ষটি এবং তৃতীয় পক্ষ উভয়ই লাভবান হয়, (৫) এবং এই কার্যে দূর্নীতিগ্রস্ত পক্ষটি থাকে কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাফম্যান,<ref name="Legal Corruption">Kaufmann, Daniel and Pedro Vicente, 2005, [http://siteresources.worldbank.org/INTWBIGOVANTCOR/Resources/Legal_Corruption.pdf Legal Corruption], World Bank.</ref> দূর্নীতির ধারণাটিকে আরো বিস্তৃত করেন “আইনানুগ দূর্নীতি” শব্দদ্বয় যোগ করার মাধ্যমে যেখানে আইনকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ করা হয়, যাতে নিজেদের রক্ষা করার জন্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনের ক্ষমতা আইন প্রণেতার নিকট রক্ষিত থাকে।
দুর্নীতিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।ট্রান্সপেরেসির এক জরিপে দেখা যায় যে, দুর্নীতিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।এ হিসাব করা হয় ১০০পয়েন্ট এর ভিত্তিতে।যে দেশ যত দূর্নীতি মুক্ত সে দেশের তত পয়েন্ট।হিসাবে দেখা যায় যে, সবচেয়ে এগিয়ে আছে সোমালিয়া। এ দেশের পয়েন্ট ১০০ তে মাত্র ১০।এরপর কয়েকটি দেশের পরে আছে সিরিয়া।এর পয়েন্ট মাত্র ১৩।এরপর ১৪পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে লিবিয়া,সুদান ও ইয়েমেন।এরপর ইরাকের আছে ১৭, লেবেনানের আছে ২৮।
প্রথম আলোর মতে, আরব বিশ্বের নয়টি দেশ ও ভূখণ্ডে (ফিলিস্তিন) গত বছর দুর্নীতির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে মনে করে সেখানকার সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে গভীর সংকটে পড়া লেবানন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের অবস্থা বেশি খারাপ।
গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) এক জরিপে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রায় ১১ হাজার অংশগ্রহণকারীর মতামতের ভিত্তিতে পাওয়া জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, এ অঞ্চলের দুর্নীতি বেড়ে যাওয়া অন্য দেশ ও ভূখণ্ড হলো আলজেরিয়া, মিসর, জর্ডান, মরক্কো, ফিলিস্তিন, সুদান ও তিউনিসিয়া। অংশগ্রহণকারীদের ৬১ শতাংশ এসব দেশে গত বছর দুর্নীতি বেড়ে গেছে বলে তাঁদের ধারণা ব্যক্ত করেন।
টিআই বলছে, ‘আরব বসন্ত শুরুর পর প্রায় অর্ধদশক পেরিয়ে গেলেও বিশ্বব্যাপী আমাদের দুর্নীতির পরিমাপকে দেখা গেছে, সরকারি খাতের দুর্নীতি কমাতে বিভিন্ন সরকারের প্রচেষ্টা নিয়ে এখনো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জনগণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ বিরাজ করছে।’
দুর্নীতিবিরোধী এ সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, আরব দেশগুলোর অধিকাংশ নাগরিক মনে করেন, সম্প্রতি এসব দেশে দুর্নীতি বেড়েছে। আবার অনেকে মনে করেন, সরকারি কর্মকর্তা ও পার্লামেন্ট সদস্যরা ব্যাপকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে লেবাননের ৯২ শতাংশ, ইয়েমেনের ৮৪ শতাংশ, জর্ডানের ৭৫ শতাংশ মনে করেন দেশগুলোতে দুর্নীতি বেড়েছে। বিপরীতে মিসরের ২৮ শতাংশ ও আলজেরিয়ার ২৬ শতাংশ মনে করেন তাঁদের দেশে দুর্নীতি বেড়েছে।
জরিপে যাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ইয়েমেনি ও প্রায় অর্ধেক মিসরীয় বলেন, সরকারি সেবা পেতে তাঁদের ঘুষ দিতে হয়েছে। একই কথা বলেন তিউনিসিয়ার ৯ শতাংশ ও জর্ডানের ৪ শতাংশ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী।
জরিপ প্রতিবেদনের রচয়িতা কোরালাই প্রিং বলেন, তাঁরা লেবাননের দুর্নীতি পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন। গভীর রাজনৈতিক বিভক্তির মধ্যে দেশটি ২০১৪ সালের মে থেকে কোনো প্রেসিডেন্ট ছাড়াই চলছে।
কোরালাই আরও বলেন, বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জনগণ যে শুধু দুর্নীতি রোধে সরকারি প্রচেষ্টাতেই তাঁদের প্রচণ্ড অসন্তোষ জানিয়েছেন তা-ই নয়, বরং সরকারি খাতজুড়ে দুর্নীতির উচ্চহারেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই দেশগুলোর মধ্যে যে দেশটিকে নিয়ে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে সেটি তিউনিসিয়া। আরব বসন্তের ঢেউ লাগা দেশগুলোর মধ্যে এ দেশটিতেই এখনো উল্লেখযোগ্য বিশৃঙ্খলা বা স্বৈরশাসনের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়নি।
 
==দুর্নীতির মানদন্ড==