মণিলাল ভৌমিক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Imran2105 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Imran2105 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন:
 
== প্রথম জীবন ==
মণি ভৌমিক ১৯৩১ সালের ৩০ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত তৎকালীন মেদিনীপুরের সিউড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শৈশবে কৃষ্ণগঞ্জ কৃষি শিল্প বিদ্যালয়ে ভরতি হন।

{{তথ্যছক বিজ্ঞানী|name=মণি ভৌমিক|image=Dr Mani Bhaumik.jpg|caption=মণি ভৌমিক|birth_date={{birth date and age|df=yes|১৯৩১|৩|৩০}}|birth_place=[[মেদিনীপুর]], [[পশ্চিমবঙ্গ, ভারত]]|residence=বেভার্লি হিলস, লস অ্যাঞ্জেলস, ক্যালিফোর্নিয়া, আমেরিকা|citizenship=মার্কিন|fields=[[পদার্থবিদ্যা]]|workplaces=[[ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস]], [[ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, লং বিচ]]|alma_mater=[[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]]<br>[[ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুর|আই আই টি খড়গপুর]]|academic_advisors=সত্যেন্দ্রনাথ বসু}}

বাল্যকালে মহিষাদল শিবিরে মহাত্মা গান্ধির সঙ্গে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেন। তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি সত্যেন্দ্রনাথ বসুর (যিনি বোস-আইনস্টাইন সংখ্যায়ন তত্ত্বের উদ্ভাবক) নজরে আসেন, যিনি তাঁর অসাধারণ কৌতূহলে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। মণি প্রথম ব্যক্তি যিনি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুর থেকে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে সেখান থেকে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি লাভ করেন। তিনি Resonant Electronic Energy Transfer-এর ওপর গবেষণা করেছিলেন। এই বিষয়কেই পরবর্তীকালে তিনি তাঁর লেসারের

কাজে ব্যবহার করেছিলেন।
 
== বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড ==
মণি ভৌমিক ১৯৫৯ সালে স্লোন ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ লাভ করে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলসে যান তাঁর পোস্ট ডক্টরাল পড়াশোনা করা জন্য। ১৯৬১ সালে তিনি জেরক্স ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সিস্টেমস-এর কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রনিক বিভাগে একজন লেসার বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন।এর পাশাপাশি তিনি লং বিচের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিদ্যায় অধ্যাপনাও চালিয়ে যান। ১৯৬৮ সালে তিনি নর্থরপ রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে যোগ দেন, যেখানে পরবর্তীকালে তিনি লেসার টেকনোলজি ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর হন এবং একটি দলের নেতৃত্ব দেন, যা এক্সাইমার লেসার প্রযুক্তির গবেষণার ক্ষত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ১৯৭৩ সালের মে মাসে এই গবেষণার ওপর লিখিত প্রবন্ধ অপ্টিক্যাল সোসাইটি অফ আমেরিকা কলোরাডো অধিবেশনে পেশ করা হয়।
 
এই অধিবেশনে তিনি প্রথমবার পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ সাপেক্ষে দেখান যে, এক্সাইমার লেসারকে এতটাই ক্ষমতাসম্পন্ন ও কার্যকরী করা যেতে পারে তার ব্যাবহারিক প্রয়োগ ঘটানো সম্ভব।পরবর্তীকালে লেসিক সার্জারিতে এক্সাইমার লেসারের প্রয়োগ ঘটিয়ে বহু ক্ষেত্রেই সাফল্যের সাথে দৃষ্টি সংশোধন করা হয়েছে। মণি ভৌমিকের নতুন ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লেসার উদ্ভাবনের ফলে তাঁর সতীর্থরা তাঁকে আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি ও ইন্সটিটিউট অফ ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স-এর সদস্যপদের জন্য নির্বাচিত করেন।
 
বর্তমানে মণি ভৌমিকের ভালো লাগার জায়গা হল কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা ও মহাকাশবিজ্ঞানের অগ্রগতি ও মানুষের জীবন-জীবিকা, প্রযুক্তি, আধ্যাত্মিক উন্নয়নে তাঁর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে বোঝানো। এই প্রচেষ্টারই ফসল হল তাঁর বহু প্রবন্ধ, বক্তৃতা, কোড নেম গড (বাংলায় ‘বিজ্ঞানে ঈশ্বরের সংকেত’) ও দ্য কসমিক ডিটেক্টিভ-এর মতো বই এবং কসমিক কোয়ান্টাম রে-র মতো টিভি প্রোগ্রাম।
 
মণি ভৌমিক বহু পেশাদারি পত্রিকায় পঞ্চাশটিরও বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি ডজনখানেক মার্কিন পেটেন্টের অধিকারীও বটে।
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী]]