মৃত্যু পরবর্তী জীবন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
১১ নং লাইন:
 
=== জন্মান্তরবাদ ===
{{mainমূল articleনিবন্ধ|জন্মান্তরবাদ}}জন্মান্তরবাদ বা পুনর্জন্ম একটি পরকাল সম্পর্কিত ধারণা যা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, [[রসিক্রুশিয়ানিজম|রসিক্রুশিয়ান]], [[থিওসফি|থিওসফিস্ট]], [[স্পিরিটিজম|স্পিরিটিস্টগণ]] এবং [[উইক্কা|উইক্কানদের]] বিশ্বাস ব্যবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া [[কাব্বালাহ্‌|কাব্বালিস্টিক]] ইহুদি ধর্মেও পুনর্জন্মকে গিলগুল নেশামত (আত্মার পুনর্জন্ম) নামে একটি বিশ্বাস হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.projectmind.org/exoteric/souls.html|title=Gilgul Neshamot - Reincarnation of Souls|publisher=Projectmind.org|date=|accessdate=2014-03-08}}</ref> জন্মান্তরবাদের ধারণা অনুযায়ী, মৃত্যুর পর আত্মা আরেকটি নতুন জীবন শুরু করে। [[মোক্ষ]] বা [[সালভেশন|মুক্তি]] অর্জনের পূর্ব পর্যন্ত পুনর্জন্মের এই ধারা চলতে থাকে।
 
জন্মান্তরবাদ বিশ্বাসের আরেকটি দিক হচ্ছে, এই বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতিটি জীবন একই সাথে একটি পরকাল এবং পূর্বকাল। এই বিশ্বাস মতে, বর্তমান জীবন হল পূর্বজন্ম বা কর্মের ফল।
২৯ নং লাইন:
 
