ভারত ছাড়ো আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎তথ্যসূত্র: http://bengalstudents.com/books/class-x-history-study/%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%AA%E0%A7%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%
202.142.102.54 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 2787630 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
৩ নং লাইন:
Quit India Movement}}) ('''আগষ্ট আন্দোলন''') ছিল একটি আইন অমান্য আন্দোলন যেটি [[১৯৪২]] সালের ৯ আগস্ট থেকে [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে]] [[মহাত্মা গান্ধী|মহাত্মা গান্ধীর]] দ্বারা চালিত হয়েছিল।<ref>http://www.open.ac.uk/researchprojects/makingbritain/content/1942-quit-india-movement</ref> [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস]] দাবি করে একটি গণপ্রতিবাদ যেটিকে গান্ধী উল্লেখ করেন ব্রিটিশদেরকে "ভারত ছাড়ার" একটি দাবি হিসেবে। ১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট গোয়ালিয়ার ট্যাঙ্ক ময়দানে তিনি এই উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন "করেঙ্গে নয় মরেঙ্গে"।
 
==তথ্যসূত্র==
'''১৯৪২ এর আগস্ট আন্দোলন''' ( ভারত ছাড়ো) [Quit India Movement] (1942 movement):- ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতার অব্যবহিত পরেই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতের বোঝাপড়া শেষ করে দিয়ে গান্ধিজি তীব্র ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে শুরু করেন । ভারতে ব্রিটিশের উপস্থিতি জাপানকে ভারত আক্রমণ করতে প্ররোচিত করবে । এই পরিস্থিতিতে গান্ধিজি ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ২৬ শে এপ্রিল ‘'''হরিজন'''’ পত্রিকাতে ‘'''ভারত ছাড়ো'''’ নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন । এই প্রবন্ধে তিনি বলেন ” ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবিলম্বে অবসান চাই । ভারতের স্বাধীনতা চাই কেবল ভারতের স্বার্থে নয় — চাই বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য নাত্সীবাদ, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ এবং একজাতির উপর অন্যজাতির আক্রমণের  অবসানের জন্য ।” এরপর ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ১৪ই জুলাই মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা অধিবেশনে ‘কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি’ গান্ধিজির ‘'''ভারত ছাড়ো'''’ আন্দোলনের প্রস্তাব অনুমোদন করে । ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ৮ ই আগস্ট  কংগ্রেসের কার্য-নির্বাহক সমিতি গান্ধিজির ঐতিহাসিক ‘ভারত ছাড়ো’ প্রস্তাবের আইনগত স্বীকৃতি জানায় এবং সিদ্ধান্ত হয় যে ৯ ই আগস্ট ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে অতি প্রত্যুষে আন্দোলন শুরু হবে । এই প্রস্তাবে বলা হয় ভারতের মঙ্গলের জন্য, বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য, নাত্সীবাদ, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের অবসান ঘটিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান অপরিহার্য । প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ব্রিটিশ ভারত ছেড়ে চলে গেলে ভারতীয় জনপ্রতিনিধিরা একটি সামরিক সরকার গঠন করবেন এবং সকলের গ্রহণযোগ্য একটি সংবিধান রচনা করবেন । প্রস্তাব অনুমোদনের পর গান্ধিজি দৃঢ় কন্ঠে ঘোষণা করেন, ‘'''করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে'''’ । অর্থাৎ দেশ স্বাধীন করব, না হয় মৃত্যুবরণ করব । গান্ধিজির এই উদাত্ত আহ্বানের সঙ্গে সঙ্গেই ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা হয় । ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ‘'''করেঙ্গা ইয়ে মরেঙ্গে’''' ।
{{সূত্র তালিকা}}
 
