নবদ্বীপের লাল দই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১৫ নং লাইন:
}}
'''''লাল দই''''' বা '''ক্ষীর দই''' বা '''চাক্কু দই''' বাংলার মিষ্টির মধ্যে অন্যতম একটি মিষ্টি। দই বা দধি মিষ্টান্ন পরিবারের কুলীন সদস্য। [[দই]] সাধারনত সাদা হলেও লাল দই একটি স্বতন্ত্র উপাদেয় মিষ্টান্ন। [[নদিয়া জেলা|নদিয়ার]] [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপের]] লাল দই খুবই জনপ্রিয়।<ref>http://www.anandabazar.com/district/nadia-murshidabad/sweet-makers-protested-against-gst-by-making-sweets-1.683154</ref> ১৯৩০ সালের দিকে '''কালিপদ মোদক''' মতান্তরে '''কালী ঘোষ''' এই দইয়ের আবিষ্কর্তা।<ref>http://www.anandabazar.com/district/nadia-murshidabad/famous-curd-of-nabadwip-is-in-high-demand-among-locals-1.709126</ref> ১৫০ বছরেরও পুরনো পাঞ্চুর মিষ্টির দোকান “ ''লক্ষ্মী নারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার''” অন্যতম বিখ্যাত লাল দইয়ের দোকান। তৈরি করার পর দশদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
== ইতিহাস ==
দই লাল হয়ে ওঠার পিছনে একটি কিম্বদন্তি আছে। নবদ্বীপের পুরাত্বাত্বিক পরিষদের কাছ থেকে জানা যায় লাল দই এর আবিষ্কর্তা নবদ্বীপ ফাঁসিতলার বাসিন্দা এবং মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক কালী ঘোষ। কালী ঘোষ এবং হরি ঘোষ দুই ভাই, তাঁরা মূলত দই এবং ঘোল তৈরি করতেন। মরা আঁচে মোষের দুধে অল্প অল্প জল দিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে ফুটিয়ে দুধকে ঘন করতেন। অনেকক্ষণ জ্বাল দেওয়ায় সেই দুধের রঙ লালচে হয়ে যেত। তাই দিয়ে ঘোল তৈরি করতেন দুই ভাই। তাঁদের ঘোল এলাকায় লাল ঘোল নামে পরিচিত ছিল। দুধ ঘন হলেই সেটি প্রায় [[ক্ষীর|ক্ষীরের]] পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তাই অনেক সময় '''ক্ষীর দই'''ও বলে।
এই দইয়ের আরেকটি নাম হল '''চাক্কু দই'''। এই নামের পিছনেও একটি কারণ আছে। দই কতটা ভালো সেতার বিচার হয় দই কতটা আঁটো হয়েছে তার উপর। সেটি পরীক্ষা করার জন্য দইয়ের হাঁড়ি উল্টে দিয়েও দেখা হয়। এমনকি হাঁড়ির ভিতরে চাকু বা ছুরি ঢুকিয়েও দেখা হয়। সেই চাকু থেকেই চাক্কু দইয়ের
== প্রস্তুত প্রণালী ==
এই দই প্রস্তুত করার জন্য [[গরু]] বা [[মোষ|মহিষে]]<nowiki/>র খাঁটি [[দুধ]] আবশ্যিক। এছাড়া জ্বালানিরও একটি বড় ভুমিকা আছে লাল দই প্রস্তুত করতে। কাঠ ও কয়লা দুই ধরনের জ্বালিনি লাগে।
== আরও দেখুন ==
|