== পরম্পরাগত আফ্রিকান ধর্ম ==
[[পরম্পরাগত আফ্রিকান ধর্ম|পরম্পরাগত আফ্রিকান ধর্মগুলো]] পরকাল সম্পর্কে বিচিত্ররকম বিশ্বাস ধারণ করে। হাজদাদের মত শিকারী-সঞ্চয়কারী সমাজের মধ্যে পরকাল সম্পর্কিত কোন বিশেষ বিশ্বাস নেই। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী ব্যক্তির মৃত্যুর অর্থ হল সম্পূর্ণভাবে জীবনের শেষ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last1=Bond|first1=George C.|editor1-last=Obayashi|editor1-first=Hiroshi|title=Death and Afterlife: Perspectives of World Religions|date=1992|publisher=Greenwood Press|location=New York|isbn=0-313-27906-3|pages=3–18|chapter=Living with Spirits: Death and Afterlife in African Religions|quote=The entire process of death and burial is simple, without elaborate rituals and beliefs in an afterlife.  The social and spiritual existence of the person ends with the burial of the corpse.}}</ref> ইয়মবে<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last1=Bond|first1=George C.|editor1-last=Obayashi|editor1-first=Hiroshi|title=Death and Afterlife: Perspectives of World Religions|date=1992|publisher=Greenwood Press|location=New York|isbn=0-313-27906-3|pages=3–18|chapter=Living with Spirits: Death and Afterlife in African Religions|quote=The belief in the ancestors remains a strong and active spiritual and moral force in the daily lives of the Yombe; the ancestors are thought to intervene in the affairs of the living.... The afterlife is this world.}}</ref>, বেং<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|last1=Gottlieb|first1=Alma|last2=Graham|first2=Philip|last3=Gottlieb-Graham|first3=Nathaniel|title=Infants, Ancestors, and the Afterlife: Fieldwork's Family Values in Rural West Africa|journal=Anthropology and Humanism|date=1998|volume=23|issue=2|page=121|doi=10.1525/ahu.1998.23.2.121|url=http://onlinelibrary.wiley.com/doi/10.1525/ahu.1998.23.2.121/abstract|accessdate=24 June 2015|quote=But Kokora Kouassi, an old friend and respected Master of the Earth in the village of Asagbé, came to our compound early one morning to describe the dream he had just had: he had been visited by the revered and ancient founder of his matriclan, Denju, who confided that Nathaniel was his reincarnation and so should be given his name. The following morning a small ritual was held, and Nathaniel was officially announced to the world not only as Denju but as N'zri Denju—Grandfather Denju—an honorific that came to be used even by Nathaniel's closest playing companions.}}</ref>, ইয়রুবা এবং এওয়ে সংস্কৃতি সহ সমগ্র [[সাব-সাহারান আফ্রিকা|সাব-সাহারান আফ্রিকাতেই]] [[মৃত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা|পূর্বপুরুষ আচার]] প্রত্যক্ষ করা যায়। এই পূর্বপুরুষ আচার হল একটি বিশ্বাস যেখানে মৃতব্যক্তি পুনরায় জীবিতাবস্থায় তাদের পরিবারে ফিরে আসে। এই পুনর্জন্মে নতুন ব্যক্তি তার পূর্বপুরুষের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো লাভ করে কিন্তু তার আত্মা লাভ করে না। এক্ষেত্রে প্রতিটি আত্মাই আলাদা এবং একেকটি জন্ম একেকটি নতুন আত্মার প্রকাশ।<ref name="Opoku">{{বই উদ্ধৃতি|last1=Opoku|first1=Kofi Asare|editor1-last=Badham|editor1-first=Paul|editor2-last=Badham|editor2-first=Linda|title=Death and Immortality in the Religions of the World|date=1987|publisher=Paragon House|location=New York|isbn=0-913757-54-3|pages=9–23|accessdate=23 June 2015|chapter=Death and Immortality in the African Religious Heritage|url=https://openlibrary.org/books/OL25695134M/}}</ref> ইউরোবা, ডোগোন এবং লাডোগাদের পরকালের ধারণাগুলোর সাথে আব্রাহামিক ধর্মগুলোর মিল রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ আফ্রিকান সমাজেই একটা সাধারণ চিত্র দেখা যায়, সেটা হল তাদের পরকালে স্বর্গ ও নরকের পরিষ্কার ধারণার অনুপস্থিতি। কিন্তু মৃত্যুর পর ঈশ্বর কর্তৃক আত্মার বিচারের ধারণা তাদের মধ্যে পাওয়া যায়।<ref name="Opoku" /> মেন্ডে এর মত কিছু সমাজে অনেকগুলো বিশ্বাসের একত্রে উপস্থিতি দেখা যায়। মেন্ডেরা বিশ্বাস করে যে ব্যক্তি দুইবার মৃত্যু হয়। একবার মৃত্যু ঘটে মেন্ডেদের গোপন সমাজে যোগদানের পূর্বে যা জীববিজ্ঞানগত মৃত্যু নয়, আর দ্বিতীয়বারের মৃত্যুটি হল জীববিজ্ঞানগত মৃত্যু যখন ব্যক্তি আসলেই মারা যায়। দ্বিতীয় মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ব্যক্তি পূর্বপুরুষ হয়ে যায়। মেন্ডেরা এও বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর কর্তৃক তাদের সৃষ্টির পর তারা পরপর দশটি জীবন যাপন করেছিল আর এই প্রত্যেকটি জীবনই একেকটি ক্রম অবরোহী জগতে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last1=Bond|first1=George C.|editor1-last=Obayashi|editor1-first=Hiroshi|title=Death and Afterlife: Perspectives of World Religions|date=1992|publisher=Greenwood Press|location=New York|isbn=0-313-27906-3|pages=3–18|chapter=Living with Spirits: Death and Afterlife in African Religions|quote=The process of being born, dying, and moving to a lower level of earth continues through ten lives.}}</ref> এদের একটি মিশ্র-সাংস্কৃতিক ধারণা হল পূর্বপুরুষগণ জীবিতদের জগতেরই একটি অংশ এবং জীবিতদের সাথে তাদের একটি সম্পর্কও থাকে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last1=Bond|first1=George C.|editor1-last=Obayashi|editor1-first=Hiroshi|title=Death and Afterlife: Perspectives of World Religions|date=1992|publisher=Greenwood Press|location=New York|isbn=0-313-27906-3|pages=3–18|chapter=Living with Spirits: Death and Afterlife in African Religions|quote=The ancestors are of people, whereas God is external to creation.  They are of this world and close to the living.  The Yombe believe that the afterlife of the ancestors lies in this world and that they are a spiritual and moral force within it.}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|last1=Bond|first1=George C.|editor1-last=Obayashi|editor1-first=Hiroshi|title=Death and Afterlife: Perspectives of World Religions|date=1992|publisher=Greenwood Press|location=New York|isbn=0-313-27906-3|pages=3–18|chapter=Living with Spirits: Death and Afterlife in African Religions|quote=Death represents a transition from corporeal to incorporeal life in the religious heritage of Africa and the incorporeal life is taken to be as real as the corporeal.}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|last1=Ephirim-Donkor|first1=Anthony|title=African Religion Defined a Systematic Study of Ancestor Worship among the Akan.|date=2012|publisher=University Press of America|location=Lanham|isbn=9780761860587|page=26|edition=2nd|url=https://books.google.com/books?id=ndxOAQAAQBAJ&pg=PA26|accessdate=25 June 2015}}</ref>
 
