বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→শিক্ষা: তথ্য হালনাগাদকরণ |
SagorSylheti (আলোচনা | অবদান) ইংরেজির স্থলে বাংলা লিখে দিলাম। বাংলা উইকিপিডিয়ায় বাংলা থাকবে। এটা বদলাবেন না। ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন:
{{স্থানাঙ্ক|২৩.৮|৯০.৩|display=title}}
{{তথ্যছক রাষ্ট্র
|latm=|latNS=|longd=|longm=|longEW=|languages_type=|languages2_type=|leader_name2 = [[শেখ হাসিনা]]
| leader_name3 = {{nowrap|[[শিরীন শারমিন চৌধুরী]]}}
| leader_name4 = {{nowrap|[[সৈয়দ মাহমুদ হোসেন]]}}
|leader_name5=|leader_name6=|leader_name7=|leader_name8=|leader_name9=|FR_total_population_estimate_year=|FR_foot=|FR_total_population_estimate=|FR_total_population_estimate_rank=|FR_metropole_population_estimate_rank=| conventional_long_name =গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
|native_name =<span style="line-height:1.33em;"><big>বাংলাদেশ </big>
|image_flag = Flag of Bangladesh.svg
২১ নং লাইন:
|official_languages = [[বাংলা ভাষা|বাংলা]]
|national_languages = [[বাংলা ভাষা|বাংলা]]
|regional_languages=|languages=|languages_sub=| ethnic_groups =
{{vunblist
| ৯৮% [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
৪৫ নং লাইন:
|established_date4 = ৪ নভেম্বর ১৯৭২
|established_date5 = ৩১ জুলাই ২০১৫
| area_km2 =
| area_rank = ৯৩তম
| area_sq_mi =
| percent_water = ৬.৪%
|population_estimate = ১৬১,৭০০,০০০<ref name="alo-1385751">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=হক|প্রথমাংশ১=শাকিলা|শিরোনাম=পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে বাংলাদেশ|ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/economy/article/1385751/পাকিস্তানকে-পেছনে-ফেলে-এগিয়ে-বাংলাদেশ|সংগ্রহের-তারিখ=১৭ ডিসেম্বর ২০১৭|কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]]|তারিখ=১৩ ডিসেম্বর ২০১৭}}</ref>
৯২ নং লাইন:
| area_magnitude =
| FSI = {{nowrap|95.9 {{decrease}} 0.4}}
| FSI_year =
| FSI_rank =
| FSI_category = <span style="color:red;white-space:nowrap;">Alert</span>
| ISO_3166–1_alpha2 = BD
১০০ নং লাইন:
| sport_code = BGD
| vehicle_code = BD
|অন্যান্য ভাষাসমূহ=[[সিলেটী ভাষা|সিলেটী]], [[আরবি ভাষা|আরবি]], [[উর্দু ভাষা|উর্দু]], [[চাটগাঁইয়া ভাষা|চাটগাঁইয়া]], [[মণিপুরি ভাষা|মণিপুরি]], [[বাংলা উপভাষা]] ও অন্যান্য।}}
'''বাংলাদেশ''' ({{অডিও|Bn-বাংলাদেশ.oga|<small>শুনুন</small>}}) [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] একটি জনবহুল [[রাষ্ট্র]]। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম '''গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ'''। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]], উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, [[আসাম]] ও [[মেঘালয়]], পূর্ব সীমান্তে আসাম, [[ত্রিপুরা]] ও [[মিজোরাম]], দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে [[মায়ানমার|মায়ানমারের]] [[চিন রাজ্য|চিন]] ও [[রাখাইন রাজ্য|রাখাইন]] (আরাকান) রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে [[বঙ্গোপসাগর]] অবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.bangladesh.gov.bd/site/page/812d94a8-0376-4579-a8f1-a1f66fa5df5d/বাংলাদেশকে-জানুন|শিরোনাম=বাংলাদেশকে জানুন|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=bangladesh.gov.bd|প্রকাশক=বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভৌগোলিকভাবে একটি [[গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ|উর্বর ব-দ্বীপের]] অংশ বিশেষ। পার্শ্ববর্তী দেশের রাজ্য [[পশ্চিমবঙ্গ]] ও [[ত্রিপুরা]]-সহ বাংলাদেশ একটি ভৌগোলিকভাবে [[বাঙালি জাতি|জাতিগত]] ও [[বাংলা ভাষা|ভাষাগত]] "[[বঙ্গ]]" অঞ্চলটির মানে পূর্ণ করে। "বঙ্গ" ভূখণ্ডের পূর্বাংশ [[পূর্ব বাংলা]] নামে পরিচিত ছিল, যা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পৃথিবীতে যে ক'টি রাষ্ট্র [[জাতিরাষ্ট্র]] হিসেবে মর্যাদা পায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশের বর্তমান সীমান্ত তৈরি হয়েছিল ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে যখন [[ব্রিটিশ সাম্রাজ্য|ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাবসানে]], [[বঙ্গভঙ্গ (১৯৪৭)|বঙ্গ (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি)]] এবং [[ভারত বিভাজন|ব্রিটিশ ভারত]] বিভাজন করা হয়েছিল। বিভাজনের পরে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চল তখন [[পূর্ব বাংলা]] নামে পরিচিত ছিল, যেটি নবগঠিত দেশ [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] পূর্ব অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। [[পাকিস্তান অধিরাজ্য|পাকিস্তান অধিরাজ্যে]] থাকাকালীন ‘পূর্ব বাংলা’ থেকে ‘[[পূর্ব পাকিস্তান]]’-এ নামটি পরিবর্তিত করা হয়েছিল। শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|সশস্ত্র সংগ্রামের]] মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ঘটেছে দুর্ভিক্ষ ও [[প্রাকৃতিক দুর্যোগ]]; এছাড়াও প্রলম্বিত [[রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা]] ও পুনঃপৌনিক [[বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান|সামরিক অভ্যুত্থান]] এদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বারংবার ব্যাহত করেছে। গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে [[গণতন্ত্র|গণতান্ত্রিক]] শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার ধারাবাহিকতা আজ পর্যন্ত। