|
[[চিত্র:Lake Sai and Aokigahara from Koyodai.jpg|thumb|right|কওয়াডাই থেকে অওকিগাহারা ও সাইকো লেক (১৯৯৫)]][[চিত্র:Aokigahara forest 01.jpg|thumb|right|অওকিগাহারা ২০০৮]]
'''অওকিগাহারা''', [[জাপান|জাপানের]] [[ফুজি (পর্বত)|ফুজি পর্বতমালার]] উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ৩৫ বর্গ কিলোমিটারের একটি জঙ্গল। এটি ''সি অব ট্রিজ'' অথবা ''গাছের সমুদ্র'' নামেও পরিচিত। কিছু অদ্ভুত পাথর এবং কোন প্রানেরপ্রাণের অস্তিত্তঅস্তিত্ব না থাকাতে সব সময় সুনসান নীরব এ বনটি পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।<ref name="Zack Davisson"/> জাপানি পুরান মতে, এ বনে প্রেতাত্মারা ঘুরে বেরায়বেড়ায় এবং এটি [[আত্মহত্যা]] করার জায়গা হিসেবে বিবেচিত। এই বন থেকে প্রতি বছর একশত এর বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।<ref name="mail">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url=http://www.dailymail.co.uk/news/article-2127414/The-suicide-forest-Japan-Mystery-Mount-Fuji-beauty-spot-100-bodies-year.html | title=The suicide forest of Japan: Mount Fuji beauty spot where up to 100 bodies are found every year | publisher=Mail Online | date=10 April 2012 | accessdate=2013-06-11}}</ref>
== ভূগোল ==
বনের মেঝে প্রাথমিক আগ্নেয় শিলাআগ্নেয়শিলা দ্বারা গঠিত। হস্ত নির্মিতহস্তনির্মিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন,- শাবল, খন্তি ইত্যাদি দিয়ে বনের মেঝেতে গর্ত করা খুবই কঠিন। এছাড়া বনের ভেতর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা নির্মিত কিছু মেঠো পথ আছে যেগুলোর মাধ্যমে আধা-নিয়মিতভাবে মৃতদেহ সংগ্রহ করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটক ও অন্যন্য ভ্রমনকারীরাভ্রমণকারীরা তাদের যাওয়ার পথে প্লাস্টিকের এক ধরনের টেপ ব্যবহার করে তাদের চিহ্ন রেখে যায় যাতে তারা পরবর্তীতে পথ ভুলে না যায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.asahi.com/english/Herald-asahi/TKY200805020328.html|title=Intruders tangle 'suicide forest' with tape|work=[[Asahi Shimbun]]| date=2008-05-03|accessdate=2008-05-03 |archiveurl = http://web.archive.org/web/20080506060315/http://www.asahi.com/english/Herald-asahi/TKY200805020328.html <!-- Bot retrieved archive --> |archivedate = 2008-05-06}}</ref> সরকারি লোকজন টেপের এই চিহ্ন মাঝে মাঝেই অপসারনঅপসারণ করে কিন্তু পর্যটকরা আবার লাগান। মূলত বনের প্রথম এক কিলোমিটারের মধ্যেই টেপের চিহ্ন বেশি দেখা যায়। তারপর ফুজি পর্বতমালার দিকে যতই গভীরে যাওয়া হয় বনের অবস্থা ততই আদিম যুগীয়আদিমযুগীয় মনে হয় ও মানুষের দেখা পাওয়া যায়না।
== আত্মহত্যা ==
বনটি জাপানিদের কাছে আত্মহত্যার সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গাজায়গায় এবং পুরুসারা পৃথিবিতেপৃথিবীতে দ্বিতীয় । দ্বিতীয়। আত্মহত্যার জন্য আমেরিকার [[সান ফ্রান্সিস্কো|সান ফ্রন্সিসকোর]] গোল্ডেন ব্রিজ এর পর এর অবস্থান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| last=Meaney | first=Thomas | url= http://online.wsj.com/article/SB114504929764426405.html | title= Exiting Early: Is life worth living? The question is perennial. The answers include 'no' | publisher= The Wall Street Journal | date=April 15, 2006 | quote=In a roundabout way of coming to terms with his death, Mr. Hunt made several trips to the cliffs of Beachy Head on the southern coast of England, which ranks as the third most popular suicide site in the world, after the Golden Gate Bridge and the Aokigahara Woods in Japan.}}</ref><ref name="Amazeen">Amazeen, Sandy. [http://books.monstersandcritics.com/nonfiction/reviews/article_1070655.php/Book_Review_Cliffs_of_Despair_A_Journey_to_Suicides_Edge "Book Review: Cliffs of Despair A Journey to Suicide's Edge"], ''Monsters & Critics.''December 21, 2005.</ref> হিসাবমতে প্রতিবছর এখানে গড়ে ১০০ জন মানুষ আত্মহত্যা করে।<ref name="ERIC">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://eric.ed.gov/ERICWebPortal/custom/portlets/recordDetails/detailmini.jsp?_nfpb=true&_&ERICExtSearch_SearchValue_0=EJ383602&ERICExtSearch_SearchType_0=no&accno=EJ383602|title=EJ383602 - Aokigahara-jukai: Suicide and Amnesia in Mt. Fuji's Black Forest|last=Takahashi|first=Yoshitomo|year=1988|publisher=Education Resources Information Center}}</ref>
