বম্বে (চলচ্চিত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Fayaz Rahman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Fayaz Rahman (আলোচনা | অবদান)
২১ নং লাইন:
শেখর তামিলনাড়ুর একটি উপকূলীয় গ্রামে বসবাসকারী একটি রীতিশীল হিন্দু নারায়ণ পিল্লাই এর পুত্র। বম্বেতে অধ্যয়নরত সাংবাদিকতার ছাত্র শেখর তার পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য তামিলনাড়ুতে আসে। তার এক প্রত্যাবর্তন ভ্রমণে, সে গ্রামের একটি মুসলিম মেয়ে শায়লা বানুকে লক্ষ্য করে এবং তার প্রতি তার হৃদয় হারায় প্রাথমিকভাবে দেখায়, শায়লা শেখরের থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে, কিন্তু ঘন ঘন শেখরের সাথে দেখা হতে হতে সে তাকে পছন্দ করে ফেলে।
 
শেখর শায়লাদের বাসায় যায় শায়লার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তবে শায়লার বাবা বশীর শেখরকে তাড়িয়ে দেয় ভিন্ন ধর্ম হওয়ার কারণে। শেখর তার বাবা পিল্লাইকে এসব কথা বললে পিল্লাই বশীরের সাথে ঝগড়া করে আসে। শেখর বম্বেতে চলে যায়। শায়লার এক বান্ধবীর কাছে শেখর চিঠি এবং বম্বের টিকিট পাঠায়। শায়লা প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা, বশীর শায়লার চিঠি পাওয়ার কথা জেনে যায় এবং শায়লার বিয়ের ব্যবস্থা করে। শায়লা এগুলো দেখে চিঠিতে লেখা ঠিকানা এবং বম্বের টিকিট নিয়ে বম্বেতে রওনা দেয়। বম্বেতে শেখরকে সে বিয়ে করে। কবীর নারায়ণ এবং কমল বশীর নামের দুই যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় শায়লা। যমজ দুইজনকে দুই ধর্মেরই শিক্ষা দেওয়া হয়। শেখর সাংবাদিক হিসেবে কাজ চালু রাখে আর শায়লা সংসারের কাজ করে। বিয়ের ছয় বছর পর তারা তাদের পরিবারের মধ্যে সমস্যার মিটমাট করার চেষ্টা করে।
 
১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর বাবরী মসজিদ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে বম্বে শহরে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়, শেখর আর শায়লার দুই পুত্র গ্যাঞ্জামের ভেতরে পড়ে যায় যদিও শেখর-শায়লা তাদের উদ্ধার করে। নারায়ণ পিল্লাই বম্বেতে দেখা করতে আসে শেখর আর শায়লাকে। পিল্লাই তাদের সঙ্গে থাকা শুরু করে। বশীরও তার স্ত্রীকে নিয়ে ঐ একই বাসায় ওঠে, পিল্লাই আর বশীর দুইজনেই তাদের নাতিদেরকে দেখে খুশী হয়।
 
১৯৯৩ সালের ৫ জানুয়ারীতে বম্বেতে আবার একটি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়, শেখর-শায়লাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, পিল্লাই, বশীর আর তার স্ত্রী মারা যায়। শেখর আর শায়লার ছেলে দুটি হারিয়ে যায় যদিও পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়।
 
==তথ্যসূত্র==