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গত দুই দশকে [[বাংলাদেশের অর্থনীতি|বাংলাদেশের অর্থনৈতিক]] প্রগতি ও সমৃদ্ধি সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান [[জনসংখ্যা অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা|অষ্টম]] যদিও আয়তনের হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে [[আয়তন অনুসারে রাষ্ট্রসমূহের তালিকা|৯৪তম]]; ফলে বাংলাদেশ [[জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা|বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর]] নবম। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলেরও কম এই ক্ষুদ্রায়তনের দেশটির প্রাক্কলিত (২০১৮) জনসংখ্যা ১৬.২৯ কোটির বেশি অর্থাৎ প্রতি বর্গমাইলে জনবসতি ২৮৮৯ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৫ জন)। রাজধানী ঢাকা শহরের জনসংখ্যা
২০১৭-১৮ অর্থবছরে চলতি বাজারমূল্যে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণ ছিল ২৬১.২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বৃদ্ধি লাভ করে ২৮৫.৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উন্নীত হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে।<ref>[https://www.statista.com/statistics/438219/gross-domestic-product-gdp-in-bangladesh/ ]</ref> ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় বার্ষিক আয় ছিল ১ হাজার ৭৫২ ডলার। সরকার প্রাক্কলন করেছে যে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১ হাজার ৯৫৬ ডলার বা ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৯২ টাকা।<ref>[http://www.banglanews24.com/index.php/economics-business/news/bd/657655.details ]</ref> দারিদ্রের হার ২৬.২০ শতাংশ, অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ১১.৯০ শতাংশ, এবং বার্ষিক দারিদ্র হ্রাসের হার ১.৫ শতাংশ। এই [[উন্নয়নশীল দেশ]]টি প্রায় দুই দশক যাবৎ বার্ষিক ৫ থেকে ৬.২ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অর্জনপূর্বক "[[পরবর্তী একাদশ]]" অর্থনীতিসমূহের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রাজধানী [[ঢাকা]] ও অন্যান্য শহরের পরিবর্ধন বাংলাদেশের এই উন্নতির চালিকাশক্তিরূপে কাজ করছে। এর কেন্দ্রবিন্দুতে কাজ করেছে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ত্বরিত বিকাশ এবং একটি সক্ষম ও সক্রিয় উদ্যোক্তা শ্রেণীর আর্বিভাব। [[বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প|বাংলাদেশের রপ্তানীমুখী তৈরি পোশাক শিল্প]] সারা বিশ্বে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। জনশক্তি রপ্তানীও দেশটির অন্যতম অর্থনৈতিক স্তম্ভ। বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্কলন এই যে ২০১৮-২০ এই দুই অর্থ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতি বছর গড়ে ৬.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি লাভ করবে।<ref>[https://www.thedailystar.net/business/bangladesh-gdp-growth-rate-fiscal-year-2017-18-economy-stay-strong-1518199 Economy to stay strong]</ref>
১১৫ নং লাইন:
== ব্যুৎপত্তি ==''আরও দেখুন : [[বঙ্গদেশের নামসমূহ]]''
''বাংলা'' বা ''বেঙ্গল'' শব্দগুলির আদি উৎস অজ্ঞাত, ধারণা করা হয় আধুনিক এ নামটি [[বাংলা সালতানাত|বাংলার সুলতানি]] আমলের ''
| প্রকাশক = লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস
| ইউআরএল = http://memory.loc.gov/frd/cs/bdtoc.html
৩৯০ নং লাইন:
[[চিত্র:Muhammad Yunus 2.jpg|thumb|200px|[[মুহাম্মদ ইউনূস|নোবেল পুরস্কারে ভূষিত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস]] বাংলাদেশের গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ অবদান রেখেছেন।]]
জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ অধিবাসী বাঙালি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.state.gov/r/pa/ei/bgn/3452.htm |শিরোনাম="Background Note: Bangladesh". Retrieved 11 June 2008 |প্রকাশক=State.gov |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ=2015-12-03}}</ref> বাকি ২ শতাংশ অধিবাসী বিভিন্ন [[উপজাতি]], মনিপুরী এবং [[বিহারী]] বংশোদ্ভূত। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে [[চাকমা]] ও [[মারমা]] উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতিগুলোর মধ্যে [[গারো]] ও [[সাঁওতাল]] উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কক্সবাজার এলাকায় [[বার্মা]] থেকে বিতাড়িত স্বল্পসংখ্যক [[রোহিঙ্গা]] [[শরণার্থী]] বসবাস করছে।
দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা [[বাংলা ভাষা|বাংলা]], যা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা। সরকারি ও ব্যবসায়ী কাজ-কর্মে ইংরেজিও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
৪৯০ নং লাইন:
[[চিত্র:Civil Engineering Building of BUET seen from EME Building.JPG|thumb|[[বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়|বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের]] পুরকৌশল বিভাগের ভবন]]
[[চিত্র:East West University Campus 1.jpeg|thumb|left|[[ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়]] বাংলাদেশের একটি [[বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়]]]]
বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার খুব কম, ২০১০ সালে নারীদের জন্য ৫২.২ % এবং পুরুষদের জন্য ৬১.৩ % ছিল। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যাক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বৎসরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাশের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে।
|