== প্রাচীন ধর্ম ==
 
=== প্রাচীন মিশরীয় ধর্ম ===
{{mainমূল articleনিবন্ধ|প্রাচীন মিশরীয় ধর্ম}}[[প্রাচীন মিশরীয় ধর্ম|প্রাচীন মিশরীয় ধর্মে]] পরকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, আর এই বিশ্বাস ব্যবস্থাটি পরকাল সম্পর্কিত লিখিত ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। মৃত্যুর পর আত্মার ''কা'' (দ্বিতীয় শরীর) এবং ''বা'' (ব্যক্তিত্ব) মৃতদের রাজ্যে চলে যায়। সেখানে আত্মা ''ফিল্ড অব অরু'' নামক একটি স্থানে অবস্থান করে। মৃতদের বিকল্প হিসেবে সমাধির উপর একটি মূর্তি তৈরি করার রীতি ছিল প্রাচীন মিশরীয় ধর্মে। <ref>Richard P. Taylor, ''Death and the afterlife: A Cultural Encyclopedia'', ABC-CLIO, 2000, {{আইএসবিএন|0-87436-939-8}}</ref>
 
মৃত্যুর পর পরকালে পুরষ্কৃত হবার জন্য একটি পাপমুক্ত হৃদয় এবং ''বুক অব দ্য ডেড'' এর মন্ত্র, পাসওয়ার্ড ও সূত্রের উচ্চারণ করার সামর্থের প্রয়োজন হয়। মৃতদের হৃদয়কে ''শু'' পালক এর বপরীতে দাড়িপাল্লায় ওজন করা হয়। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|last=Bard|first=Katheryn|title=Encyclopedia of the Archaeology of Ancient Egypt|publisher=Routledge|year=1999|isbn=}}</ref> যদি হৃদয় এই পালকের চেয়ে হালকা হয় তাহলে সে ফিল্ড অব অরুতে যেতে পারে। যদি ভারি হয় তাহলে তাকে আম্মিত নামক দৈত্যের খাদ্যে পরিণত হতে হয়।<ref>Kathryn Demeritt, ''Ptah's Travels: Kingdoms of Ancient Egypt'', 2005, p. 82</ref>
৬৫ নং লাইন:
 
=== ইহুদি ধর্ম ===
{{mainমূল articleনিবন্ধ|ইহুদি পরকালবিদ্যা}}
 
==== শেওল ====
১০৩ নং লাইন:
 
=== খ্রিষ্টধর্ম ===
{{mainমূল articleনিবন্ধ|খ্রিষ্টীয় পরকালবিদ্যা}}প্রচলিত ও মূলধারার খ্রিষ্টধর্ম নাইসিন মতের একটি বিশ্বাসকে স্বীকার করে নেয় যা বলে, "আমরা [[মৃতব্যক্তির পুনরুত্থান|মৃতব্যক্তির পুনরুত্থানের]] সন্ধান করি এবং সন্ধান করি আগামী জগতের জীবনকে।" [[খ্রিষ্টীয় পরকালবিদ্যা]], মৃত্যু, [[মধ্যবর্তী অবস্থা]], স্বর্গ, নরক, [[যিশু|যিশুখ্রিষ্টের]] দ্বিতীয়বার ফিরে আসা, মৃতব্যক্তির পুনরুত্থান, র‍্যাপচার, গ্রেট ট্রিবিউলেশন, মিলেনিয়াম, [[সমাপ্তি সময়]], [[শেষ বিচার]], নতুন স্বর্গ ও নতুন পৃথিবী এবং ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি নিয়ে আলোচনা করে। [[বাইবেল|বাইবেলের]] বিভিন্ন জায়গায় [[এসকাটোলজি]] বিষয়ে উল্লেখ আছে, বিশেষ করে ইসাইয়াহ, ডেনিয়েল, ম্যাথিউ ২৪, ম্যাথিউ ২৫ এবং বুক অব রেভেলেশনে। যদিও কিছু বিশেষ খ্রিষ্টীয় ধর্মমতে পরকালে শাস্তির কথা বলা হয়, পরকালে চিরস্থায়ী নরকভোগই খ্রিষ্টধর্মে প্রধান ধর্মমত।
 
যখন স্যাডিউসিজ যিশুকে (কারও একাধিক স্ত্রী থাকলে পরকালে তার স্ত্রী কে হবেন এই প্রেক্ষিতে) মৃতব্যক্তির পুনরুত্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, যিশু উত্তর দেন, পুনরুত্থানের পর বিবাহ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে কারণ পুনরুত্থিত ব্যক্তি (অন্তত এক্ষেত্রে) স্বর্গে [[দেব-দূত|দেবদূতের]] মত হয়ে যাবেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.biblegateway.com/passage/?search=matthew%2022:23-33;&version=47;|title=Matthew 22:23-33|publisher=Biblegateway.com|date=|accessdate=2014-03-08}}</ref>
১৫১ নং লাইন:
 
