নরম্যান গিফোর্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
টেস্ট ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
অধিনায়কত্ব লাভ - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
১০৪ নং লাইন:
১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ সালের মধ্যে প্রত্যেক মৌসুমেই ২০-এর কম গড়ে উইকেট পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, জুলাই, ১৯৬৮ সালে নিজস্ব সেরা বোলিং করেন। [[ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|ইয়র্কশায়ারের]] বিপক্ষে ৮/২৮ তুললেও পরাজয় এড়াতে পারেনি তাঁর দল। ১৯৬৪ সালে ওরচেস্টারশায়ার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করে। পরের বছরও এ ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছিল তারা। দলের এ সাফল্যে গিফোর্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তবে, কেবলমাত্র ১৯৬৪ সালেই শতাধিক উইকেট পেয়েছিলেন।
 
১৯৭৪ সালে ওরচেস্টারশায়ারের আরও একটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা পালন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে ওরচেস্টারশায়ারের প্রবল প্রতিপক্ষ ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে যুক্ত হন। ঐ বছর তিনি ১০৪টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছিলেন যা তাঁর সর্বশেষ শত উইকেট লাভের মাইলফলক ছিল।
 
== আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ==
১১৮ নং লাইন:
 
ঐ সফরের পর পরবর্তী গ্রীষ্মে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরও দুই টেস্টে অংশ নেন। কিন্তু, দল নির্বাচকমণ্ডলী আন্ডারউড ও গিফোর্ডকে আর কখনো টেস্টে খেলাননি। তবে, কাউন্টি ক্রিকেটে তখনও তিনি সপ্রতিভ ছিলেন।
 
== অধিনায়কত্ব লাভ ==
টেস্ট আঙ্গিনা থেকে উপেক্ষিত হলেও ইংল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন নরম্যান গিফোর্ড। অপ্রত্যাশিতভাবে একদিনের আন্তর্জাতিকে দলনেতার দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে শারজায় অনুষ্ঠিত চারদেশীয় রথম্যানস কাপের খেলায় ৪৪ বছর বয়সে বিশ্রামে থাকা ডেভিড গাওয়ারের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।
 
অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে উভয় খেলাতেই ইংল্যান্ড দল পরাজিত হয়। তবে, গিফোর্ড ঠিকই তাঁর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন দ্বিতীয় খেলায় ৪/২৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে। তন্মধ্যে, প্রথম বলেই ইমরান খানকে শূন্য রানে ফেরৎ পাঠান। এভাবেই তাঁর সংক্ষিপ্ত ওডিআই খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
 
চল্লিশোর্ধ্ব বয়সেও ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে খেলা চালিয়ে যান নরম্যান গিফোর্ড। ১৯৮৮ সালে ৪৮ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২০৬৮টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছেন।
 
== মূল্যায়ন ==
বিশিষ্ট ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, [[ডেরেক আন্ডারউড|ডেরেক আন্ডারউডকে]] ইংল্যান্ড দলের বাইরে থাকার জন্য দায়ী নরম্যান গিফোর্ড অবশ্যই বিশেষ কিছু গুণাবলীর অধিকারী। [[ক্রিকেট]] খেলায় গভীর জ্ঞান রাখতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি তাঁর বামহাতের বোলিংয়ে সফলতা পেয়েছেন।
 
১৯৭৪ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকটোর হিসেবে ঘোষিত হন নরম্যান গিফোর্ড।
 
ব্যাটসম্যান হিসেবে তেমন সুবিধে করতে পারেননি তিনি। আট শতাধিক ইনিংস খেলে তিনবার অর্ধ-শতকের কোঠা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছেন নরম্যান গিফোর্ড। মাত্র ১৩ গড়ে সাত সহস্রাধিক রান করেছেন।
 
== তথ্যসূত্র ==