নীলরতন সরকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৭ নং লাইন:
==কর্মজীবন==
নীলরতন সরকার অল্প সময়ের মধ্যেই চিকিৎসক হিসাবে বিখ্যাত হন । তাঁর পারিশ্রমিক দুই টাকায় আরম্ভ হয়ে আস্তে আস্তে ৬৪ টাকা অবধি হয় । তিনি দরিদ্র রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন এবং তাদের বিনামূল্যে ওষুধ ও খাবার দিতেন ।
[[১৮৯৩]] খ্রিষ্টাব্দে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো এবং এরপর ফ্যাকাল্টি অফ সায়েন্স ও ফ্যাকাল্টি অফ মেডিসিনের ডিন হন । তিনি স্নাতকোত্তর কলা (১৯২৪ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত) ও বিজ্ঞান শিক্ষা বিভাগের (১৯২৪ থেকে ১৯৪৩ পর্যন্ত) সভাপতিও হয়েছিলেন । <ref name=ss/><ref name=nn/>
 
[[১৮৯৫]] সালে তিনি একটি বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করেন । [[১৯০৪]] সালে এর নাম হয় ''ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অফ ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস অফ বেঙ্গল'' । এর বিদ্যালয় অংশটি স্থানীয় ভাষায় ৪ বছরের শিক্ষা দিত । এর আরেকটি বিভাগে ইংরেজিতে পড়াশোনা হত এবং পাঁচ বছরের পাঠক্রম ছিল । [[১৯১৬]] খ্রিষ্টাব্দে এই দ্বিতীয় বিভাগটি পুরোদস্তুর একটি মেডিকেল কলেজে পরিণত হয় । এর নাম হয় ''কারমাইকেল মেডিকেল কলেজ'' । এটি [[১৯১৭]] খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পায় । এই কাজে নীলরতন সরকারের সহযোগি ছিলেন বিখ্যাত চিকিৎসক [[রাধাগোবিন্দ কর]] এবং [[সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারী]] । ''কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজ'' পরবর্তী কালে রাধাগোবিন্দ করের নামানুসারে ''আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল'' নামাঙ্কিত হয় । <ref name=ss/><ref name=nn/>
[[১৯১৮]] খ্রিষ্টাব্দে ''মেডিকেল এডুকেশন সোসাইটি'' গঠিত হয় ''কারমাইকেল মেডিকেল কলেজের'' বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করার জন্য । নীলরতন [[১৯২২]] খ্রিষ্টাব্দে এর সভাপতি হন । এবং [[১৯৪১]] সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন । <ref name=nn/>
 
নীলরতন [[১৯০৮]] খ্রিষ্টাব্দে ''বুট অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট'' এর নির্দেশক হয়েছিলেন । ''[[বসু বিজ্ঞান মন্দির]]'', ''বিশ্বভারতী'' এবং ''[[ভারতীয় যাদুঘরে|ভারতীয় যাদুঘরের]]'' ট্রাস্টি ছিলেন । [[১৯১২]] থেকে [[১৯২৭]] খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ছিলেন । <ref name=ss/>
[[১৯১৯]] খ্রিষ্টাব্দ থেকে [[১৯২১]] খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন । [[১৯২০]] খ্রিষ্টাব্দে তিনি লন্ডনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় সম্মেলনে যোগদান করেন । অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিসিএল এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে এলএলডি উপাধি প্রধান করেছিল । যাদবপুর যক্ষা হাসপাতাল (বর্তমানে কুমুদশঙ্কর রায় যক্ষা হাসপাতাল) প্রতিষ্ঠায় তিনি সহযোগিতা করেছিলেন । <ref name=ss/>
 
তিনি ''সায়েন্স কলেজ অফ দ্য ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি'' এবং ''ন্যাশন্যাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনের'' (জাতীয় শিক্ষা পরিষদ) স্থপতিদের মধ্যে ছিলেন । তিনি [[ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েসন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স]] এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন । জাতীয় শিক্ষা পরিষদের সম্পাদক হিসাবে তিনি এদেশে বৃত্তিগত প্রশিক্ষনের চেষ্টা করেছিলেন । ''বেঙ্গল টেকনিক্যাল স্কুল'', ''যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ'' প্রভৃতি স্থাপনেও তাঁর ভূমিকা ছিল । <ref''যাদবপুর যক্ষা হাসপাতাল'' (বর্তমানে ''কুমুদশঙ্কর রায় যক্ষা হাসপাতাল'') প্রতিষ্ঠায় তিনি সহযোগিতা করেছিলেন । name=ss/>
[[১৯১৯]] খ্রিষ্টাব্দ থেকে [[১৯২১]] খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন । [[১৯২০]] খ্রিষ্টাব্দে তিনি লন্ডনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় সম্মেলনে যোগদান করেন । [[অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়]] তাঁকে ডিসিএল এবং [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়]] তাঁকে এলএলডি উপাধি প্রধান করেছিল । যাদবপুর যক্ষা হাসপাতাল (বর্তমানে কুমুদশঙ্কর রায় যক্ষা হাসপাতাল) প্রতিষ্ঠায় তিনি সহযোগিতা করেছিলেন ।<ref name=ss/><ref name=ssnn/>
 
নীলরতন সরকারের দেশের সামগ্রিক উন্নতির প্রতি আগ্রহ তাঁকে বিভিন্ন শিল্প স্থাপনের দিকে উৎসাহিত করেছিল । তিনি ''রাঙামাটি চা কম্পানি'' (পরবর্তী কালে ইস্টার্ন টি কম্পানি), ''ন্যাশন্যাল সোপ ফ্যাক্টরি'' এবং ''ন্যাশন্যাল ট্যানারি কম্পানি''তে তাঁর টাকা নিয়োগ করেছিলেন । <ref name=ss/><ref name=nn/>
 
নীলরতন সরকার রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় ছিলেন । তিনি [[১৮৯০]] খ্রিষ্টাব্দ থেকে [[১৯১৯]] খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত [[ভারতের জাতীয় কংগ্রেস|ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের]] সদস্য ছিলেন ।
 
''ক্যাম্বেল মেডিকেল স্কুল'' কলেজে রূপান্তরিত হয়ে তাঁর নামে ''নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল'' নামাঙ্কিত হয় । <ref name=ss/>