==== জিহোভাস উইটনেসেস ====
জিহোভাস উটনেসেস প্রায়ই "পরকাল" শব্দটিকে মৃতদের আশা বোঝাতে ব্যবহার করে<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|journal=The Watchtower|title=Is Gehenna a Place of Fiery Torment?|date=April 1, 2011|page=31|url=http://wol.jw.org/en/wol/d/r1/lp-e/2011252}}</ref>, কিন্তু তারা অমর আত্মায় বিশ্বাস না করার যুক্তি হিসেবে একলেসিয়াসতেস ৯:৫ ব্যবহার করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Reasoning From the Scriptures|pages=168–175}}</ref> ঈশ্বর কর্তৃক বিচারকৃত হওয়া কোন পাপী ব্যক্তিকেই পরকালের আশা দেয়া হয় না। যাই হোক, তারা বিশ্বাস করেন যে, [[আরমাগেডন|আরমাগেডনের]] পর সৎ ও অসৎ উভয়েরই মৃতদেহের পুনরুত্থান ঘটবে, কিন্তু পাপী বা বিদ্বেষপূর্ণ ব্যক্তির পুনরুত্থান ঘটবে না। আরমাগেডনে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি এবং পুনরুত্থিত ব্যক্তিগণ ধীরে ধীরে স্বর্গপ্রাপ্ত হবেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Insight on the Scriptures|volume=2|pages=574–576}}</ref> আরমাগেডনের পর যেসব পাপী অনুতপ্ত হবে না তাদেরকে চিরমৃত্যুর (অস্তিত্বহীনতা) শাস্তি দেয়া হবে।
 
==== সেভেন্থ ডে অ্যাডভেন্টিস্টস ====
১৫৭ নং লাইন:
 
=== ইসলাম ===
{{Mainমূল articleনিবন্ধ|মৃত্যু সংক্রান্ত ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি|বারযাখ|আখিরাত}}
[[কুরআন|কুরআনে]] পরকাল সংক্রান্ত ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। স্বর্গের আরব্য শব্দটি হল ''[[জান্নাত]]'' এবং নরকের আরব্য শব্দটি হল ''[[জাহান্নাম]]'' । সমাধিতে তাদের স্বাচ্ছন্দ্যের মাত্রা সম্পূর্ণরূপে তাদের ''[[ঈমান|ঈমানের]]'' বা এক সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা এবং সর্বোচ্চ সত্তা [[ঈশ্বর]] বা [[আল্লাহ|আল্লাহ্‌র]] প্রতি বিশ্বাসের মাত্রার উপর নির্ভর করে। সঠিক, দৃঢ় এবং সুস্থ ইমান অর্জনের জন্য একজনকে অবশ্যই ধর্ম নির্দেশিত কার্যাবলি পালন করতে হবে, অন্যথা তার ঈমান অবশেষে শ্বাসরুদ্ধ ও সংকুচিত হবে, এবং তিনি যথেষ্ট দীর্ঘ সময় ধরে ইসলাম পালন না করলে সেই ঈমান নির্জীব হয়ে যাবে। তাই ইসলাম পালন করা পরকালে পুরষ্কৃত হবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। কেউ আল্লাহ্‌র নাম জপার জন্য [[তসবীহ্‌]] গ্রহণ করতে পারেন।
 
১৯১ নং লাইন:
 
=== বাহাই ধর্ম ===
{{Mainমূল articleনিবন্ধ|বাহাই ধর্মে পরকাল }}[[বাহাই ধর্ম|বাহাই বিশ্বাসের]] শিক্ষা বলে যে, পরকালের প্রকৃতি জীবিতদের বোঝার ঊর্ধ্বে, ঠিক যেমন একটি এখনও জন্মগ্রহণ করে নি এমন একটি ভ্রূণ মাতৃগর্ভের বাইরের জগৎ সম্পর্কে বুঝতে পারে না। বাহাই বিশ্বাস অনুসারে আত্মা অমর এবং মৃত্যুর পর ঈশ্বরের উপস্থিতি অর্জন করার আগ পর্যন্ত এটি উন্নয়ন করা শুরু করবে। বাহাই বিশ্বাস অনুসারে, পরকালে আত্মারা তাদের এককত্ব বা সত্তা এবং বিবেক ধরে রাখে এবং আধ্যাত্মিকভাবে তারা অন্যান্য আত্মাদেরকে চিনতে এবং কথা বলতে পারবে যাদের সাথে তাদের অনেক ঘনিষ্ট ও গভীর বন্ধুত্ব আছে, যেমন স্বামী ও স্ত্রীর আত্মা।<ref name="PSmith">{{cite encyclopedia|last=Smith|first=Peter|encyclopedia=A concise encyclopedia of the Bahá'í Faith|title=burial, "death and afterlife", evil, evil spirits, sin|year=2000|publisher=Oneworld Publications|location=Oxford|isbn=1-85168-184-1|pages=96–97, 118–119, 135–136, 322–323|ref=harv}}</ref>
 
