বৌদ্ধধর্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sabuj Barua (আলোচনা | অবদান)
Arpon Barua (আলোচনা | অবদান)
ফোন থেকে সম্পাদন করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। শুধু মাত্র গৌতম এর পরিবর্তে "তাঁর " সম্পাদনা করা হয়েছে।
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Buddha Bodhgaya.JPG|right|thumb|[[গৌতম বুদ্ধ|গৌতম বুদ্ধের]] মূর্তি, [[বোধগয়া]], [[ভারত]]। কথিত আছে, বোধগয়াতেই [[বুদ্ধ]] বোধিলাভ করেছিলেন।<ref>{{cite web|url=http://www.buddhanet.net/e-learning/buddhistworld/bodgaya.htm |title=Info on Bodhgaya |publisher=Buddhanet.net |date= |accessdate=2010-08-25}}</ref>]]
[[File:Painting at Tabo Monastery.jpg|thumb|হিমাচলের টাবো মঠের প্রাচীন পেন্টিং]]
{{বৌদ্ধধর্ম}}
'''বৌদ্ধ ধর্ম''' বা '''ধর্ম''' ([[পালি ভাষা|পালি ভাষায়]] '''ধম্ম''') [[গৌতম বুদ্ধ]] কর্তৃক প্রচারিত একটি [[ধর্ম]] বিশ্বাস এবং জীবন [[দর্শন]]। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম। বুদ্ধের পরিনির্বাণের পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয়। বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম দুটি প্রধান মতবাদে বিভক্ত। প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা [[থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম|থেরবাদ]] ([[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]]: স্থবিরবাদ)। দ্বিতীয়টি [[মহাযান বৌদ্ধধর্ম|মহাযান]] নামে পরিচিত। বজ্রযান বা [[বজ্রযান বৌদ্ধধর্ম|তান্ত্রিক]] মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ। [[শ্রীলংকা]], [[ভারত]], [[ভুটান]], [[নেপাল]], [[লাওস]], [[কম্বোডিয়া]], [[মায়ানমার]], [[চীন]], [[জাপান]], [[মঙ্গোলিয়া]], [[থাইল্যান্ড]], [[ভিয়েতনাম]], ও [[কোরিয়া|কোরিয়াসহ]] পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বাস করেন [[চীন|চীনে]]। বাংলাদেশের উপজাতীদের বৃহত্তর অংশ বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত।
৯ ⟶ ৮ নং লাইন:
== '''গৌতম বুদ্ধের জীবনী''' ==
 
উত্তর-পূর্ব [[ভারত|ভারতের]] [[কপিলাবস্তু]] নগরীর [[রাজা]] শুদ্ধোধন এর পুত্র ছিলেন সিদ্ধার্থ([[গৌতম বুদ্ধ]])। খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৩ অব্দে এক শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে লুম্বিনি কাননে ([[নেপাল|বর্তমান নেপাল]]) জন্ম নেন সিদ্ধার্থ(গৌতম বুদ্ধ)। তাঁর জন্মের ৭ দিন পর মহামায়া মারা যান। তাঁর জন্মের অব্যাবহিতকাল পর জনৈক কপিল নামক সন্ন্যাসী কপিলাবস্তু নগরীতে আসেন। তিনি সিদ্ধার্থকে দেখে ভবিষ্যৎবানী করেন যে, সিদ্ধার্থ ভবিষ্যতে হয় চারদিকজয়ী ([[চক্রবর্তী রাজা]]) রাজা হবেন, নয়ত একজন মহান মানব হবেন। মা মারা যাবার পর সৎ মা মহাপ্রজাপতি গৌতমী তাকে লালন পালন করেন, তাই তার অপর নাম গৌতম।
তাঁর জন্মের ৭ দিন পর তাঁর মা, রানি মহামায়া মারা যান। তাঁর জন্মের অব্যাবহিতকাল পর জনৈক কপিল নামক সন্ন্যাসী কপিলাবস্তু নগরীতে আসেন। তিনি সিদ্ধার্থকে দেখে ভবিষ্যৎবানী করেন যে, সিদ্ধার্থ ভবিষ্যতে হয় চারদিকজয়ী ([[চক্রবর্তী রাজা]]) রাজা হবেন, নয়ত একজন মহান মানব হবেন। মা মারা যাবার পর সৎ মা মহাপ্রজাপতি গৌতমী তাকে লালন পালন করেন, তাই তার অপর নাম গৌতম।
ছোটোবেলা থেকেই সিদ্ধার্থ সব বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। কিন্তু সিদ্ধার্থ সংসারের প্রতি উদাসীন ছিলেন বলে তাঁকে সংসারী করানোর লক্ষ্যে ১৬ বছর বয়সে রাজা শুদ্ধোধন [[যশোধরা]] (যিনি যশ ধারণ করেন) মতান্তরে যশোধা বা গোপা দেবী নামক এক সুন্দরী রাজকন্যার সাথে তার বিয়ে দেন। [[রাহুল]] নামে তাদের একটি ছেলে সন্তান হয়।
ছেলের সুখের জন্য রাজা শুদ্ধোধন চার ঋতুর জন্য চারটি প্রাসাদ তৈরি করে দেন। কিন্তু উচুঁ দেয়ালের বাইরের জীবন কেমন তা জানতে তিনি খুবই ইচ্ছুক ছিলেন। একদিন রথে চড়ে নগরী ঘোরার অনুমতি দেন তার পিতা। নগরীর সকল অংশে আনন্দ করার নির্দেশ দেন তিনি, কিন্তু সিদ্ধার্থের মন ভরল না। প্রথম দিন নগরী ঘুরতে গিয়ে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি, দ্বিতীয় দিন একজন অসুস্থ মানুষ, তৃতীয় দিন একজন মৃত ব্যক্তি এবং চতুর্থ দিন একজন সন্ন্যাসী দেখে তিনি সারথি ছন্দককে প্রশ্ন করে জানতে পারেন জগৎ দুঃখময়। তিনি বুঝতে পারেন সংসারের মায়া, রাজ্য, ধন-সম্পদ কিছুই স্থায়ী নয়। তাই দুঃখের কারণ খুঁজতে গিয়ে ২৯ বছর বয়সে গৃহ্ত্যাগ করেন। দীর্ঘ ৬ বছর কঠোর সাধনার পর তিনি বুদ্ধগয়া নামক স্থানে একটি বোধিবৃক্ষের নিচে [[বোধিজ্ঞান]] লাভ করেন।