ব্যবহারকারী:Noni Gopal Singha/খেলাঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Noni Gopal Singha (আলোচনা | অবদান)
"হালচাষ", " হাল চাষ", বা "হলকর্ষণ" হল পশুশক্তিকে যন্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করে কৃষি ভূমিকে খোদায় করা,...
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
(কোনও পার্থক্য নেই)

০৪:৫৮, ১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

 "হালচাষ" বা "হাল চাষ" হল প্রাচীন কৃষি পদ্ধতি। পশু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জমি কর্ষণ বা জমির মাটি খুড়াকে হাল চাষ বা সংস্কৃতে "হলকর্ষণ" বলা হয়। এইভাবে মাটি খুড়ে নরম করে; সেই নরম মাটিতে ফসল রোপণ করা হয়। বর্ষাকালীন "খারিফ শস্য" যেমন; ধান ও গম; এবং শীতকালীন "রবি শষ্য" যেমন; ডাল, আলু, বাদাম, সরিষা, তিসি, তিল এবং অনেক প্রকারের সব্জি চাষে এই পশুশক্তি ব্যাবহার হয়।
 হলকর্ষণ না করে ফসল রোপণ করলে সেই ফসল কম মাত্রায় ফলন দেয়। এতে কৃষকের চাহিদা পূর্ণ হয় না। আজকাল (2000 খ্রী: আশ পাশ থেকে) মেসিন দিয়ে "হলকর্ষণ" তথা ধান্য রোপণ, ধান কাটা, মাড়াই দেওয়া ইত্যাদি সকল কাজে মেশিনের ব্যাবহার হচ্ছে। ফলে মানুষ এখন পশু শক্তির পরিবর্তে যন্ত্রশক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে।
 ভারত তথা এশিয়া মহাদেশে বলদ গরুকে এই কাজে ব্যাবহার করা হয়। তবে কোন কোন গরীব কৃষক বলদ ক্রয় করতে না পেরে গাভী দিয়ে লাঙ্গল টানার কাজটি করান, এটা অত্যান্ত দৃষ্টিকটু এবং অ-মানবিক আচরণ। অনেক গরীব কৃষক আবার বলদ বা গাভী কোনটাই খরিদ করতে না পেরে নিজের পরিবারের সদস্য এর ঘাড়ে যোআল চাপিয়ে ওকে পশুর পরিবর্তে ব্যাবহার করে। এটা ও অত্যান্ত দৃষ্টিকটু।
 তাছাড়া মহিষ এবং মরুভূমি অঞ্চলে উট দিয়ে ও হালচাষ বা লাঙ্গল টানার কাজ করানো হয়।
  ইউরোপে আবার ঘোড়া দিয়ে হলকর্ষণ করা হয়। স্ত্রী ঘোড়া ব্যাবহারে ও কোন বাধা নেই। বর্তমানে মেশিন দিয়ে কৃষিকাজ করা হচ্ছে।
  হাল চাষের পদ্দতি হল:-  এক জোড়া বলদ পাশাপাশি দাড় করিয়ে দুজনের ঘাড়ের উপর "যোআল" বেধে দিতে হয়। তারপর ঐ যোআলের হুকে লাঙ্গল ফোসে দিয়ে একজন লোক লাঙ্গলের "কটা" বা হাতল ধরে লাঙ্গলের "ফলা" বা ধাতব লোহার আংশকে নিযন্ত্রণ করতে হয়। ঐ বলদ যুগল লাঙ্গলকে টেনে টেনে হাটতে থাকবে এবং ফলাটি মাটির ভিতরে দুই তিন ইঞ্চি গেথে গেথে মাটি ভাঙতে ভাঙতে চলতে থাকবে। একজন লোক পেছনে পেছনে "কটা" বা হাতল ধরে ফলা নিয়ন্ত্রণ করে হাটবে। এভাবে ধাতব ফলার সহায়তায় মাটি খুড়া হয় এবং তিন থেকে সাত প্রস্হ খুড়ার পর মাটি ভেঙ্গে পাওডারের মত গুড়া হয়।
  ভবিষ্যতে হালচাষ কি জিনিষ তা লোকে চিনতেই পারবে বলে মনে হয় না। তাই উইকিপিডিয়াতে এটি নথিভুক্ত থাকা দরকার।