বাহাই ধর্মগ্রন্থগুলোতে এও বলা হয়েছে যে, আত্মা এবং পরকালের মধ্যে পার্থক্য আছে, এবং আত্মারা তাদের নিজ কার্যের মূল্য এবং ফলাফল বুঝতে পারবে। এখানে ব্যাখ্যা করা হয় যে, যে সকল আত্মা ঈশ্বরের পথে চলেছে তারা আনন্দ উপভোগ করবে, আর যারা ভূল পথে চলেছিল তারা বুঝতে পারবে যে তারা তাদেরকে দেয়া সুযোগ হারিয়েছে। এছাড়াও বাহাই মত অনুসারে আত্মারা সেইসব আত্মাকে চিনতে বা বুঝতে পারবে যারা তাদের সাথে একই উচ্চতায় পৌঁছেছে,কিন্তু যেসব আত্মা তাদের চেয়েও উচ্চ অবস্থানে অর্জন করেছে তাদেরকে তারা চিনতে বা বুঝতে পারবে না।<ref name="PSmith" />
১৯৮ নং লাইন:
 
=== হিন্দু ধর্ম ===
{{mainমূল articleনিবন্ধ|হিন্দু পরকালবিদ্যা }}[[উপনিষদ্‌|উপনিষদে]] জন্মান্তরবাদের কথা বলা হয়েছে। হিন্দু ধর্মগ্রন্থসমূহের মধ্যে অন্যতম ভগবদ গীতায়, পরকাল সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এখানে [[কৃষ্ণ]] বলেছেন যে, মানুষ যেমন তার পুরনো কাপড় ছেড়ে নতুন কাপড় পরিধান করেন, আত্মাও তেমনি তার পুরনো দেহ পরিত্যাগ করে নতুন দেহ গ্রহণ করে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয়, দেহ একটি খোলসের মত, এর ভিতরের আত্মা অপরিবর্তনীয় এবং অবিনশ্বর, এবং এই আত্মা জন্ম মৃত্যুর চক্রে ভিন্ন দেহ ধারণ করে থাকে। এই চক্রের সমাপ্তিকে মুক্তি বা মোক্ষ বলা হয় যেখানে এই আত্মা ঈশ্বরের সাথে মিশে যায়।
 
গরুড় পুরাণেও মৃত্যুর পর ব্যক্তির সাথে কি ঘটে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়, যখন ব্যক্তির মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে তখন মৃত্যুর দেবতা যম তার যমদূতদেরকে ব্যক্তির দেহ থেকে তার আত্মাকে নিয়ে আসতে পাঠান। উক্ত ব্যক্তির সকল ভাল ও মন্দ কাজের হিসাব যমের সহকর্মী [[চিত্রগুপ্ত]] লিখে রাখেন। গরুড় পুরাণ মতে আত্মা দেহ ত্যাগ করার পর দক্ষিণ দিকে একটি দীর্ঘ এবং অন্ধকার সুড়ঙ্গপথ পাড়ি দেয়। এজন্য মৃৎ ব্যক্তির দেহের পাশে একটি তেলের বাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়, যাতে সুড়ঙ্গপথ আলোকিত হয় এবং মৃতব্যক্তির আত্মা স্বাচ্ছন্দে যেতে পারে।
২০৯ নং লাইন:
 
=== বৌদ্ধধর্ম ===
{{mainমূল articleনিবন্ধ|বৌদ্ধ পরকালবিদ্যা}}বৌদ্ধরা মনে করে যে মৃত্যুর পরে তাদের পুনর্জন্ম লাভ হবে যেখানে তাদের আত্মা এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় গমন করবে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last1=Becker|first1=Carl B.|title=Breaking the circle: death and the afterlife in Buddhism|date=1993|publisher=Southern Illinois University Press|location=Carbondale|isbn=0-585-03949-6|page=viii|quote=Buddhists believe in karma and rebirth, and yet they deny the existence of permanent souls.}}</ref> পুনর্জন্মের ধরণ কী হবে তা ব্যক্তির কৃতকার্যের (কম্ম বা কর্ম) উপর নির্ভর করবে। যেমন ব্যক্তি যদি দেহ, বাক্য ও মনের দ্বারা লোভ, ঘৃণা ও বিভ্রমের কারণে ক্ষতিকর কাজ করে, তাহলে তারা নিম্ন জগতে বা নরক জগতে থাকবেন যার অর্থ হল একটি পশু বা ভূত হয়ে জন্মানো। অন্যদিকে যদি ব্যক্তি উদারতা, ভালবাসা, দয়া, সহানুভূতি ও জ্ঞানের দ্বারা ভাল কাজ করেন তাহলে তিনি সুখের জগতে বা স্বর্গীয় জগতে জন্মাবেন যার অর্থ হল মানুষ হয়ে জন্মানো।
 
