শিবাজী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিন্যাস
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১১০ নং লাইন:
 
কিন্তু তার পরই মনোমালিন্যের কারণে মালোজী দুই পুত্রসহ স্ত্রীকে পূনায় পাঠিয়ে দেন এবং নিজে পুনরায় বিয়ে করে বিজাপুরে অবস্থান করতে থাকেন। শিবাজী ঐ পূনাতেই জন্মগ্রহন করেন, পিতা শাহজী বিজাপুরের সুলতান ইব্রাহিম আদিল সাহেব চাকুরিতে নিযুক্ত থাকায় পুত্রের দেখাশুনার জন্য শিবাজীর দাদীজী তার শিক্ষা-দীক্ষার জন্য পন্থ নামক একজন ধর্মপ্রাণ ব্রাহ্মণকে নিযুক্ত করেন। কিন্তু শিবাজী এত অবাধ্য ও দুর্দান্ত প্রকৃতির ছিল যে, কারও কোনও কথাই সে মানত না। মাত্র সতের বছর বয়সে শিবাজী তার সমবয়সী দলবল নিয়ে কয়েকটি তালুক লুন্ঠন ও নারী হরণ করে। তখন অভিভাবাক হিসাবে নিজের দায়িত্বের জবাবদিহির ভয়ে দাদাজী পন্থ বিষপানে আতহত্যা করেন(হিষ্ট্রি অব বৃটিশ ইন্ডিয়া, ৫ম সংস্করণ, ১৮৮৫, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৮৬-২৮৭ ও পৃষ্ঠা ২১)।
 
== শিবাজীর রাজ্যজয় ==
বাল্যকালেই মহারাষ্ট্র দেশ সম্পর্কে এবং স্থানীয় পার্বত্য মাওয়ালি জনগোষ্ঠীরর সাথে শিবাজীর ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয়। এই মাওয়ালিদের নিয়েই তিনি সর্বপ্রথম বিশ্বস্ত এক সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। ১৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে কোণ্ডদেবের মৃত্যুর পর, শিবাজী রাজ্যজয়ে মনোনিবেশ করেন। ''রোলিনসন (Rawlinson)'' মনে করেন যে, বিদেশী শাসন থেকে স্বদেশকে মুক্ত করাই শিবাজীর রাজ্যজয়ের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। সম্পদের লোভে লুঠতরাজ করা তাঁর অভিপ্রেত ছিল না। সরদেশাই বলেন, সারা ভারতে [[হিন্দু]] সাম্রাজ্য স্থাপন করাই শিবাজীর লক্ষ্য ছিল।
 
=== আফজল খাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ===
বিজাপুর রাজ্যে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে শিবাজী ১৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম তোরণা দুর্গটি দখল করে নেন। এরপর তিনি একে একে বড়মতি, রায়গড়, পুরন্দর, প্রভৃতি স্থানের দুর্গগুলি দখল করে নেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং শিবাজীকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিজাপুরের সুলতান শিবাজীর পিতা শাহজীকে কারারুদ্ধ করেন। এই অবস্থায় শিবাজী দাক্ষিণাত্যের মোঘল শাসককর্তা মুরাদের সাহায্য চান। বিজাপুরের সুলতান ভীত হয়ে শাহজীকে মুক্ত করে দেন। কিছুকাল শিবাজী নিশ্চুপ থাকেন। ১৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে দাক্ষিণাত্যের শাসনকর্তা ঔরাঙ্গজেবের সঙ্গে বিজাপুরের সুলতানের সংঘাতের সুযোগ নিয়ে শিবাজী জাওলি নামে এক অঞ্চল দখল করেন। ইতিমধ্যে ঔরাঙ্গজেব শাহজাহানের অসুস্থতার সংবাদে দিল্লী চলে গেলে, বিজাপুরের সুলতান শিবাজীকে দমন করার জন্য সেনাপতি আফজল খাঁকে পাঠান। আফজল খাঁ শিবাজীকে দমন করতে ব্যর্থ হলে প্রতারণার আশ্রয় নেন। আফজল খাঁ শিবাজীকে তার শিবিরে আমন্ত্রণ জানান। শিবাজী আফজল খাঁর দুরভিসন্ধিরর কথা আগেই জানতে পেরেছিলেন। সুতরাং তিনি প্রস্তুত হয়েই আফজল খাঁর শিবিরে আসেন। আফজল খাঁ আলিঙ্গনের সুযোগে শিবাজীকে ছুরির আঘাত করতে উদ্দ্যত হলে শিবাজী লোহার তৈরি '<nowiki/>''বাঘনখ''' অস্ত্রের সাহায্য-এ আফজল খাঁর বক্ষ বিদীর্ণ করেন। সেনাপতির মৃত্যুতে বিজাপুরের সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে শিবাজী কোলাপুর দখল করে নেন।
 
== শিবাজীর চরিত্র ==