সৈয়দ আব্দুল হাদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Riaderkaz (আলোচনা | অবদান)
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
→‎সঙ্গীত জীবন: ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
২৬ নং লাইন:
 
==সঙ্গীত জীবন==
বাংলা গানের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ, জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী। তার গাওয়া কালজয়ী অনেক দেশের গানই শ্রোতাদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে গান গাইছেন তিনি। তার জন্ম বর্ত মান বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেরার শাহপুর গ্রামে (তৎকালীন কুমিল্লা জেলা বলা হতো)। বেড়ে উঠেছেন আগরতলা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া এবং কলকাতায়। তবে তার কলেজ জীবন কেটেছে রংপুর আর ঢাকায়। বাবা সৈয়দ আবদুল হাই। তার বাবা গান গাইতেন আর কলেরগানে গান শুনতে পছন্দ করতেন। বাবার শখের গ্রামোফোন রেকর্ডের গান শুনে সেই কৈশোর জীবন থেকেই সঙ্গীত অনুরাগী হয়ে উঠেন সৈয়দ আবদুল হাদী। ছোটবেলা থেকে গাইতে গাইতে গান শিখেছেন। তারপর আর থেমে থাকেননি। নিরন্তর গান করে খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান নিয়েছেন। [[১৯৫৮]] সালে সৈয়দ আবদুল হাদী ভর্তি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। [[১৯৬০]] সালে ছাত্রজীবন থেকেই চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন সৈয়দ আবদুল হাদী। তখনকার সিনেমায় প্লেব্যাক মানেই ছিল উর্দু ছবিতে গান গাওয়া। তবে [[১৯৬৪]] সালে সৈয়দ আবদুল হাদী একক কণ্ঠে প্রথম বাংলা সিনেমায় গান করেন। সিনেমার নাম ছিল ‘ডাকবাবু’। মো. মনিরুজ্জামানের রচনায় সঙ্গীত পরিচালক আলী হোসেনের সুরে একটি গানের মাধ্যমে সৈয়দ আবদুল হাদীর চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী। বেতারে গাওয়া তার প্রথম জনপ্রিয় গান ‘কিছু বলো, এই নির্জন প্রহরের কণাগুলো হৃদয়মাধুরী দিয়ে ভরে তোলো’ চমৎকার রোমান্টিক এ গানটি গেয়েছিলেন ১৯৬৪ সালে আবদুল আহাদের সুরে। সালাউদ্দিন জাকি পরিচালিত ঘুড্ডি চলচ্চিত্রের গানে সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছিলেন লাকী আখ্‌ন্দ। এই ছবির খুব জনপ্রিয় গান ‘সখি চলনা, সখি চলনা জলসা ঘরে এবার যাই’- গেয়েছেন সৈয়দ আবদুল হাদী।
চলচ্চিত্রের কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই সৈয়দ আবদুল হাদীকে সবাই চেনেন-জানেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত গেয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। বিশ্বকবি [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয় সৈয়দ আবদুল হাদীর প্রথম রবীন্দ্র সংগীতের একক অ্যালবাম ‘যখন ভাঙলো মিলন মেলা’। সৈয়দ আবদুল হাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে অনার্স পড়ার সময় সুবল দাস, পি.সি গোমেজ, আবদুল আহাদ, আবদুল লতিফ প্রমুখ তাকে গান শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা ও উৎসাহ যুগিয়েছেন। তার বাবা ছিলেন ইপিসিএস (ইস্ট পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস) অফিসার। বিটিভির প্রথম চারজন প্রযোজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় মাস্টার্স শেষ করে লন্ডনে ওয়েল্‌স ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্সিপাল লাইব্রেরীয়ান হিসেবে অবসর নিয়েছেন সৈয়দ আবদুল হাদী। পরপর পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী। এর মধ্যে রয়েছে - গোলাপী এখন ট্রেনে - ১৯৭৮, সুন্দরী - ১৯৭৯, কসাই - ১৯৮০, গরীবের বউ - ১৯৯০ এবং ক্ষমা ১৯৯২।