পুনর্জন্মের পদ্ধতি পুর্ব থেকেই ঠিক করা নয়। এটা বিভিন্ন মাত্রার কম্মের উপর নির্ভর করে। ব্যক্তি কোন অবস্থায় পুনর্জন্ম লাভ করবে তা ঠিক হবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হল শেষ চিন্তার সময়। এই সময়ের অনুযায়ী ভারী কম্ম ফলবে (heavy kamma), সেটা না হলে মৃত্যু নিকট কম্ম (near death kamma) কাজ করবে, যদি তা না হয় তাহলে অভ্যাসগত কম্ম (habitual kamma) কাজ করবে, আর শেষে তাও যদি না হয় তাহলে অবশিষ্ট কম্ম (residual kamma) কাজ করবে যা এর পূর্বের কৃতকার্যের উপর নির্ভর করে। [[থেরবাদ|থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম]] অনুসারে একজন মানুষ পুনর্জন্ম লাভ করতে পারে এমন ৩১টি অস্তিত্বের জগতের কথা বলা হয়েছে।
২৪৫ নং লাইন:
 
=== জরাথুস্ট্রবাদ ===
{{mainমূল articleনিবন্ধ|জরাথুস্ট্রবাদ}}জরাথুস্ট্রবাদ বলে, দেহচ্যুত আত্মা বা ''উরভান'' নিচের দিকে ইমার দ্বারা শাসিত মৃতের রাজ্যে যাবার পূর্বে পৃথিবীতে তিন দিন বিলম্ব করে। এই তিন দিনের জন্য আত্মা পৃথিবীতে বিশ্রাম নেয়, সৎ আত্মা তার শরীরের মাথার কাছে বসে এবং আনন্দের সাথে উস্তাভইতি গাথাস এর ভজন করে, যেখানে মন্দ ব্যক্তি দেহের পায়ের কাছে বসে দুঃখপ্রকাশ করে এবং ইয়াসনার ভজন করে। জরাথুষ্ট্রবাদ বলে যে সৎ আত্মার জন্য একটি সুন্দরী কুমারী আবির্ভূত হয় যা ব্যক্তির উত্তম চিন্তা, কার্য এবং বাক্যেরই নারীরূপ। অন্যদিকে একজন মন্দ ব্যক্তির বেলায় খুবই বৃদ্ধ, কুৎসিত ও নগ্ন ডাইনি আবির্ভূত হয়। তিন রাতের পর মন্দ ব্যক্তির আত্মাকে ভিজারেসা নামক একজন দৈত্য চিনভত সেতুতে নিয়ে যায় যা অন্ধকারে (নরক) যাবার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
 
ইমাকে পৃথিবী শাসন করা প্রথম রাজা বলে বিশ্বাস করা হয়, এবং একই সাথে তাকে প্রথম মৃত বলেও বিশ্বাস করা হয়। ইমার রাজ্যে আত্মারা একটি ছায়াময় অস্তিত্ব নিয়ে বেঁচে থাকে, এবং তারা তাদের নিজেদের বংশধরের উপর নির্ভরশীল যারা এখনও পৃথিবীতে বেঁচে আছে। তাদের বংশধরদেরকে পৃথিবীতে করা বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূর্বপুরুষ আত্মার ক্ষুধা ও বস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে হয়।
২৫৪ নং লাইন:
 
== প্যারাসাইকোলজি ==
{{Mainমূল articleনিবন্ধ|প্যারাসাইকোলজি}}{{Seeআরো alsoদেখুন|মৃত্যু-পূর্ববিদ্যা|মৃত্যু-পূর্ব অভিজ্ঞতা}}১৮৮২ সালে পরকাল এবং আধ্যাত্মিকতার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করার জন্য সোসাইটি ফর সাইকোলজিকাল রিসার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদস্যগণ তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্যারানরমাল বিষয়ের উপর গবেষণা পরিচালনা করছে। এখানকার প্রথমদিকের প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে [[বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি]] করে ব্যাবহার করে পরকাল সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এর প্রথমদিকের সদস্যদের মধ্যে উইলিয়াম ক্রুক্সদের মত বিশিষ্ট গবেষক এবং হেনরি সিজউইক এবং উইলিয়াম জেমসের মত বিশিষ্ট দার্শনিক ছিলেন।
 
