ব্লু হোয়েল (খেলা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎কাঠামো: সাধারণ সম্পাদনা ও বানান সংশোধন
→‎কাঠামো: অযথাই বোল্ড লেখার কারণটা বুঝলাম না (আমি কি কিছু মিস করছি?)
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে}}
'''নীল তিমি''' বা '''সিনিয় কিত''' বা ব্লু হোয়েল ({{Lang-ru|Синий кит|Siniy kit (সিনিয় কিত)}}) একটি অনলাইন প্রতিযোগিতামূলক খেলার নাম, এটি "নীল তিমি প্রতিযোগিতা (ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ)" নামেও পরিচিত। নীল তিমি বা ব্লু হোয়েল একবিংশ শতকের অনলাইন গেমগুলির মধ্যে একটি হিসাবে দাবীকৃত। নাম থেকে ধারণা করা '''ব্লু হোয়েল''' একটি রুশ অনলাইন প্রতিযোগিতামূলক খেলা। সোশ্যাল গেমিং পাতার প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক ৫০ (পঞ্চাশ) দিন ধরে বিভিন্ন কাজ করতে হয় এবং সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে অংশগ্রহণকারীকে আত্মহত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত '''ব্লু হোয়েল''' খেলতে গিয়ে ১৩০ জনেরও বেশি কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করা হয়।<ref name=বিবিসি-১>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title=ব্লু হোয়েলঃ তোমার কি অনলাইন চাপ সৃষ্টিকারী চক্রের বিষয়ে চিন্তিত হওয়া উচিৎ?|url=http://www.bbc.com/news/world-39729819|accessdate=7 অক্টোবর 2017|publisher=[[বিবিসি নিউজ]]|date=২৭ এপ্রিল ২০১৭|language=ইংরেজি}}</ref> <ref name="আনন্দ বাজার-১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title="নীল তিমি"র হাতছানি থেকে উদ্ধার ২ কিশোর|url=http://www.anandabazar.com/national/two-young-boys-rescued-from-the-dangerous-online-challenges-1.656961|accessdate=7 অক্টোবর 2017|publisher=আনন্দ বাজার|date=১২ অাগস্ট ২০১৭}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title=ব্লু হোয়েল গেমের শিকার? কীভাবে মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্লাস টেনের মেধাবী ছাত্র অঙ্কনের?|url=http://zeenews.india.com/bengali/state/blue-whale-game-victim-at-west-midnapore_171827.html|accessdate=7 অক্টোবর 2017|publisher=জি নিউজ, ইন্ডিয়া|date=১৩ অগাস্ট ২০১৭}}</ref> <br>
 
==নামকরণ==
[[নীল তিমি]] নিজেই জীবনের একটি পর্যায়ে চলে আসে সমুদ্র তীরে, শুকনা ভূমিতে ধীরে ধীরে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। বাস্তব প্রমান পাওয়া যায় ২০০৮ সালে ৫৫টি নীল তিমি একযোগে সমুদ্র সৈকতে চলে আসে, উদ্ধারকারীরা তাদেরকে সাগরে ফেরত পাঠালেও তারা তীরের দিকে বারবার চলে আসে। আপাতভাবে মনে হয় আত্মহত্যাই যেন তাদের উদ্দেশ্য।<ref name=রয়টার>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title=সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পরও দক্ষিণ আফ্রিকায় (কেপ টাউনের নিকটবর্তী সমুদ্রতীরে) ৫৫টি তিমি মারা যায়|url=http://www.reuters.com/article/us-safrica-whales/55-whales-die-after-mass-beaching-in-south-africa-idUSTRE54T0UR20090531|accessdate=7 অক্টোবর 2017|agency=[[রয়টার্স]]|date=৩১ মে ২০০৯|language=ইংরেজি}}</ref> ধাপে ধাপে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া এই গেমটির নাম তাই '''ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ''' বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করেন।
 
==ইতিহাস==
এই খেলাটির মূল নাম '''সিনিয় কিত'''।কিত। '''সিনিয় কিত''' গেমটি রাশিয়ায় ২০১৩ সালে শুরু হয়, '''ফিলিপ বুদেইকিন''' নামে মনোবিজ্ঞানের এক প্রাক্তন ছাত্র নিজেকে ওই গেমের আবিষ্কর্তা বলে দাবি করে। একুশ বছরের ওই রুশ যুবকের দাবি, যারা মানসিক অবসাদে ভোগে, প্রতিনিয়ত আত্মহত্যার কথা ভাবে, তাঁদের আত্মহত্যার জন্য মজাদার পথ তৈরি করাই এই গেমের ভাবনা।<ref name="আনন্দ বাজার">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title=মুম্বইয়ের ছাত্র-মৃত্যুতে কি নীল তিমির রহস্য|url=http://www.anandabazar.com/national/teenagers-allegedly-commits-suicide-after-playing-blue-whale-game-1.651105|accessdate=7 অক্টোবর 2017|publisher=আনন্দ বাজার|date=০১ অগাস্ট ২০১৭}}</ref>
 