১৯৫০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫শ’র মতো জাপানি এখানে আত্মহত্যা করেছেন। কেবল ২০০২ সালেই ৭৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এখান থেকে যা ১৯৯৮ সালের উদ্ধার করা ৭৪ জন এর বেশি।<ref name="Zack Davisson">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://www.japanzine.jp/article/jz/957/the-suicide-woods-of-mt-fuji|title=The Suicide Woods of Mt. Fuji|author=Zack Davisson|work=Seek Japan}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://search.japantimes.co.jp/member/member.html?nn20030207b1.htm|title='Suicide forest' yields 78 corpses |work=The Japan Times |date=2003-02-07}}</ref> ২০০৩ সালের দিকে আত্মহত্যার হার ১০০ এর বেশি হয়ে যায় এবং তার পর থেকে জাপানি সরকার আত্মহত্যার হার প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে।<ref name="Studio 360:Suicide Forest"/> ২০০৪ সালে ১০৮ জন লোক এখানে আত্মহত্যা করে, ২০১০ সালে ২৪৭ জন লোক আত্মহত্যার চেষ্ঠা করে যার মধ্যে ৫৪ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়।<ref name="japantimes2011">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | last=Gilhooly | first=Rob | url= http://search.japantimes.co.jp/cgi-bin/fl20110626x1.html |title= Inside Japan's 'Suicide Forest' | newspaper =[[Japan Times]] |date=26 June 2011| page= 7}}</ref> মার্চের সময় আত্মহত্যার হার বেরে যায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| url= http://www.cnn.com/2009/WORLD/asiapcf/03/19/suicide.forrest.japan/ | title= Desperate Japanese head to 'suicide forest' | first= Kyung| last= Lah | date= March 19, 2009| work= CNN.com/Asia| quote= 'Especially in March, the end of the fiscal year, more suicidal people will come here because of the bad economy,' he said. 'It's my dream to stop suicides in this forest, but to be honest, it would be difficult to prevent all the cases here.'}}</ref> ২০১১ সালের দিকে যারা আত্মহত্যা করেছে তাদের অধিকাংশ ফাঁসি অথবা বেশি পরিমাণে মাদক নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|journal=Japan Times |title=SUNDAY TIMEOUT: Inside Japan's 'Suicide Forest'|author=ROB GILHOOLY, Special to The Japan Times|work=japantimes.co.jp|url=http://www.japantimes.co.jp/text/fl20110626x1.html|date=Sunday, June 26, 2011}}</ref>
১৯৭০ সালে পুলিশ, সেচ্ছাসেবকস্বেচ্ছাসেবক ও সাংবাদিকদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছিল যাদের কাজ ছিল মৃতদেহগুলো খুজেখুঁজে বের করা এবং লোকজনকে আত্মহত্যায় অণুৎসাহিতঅনুৎসাহিত করা।<ref>Kyodo News, "[http://www.japantimes.co.jp/text/nn20120509f3.html?utm_source=feedburner&utm_medium=feed&utm_campaign=Feed%3A+japantimes+(The+Japan+Times%3A+All+Stories) 'Suicide forest' helps skew Yamanashi's statistics]", ''Japan Times'', 9 May 2012, p. 3.</ref><ref>Hadfield, Peter. [http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/asia/japan/1373287/Japan-struggles-with-soaring-death-toll-in-Suicide-Forest.html "Japan struggles with soaring death toll in Suicide Forest"], ''The Sunday Telegraph'' (London). June 16, 2001.</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |url=http://www.independent.co.uk/news/world/asia/japans-harvest-of-death-635356.html |title=Japan's harvest of death |work=The Independent |location=London |date=2000-10-24 |accessdate=2008-05-03| archiveurl= http://web.archive.org/web/20080424021245/http://www.independent.co.uk/news/world/asia/japans-harvest-of-death-635356.html| archivedate= 24 April 2008}}</ref> ১৯৬০ সালে সাইকো মাটসুমোটো নামক এক জাপানি লেখকের টাওয়ার অফ ওয়েবস<ref>{{বই উদ্ধৃতি |url=http://www.amazon.co.jp/dp/4167697238/ |title=波の塔〈下〉(文春文庫): 松本 清張: 本 |isbn= 978-4167697235 |language=Japanese language |year=2009| location= Tōky | publisher= Bungeishunjū}}</ref> নামে একটি উপন্যাস প্রকাশের পর থেকেই এখানে এসে আত্মহুতিরআত্মাহত্যার প্রবনতাপ্রবণতা বেরেবেড়ে যায়। এই উপন্যাসের দুটি চরিত্র এই বনে এসে আত্মহত্যা করেছিল। এর পর থেকে জাপানিরা এই বনে এসে এই আশায় আত্মহুহিআত্মাহুতি দেয় যে পরবর্তিতে তাদের সন্তানেরা পরবর্তীতে ভালোভাবে চলতে পারবে।<ref name="Studio 360:Suicide Forest">[http://www.studio360.org/episodes/2010/01/08 Studio 360:Suicide Forest]. ''Studio 360 in Japan'' (radio program). January 8, 2010.</ref>
== তথ্যসূত্র ==
|