পরকালের প্যারাসাইকোলজিকাল তদন্তগুলোর মধ্যে হন্টিং, মৃতদের ভূত, ইনস্ট্রুমেন্টাল ট্রান্স যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা, এবং মিডিয়ামশিপ অন্তর্ভূক্ত ছিল।<ref>David Fontana (2005): Is there an afterlife. A comprehensive overview of the evidence.</ref> এছাড়া নেয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স বা মৃত্যু পরবর্তী অভিজ্ঞতা নিয়েও গবেষণা করা হয়। এই ক্ষেত্রে যেসব বিজ্ঞানীগণ কাজ করেছেন তাদের মধ্যে আছেন রেমন্ড মুডি, সুজান ব্ল্যাকমোর, চার্লস টার্ট, উইলিয়াম জেমস, ইয়ান স্টিভেনসন, মাইকেল পারসিংগার, পিম ভ্যান লোমেল, পেনি সারটরি প্রভৃতি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://profezie3m.altervista.org/archivio/TheLancet_NDE.htm|title=Near-death experience in survivors of cardiac arrest: a prospective study in the Netherlands|publisher=Profezie3m.altervista.org|date=|accessdate=2014-03-08}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://news.bbc.co.uk/1/hi/wales/7463606.stm|accessdate=6 August 2008|work=BBC News|title=Nurse writes book on near-death|date=2008-06-19}}</ref>
২৭৫ নং লাইন:
 
== বিজ্ঞান ==
{{Mainমূল articleনিবন্ধ|মৃত্যু-পরবর্তী চেতনা|মৃত্যু-পূর্ব অভিজ্ঞতা}}বিজ্ঞান সমাজ ধর্মগুলোতে বিশ্বাস করা মৃত্যু-পরবর্তী চেতনার ধারাবাহিকতা সম্পর্কে সংশয়বাদী অবস্থান নেয়। [[মন-দেহ সমস্যা]] বা মাইন্ড-বডি প্রবলেমের উপর ভিত্তি করে বেশিরভাগ স্নায়ুবিজ্ঞানী বা নিউরোসাইন্টিস্ট, ফিজিকালিস্ট বা শরীরবাদী অবস্থান নেন যা অনুসারে চেতনা শরীরের বৈশিষ্ট্য যেমন মস্তিষ্কের স্নায়বিক কার্যাবলি থেকেই উৎপন্ন হয়।<ref>James H. Schwartz. ''Appendix D: Consciousness and the Neurobiology of the Twenty-First Century''. In Kandel, ER; Schwartz JH; Jessell TM. (2000). ''Principles of Neural Science, 4th Edition''.</ref><ref>[[Steven Pinker|Pinker, Steven]]. [http://content.time.com/time/magazine/article/0,9171,1580394,00.html "The Brain: The Mystery of Consciousness"]. Time. Monday, January 29, 2007.</ref> এই প্রতিজ্ঞাটির নিহিতার্থটি হচ্ছে, একবার [[ব্রেইন ডেথ|ব্রেইন ডেথের]] পর মস্তিষ্ক তার কার্যক্রম বন্ধ করে ফেললে, চেতনার অস্তিত্বের সমাপ্তি ঘটে।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|author=Bernat JL|date=8 Apr 2006|doi=10.1016/S0140-6736(06)68508-5|issue=9517|journal=Lancet|pages=1181–1192|pmid=16616561|title=Chronic disorders of consciousness|volume=367}}</ref><ref>[[Steven Laureys|Laureys, Steven]]; Tononi, Giulio. (2009). ''The Neurology of Consciousness: Cognitive Neuroscience and Neuropathology''. Academic Press. p. 20. {{আইএসবিএন|978-0-12-374168-4}} "In brain death there is irreversible cessation of all functions of the brain including the brainstem. Consciousness is, therefore, permanently lost in brain death."</ref> সাধারণত, বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকগণ মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের প্রশ্নে সংশয়বাদের আশ্রয় নেন। বিজ্ঞান সমাজের কেউ কেউ স্বীকার করেন যে, মৃত্যুর সময় মানবাত্মার তথ্যসমূহ কেবল মাত্র তাদের থেকেই আবিষ্কার করা সম্ভব যারা মৃত্যুর অভিজ্ঞতা লাভ করছেন। এসম্পর্কিত তথ্য আবিষ্কার করার জন্য তিব্বতীয় লামাদের একটি দল তাদের শিষ্যদের তাদের মরার সময়কার অভিজ্ঞতা জানিয়ে যান।
 