'''ব্লু হোয়েল''' গেমটি ২০১৬ সালের মে মাসে রুশ পত্রিকা '''ন্যভায়া গ্যাজেটা''' ({{lang-rus|Новая газета|enlish=New Gazette|p=ˈnovəjə ɡɐˈzʲetə}}) মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে সেখানে '''ভিকোন্তাকে''' নামের সামাজিক মাধ্যমের '''এফ৫৭''' (এফ৫৭ মূলত '''ডেথ গ্রুপ''' নামে পরিচিত<ref name="Roar বাংলা">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|author1=ফারজানা তাসনিম পিংকী|title=শত প্রাণ কেড়ে নেয়া এক অনলাইন গেম ‘ব্লু হোয়েল’|url=https://roar.media/bangla/world-news/blue-whale-suicide-game/|website=Roar বাংলা|accessdate=7 অক্টোবর 2017|archivedate=১৪ জুলাই ২০১৭}}</ref>) নামের একটি গোষ্ঠীর অনুসারী কমপক্ষে ১৬ জন কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যাকে এই গেমটির সাথে সম্পৃক্ততা তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি রাশিয়ার উপর একটি নৈতিক ভীতির ঝড় তোলে<ref name=snopes2017>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.snopes.com/blue-whale-game-suicides-russia/|title=FACT CHECK: 'Blue Whale' Game Responsible for Dozens of Suicides in Russia?|date=27 February 2017|language=ইংরেজি|publisher=|accessdate=13 June 2017|deadurl=no}}</ref> অসংখ্য প্রতিবেদন তৈরি হয় কিন্তু এখনও এর কোনটিই সরাসরি আত্মহত্যার সাথে নিদৃষ্ট গোষ্ঠীর কার্যক্রমকে কে দায়ী করার মতো যথেষ্ট মজবুত নয়।<ref name=snopes2017/><ref name="cyber20217">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|last1=Patchin|first1=Justin W.|title=Blue Whale Challenge|language=ইংরেজি|url=https://cyberbullying.org/blue-whale-challenge|website=Cyberbullying Research Center|accessdate=25 September 2017}}</ref><ref name="uksafer2017">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=Advice for those concerned about the ‘Blue Whale’ story|url=https://www.saferinternet.org.uk/blog/advice-those-concerned-about-blue-whale-story|language=ইংরেজি|website=UK Safer Internet Centre|accessdate=25 September 2017}}</ref><br>
এই গেমের সবচেয়ে আলোচিত দুই ভিকটিম হলেন, ইউলিয়া কোন্সটান্টিনোভা (১৫) ও ভেরোনিকা ভলকোভা (১৬)। তারা দুই জন একই সঙ্গে আত্মহত্যা করেন। অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাশিয়া ছাড়াও আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চীন, পাকিস্তান, ইতালিস সহ আরও ১৪টি দেশে বিভিন্ন নামে এই গেমটি চলছে।<ref name="উন্মেষ" />
 
==কাঠামো==
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে দেখা যায়, প্রশাসকগন অংশগ্রহণকারীদের ৫০ (পঞ্চাশ) দিনের জন্য পঞ্চাশটি ঝুঁকিপূর্ণ টাস্ক বা কাজ দিয়ে থাকেন। অংশগ্রহণকারীরা সেই সব নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে প্রমাণস্বরূপ ছবি বা ভিডিও পাঠান বা নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিডিয়ায় সেগুলি প্রকাশ করেন। সর্বশেষ, পঞ্চাশতম চ্যালেঞ্জটি হলো আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যা করতে পারলেই খেলোয়াড় বিজয়ী। খেলাটির অন্যতম বিশেষ দিক, একবার খেলায় অংশগ্রহণ করলে খেলাটি কোনোভাবেই বন্ধ (আনইন্সটল) করা যাবে না। এমনকি কেউ বন্ধ করলে তাকে অনবরত নিজের এবং তার পরিবারের মৃত্যুর ভয় দেখানো হয়। অ্যাডমিনদের সাথে অংশগ্রহণকারীদের যোগাযোগ করার উপায় সম্পর্কে কাউকে বলা নিষেধ। নির্ধারিত কাজটি শেষ করার সমস্ত প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলার নির্দেশনা থাকে।<ref name=উন্মেষ>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|author1=ফাতেমা আক্তার মহুয়া|title=ব্লু হোয়েল: আত্মহত্যা যেই গেমের "শেষ ধাপ"|url=http://theunmesh.com/ফিচার/রহস্য/ব্লু-হোয়েল-গেম-আত্মহত্যা/|website=দ্যা উন্মেষ|accessdate=7 অক্টোবর 2017}}</ref> শুরুর দিকের কাজগুলো বেশ সহজ এবং অন্যান্য গেমের চেয়ে আলাদা হওয়ায় অংশগ্রহণকারীরা মজা পেয়ে যায়। ২০১৫ সালে গেমটির জের ধরে প্রথম আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে এবং প্রতিদিন [[ইন্সটাগ্রাম|ইন্সটাগ্রামে]] '''ব্লু হোয়েল''' গেমটিতে কে কোন লেভেলে আছে তা পোস্ট করার রীতিমতো একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।<ref name="Roar বাংলা" /><br>
ধারাবাহিকভাবে, প্রথমে সাদা কাগজে তিমি মাছের ছবি এঁকে শুরু হয় খেলা, ভোর চারটে কুড়ি মিনিটে ঘুম থেকে উঠতে হয়, অংশগ্রহণকারীকে নিজেরই হাতে পিন বা ধারালো কিছু ফুটিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে আঁকতে হয় আগেই কাগজে আঁকা তিমির ছবিটা, একা একা ভূতের চলচ্চিত্র দেখতে হয়, চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত মাদকসেবনও রয়েছে প্রতিদিন একেকটি দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং প্রতিটি দিনের মধ্যেই শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া থাকে।
 
