দুর্ভিক্ষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
৬ নং লাইন:
১৯৪৩ সালে বাংলাদেশে একটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৯৩৮ সাল থেকে কৃষি ফসলের উৎপাদন কমতে থাকে। তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ঘটনাও এর পেছনে অন্যতম কারণ ছিল। জাপানি সেনাবাহিনীর হাতে বার্মার পতন হলে সেখান থেকে বিপুল পরিমান চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া যুদ্ধরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য অতিরিক্ত খাদ্যশস্যের চাহিদা, অতিরিক্ত মুনাফাভোগীদের দৌরাত্ম এবং সরকারি অব্যবস্থাপনা এই দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ। এই দুর্ভিক্ষে ৩.৫ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরন করে। বিপুল সংখ্যক মানুষ কলকাতা শহরে মৃত্যুবরন করে। উল্লেখ্য যে, এদের মধ্যে সবাই কলকাতা শহরের বাইরের বাসিন্দা ছিল।
 
১৯৭৪ সালে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সে সময়ে কয়েক লক্ষ মানুষ অনাহারে অথবা অপুষ্টিজনিত রোগে মারা যায়। ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। চাল ও লবনের দাম সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। বিশেষ করে লবনের সরবরাহ একেবারেই কমে যায়। অনেক কৃষক কয়েক মৌসুমের ফসল আগ্রীম বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। খাবার ও কাজের খোঁজে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচুর মানুষ ঢাকা শহরে ছুটে আসে। একই বছর ডিসেম্বর মাসেমাস থেকে দুর্ভিক্ষের প্রকপ কমতে থাকে। <ref>[http://www.bbc.com/bengali/multimedia/2011/12/111229_mb_bd40_famine_final.shtml]/বিবিসি বাংলা ২৯ ডিসেম্বর ২০১১</ref>
 
বিংশ শতাব্দীতে আনুমানিক ৭০ মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে মারা যায়। ১৯৫৮-৬১ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে শুধুমাত্র চীনেই মারা যায় ৩০ মিলিয়ন মানুষ।<ref name=IDSWorkingPaper>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.ids.ac.uk/files/dmfile/wp105.pdf|