লামাদের বলা লক্ষণসমূহের মধ্যে ছিল-
২৮৩ নং লাইন:
এরকমও অনেক উদাহরণ আছে যেখানে ব্যক্তিকে ক্লিনিকালি মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল কিন্তু ব্যক্তি বেঁচে উঠেছেন। সেই সব ব্যক্তিকে যখন তাদের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তারা দাবী করেন তারা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তার জন্য যথেষ্ট শব্দ নেই। ডাক্তার রেমন্ড এ. মুডি ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে নিয়ে গবেষণা করেছেন যাদেরকে ক্লিনিকালি ডেথ বা ক্লিনিকালি মৃত বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছেন। তিনি তার প্রাপ্ত তথ্যগুলোকে ''লাইফ আফটার লাইফ'' (১৯৭৫) নামক রচনায় প্রকাশ করেন। এই গবেষণার ফলাফলগুলো থেকে মৃত্যু সম্পর্কিত অভিজ্ঞতার কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য উদ্ঘাটিত হয়। ব্যক্তিগণ প্রায়ই দেহ-বহির্ভূত অভিজ্ঞতার কথা বলেন যেখানে শরীর এবং আত্মা বিচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং ব্যক্তিগণ জগৎকে তাদের "এস্ট্রাল বডি" এর মাধ্যমে দেখেন। ফ্রেড স্কুনমেকার নামক একজন কার্ডিওলজিস্ট ১৯৭৯ সালে মুডির এই ফলাফলগুলোকে তার ১৯৭৯ সালের একটি গবেষণায় ভেরিফাই করেন যেখানে তার গবেষণাটি ছিল মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকি থেকে বেঁচে ফেরা ২,৩০০ জন রোগীকে নিয়ে। সুপরিচিত পদার্থবিদ এবং প্যারাসাইকোলজিস্ট স্যার উইলিয়াম ব্যারেট ১৯২৬ সালে এধরণের ঘটনা নিয়ে ''ডেথ বেড ভিশন'' নামক রচনা প্রকাশ করেন। তার রচনায় অসুস্থ ব্যক্তি গান শোনেন এবং তার ভাল্বাসার মৃত ব্যক্তিকেও দেখতে পান। একটি কেস স্টাডিতে দেখা যায়, ব্যক্তি একটি দেব বহির্ভূত অভিজ্ঞতায় একজন মৃত ব্যক্তিকে দেখেন যার সেই সময় মৃত্যুই হয় নি। সেকেলে পদ্ধতি গবেষণা এবং প্রচণ্ডভাবে ব্যক্তির সততার উপর নির্ভরশীল এই কেস স্টাডিগুলোর অনেকগুলোই যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছে। তার উপর, বর্তমানে দাবী করা হচ্ছে আউট-অব-বডি বা দেহ-বহির্ভূত অভিজ্ঞতাগুলো ক্কয় হতে থাকা মস্তিষ্কের তৈরি হেলুসিনোজেনিক বা বিভ্রম তৈরিকারী এফেক্টের ফল।
 
পরকালে বিশ্বাসের জন্মের মনোবিজ্ঞানগত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে কগনিটিভ ডিসপোজিশন বা জ্ঞানীয় স্বভাব, সাংস্কৃতিক শিক্ষা এবং ইনটুইটিভ রেলিজিয়াস আইডিয়া সজ্ঞাত ধর্মীয় ধারণা।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|last1=Pereira|first1=Vera|last2=Faísca|first2=Luís|last3=de Sá-Saraiva|first3=Rodrigo|title=Immortality of the Soul as an Intuitive Idea: Towards a Psychological Explanation of the Origins of Afterlife Beliefs|journal=Journal of Cognition and Culture|date=1 January 2012|volume=12|issue=1|page=121|doi=10.1163/156853712X633956}}</ref> একটি গবেষণায় দেখা যায়, বাচ্চারা মৃত্যুর সময় শারীরিক ও মানষিক সমাপ্তিকে স্বীকার করেছিল, কিন্তু তারা ইচ্ছা, আত্ম এবং আবেগের সমাপ্তিকে স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করছিল।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|last1=Misailidi|first1=Plousia|last2=Kornilaki|first2=Ekaterina N|title=Development of Afterlife Beliefs in Childhood: Relationship to Parent Beliefs and Testimony|journal=Merrill-Palmer Quarterly|date=April 2015|volume=61|issue=2|pages=290–318|issn=0272-930X}}</ref>
 
== আরও দেখুন ==
৩২০ নং লাইন:
 
== বহিঃসংযোগ ==
{{Commonsকমন্স categoryবিষয়শ্রেণী|Afterlife}}{{wikiquote|Afterlife}}{{Wiktionary|afterlife|hereafter}}{{wikiversity|Afterlife}}
* [http://www.lifeafterdeaths.org/ Islamic view on life after death]
* [https://web.archive.org/web/20120104021648/http://www.vatican.va:80/archive/ccc_css/archive/catechism/p123a12.htm Catholic view on life after death]