==গ্রেফতার==
২০১৬ সালে '''ফিলিপ বুদেইকিন''' নামে [[মনোবিজ্ঞান|মনোবিজ্ঞানের]] এক প্রাক্তন ছাত্র (যাকে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল) '''ব্লু হোয়েল''' গেমের আবিস্কারক হিসাবে গ্রেপ্তারকৃত হয়। সে দাবী করে, তার উদ্দেশ্য মূল্যহীন মানুষদের আত্মহত্যায় উৎসাহিত করে সমাজকে পরিচ্ছন্ন করা।<ref name="bbc.co.uk">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.bbc.co.uk/newsbeat/article/39882664/blue-whale-challenge-administrator-pleads-guilty-to-inciting-suicide|title=ব্লু হোয়েল চ্যলেঞ্জের আত্মসমর্পণকৃত প্রশাসক আত্মহত্যায় উস্কানিদাতা হিসাবে দায়ী|date=2017-11-05|website=বিবিসি নিউজবিট|language=ইংরেজি|access-date=2017-06-23|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20170621021838/http://www.bbc.co.uk/newsbeat/article/39882664/blue-whale-challenge-administrator-pleads-guilty-to-inciting-suicide|archivedate=2017-06-21|df=}}</ref><ref name="Биомусор">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=https://www.novayagazeta.ru/articles/2016/12/12/70868-biomusor|title=Биомусор|work=Новая газета - Novayagazeta.ru|access-date=2017-06-23|language=রুশ|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20170623093657/https://www.novayagazeta.ru/articles/2016/12/12/70868-biomusor|archivedate=2017-06-23|df=}}</ref> বুদেইকিন নির্দোষ এবং এটাকে নিছক মজা দাবী করলেও ২০১৬ এর মে মাসে সে নুন্যতম ১৬ জন কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যার উস্কানিদাতা হিসাবে গ্রেপ্তারকৃত হয় এবং [[সেন্ট পিটার্সবার্গ]]<ref name="bbc.co.uk"/> পরবর্তীতে সে দুইজন নাবালক আত্মহত্যার উস্কানির জন্যে দোষী প্রমানিত হয়।<ref name="mt2017">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=অনলাইন আত্মঘাতী গ্রুপ "নীল তিমি"র প্রতিষ্ঠাতার রায়|language=ইংরেজি|url=https://themoscowtimes.com/news/founder-online-blue-whale-suicide-group-sentenced-58446|website=মস্কো টাইমস|accessdate=২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭}}</ref>
 
==তালিকাভুক্ত ঘটনাবলী==
৪৪ নং লাইন:
===উরুগুয়ে===
 
=== '''''বাংলাদেশ''''' ===
অক্টেম্বর ২০১৭, ঢাকায় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর ব্লু হোয়েল গেম খেলে আত্মহত্যা করে বলে সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধমগুলোতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পুলিশ বলছে সে আত্মহত্যা করেছে৷ তবে ব্লু হোয়েল গেম খেলে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার পর বাংলাদেশে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.dw.com/bn/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95/a-40876561|title=ব্লু হোয়েল গেম নিয়ে বাংলাদেশে আতঙ্ক {{!}} বিশ্ব {{!}} DW {{!}} 09.10.2017|last=(www.dw.com)|first=Deutsche Welle|language=bn|access-date=2017-10-13}}</ref>৷  এদিকে, বিটিআরসির মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব৷ আমাদের কাছে যেসব লিংক বা ইউআরএল আসবে আমরা তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব৷'<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://www.ittefaq.com.bd/science-and-tech/2017/10/13/131110.html|title=ব্লু হোয়েল গেম থেকে সতর্ক হতে বিটিআরসির উদ্যোগ {{!}} বিজ্ঞান ও টেক {{!}} The Daily Ittefaq|access-date=2017-10-13}}</ref>