টনি লুইস (ক্রিকেটার): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
অর্জনসমূহ - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
অবসর - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৭৭ নং লাইন:
তাঁর সুযোগ্য পরিচালনায় ভারত উপমহাদেশে ইংল্যান্ড দল দুই দশকেরও অধিক সময় পর ইংল্যান্ড দল প্রথম জয়ের সন্ধান পায়। পরের দুই টেস্টে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড দল। তবে, কানপুর টেস্টে লুইস ১২৫ রান তুলে তাঁর প্রথম টেস্ট শতক লাভ করেন।<ref name="Cap"/> সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আট টেস্টে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তন্মধ্যে, ১৯৫১ সালের পর ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট জয়ে নেতৃত্ব দেন। দুইবার খেলায় পরাজিত হন ও পাঁচবার খেলা ড্র করতে সক্ষমতা দেখায় তাঁর দল। বোম্বে টেস্টসহ কানপুরের চতুর্থ টেস্টে [[ম্যান অব দ্য ম্যাচ]] নির্বাচিত হন তিনি। এ সকল সম্মাননার পরও পরবর্তী গ্রীষ্মকালের জন্য অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত [[রে ইলিংওয়ার্থ|রে ইলিংওয়ার্থের]] সহকারী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল।
 
১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য [[ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড|দল নির্বাচকমণ্ডলী]] কর্তৃক তাঁকে অধিনায়কের দায়িত্বভার প্রদানের জন্য মনোনয়ন দেয়া হলেও তিনি এ দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান। এর পরিবর্তে লেখা ও সম্প্রচারের দিকে মনোনিবেশ ঘটান তিনি।
 
== অর্জনসমূহ ==
নিথ গ্রামার স্কুল থেকে আসা দুইজন [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়কদের তালিকা|ইংরেজ ক্রিকেট অধিনায়কের]] একজন ছিলেন টনি লুইস। আর ই এস ওয়াট শেষ মুহুর্তে দায়িত্ব ছেড়ে দিলে [[C.সিরিল F. Waltersওয়াল্টার্স|সি. এফ. ওয়াল্টার্স]] এ দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ঐ সময় শৌখিন খেলোয়াড়দের মাঝ থেকে দলের অধিনায়কত্ব মনোনীত করা হতো। অবশ্য ঐ সময় ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলছিলেন। তবে, লুইস অদ্যাবধি একমাত্র গ্ল্যামারগনের খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডকে অধিনায়কত্ব করেছেন ও বড় ধরনের টেস্ট সফরে ইংল্যান্ডকে পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও, টনি লুইস ও [[অ্যালান ওয়াটকিন্স]] একমাত্র গ্ল্যামারগনের খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডে পক্ষে টেস্টে [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরি]] করার গৌরব অর্জন করেছেন।
 
২০০৪ সালে নববর্ষের সম্মাননায় ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সিবিই পদবীতে ভূষিত হন। ওয়েলসভিত্তিক কার্ডিফ, সোয়ানসী, গ্ল্যামারগন, ইউডব্লিউআইসি ও নিউপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক সম্মাননা লাভ করেছেন।
 
== অবসর ==
[[ক্রিকেট]] থেকে অবসর গ্রহণের পর সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৯০-এর দশকে বিবিসি টেলিভিশনে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব পরিণত হন। এরপর [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|এমসিসির]] সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
 
নিথ ও গ্লুচেস্টারের পক্ষে রাগবি ইউনিয়নে অংশ নিয়েছেন তিনি। এরপূর্বে ১৯৫৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজের পক্ষে ব্লু লাভ করেছেন টনি লুইস। দীর্ঘকালীন হাঁটুর ব্যথায় জর্জরিত থাকা অবস্থায় রাগবি খেলা থেকে দূরে সরে আসতে বাধ্য হন। এর অর্থ দাঁড়ায় যে, ৩৪ বছর বয়সেই তাঁকে ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে হয়। তবে, ১৯৬৫ সাল থকে লেখালেখি ও সম্প্রচারের দিকেই তাঁর মনোযোগ দেখা যায়। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে রাগবি ইউনিয়ন বিষয়ক প্রতিবেদন লেখার মাধ্যমে সংবাদপত্রের জগতে ধাবিত হন তিনি।<ref>Lewis, ''Playing Days'', pp. 89–92.</ref>
 
১৯৭৫ সালে দ্য সানডে টেলিগ্রাফের ক্রিকেট ও রাগবি সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়েলস স্পোর্টস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। গ্ল্যামারগন কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি, ক্রিকেট সভাপতি, প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড সদস্য ছিলেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বিবিসি টেলিভিশনের ক্রিকেট সম্প্রচারের প্রধান ব্যক্তি হিসেবে টেস্ট ম্যাচ স্পেশালের দায়িত্ব পালন করেন। রেডিও ফোরের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান স্পোর্ট অন ফোর শীর্ষক অনুষ্ঠানের সূচনাকারী উপস্থাপক হিসেবে দশ বছর দায়িত্বে ছিলেন।
 
১৯৯৮ সাল থেকে মিড গ্ল্যামারগনের হাই শেরিফের দায়িত্ব পালন করছেন।<ref>{{cite web| url= http://www.debretts.com/people/biographies/browse/l/10456/Anthony%20Robert%20%28Tony%29+LEWIS.aspx| title= A R Lewis, Esq, CBE, DL| publisher= Debretts| accessdate= 28 August 2011| deadurl= yes| archiveurl= https://web.archive.org/web/20120913162444/http://www.debretts.com/people/biographies/browse/l/10456/Anthony%20Robert%20(Tony)+LEWIS.aspx| archivedate= 13 September 2012| df= dmy-all}}</ref>
 
১৯৬২ সালে জোয়ান প্রিটচার্ড নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। প্রিটচার্ড বালিকাদের নিথ গ্রামার স্কুল ও সারের অ্যাডলটনের মোভমেন্ট স্টুডিও ল্যাবান আর্ট থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন।
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|2}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
* {{ক্রিকইনফো}}
* {{ক্রিকেটআর্কাইভ}}
 
{{ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক}}