টনি লুইস (ক্রিকেটার): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
টেস্ট ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৬৬ নং লাইন:
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
১৯৫৫ সালে ১৭ বছর বয়েস প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গ্ল্যামারগনের সদস্যরূপে লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে]] অভিষেক ঘটে টনি লুইসের।<ref>[https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/21/21754.html Leicestershire v Glamorgan, 1955]</ref> এ সময় তিনি নিথ গ্রামার স্কুলে অধ্যয়নরত ছিলেন। একই বছরে ওয়েলসের জাতীয় যুব অর্কেস্টায় প্রথম স্তরের বেহালাবাদক হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হন।<ref>Tony Lewis, ''Playing Days'', Stanley Paul, London, 1985, pp. 10–16.</ref> [[RAFরয়্যাল এয়ার ফোর্স|আরএএফে]] জাতীয় সেবাকার্য সম্পন্ন করেন তিনি।<ref>Lewis, ''Playing Days'', pp. 38–45.</ref>
 
এরপর ১৯৬০ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের জন্য নিজেকে উপযোগী করে তুলেন। এ সময় তিনি কেমব্রিজের ক্রাইস্টস কলেজে অধ্যয়নকালীন অবস্থায় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দলের সদস্য মনোনীত হন। প্রথম বর্ষে থাকাকালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ৪৩.৫৬ গড়ে ১৩০৭ রান ও পরের বছর ৩০.৮০ গড়ে ৬১৬ রান তুলেন। এরপর তিনি গ্ল্যামারগনের পক্ষে যোগ দেন।
৭২ নং লাইন:
কেমব্রিজে থাকাকালে শেষ মৌসুমে ১৯৬২ সালে সকল খেলায় অংশ নেন ও দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় পাঁচ সেঞ্চুরি সহযোগে ৪০.৫১ গড়ে ২১৮৮ রান তুলেন। বিএ ডিগ্রি লাভের পর এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন টনি লুইস। ১৯৬৬ সালে দুই সহস্রাধিক রান তুলে শীর্ষস্থানে ছিলেন। ২১৯০ রান তুলেন ৪০.৫১ গড়ে যা ঐ মৌসুমে অন্য কোন খেলোয়াড়ের পক্ষে সম্ভবপর হয়নি। ২২৩ রান সংগ্রহের মাধ্যমে একমাত্র দ্বি-শতক রান তুলেন [[কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|কেন্টের]] বিপক্ষে। গ্রেভসেন্ডে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় গ্ল্যামারগন ফলো-অনের কবলে পড়েছিল। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত গ্ল্যামারগনের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৯৬৯ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এ সময় পুরো মৌসুমে গ্ল্যামারগন অপরাজিত অবস্থায় ছিল।
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
২০ ডিসেম্বর, ১৯৭২ তারিখে টেস্ট অভিষেক ঘটে টনি লুইসের। টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকেই সর্বশেষ ইংরেজ ক্রিকেটার হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার বিরল সম্মাননা লাভ করেন। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় পাঁচ মাসের সফরে কঠোরভাবে দলকে পরিচালনা করেন তিনি। টেস্ট খেলায় কোনরূপ অভিজ্ঞতা না থাকা স্বত্ত্বেও দিল্লিতে অনুষ্ঠিত অভিষেক খেলায় অপরাজিত ৭০ রানের [[ইনিংস]] খেলেন তিনি।<ref>[https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/33/33001.html India v England, Delhi, 1972–73]</ref>
 
তাঁর সুযোগ্য পরিচালনায় ভারত উপমহাদেশে ইংল্যান্ড দল দুই দশকেরও অধিক সময় পর ইংল্যান্ড দল প্রথম জয়ের সন্ধান পায়। পরের দুই টেস্টে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড দল। তবে, কানপুর টেস্টে লুইস ১২৫ রান তুলে তাঁর প্রথম টেস্ট শতক লাভ করেন।<ref name="Cap"/> সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আট টেস্টে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তন্মধ্যে, ১৯৫১ সালের পর ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট জয়ে নেতৃত্ব দেন। দুইবার খেলায় পরাজিত হন ও পাঁচবার খেলা ড্র করতে সক্ষমতা দেখায় তাঁর দল। বোম্বে টেস্টসহ কানপুরের চতুর্থ টেস্টে [[ম্যান অব দ্য ম্যাচ]] নির্বাচিত হন তিনি। এ সকল সম্মাননার পরও পরবর্তী গ্রীষ্মকালের জন্য অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত [[রে ইলিংওয়ার্থ|রে ইলিংওয়ার্থের]] সহকারী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল।
ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৯০-এর দশকে বিবিসি টেলিভিশনে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব পরিণত হন। এরপর এমসিসির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
 
১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক তাঁকে অধিনায়কের দায়িত্বভার প্রদানের জন্য মনোনয়ন দেয়া হলেও তিনি এ দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান। এর পরিবর্তে লেখা ও সম্প্রচারের দিকে মনোনিবেশ ঘটান তিনি।
 
নিথ গ্রামার স্কুল থেকে আসা দুইজন ইংরেজ ক্রিকেট অধিনায়কের একজন ছিলেন টনি লুইস। আর ই এস ওয়াট শেষ মুহুর্তে দায়িত্ব ছেড়ে দিলে সি. এফ. ওয়াল্টার্স এ দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ঐ সময় শৌখিন খেলোয়াড়দের মাঝ থেকে দলের অধিনায়কত্ব মনোনীত করা হতো। অবশ্য ঐ সময় ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলছিলেন। তবে, লুইস অদ্যাবধি একমাত্র গ্ল্যামারগনের খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডকে অধিনায়কত্ব করেছেন ও বড় ধরনের টেস্ট সফরে ইংল্যান্ডকে পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও, টনি লুইস ও অ্যালান ওয়াটকিন্স একমাত্র গ্ল্যামারগনের খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডে পক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেছেন।
 
[[ক্রিকেট]] থেকে অবসর গ্রহণের পর সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৯০-এর দশকে বিবিসি টেলিভিশনে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব পরিণত হন। এরপর [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|এমসিসির]] সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
 
== তথ্যসূত্র ==