{{ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন}}
যথারীতি ব্রিটিশ সরকার ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ৯ই আগস্ট ভোরে গান্ধিজিকে গ্রেফতার করে ও পুণায় আটক করে রাখা হয় । এরপর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহরু, আবুল কালাম আজাদ, জে. বি. কৃপালনী সমেত বহু প্রথম সারির নেতা কারারুদ্ধ হন । ব্রিটিশ সরকার কংগ্রেসকে বেআইনি সংগঠন রূপে ঘোষণা করে । সর্বত্র কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারারুদ্ধ করা হয় । প্রথম প্রথম এই আন্দোলন ছাত্র-শিক্ষক, যুবসম্প্রদায় ও বুদ্ধিজীবী মধ্যবিত্ত মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল । ক্রমে তা দেশের শ্রমিক, কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে গণআন্দোলনের রূপ পরিগ্রহ করে । সরকারি দমন নীতির প্রতিবাদে দেশের আপামর জনসাধারণ ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন । দেশব্যাপী ধর্মঘট, শোভাযাত্রা, মিছিল, মিটিং ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয় । এ সবের প্রতি সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হলে আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ পরিগ্রহ করে । রেললাইন ধ্বংস, স্কুল-কলেজ বর্জন, বিভিন্ন অফিস-আদালতে অগ্নি-সংযোগ, ট্রেন ও টেলিফোন সংযোগ বিছিন্নকরণ থানা, ডাকঘর, রেজিস্ট্রি অফিস, রেলস্টেশন দখল ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় ।
 
ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্রগুলি ছিল '''মহারাষ্ট্রের সাতারা, মেদিনীপুরের তমলুক, কাঁথি, দিনাজপুরের বালুরঘাট, উত্তরপ্রদেশের বালিয়া, আজমগড়, আসামের নওগাঁ, ওড়িশার তালচের, বালাশোর''' ইত্যাদি । বিশিষ্ট নেতাদের মধ্যে সাতারার '''শ্রীনাথ লালা''', '''নানা পাতিল''', বালিয়ার '''চৈতু পান্ডে''', '''সরযূ পান্ডে''', তমলুকের '''মাতঙ্গিনী হাজরা, সুশীল ধাড়া''', পাঞ্জাবের গৃহবধু '''ভোগেশ্বরী ফকোননি''', আসামের স্কুলছাত্রী '''কনকলতা বড়ুয়া''' অন্যতম । এছাড়া '''অরুণা আসিফ আলি, সুচেতা কৃপালিনী, জয়প্রকাশ নারায়ণ, আচার্য নরেন্দ্রদেব, রামমনোহর লোহিয়া, যোগেশ চ্যাটার্জি, উষা মেহেতা, অচ্যুত পট্টবর্ধন, অজয় মুখার্জি''' প্রমুখ উল্লেখযোগ্য । 
 
বাংলার মেদিনীপুর জেলায় ভারত ছাড়ো আন্দোলন এক গণবিদ্রোহের রূপ নেয় । তমলুক ও কাঁথি মহকুমায় এর গভীরতা ও ব্যাপকতা ছিল বেশি । ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান বিশেষ ভাবে স্মরণীয় । মাতঙ্গিনী হাজরা ছিলেন গান্ধিজির অনুরাগী একজন গ্রাম্য বিধবা মহিলা । মহাত্মা গান্ধি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দিলে মাতঙ্গিনী হাজরা এই আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন । মেদিনীপুরে '''মাতঙ্গিনী হাজরা''' ও '''রামচন্দ্র বেরার''' নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ২৯ শে সেপ্টেম্বর নানাদিক থেকে এসে তমলুক থানা ও আদালত অবরোধ করেন । ৭৩ বছর বয়স্কা কৃষকবধু '''মাতঙ্গিনী হাজরা''' তমলুক আদালত শীর্ষে ভারতের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা তুলতে গিয়ে ব্রিটিশের গুলিতে প্রাণ হারান । মাতঙ্গিনী হাজরার দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের আদর্শ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে । অজয় মুখার্জি, সুশীল কুমার ধাড়া ও সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে লালবাড়ির দখল নেওয়া হয় ও অজয় মুখার্জির উদ্যোগে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ১৭ ডিসেম্বর তমলুক মহকুমায় ‘'''তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার'''’ গঠিত হয় । শেষ পর্যন্ত অবশ্য সরকারি দমন নীতির প্রচন্ডতা ও উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে ভারত ছাড়ো আন্দোলন স্তিমিত হয়ে আসে ।
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}2. [http://bengalstudents.com/books/class-x-history-study/%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%AA%E0%A7%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4 http://bengalstudents.com/books/class-x-history-study/]{{ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন}}
{{অসম্পূর্ণ}}